শাহবাগে যখন পৌঁছুলো তখন মাত্র পঞ্চাশ ষাট জন লোক হবে। জয় খানিকটা হতোদ্যম হয়ে গেল। কিন্তু, হঠাৎ খেয়াল করল মানুষ বাড়ছে। চারটা রাস্তা ধরেই মানুষ আসছে। হঠাৎ দেখলেন রাস্তার পাশে একটা মেয়ে বসে আছে। হাতে একটা প্ল্যাকার্ড – রাজাকারের ফাঁসি চাই। জয়ের মাথার ভেতরে বো বো করে ঘুরতে শুরু করল – ফাঁসি… ফাঁসি… ফাঁসি… ফাঁসি…। একটা সিএনজিতে করে দু’টো মানুষ এসে নামল ব্যানার নিয়ে। কাউকে চেনে না জয়। তার সামনেই ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল সবাই। তারিককে দেখা যাচ্ছে না কোথাও। মোবাইল বের করে তারিককে কল করল একটা। “হারামজাদা!” বিড়বিড় করে গালি দিল জয়।
প্রথম পর্ব
শাহবাগে যখন পৌঁছুলো তখন মাত্র পঞ্চাশ ষাট জন লোক হবে। জয় খানিকটা হতোদ্যম হয়ে গেল। কিন্তু, হঠাৎ খেয়াল করল মানুষ বাড়ছে। চারটা রাস্তা ধরেই মানুষ আসছে। হঠাৎ দেখলেন রাস্তার পাশে একটা মেয়ে বসে আছে। হাতে একটা প্ল্যাকার্ড – রাজাকারের ফাঁসি চাই। জয়ের মাথার ভেতরে বো বো করে ঘুরতে শুরু করল – ফাঁসি… ফাঁসি… ফাঁসি… ফাঁসি…। একটা সিএনজিতে করে দু’টো মানুষ এসে নামল ব্যানার নিয়ে। কাউকে চেনে না জয়। তার সামনেই ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল সবাই। তারিককে দেখা যাচ্ছে না কোথাও। মোবাইল বের করে তারিককে কল করল একটা। “হারামজাদা!” বিড়বিড় করে গালি দিল জয়। তারিক কল রিসিভ করছে না। তারপর আবার মানববন্ধনের দিকে তাকাল। হঠাৎ করে মনে হল, এরা সবাই যেন তার কতদিনের চেনা। অনন্তকাল ধরে এদের সবাইকেই সে চেনে। গিয়ে দাঁড়াল তাদের সাথে।
খানিকবাদে কেউ একজন বলে উঠল, “দরকার পড়লে আমরা শাহবাগের রাস্তা বন্ধ করে দেব।” জয় দেখল সবাই ছড়িয়ে বসে শাহবাগ মোড়ে বসে গেল। ধীরে ধীরে ফাঁকা জায়গাগুলো পূরণ হতে শুরু করল। প্রথমে ধীরে ধীরে। তারপর দ্রুত। টিভি ক্যামেরা এসে ভিড় করল। প্রেস মিডিয়া এলো। রাতের দিকে মানুষ খানিকটা কমে এলো। জয় থেকে গেলো। শেষ রাতের দিকে খানিকটা তন্দ্রা এসে গিয়েছিল। সকালে যখন তার ঘুম ভাঙ্গল, তখন সে নিজেই চমকে গেল। হাজার হাজার মানুষ। একটার পর একটা মিছিল নদীর মত করে এসে জনসমুদ্রে মিশে যাচ্ছে। একটু পরপর গান হচ্ছে, স্লোগান হচ্ছে।
ছবির হাঁটে গিয়ে এককাপ চা খেয়ে এসে সবার সাথে স্লোগান দিতে শুরু করল। একটানা অনেকটা স্লোগানের শেষে যখন চিৎকার করে “জ-য় বা-ং-লা” বলে তখন মনে হতে লাগল যেন সবার গলায় জিউসের বজ্র এসে লুকিয়ে গেছে। এত মানুষের মধ্যে মৌরি কোথায়? নিশ্চয়ই এসেছে এখানে। মোবাইল বের করল মৌরিকে কল করার জন্য। কিন্তু, মোবাইল আউট অব নেটওয়ার্ক।
আগের দিন কিছু খাওয়া হয় নি। আজ সারাদিনে জয়ের শুধু খাওয়া হয়ে ছয় কাপ চা। তারপরও এতটুকু ক্লান্তি নেই। প্রতিটা স্লোগান যেন বুকের মাঝখান থেকে উঠে আসছে। বিকেলে মানুষ বাড়তে শুরু করল বানের জলের মত করে। চিৎকার রব উঠল, “একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার”, “জামাত শিবিরের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও।”
“আপনি তো মনে হয় অলরেডি হাজার কভার করে ফেলেছেন। একটু তাড়াতাড়ি শেষ করেন না।” পাশ থেকে নির্ঝর নিঃস্পৃহ গলায় বলল।
রা’আদ সাহেব বিরক্ত চোখে নির্ঝরের দিকে তাকালেন। এই গাধাটা কি বোঝে, এই একটা কথায় তার লেখার ধারাটাই নষ্ট হয়ে গেল? এখন একটা ছাতার মাথা এন্ডিং দিয়ে এটা ওকে গছিয়ে দিতে পারলেই তিনি বাঁচেন। আবার লেখা শুরু করলেন:
সন্ধ্যার মশাল মিছিল শেষ করে অবশেষে সাতটার দিকে জয় বাসার দিকে রওনা দিল। বাসায় গিয়ে সবার আগে মৌরির সাথে কথা বলতে হবে। তারপর গোসল আর খাওয়া সেরে একটা লম্বা ঘুম। কাল সকালেই আবার চলে আসতে হবে এখানে। কোন রিকশাওয়ালা দেখা যাচ্ছে না। জয় দ্রুত পা চালাল। একবার পেছনের দিকে তাকাল। এখনও স্লোগানের আওয়াজ ভেসে আসছে। কে বলবে এখানে সে মাত্র একদিন ছিল? মনে হচ্ছে, যেন সে অনন্তকাল ধরে এই মোড়ে কেবল স্লোগানই দিয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টাকে মনে হচ্ছে চব্বিশ সহস্রাব্দ।
শাহবাগ এলাকা থেকে বেরোতেই মৌরির কল এলো। জয় কল রিসিভ করতেই অভিযোগের তুবড়ি ছুটল। সারাদিন ফোন কেন বন্ধ ছিল, মৌরির কি চিন্তা হয় না, জয় তো ভুলেই গেছে মৌরিকে…।
জয় হাসিমুখে অপেক্ষা করতে লাগল, মৌরির কথা শেষ হবার জন্য। তারপর বলল, “আরে পাগলি, আমি তো শাহবাগ ছিলাম। এত মানুষের ভিড়ে নেটওয়ার্কই ছিল না।”
ওপাশ থেকে উত্তর এলো, “তুমি শাহবাগ কী করছিলেন?”
জয়ের ভ্রু কুঁচকে গেল, “শাহবাগ কী করছিলাম মানে?”
“ওসব পলিটিকাল ইস্যুতে তুমি নিজেকে জড়াও কেন? তোমার তো কেউ মারা যায় নি। আর এসব তো আওয়ামী লীগের চাল আগামীবার ক্ষমতায় আসার জন্য। বোঝ না এসব?”
জয় পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গেল। তার এত দিনের সব স্মৃতি আর এখন ঘটে চলা ঘটনাগুলো মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেল। কানের কাছে ঝাঁ ঝাঁ করতে শুরু করল। অনেক দূরে দিগন্ত থেকে ভেসে আসছে “জ-য় বা-ং-লা।” শব্দ দু’টোকে কেমন যেন ভোঁতা মনে হচ্ছে। জয় আর কোন কিছুকেই অনুভব করতে পারছে না।
ওপাশ থেকে মৌরি আবার বলল, “কী হল? কিছু বলছ না কেন?”
“মৌরি তোমার আর আমার দেখা করা দরকার। এখুনি!”
“এখন! পাগল হয়েছ? রাত হয়ে গেছে। এখন বেরুবো কীভাবে?” মৌরির গলায় বোঝা গেল যথেষ্ট অবাক হয়েছে।
“আমি কিচ্ছু জানি না। তুমি এখন যেভাবে পারো, আমার সাথে দেখা করবে।”
“ঠিক আছে। দেখছি কী করা যায়।”
আধ ঘণ্টা পর মৌরি এসে পৌঁছল। রিকশা থেকে নামতেই জয় ওর হাত ধরে ফুটপাতেই বসে পড়ল। কড়া গলায় বলল, “আমি এখন তোমাকে কিছু কথা বলব। চুপচাপ সব শুনবে। তারপর তুমি নিজে ঠিক করবে, আমাদের পথ কি এক থাকবে না আলাদা হয়ে যাবে।”
মৌরি ঘটনার আকস্মিকতায় একেবারে হতভম্ব হয়ে গেল। শুধু যন্ত্রচালিতের মত মাথা নাড়ল।
জয় শুরু করল – আসাদের কথা, সার্জেন্ট জহুরুল হকের কথা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের কথা, সত্তরের নির্বাচনের কথা, ক্ষমতা দেয়ায় ইয়াহিয়ার টালবাহানার কথা, ২৫শে মার্চে এক রাতে ত্রিশ হাজার মানুষ হত্যার কথা, একটু একটু করে প্রতিবাদ শুরু হবার কথা, লাইন ধরে দাঁড়িয়ে গুলি করার কথা, নদীতে একটানা লাশ ভেসে যাবার কথা, কোটি মানুষের দেশান্তরী হবার কথা, সবুজ ঘাস লাল রক্তে ভিজে যাবার কথা, মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করার কথা, গর্ভবতী মায়ের পেট কেটে বাচ্চা বের করার কথা, কামড়ে যুবতীর স্তন ছিঁড়ে ফেলার কথা, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে স্বামীকে হত্যা করার কথা, গ্রামের পর গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার কথা, একটু আশ্রয়ের জন্য মানুষের নিরন্তর ছুটে চলার কথা, থ্রিনটথ্রি রাইফেল হাতে বীরদের কথা, মাঠে ঘুড়ি ওড়ানো ছেলেটার তুখোড় গুপ্তচর হয়ে যাবার কথা, মাকে ফেলে মায়ের জন্য পালিয়ে আসা ছেলেটার কথা, রাত জেগে অচেনা আহত ভাইয়ের সেবা করা মেয়েটার কথা, বিজয়ের ঠিক আগে এদেশকে মেধাশূন্য করে দেবার ঘৃণ্য চক্রান্তের কথা, স্বাধীনতার পরেও মিরপুরে চলা রক্তের উৎসবের কথা, এই সবকিছুতে জড়িয়ে থাকা এদেশেরই কুলাঙ্গার পিশাচদের কথা।
যখন শেষ করল তখন দেখল, মৌরির চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। জয় বলল, “এবার সব সিদ্ধান্ত তোমার।”
মৌরি চোখ তুলে জয়ের চোখের দিকে তাকাল। বলল, “ভালবাসি।”
জয় সাথে সাথে চিৎকার করে উঠল, “জ-য় বা-ং-লা।”
মৌরির ঠোঁট চিরে একটা হাসি বেরিয়ে এলো। আদুরে গলায় বলল, “জয় বাংলা।”
জয় মৌরির হাতটা ধরল। আবার শাহবাগের দিকেই হাঁটতে শুরু করল। আজ সারারাত এই পথে দু’জনে একসাথে স্লোগান দেবে।
“হ্যাঁ, গল্প শেষ। বেশি বড় করে ফেলেছি…” কথাটা বলতে বলতে রা’আদ সাহেব নির্ঝরের দিকে তাকালেন। তাকিয়েই চমকে উঠলেন। চোখ দু’টো টকটকে লাল। কেমন অস্বাভাবিকভাবে এক দৃষ্টিতে খাতাটার দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি শঙ্কিত গলায় বললেন, “নির্ঝর! তুমি ঠিক আছ তো?”
নির্ঝর কোন উত্তর দিল না। তিনি আবার ডাকলেন, “নির্ঝর!”
হঠাৎ করেই নির্ঝর টান দিয়ে তার খাতাটা নিয়ে গেল। একটানে খাতাটা ছিঁড়ে ফেলল। ক্রমাগত ছিঁড়ে যেতে থাকল, যতটা পারা যায়। তিনি অবাক হয়ে নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে রইলেন। বললেন, “কী হল তোমার?”
নির্ঝর উন্মাদের মত বলতে শুরু করল, “ওরা কখনও ফিরে আসে না। কক্ষনো না। ওদের কাছে ওদের মায়ের চেয়ে মায়ের ধর্ষক বড়। ওদের কাছে পিশাচেরা হয় ইসলামের সৈনিক।” নির্ঝর সশব্দে ঘরের ভেতরেই থুথু ফেলল “ওরা জানে না। আর কোনদিন জানতেও চায় না। ওদের কাছে মায়ের চেয়ে মায়ের ধর্ষক… ওদের কাছে ধর্ষকই বড়।”
রা’আদ সাহেব বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে নির্ঝরের দিকে তাকালেন। নির্ঝরের চোখের দিকে। মনে হল, অব্যক্ত অনেকটা যন্ত্রণা সেখানে জমা হয়ে আছে। মনে হল, অব্যক্ত অনেক ছেঁড়া স্বপ্ন তার হাতের ছেঁড়া কাগজগুলোতে নিজের অজান্তেই লেখা হয়ে গেছে।
৫.২.১৪ গণজাগরণ দিবসের
৫.২.১৪ গণজাগরণ দিবসের প্রাক্কালে গল্পটি মন ছুঁয়ে গেল, বিশেষ করে
কথাগুলোর বিন্যাস বেশ চমৎকার। ভাল থাকুন।
আপনাকেও ধন্যবাদ…
আপনাকেও ধন্যবাদ… 🙂
ক্লান্ত-দা!!
আপনার লিখার
ক্লান্ত-দা!!
আপনার লিখার ট্রিক্স এক কথায় অসাধারণ। :bow: :bow: :bow: :bow: :bow: :bow: :bow: :bow: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: কি সাবলীল আর চমৎকারভাবেই না আপনি দুটি প্যারালাল প্রেক্ষাপটে শাহবাগের চেতনার বহিঃপ্রকাশ এবং প্রভাবকে চার-চারটি মানুষের অনুভূতি দিয়ে প্রকাশ করলেন…
আর কিছুই বলার নেই শুধুই মুগ্ধতা রেখে গেলাম :মুগ্ধৈছি: :মুগ্ধৈছি: :মুগ্ধৈছি:
(No subject)
:ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
এককথায় চমৎকার,
এককথায় চমৎকার, অসাধারণ……..তবে পরেরবার আপনার গল্পের চরিত্র হবার ইচ্ছা পোষণ করছি…
আপাতত মাথায় আর কোন আইডিয়া
আপাতত মাথায় আর কোন আইডিয়া নাই। একটা তিন পর্বের সিরিজের আইডিয়া আছে। কিন্তু, তার নায়ক নায়িকার নাম নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। এক ফ্রেন্ডের গল্পের সিক্যুয়েল হিসেবে লিখব তো, তাই।
দেখি, পরে কোন আইডিয়া পেলে আপনাকে চরিত্র দিয়ে দেয় যাবে… 🙂 ভাল থাকবেন…
“ওরা কখনও ফিরে আসে না। কক্ষনো
চমৎকার বলেছেন । এটাই আমাদের দেশের বড় সমস্যা । সবাই ঈমান বাচাতেই ব্যাকুল অথচ তারা জানেই না ঈমান কি ? :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
সবাই ঈমান বাচাতেই ব্যাকুল অথচ
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
সবার সব প্রতিভা থাকেনা।যাদের
