( সংবিধানের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেই বলছি )
—————————————————–
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের শুরুতেই…
১) বিসমিল্লাহির-রহ্মানির রহিম (পরম দয়ালু, আল্লাহর নামে/পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তার নামে )
২) প্রস্তাবনাঃ
“আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করতে উদ্ধুদ্ধ করিয়াছিল জাতীয়তাবাদ সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে ।“
( সংবিধানের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেই বলছি )
—————————————————–
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের শুরুতেই…
১) বিসমিল্লাহির-রহ্মানির রহিম (পরম দয়ালু, আল্লাহর নামে/পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তার নামে )
২) প্রস্তাবনাঃ
“আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করতে উদ্ধুদ্ধ করিয়াছিল জাতীয়তাবাদ সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে ।“
আমারা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মুল লক্ষ হইবে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষন্মুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবিক এবং রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে;
৩) বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ইহার গুরুত্বঃ অংশের উপ-অনুচ্ছেদ (২) এ
বাংলাদেশের সংবিধানের মুলনীতিসমুহ হবে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস । জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র অর্থাৎ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার যা আমাদের বীর সন্তানদের স্বাধীনতার যুদ্ধে তাদের জীবন উতসরগ করতে উৎসাহিত করেছে;
৪) অনুচ্ছেদ-২(ক) । রাষ্ট্রধর্মঃ
প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন” ।
৫) অনুচ্ছেদ-১২ । ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতাঃ
ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য-
(ক) সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যাবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যাক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন, বিলোপ করা হইবে ।
৬) অনুচ্ছেদ-২৩(ক) । উপজাতি, খুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্টপুরন আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ , উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যাবস্থা গ্রহন করিবেন ।
৭) অনুচ্ছেদ-২৫। আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়নঃ উপ-অনুচ্ছেদ (২)
রাষ্ট্র ইসলামী সংহতির ভিত্তিতে মুসলিম দেশসমুহের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক সংহত, সংরক্ষণ এবং জোরদার করিতে সচেষ্ট হইবেন ।
৮) অনুচ্ছেদ-২৮ । ধর্ম প্রভৃতি কারনে বৈষম্যঃ
(১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারনে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না ।
(৩) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারনে জনসাধারণের কোণ বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোণ শিখাপ্রতিষ্ঠানে ভরতির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোন্রুপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাঁধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না ।
৯) অনুচ্ছেদ-৪১ । ধর্মীয় স্বাধীনতাঃ (১) আইন, জন শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা সাপেক্ষে-
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে;
(খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপসম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যাবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে ।
ভাষ্যঃ প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের শুরুতেই সংখ্যাগুরু একটি বিশেষ ধরমের বানী, প্রস্তাবনায় ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রস্তাবনার গুরুত্বে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস । রাষ্ট্রধর্মঃ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান বিলোপ করা, আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়নে রাষ্ট্র ইসলামী সংহতির ভিত্তিতে মুসলিম দেশসমুহের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক সংহত করিবেন । ধর্মীয় স্বাধীনতায় আইন, জন শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা সাপেক্ষে-প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে ।
তাহলে ? একদিকে যেমন ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার তাগীদ, অন্যত্র আবার একটি সংখ্যাগুরু ধর্মের আধিপত্য । একই সঙ্গে একটি নারী কুমারী এবং গর্ভবতী বলারই শামিল । এতোটা সাংবিধানিক বাগারম্বরপুরন সংমিশ্রণ প্রয়োজন হতনা যদি, আমাদের মূলনীতিতে একমাত্র সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেতো, তাতে সকল ধর্মের সাম্য যেমন বজায় থাকতো, তেমনি প্রশাসনিক এবং আরথ-সামাজিক বৈষম্যও অনেকটাই দূরীভূত হত । স্মৃতি যদি প্রতারনা না করে থাকে তবে মহান নেতা বঙ্গবন্দধুর ছবি সংবলিত মুক্তিযুদ্ধকালীন একটা পোষ্টারে অন্তত তাই দেখে আশ্বস্ত হয়েছিলাম, জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্দধু-জয় সমাজতন্ত্র ।
(বিঃদ্রুঃ আমি প্রজাতন্ত্রের সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজ্ঞ, বিশ্লেষক, বিশারদ বা সংশ্লিষ্ট কেউ নই, একজন সাধারন আমজনতার কাতারের নগন্য ভবঘুরে মাত্র । সংবিধানের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখেই আমার সাদা চোখে যা অসঙ্গতি বলে মনে হয়েছে, তাই হুবহু তুলে ধরেছি । সংবিধান বিশেষজ্ঞ শ্রদ্ধাবান কেউ আরেকবার বিবেচনা করে দেখবেন কি, আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক রসিকতার শিকার কিনা ?)
ক্ষমাপ্রারথনায়ঃ অধম আদমি- ভবঘুরে বিদ্রোহী ।
বানানের দিকে একটু খেয়াল
বানানের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন ।
ব্যাপারখানা হচ্ছে জিয়া সাব
ব্যাপারখানা হচ্ছে জিয়া সাব উনার সেই অদ্বিতীয় সানগ্লাস পরে সংবিধানে ধর্মরে হান্দাইছেন। তো স্বাভাবিকভাবেই রুমের মধ্যে সানগ্লাস পরলে এইরকম অসংগতি থাকবেই। এখন এইসব সংশোধন করতে গেলে তো রব উঠে “জাত গেলো, ধর্ম গেলো”, ব্যাপারটি এমন যেন বাংলাদেশই একমাত্র ধর্ম বাঁচাই রাখার ঠিকা নিছে।
হ্যা সংবিধানে আছে নানাবিধ
হ্যা সংবিধানে আছে নানাবিধ রসিকতা। যেমন :
নারী অধিকার : আমাদের প্রাণপ্রিয় সংবিধান ও বাস্তবতা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭-২৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে :
ধর্ম প্রভৃতি কারণে বৈষম্য ও আইনের দৃষ্টিতে সমতা :
অনুচ্ছেদ : ২৭
সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী।
অনুচ্ছেদ : ২৮
(১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না ।
(২) রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন।
(৩) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোন বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাঁধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না ।
অথচ এদেশে উত্তরাধিরসূত্রে একজন খৃষ্টান নারী পুরুষের তুলনায় সম্পদের ১০০%, একজন মুসলিম নারী ৫০% এবং একজন হিন্দু নারী ০% দাবীর অধিকার রাখে।
সমতা হলো কি?
একদিকে যেমন ধর্মনিরপেক্ষতা
–
একেবারে চোখের ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।
(No subject)
:মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি:
আমরা কাঠালের আমসত্ত্ব খাইতে
আমরা কাঠালের আমসত্ত্ব খাইতে বেশ পছন্দ করি তো তাই খাচ্ছি । :গোলাপ: :গোলাপ: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
(No subject)
:মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: