ছোটমামা একবার একটা পোষ্টার নিয়া আসছিলো।ঐ পোষ্টারে ছোট্ট একটা মেয়ে একটা সাদা ছাগল নিয়া দাড়ায় ছিলো।ছাগলের দুই শিং এ দুইটা ফুল ঝুলতে ছিলো।ঐটা দেইখা আমারও শখ হইলো আমিও নানার ছাগলটা নিয়া একটা ছবি তুলবো।একদিন বাসার বাগান থেইকা দুইটা সুর্যমুখী ফুল নিয়া নানার কালো ছাগলটার শিং এ বাধতে গেলাম।আমারে ফুল নিয়া আসতে দেইখা ছাগলটা এমন দৌড় দিলো যেন কেউ ওর ল্যাজে আগুন লাগায় দিছে।দুই-তিন ঘুইরাও ছাগলটা কে কায়দা করতে না পাইরা আমার মেজাজ গেলো খারাপ হয়া।একদিন রাতে কালো ছাগলটা তার ঘরে বইসা বইসা জাবর কাটতেছিলো এই ফাকে আমি নানীর কালো বোরখা পইড়ে চুপেচুপে ফুল আর আঠা নিয়া ছাগলের পিছনে আইসা দাড়াইলাম।সুর্যমুখী ফুলের ডগা একটা মোটা কাঠির সাথে বেধে ঐ কাঠিতে আঠা লাগায় সোজা ছাগলের পশ্চাৎদেশে ঢুকায় দিছিলাম।ঐ ঘটনা দেইখা সবাই চিন্তা করতে লাগলো কেমন কইরা ঐ কাঠি বাইর করা যায়।ছোট মামা বললো টানটানি করার দরকার নাই।ছাগলটা লাদি ছাড়ার সময় কোৎ দিলে এমনিতেই কাঠি বাইর হয়া যাবে।কিন্তু ছাগলটা কোন অজানা কারনে দুই দিন লাদি ছাড়ে নাই।ঐ দুই দিন ছাগলা উঠানের যেদিকে যাইতো সুর্যমুখী ফুলটাও তার সাথে সাথে মাথা উঁচু কইরা হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে হেইলা দুইলা ঘুইরা বেড়াইতো।
ছুডুবেলায় এক সিনেমায় দেখছিলাম নায়ক-নায়িকা ফুলের বাগানে বইসা একজন আরেকজনকে জড়ায় ধইরা শুয়া পরছে এমন সময় দুইটা ফুল একটা আরেকটার সাথে কাঁপতে কাঁপতে ঠোকাঠুকি করতেছে।পরের দৃশ্যেই দেখলাম নায়কের মা নায়ক রে ফোন কইরা বলতেছে,”বৌমার বাচ্চা হয়েছে তুই জলদি চলে আয়”।এই দৃশ্য দেইখা আমারও বাবা হওয়ার খায়েশ জাগলো।কয়েকদিন পর আমার বউ বেড়াইতে আসলে তারে নিয়া সোজা নানীর ফুলের বাগানে চইলা গেলাম।সেখানে তারে বসায়া গাছ থেইকা ২টা সুর্যমূখী ফুল ছিড়ে আইনা একটা ফুল তার হাতে দিয়া বললাম এবার তুমি আমারে জড়ায় ধইরা থাকো।এই বইলা আমার হাতের ফুল দিয়ে তার হাতের ফুলটার সাথে ঠোকাঠুকি করতে লাগলাম।কিছুক্ষন পর বউ কইলো,”কি হইলো তুমি এমন করতেছো কেন?”আমি কইলাম, ‘ফুল দিয়া ঠোকাঠুকি করলে আমাদের বাচ্চা হবে”এই কথা শুইনা বউ এক ঝটকায় আমারে দুরে ঠেইলা দিয়া বললো,”আমি বাচ্চা চাইনা।তুমি আমাদের আগের বাচ্চাটাকে ধইরা আছাড় মারছিলা,এবার ও আছাড় মারবা” (আমার বান্দরবেলা..৬ দ্রষ্টব্য)। অনেক সাধ্যসাধনার পর তারে রাজী করায়া ফুল নিয়া ঠোকাঠুকি শুরু করলাম।কিছুক্ষন পর বউ অধৈর্য্য হয়া কইলো,”কই বাচ্চা হয় না কেন?”আমি কইলাম নড়াচড়া না কইরা চুপ কইরা বইসা থাকো নাহলে বাচ্চা ব্যাথা পাবে”।এভাবে কিছুক্ষন পর আবার বউ নড়াচড়া শুরু করলো। আমিও অধৈর্য হয়া ঠোকাঠুকি বাদ দিয়া জোড়ে জোড়ে ফুলের মধ্যে বাড়ি মারতে লাগলাম।কিন্তু কোন বাচ্চা আর বের হইলো না।এইটা দেইখা বউ চোখমুখ কুঁচকায়া বললো,”ধুর তুমারে দিয়া কিচ্ছু হবেনা,তুমি বাবা হইতে পারনা.এই কথা শুনাইয়া গটগট করা হাইটা সোজা বাসার ভিতরে চইলা গেলো আর আমার বাবা হওয়ার প্রথম প্রচেষ্টা মাঠে মারা গেলো……