সবার সব প্রতিভা থাকেনা।যাদের থাকে তারা বেশিরভাগ নিজেদের প্রতিভাকে গলা টিপে হত্যা করে।আমার কিছু বলার নেই,তবু এতটুকু বলবো প্রথম পর্বে আতিক ভাইয়ের কথাগুলো সিরিয়াসলি নিবেন।কখনো কাউকে উপদেশ দেইনি আজ দিলাম।বিরক্ত হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন।
বিরক্ত হবার কিছু নাই। আপনি তো
বিরক্ত হবার কিছু নাই। আপনি তো আমার বড় ভাইয়ের মতই… :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল:
অসাধারণ
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: অসাধারণ :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :ধইন্যাপাতা:
ধন্যবাদ আপনাকে…
ধন্যবাদ আপনাকে… 🙂
ধন্যবাদ ভাই এতো চমৎকার ভাবে
ধন্যবাদ ভাই এতো চমৎকার ভাবে হৃদয়ের কথা গুলো শুনিতে গেলেন বলে।
(No subject)
:ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
চমৎকার…এর বেশি কিছু বলার
চমৎকার…এর বেশি কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি নাহ…অসাধারন লাগলো… :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :bow: :bow: :bow: :bow: :bow: :bow: :bow: :bow: :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া:
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য…
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য… 🙂
আপনাকে স্যলুট…… ৫ফেব্রুয়ারি
আপনাকে স্যলুট…… ৫ফেব্রুয়ারি এমন আরেকটি গল্প চাই। সম্ভব না হলে এটি পুরোটা একসাথে চাই। এবং পোস্টটি স্টিক হিসেবে দেখতে চাই।
অসাধারন অসাধারন অসাধারন……
গল্পের জয়ের সাথে এই জয়ের ও মিল আছে। ওখানের জয় বাথরুমে মিস্টি ফ্ল্যাস করেছিল এই। জয় বাথরুমে গিয়ে দেয়ালে লাথি দিয়েছিলাম। ঐ জয় প্রেমিকাকে বুঝিয়েছে এই জয় বন্ধুকে। পার্থক্য হল প্রেমিকা বুঝেছিল বলেছিল জয় বাংলা আর এ জয় পতি উত্তরে পেয়েছিল -“তুই এত চামচামি করছিস কেন, দেশ তোকে কি দিয়েছে?”আমার উত্তর -“তুই কি দিয়েছিস? একটু ভালবাসা দিতে পারিস নি দেশ তোকে কিছু দিবে কেন?” ……… ফলাফল বিদায় বন্ধু, আমি জয় বাংলা বলব। তখন থেকে আমাকে জয় বংলা বলে ডাকা হয় বন্ধু মহলে আমি তাদের বলেছি -“অন্তত এ উছিলায় হলেও অন্তত জয় বাংলা বলেছিস এটাই স্বার্থকতা আমার এ নামের।”
আসলে আমাদের সবার জীবনের
আসলে আমাদের সবার জীবনের গল্পগুলোই এমন, শাহবাগ যতটা দিয়েছে তার চেয়ে কিছু কম কেড়ে নেয় নি। কেউ বন্ধু হারিয়েছি, কেউ ভাই-বোন, কেউ প্রেমিক-প্রেমিকা, কারও পরিবারের সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু, আবার নতুন বন্ধু, ভাই-বোন, ভালবাসার মানুষ আর সাথে শাহবাগের মত বিশাল একটা পরিবার পেয়েছি। আর তার সাথে পেয়েছি যুদ্ধপরাধীদের বিচার।
Establishment needs sacrifice…
৫ ফেব্রুয়ারি আমাকে দিয়েছে
৫ ফেব্রুয়ারি আমাকে দিয়েছে চেতনা। শিখিয়েছে দেশকে ভালবাসতে। চিনতে শিখিয়েছে কারা দেশকে ভালবাসে আর কারা বাসে না। তাই আমি বলব আমাদের ঝিমিয়ে পড়া দেশপ্রেমকে জাগ্রত করতে চাই আরও কয়েকটি ৫ ফেব্রুয়ারি ।
দারুণ। আমি আগ্রহ নিয়ে
দারুণ। আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম গল্পের মতো ছোট পরিসরে কিভাবে আপনি এতো ব্যাপক একটি চেতনাকে ধারণ করেন সেটা দেখার জন্য। অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সাথেই আপনি তা করে দেখিয়েছেন। তারিক লিংকন ভাই কিছুটা বলে দিয়েছেন উনার মন্তব্যে। আমরা স্বপ্ন দেখি ওরা ফিরে আসুক। ওদের চেতনা জাগ্রত হোক। কিন্তু বাস্তবে তা খুব কমই হয়। আপনি আমাদের সেই স্বপ্ন আর বাস্তবতাকে এক সূত্রে গাঁথতে পেরেছেন ছোট্ট একটা গল্পের মাঝ দিয়ে। এখানেই একজন কথাসাহিত্যিকের মুন্সিয়ানা। ভাই আবারও বলছি লেখা থামাবেন না। চালিয়ে যান। আর প্রচুর দেশী বিদেশী সাহিত্য পড়ার চেষ্টা করুন। বেশী উপদেশ দিয়ে ফেললাম বলে স্যরি। দিলাম… কারণ, আমরা আমরাই তো। :বুখেআয়বাবুল: :ভেংচি:
আমরা আমরাই তো
—
— :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :bow: :bow: :bow: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি:
আমরা আমরাই তো।
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :তালিয়া: :তালিয়া: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ:
আমরা আমরাই তো।
:বুখেআয়বাবুল: :তালিয়া: :থাম্বসআপ: 😀
আমরা আমরাই তো।
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল:
এক দিন এক দিন গিয়েই আমি
এক দিন এক দিন গিয়েই আমি স্বর্গ দেখেছি শাহাবাগে ।
আসাদের কথা, সার্জেন্ট জহুরুল
(No subject)
:তালিয়া:
(No subject)
:ফুল: :ফুল: :ফুল:
এক কথায় অসাধারণ।
এক কথায় অসাধারণ।
ধন্যবাদ আপনাকে…
ধন্যবাদ আপনাকে… 🙂
অসাধারন।মুখপুস্তিকায় শেয়ার
অসাধারন।মুখপুস্তিকায় শেয়ার মাইরা নেই। থাম।
অত্যন্ত অসাধারন হয়েছে……
অত্যন্ত অসাধারন হয়েছে……
(No subject)
:ফুল: :ধইন্যাপাতা:
দুর্দান্ত !
দুর্দান্ত !
(No subject)
:ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
এটা শুধু একটা গল্প হিসেবে এক
এটা শুধু একটা গল্প হিসেবে এক অনন্য অনবদ্য সৃষ্টি, কিন্তু এটা তো শুধু গল্পের সীমায় আটকে থাকেনি। এটা ধারন করেছে অভাবিত, অকল্পনীয় এবং অভূতপূর্ব এক চেতনাকে, দুর্জয় এক প্রতিজ্ঞাকে, ইস্পাতদৃঢ় এক সংকল্পকে… অনন্য নিপুনতায় লেখক ফ্রেমে আটকেছেন এক অবিস্মরণীয় কল্পনা ও রুঢ বাস্তবতাকে… আমি স্রেফ বাকরুদ্ধ… :মুগ্ধৈছি:
ক্লান্ত কালবৈশাখি, হ্যাট খোলা :bow: :bow: :bow: :bow: :bow:
(No subject)
:ফুল: :ফুল: :ফুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: