আমাদের প্রচলিত বা ধর্মীয় শিক্ষাব্যাবস্থায় সাধারণত অনৈতিক কিছুই শেখানো হয় না, সবই মানবিক মুল্যবোধের নীরিখেই । আদর্শলিপি পাঠ করা একজন অক্ষরজ্ঞান্সম্পনণ মানুষও নৈতিকভাবে আদর্শিক হওয়ার কথা, সে তুলনায় শিক্ষিত বা উচ্চশিক্ষিত মানুষের মহামানব হওয়ার দাবী রাখে । নিউটনের গতিরসুত্র বা গ্যালিলিওর মহাবিশ্বের মডেল বা ডারউইনের বিবর্তনবাদ প্রকাশের পরে প্রতিটি মানুষেরই বিশ্বজ্ঞান থাকার কথা, বিজ্ঞানী না হলেও অন্তত বিজ্ঞান্মনস্ক থাকার কথা, কার্ল মারক্সের দাস ক্যাপিটাল প্রকাশের পরে অন্তত সাম্যের সমাজের স্বপ্নে রাষ্ট্র ও রাজনীতিসচেতনদের পুজিবাদ প্রতিবাদ প্রতিহত করা কিন্তু বাস্তবে বিধিবাম ।
আমাদের প্রচলিত বা ধর্মীয় শিক্ষাব্যাবস্থায় সাধারণত অনৈতিক কিছুই শেখানো হয় না, সবই মানবিক মুল্যবোধের নীরিখেই । আদর্শলিপি পাঠ করা একজন অক্ষরজ্ঞান্সম্পনণ মানুষও নৈতিকভাবে আদর্শিক হওয়ার কথা, সে তুলনায় শিক্ষিত বা উচ্চশিক্ষিত মানুষের মহামানব হওয়ার দাবী রাখে । নিউটনের গতিরসুত্র বা গ্যালিলিওর মহাবিশ্বের মডেল বা ডারউইনের বিবর্তনবাদ প্রকাশের পরে প্রতিটি মানুষেরই বিশ্বজ্ঞান থাকার কথা, বিজ্ঞানী না হলেও অন্তত বিজ্ঞান্মনস্ক থাকার কথা, কার্ল মারক্সের দাস ক্যাপিটাল প্রকাশের পরে অন্তত সাম্যের সমাজের স্বপ্নে রাষ্ট্র ও রাজনীতিসচেতনদের পুজিবাদ প্রতিবাদ প্রতিহত করা কিন্তু বাস্তবে বিধিবাম ।
আমাদের প্রচলিত অর্থ ও বণ্টণব্যাবস্থা বাস্তবতার নির্মম কষাঘাতে বাধ্যগতভাবেই সেই সকল শিক্ষিত(অধিকাংশ) মানুষগুলোকেই নীতিজ্ঞান বিসর্জন দিয়ে দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, তেলবাজ, ছিন্তাইকারী, চাদাবাজ, প্রতারক, চোর, ডাকাত, লুটেরা, দুর্বৃত্ত, দুর্জন, স্বজনপ্রীতিবাজ, আগ্রাসী মানসিকতার একদল প্রতিযোগিতামুলক নিকৃষ্ট নাগরিক এবং তাদের অনুসারী করে তুলছে । তাতে আমাদের বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই, জনগনের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা মানুষগুলো নিরলজ্জের মতোই জাতির কাছে দায়বদ্ধহীন । জনগনের টাকায় পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হচ্ছে অথবা বেরিয়ে হচ্ছে একদল জাতীয় শত্রু, পালে পালে ঢুকে পড়ছে রাষ্ট্র এবং সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে । কী সুন্দর বাহারী নামে কল্যান সংস্থার বহর, জনগনকে সেবা দিতে উম্মুখ উপনিবেশিক কর্পোরেট, রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবি পাপেট । যাদের নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারিনা , তাদের জন্য কেনো পাবলিক প্রতিষ্ঠানের খরচ বহন করবো ? ঘৃণায় বমি আসে । ছেড়া অন্তর্বাস, ছেড়া নোংরা স্যান্ডো ঢাকতে আমরা উপরে আস্তিন চাপিয়ে সৎ এবং ভালোমানুষটি সাজার বৃথা চেষ্টা করি নিরলজ্জের মতোই, অথচ ভিতরে পচন ধরেছে । ভিতরে সবাই আত্মগ্লানিতে দগদ্ধ । এটাই যেনো স্বাভাবিক, এটাই সভ্যতার মানদণ্ড, এটাই প্রগতি এর বাহিরের নীতিজ্ঞান্সম্পনণ কিছু মানুষ যেনো উপহাসে অবজ্ঞায় কোণঠাসা । কেনো ? এসকলি কেবল ব্যাক্তি কারো নীতিহীনতা ? মোটেও নয়…সার্বিক ব্যাবস্থা গলিত মথিত ভাগাড়ে এবং যার নিয়ন্ত্রণভার ভাগাড়ের শকুন, শেয়াল…… । যারা প্রতিবাদী নয় অনুগামী শকুন শেয়াল হতে শেখায়, তারপর স্বজাতেরও মাংস ছিড়ে খুবলে খায় এবং দুখের বিষয় এটাকেই সভ্য হওয়ার জানান দেয় ।
আমার দৃষ্টিতে এই অবক্ষয়ের প্রধান কারণ জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা, প্রচলিত ধর্মের দোহাই দিয়ে অনুগামী হতে জায়েজ করা আমাদের প্রচলিত অর্থ ও বণ্টণব্যাবস্থা, এর মাঝেই লুকিয়ে আছে পুঁজিবাদী চরিত্রহীনতার মন্ত্র । যে লঙ্কায় যায় সেই রাবন হয় , রাবনবধের কেউ দায় নিচ্ছেনা, কেউ বদলের জন্য হাত দিচ্ছেনা । এমতাবস্থায় সকল আন্দোলন, সকল সংগ্রাম, সকল বিপ্লবের ফসল সেই পুজিপতিদেরই ঘরে উঠে । এই ব্যাবস্থার বিরুদ্ধে সঙ্গবদ্ধ প্রথম আন্দোলন, আকুপাই ওয়ালস্ট্রীট । কিন্তু আমি জানতাম এটাও সরবাত্মক বিপ্লবের ডাক নয়, এটি একটি চরম বিক্ষুদ্ধ ক্ষোভের প্রথম বহিঃপ্রকাশ মাত্র । কিন্তু এটা জানান দিয়ে গেছে বিশ্বের ৯৯% মানুষ প্রচলিত অর্থ ও বণ্টণব্যাবস্থার উপর অনাস্থাশীল । আমি কেন শিক্ষিত ছিঁচকে চোর হবো, তোমাকে মহাচোর হওয়ার সুযোগ করে দিতে ?
তাই পুঁজিবাদী অর্থ ও বণ্টণব্যাবস্থার পরিবর্তনের আগে পৃথিবীর কোন আন্দোলনই সার্বিক মুক্তির পথ দেখাতে পারবেনা । আর সাধারণ মানুষকেও সম্পৃক্ত করা যাবেনা, তারা বরাবরই এই জগদ্দল পাথর থেকে মুখফিরিয়ে নেয়া আমজনতা, বৈশ্বিক শোষনের পুঁজিবাদী কষাঘাতে জর্জরিত মানুষগুলোর পিঠ অনেক আগেই দেয়ালে ঠেকে গেছে, তারা শেষবারের জন্য বাচার জন্য বাচার কাফেলা নিয়ে ঘুরে দাড়ালে পৃথিবীর অনেক বড় বড় মোড়ল, তাদের দুর্ভেদ্য হেরেমখানা, তাদের তথাকথিত শক্তিশালী প্রাচীর ঘেরা রাজনৈতিক, অরথনৈতিক, সাংস্কৃতিক ধর্মীয়, সামরিক ব্যাবস্থা, বড় বড় স্থাপনা সেদিন গুড়িয়ে গেলে, ভৌগোলিক সীমারেখা বদলে বা ওঠে গেলে আমার অবাক হবার কিছুই থাকবেনা । নীতিনির্ধারকদের উৎখাত করে আমজনতা তাদের সাম্যের সমাজ বিনির্মাণে নিজেদের ভাগ্যলিপি নিজ হাতে নিজেদের মতো করে লেখার দায়িত্ব নিলে কারোই কিছু করার থাকবেনা, নতুন ব্যাবস্থার প্রস্তাব আসছে অচীরেই । সেদিন মিথ্যের মিথ বানের জলে খড়কূটোর মতো ভেসে যাবে, আমি বান ডাকার অপেক্ষায় আছি, আমি বাঁধ ভাঙার আওয়াজ শুনছি……ভবঘুরে বিদ্রোহী (ভবদ্রোহী)
পড়লাম। ভাল লিখেছেন ভাইয়া।
পড়লাম। ভাল লিখেছেন ভাইয়া।
অসাধারণ লিখেছেন ।আপনার মত
অসাধারণ লিখেছেন ।আপনার মত আমিও প্রতীক্ষায় থাকলাম ।