৭-৮ বছর বয়সে প্রথমবার গ্রামের বাড়ী বেড়াইতে গেছিলাম।গ্রামে গিয়ে চারদিকে হাঁস,মুরগী,গরূ,ছাগলের মেলা দেইখা আমার মাথা পুরাই আউলায় গেলো।যে কয়দিন গ্রামে ছিলাম প্রত্যেকদিন সকালে দাদার ছড়ি নিয়া বাইর হইতাম হরু,ছাগল খুঁচাইতে।একাজে আমারে সঙ্গ দিতো আমার বছরখানেকের ছোট চাচাতো ভাই।একদিন চাচাতো ভাই কোথেইকা যেনো কাঁটাওয়ালা দুইটা ডাল নিয়া আসলো গরু খুঁচানের জন্য।দুইজন মিলে উঠানে জাবর কাটতে থাকা এক গরুর পাছায় দিলাম খুঁচা।কাটাওয়ালা ডালের খোঁচা খায়া গরু তারস্বরে হাম্বা হাম্বা (পরে মনে হয়ছিলো গরুটা মনে হয় আম্মা আম্মা বইলা তার মা কে ডাকতেছিলো) করতে করতে উঠানে দাড়ানো আমার আম্মার দিকে ছঈটা গেলো।গরুর এহেন মারমুখী মেজাজ দেইখা আম্মা দিকবিদিক শুন্য হইয়া দৌড়াইতে দৌড়াইতে পুকুর ঘাটে গিয়ে বিকট শব্দে,”ইয়া আলী” কইরা চিৎকার কইরা চার হাত-পা শুন্যে তুইলা পুকুরে ঝাঁপ দিলো।আম্মার ইয়াআলী বইলা পুকুরে ঝাঁপায় পড়ার দৃশ্য দেখে ঐদিন মনে হইছিলো- বাংলা সিনেমার ভিলেন টাকলু জাম্বু যেন নায়কের উপর তার, ‘সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচটন’শরীর নিয়া লাফ দিছে।যাই হোক পুকুরে হাঁটু পানিতে দাড়ায়া আম্মা চীৎকার কইরা বাবারে ডাক দিলো।আম্মার চীৎকার শুইনা দেখি বাবা সিনেমার নায়কের দৌড়াইতে দৌড়াইতে আম্মা কে বাঁচানের জন্য ঐ হাঁটু পানিতেই দর্শনীয় ভঙ্গীমায় লাফ দিলো।বহুৎ হাচঁরায়া-পাঁচরায়া বাবা আম্মাকে পাজাকোলা করে উঠানে নিয়া আসলে আম্মা সাথে সাথে ভাউয়া ব্যাঙ্গের মতো চিৎপাত হয়া শুয়া পড়লো।একটু পর আমি পরিশ্থিতি দেখতে গেলাম।আমাকে দেখার সাথে সাথে শোয়া থেইকা একলাফে উইঠা লাঠি খুঁজতে লাগলো।শেষমেষ কিছু না পেয়ে রান্নাঘরে রাখা একটা কলসী নিয়া মাথার উপর উঁচায়া আমারে দৌড়ানি দিলো।আম্মার এই রণঙ্গিনী মুর্তি দেইখা আমিও ভোঁ ভোঁ কইরা সোজা ক্ষেতের দিকে দৌড় মারলাম………..
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি:
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: 😀 😀 😀 :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট:
holy shit….
holy shit…. :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: 😀 😀 😀 😀 😀 :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: :দেখুমনা: :দেখুমনা: :দেখুমনা: :দেখুমনা: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: