কিছুদিন আগে একটি পত্রিকাতে পাশাপাশি ২টি শিরোনাম দেখলাম !!
১ম শিরোনামঃ বীরাঙ্গনাদের উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না !!
২য় শিরোনামঃ অমুক জায়গায় গভীর রাতে ২ জন নারী গণধর্ষণের শিকার !!
এখন কিছুটা বিশ্লেষণ করা যাক ধর্ষণ এবং বীরাঙ্গনা ব্যাপার কি ??
কিছুদিন আগে একটি পত্রিকাতে পাশাপাশি ২টি শিরোনাম দেখলাম !!
১ম শিরোনামঃ বীরাঙ্গনাদের উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না !!
২য় শিরোনামঃ অমুক জায়গায় গভীর রাতে ২ জন নারী গণধর্ষণের শিকার !!
এখন কিছুটা বিশ্লেষণ করা যাক ধর্ষণ এবং বীরাঙ্গনা ব্যাপার কি ??
ধর্ষণঃ ধর্ষণ বলতে বুঝায়, “বেআইনী ভাবে কারো মতের বিরুদ্ধে তার শরীরের যৌনঅঙ্গ সমুহের ব্যবহার”। যদিও ধর্ষণের সাথে জোরপুর্বক শাররীক সম্পর্ক যুক্ত, ধর্ষণ মানে প্রচণ্ড আবেগ কিংবা অন্তরঙ্গ শারীরিক মিলন নয়। ধর্ষণ হচ্ছে একপ্রকার আগ্রাসন এবং সহিংস অপরাধ। উইকিপিডিয়ার মতে “Rape is a type of sexual assault usually involving sexual intercourse, which is initiated by one or more persons against another person without That person’s consent” অর্থাৎ “ধর্ষণ একটি সাধারণত যৌন সংসর্গ, জড়িত যৌন নির্যাতন ধরণ যা ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক বা একাধিক ব্যক্তির দ্বারা সূচিত করা হয়
সে ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া ।
বীরাঙ্গনা কারাঃ ইন্টারনেটে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তেমন কিছু পেলাম না তাই এক স্যারকে জিজ্ঞেস করলাম বীরঙ্গনার উপযুক্ত সংজ্ঞা কি ?? উনার মতেঃ যুদ্ধের ময়দানে অথবা প্রকাশ্য যেসব নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপুরবক যৌন হয়রানি করার মাধ্যমে তার সম্ভ্রম কেড়ে নেয়া হয় সেইসব নারীকে বীরাঙ্গনা বলে !! তাই খুব স্বাভাবিক ভাবে এবং সবার জানা মতে ১৯৭১ সালে আমাদের দেশে যুদ্ধ হয়েছিলো সেই যুদ্ধে পাকিস্তানি জারজ গুলো আমাদের ২ লাখ মা বোনের ইজ্জত লুট করে সম্ভ্রম হানি করে ধর্ষণ করে ।। সেই ধর্ষিতা মা বোনেরা আমাদের কাছে বীরাঙ্গনা ।। পৃথিবীতে যতগুলো যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছে প্রায় সবগুলোতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলে যায় আর বরাবরের মত নারীরাই ধর্ষিত হয় আর তাদেরকে বীরাঙ্গনা বলা হচ্ছে ।
এখানে দেখা যাচ্ছে দুটি ব্যাপার প্রায় সমান পর্যায়ের কারণ দুটিতেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি করা হচ্ছে তাহলে দুইটা বিষয়কে কেনো আলাদা আলাদা করে বলা হবে ?? এখানে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে কোন মেয়ে যদি ইচ্ছে করে তার সতীত্ব নষ্ট করে ফেলে অবশ্যই তাকে বীরাঙ্গনা বলা যাবেনা কারণ জেনে শুনে ভুলের কোন ক্ষমা নেই ।। অনেক প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল তাদের শারীরিক আকাঙ্কা মেটানোর জন্য অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয় আর প্রেমিক সেই স্মৃতি স্মরণীয় করে রাখার জন্য সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্ধি করে রাখে যা অতি মাত্রায় খারাপ কাজ কিন্তু প্রেমিকার অজান্তে এই কাজটা করা অবশ্যই যেমন খারাপ তেমনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।।
আমার প্রশ্ন এবং আলোচনার বিষয় হচ্ছে বর্তমানে যাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে তাদের কেনো বীরঙ্গনা বলা হয় না ?? কেনো তাদেরকে ধর্ষিতা বলে সমাজের বোঝা করে রাখা হয় ?? বীরাঙ্গনারা উপযুক্ত সম্মান পাচ্ছেন না কিন্তু ধর্ষিতারাও কি পাচ্ছেন তাদের উপযুক্ত সম্মান ?? একটা যুক্তি অবশ্যই সুশীল সমাজের কাছে আছে ১৯৭১ সালে যারা ধর্ষিত হয়েছিলো ওরা পাকিস্তানিদের হাতে ধর্ষিত হয়েছিলো বলে ওদের বীরাঙ্গনা বলা হচ্ছে কিন্তু আমার কথা এখন যেই সব কুলাঙ্গারের বাচ্চারা বর্তমান সময়ে নারীদের ধর্ষণ করছে ওরা কি পাকিস্তানি জারজ না ?? ওরা কি পত্রিকা খুললে খুব রসালো ভাবে লেখা থাকে অমুক জায়গায় গভীর রাতে এক গৃহ বধুকে গনধর্ষণ !! অমুক বালিকার ধর্ষণের পর তার আপত্তিকর দৃশ্য ক্যামেরা বন্ধী !! আর কিছু কিছু সুশীল পাঠক আছে যারা উদরের নিচের অংশে হাত দিয়ে চুলকাতে চুলকাতে বলে “ইশ” এই কাজটা ঠিক হয়নি এর উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার !! কিন্তু তাদের এই “ইশ” তখন বিষ হয়ে আঘাত করে সেই সব ধর্ষিতাদের আর তারা নীরবে অশ্রু ঝরায় !!
আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রায় ২ লাখের মত মা বোনের ইজ্জত লুট করেছে পাকিস্তানি কুত্তারা কিন্তু যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে থেমে নেয় এদের ফেলে যাওয়া বীর্যরা অত্যাচার বরং এর মাত্রা বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন ।। কিছুটা পরসংখ্যানে যাওয়া যাক বর্তমান সময়ে ধর্ষণের হার অনেক বেশি ১৯৯১-১৯৯৪ এ ধর্ষণের মামলা হয়েছে ১ হাজার ৭২৩ টি। ১৯৯৬-১৯৯৯ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৮হাজার ১৩৭ টি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫,৭৮০ জন এবং শুধুমাত্র ২০১২ সালে ৭৮০ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন !! এছাড়া বিভিন্ন মানবাধিকার ও নারী সংগঠনের জরিপে দেখা গেছে কেবলমাত্র ২০০২ সালেই ধর্ষণের পর খুন হয়েছে ৮৩ জন ।। এটা শুধুমাত্র আমাদের দেশের চিত্র বিশ্বে এমন চিত্র রয়েছে হাজার হাজার ।। দঃ আফ্রিকাতে প্রতি ০.১৭ সেকেন্ডে একজন করে ধর্ষিত হচ্ছে আর ভারতে প্রতি ১.১৫ মিনিটে ধর্ষিত হচ্ছে একজন নারী ।।
ধর্ষণ একটি সামাজিক সমস্যা এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেমন কষ্টের তেমনি কষ্টের সমাজের বুকে ধর্ষিতাদের উপযুক্ত সম্মান দেয়া !! আমার চোখে প্রতিটা ধর্ষিতা মা বোন বীরাঙ্গনার সমতুল্য আর সমাজের উচিত সকল ধর্ষিতাকে উপযুক্ত সম্মান দেয়া শুধুমাত্র বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়ে তাদের সান্তনা দেওয়া না তাদের পুনর্বাসন করা পূর্বক ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তির বিধান করা উচিত ।। ১৯৭১ সালে আমরা ছিলাম নিরস্ত্র বাঙালি তাই পাকিস্তানি শকুনেরা আমাদের মা বোনের উপর চালিয়েছে অমানবিক অত্যাচার কিন্তু আজ আমরা নিরস্ত্র বাঙালি না আমাদের আছে স্বাধীনতার শক্তি আর সেই শক্তি দিয়ে পরাজিত করতে হবে এইসব হায়নাদের ।।
একটা মেয়ে যখন ধর্ষিত হয়, তখন
একটা মেয়ে যখন ধর্ষিত হয়, তখন তার আত্মার মৃত্যু ঘটে।
তারপর যখন তার আত্মা পুনর্জীবিত হবার চেষ্টা করে, তখন পত্রিকার পাতায় রসালো রিপোর্ট, মোড়ের চায়ের দোকান থেকে তীর্যক দৃষ্টি, আত্মীয়-প্রতিবেশীর “উপহাস”ভরা সহানুভূতি আর আদালতে উকিলের কামার্ত জেরা মেয়েটার আত্মাকে জীবন্ত দাফন করে ফেলে।
(No subject)
:থাম্বসআপ:
একটা মেয়ে যখন ধর্ষিত হয়, তখন
সুন্দর বলেছেন :বুখেআয়বাবুল: :তালিয়া:
(No subject)
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
(No subject)
:বুখেআয়বাবুল: :ভালুবাশি:
আপনি মনে হয় ১৯৭১ লিখতে গিয়ে
আপনি মনে হয় ১৯৭১ লিখতে গিয়ে ১৯১৭ লিখে ফেলেছেন,
আসলেই তো খেয়াল করিনাই ।
আসলেই তো খেয়াল করিনাই । ধন্যবাদ আপনাকে :বুখেআয়বাবুল:
কিন্তু আজ আমরা নিরস্ত্র
কি কন এখনও বাংগালী আছেন নাকি ? কিভাবে ? আমারে তো বাংলাদেশী বানাইয়া ফেলছে । সব শেষে এখন আমরা শুধু মুমিন মুমিন মুমিন আর মুমিন হোয়ার জন্য অস্থির ।
সব শেষে এখন আমরা শুধু মুমিন
:মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি:
(No subject)
:চিন্তায়আছি:
বর্তমানে যাদের ধর্ষণ করা
–
ভালো লিখেছেন পথিক ভাই… :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
ধন্যবাদ ফাতেমা দি ……
ধন্যবাদ ফাতেমা দি …… :মুগ্ধৈছি: