আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি (২০১৪) ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৯২-এর এই দিনে দেশের ১০১ জন বরেণ্য নাগরিক ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামায়াত-শিবিরচক্রের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবি উত্থাপন করে এই দাবি আদায়ের জন্য ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা প্রদান করেন। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের কালজয়ী গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’র লেখক এবং মুক্তিযুদ্ধে পুত্র ও স্বামীহারা সমাজকর্মী জাহানারা ইমামকে এই আন্দোলনের আহ্বায়ক নির্বাচন করেন।
আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি (২০১৪) ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৯২-এর এই দিনে দেশের ১০১ জন বরেণ্য নাগরিক ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামায়াত-শিবিরচক্রের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবি উত্থাপন করে এই দাবি আদায়ের জন্য ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা প্রদান করেন। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের কালজয়ী গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’র লেখক এবং মুক্তিযুদ্ধে পুত্র ও স্বামীহারা সমাজকর্মী জাহানারা ইমামকে এই আন্দোলনের আহ্বায়ক নির্বাচন করেন।
বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের এই অভূতপূর্ব আন্দোলনের ২২ বছরের পথচলা ছিল অত্যন্ত বন্ধুর ও সমস্যা সংকুল। বার বার আঘাত এসেছে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাছ থেকে। আঘাত এসেছে ভেতর থেকেও। শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ‘নাস্তিক’, ‘মুরতাদ’ আখ্যা দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল নির্মূল কমিটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার, নির্যাতন ও হত্যাসহ বহুবিধ চক্রান্ত করেছে এই আন্দোলন ধ্বংস করার জন্য। কিন্তু আমরা দমে যাইনি। সকল বাধাবিপত্তি, হুমকি, হত্যা, নির্যাতন মোকাবেলা করে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আমাদের সঙ্গে আরও অনেক সংগঠন ও ব্যক্তি এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন এবং শহীদজননী জাহানারা ইমামের আন্দোলন এভাবেই সর্বজনীন রূপ পরিগ্রহ করেছে। এ কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করে ২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমাদের দাবি অনুযায়ী বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে বহুল প্রত্যাশিত বিচার আরম্ভ করেছে। গত সাড়ে তিন বছরের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ১০ জন শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে।
এ বছর আমরা এমন এক সময়ে নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছি যখন যুদ্ধাপরাধীদের দল মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য সারা দেশে সন্ত্রাস ও বিভীষিকার রাজত্ব কায়েম করেছে। বিএনপির সহযোগিতায় হরতাল ও অবরোধের নামে জামায়াত নিরীহ মানুষের জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত করার পাশাপাশি গোটা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন সরকার এবং নাগরিক সমাজের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা এবং কিছু বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রয়োজন। আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
‘শহীদজননী জাহানারা ইমামের আন্দোলন ঃ সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য প্রদান করবেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।
সভায় আলোচনা করবেন গণআদালতের প্রধান অভিযোগকারী ও বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও-এর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি সাংবাদিক কামাল লোহানী, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর আহ্বায়ক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নারীনেত্রী শিরীন আখতার এমপি ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন গণআদালতের প্রধান অভিযোগকারী ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।
ধন্যবাদান্তে,
কাজী মুকুল
সাধারন সম্পাদক,
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ,
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
আমাদের অগ্রজ দের খুব অবাক হয়ে
আমাদের অগ্রজ দের খুব অবাক হয়ে দেখি
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংগঠনিক উদ্যোগ ও একজন জাহানারা ইমামের অবিস্মরণীয় ত্যাগ, তিতিক্ষা,নেতৃত্বের হাত ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে ।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে অভিনন্দন ! একদিন নিশ্চয়ই সমস্ত অপরাধীর বিচার কাজ শেষ হবে । আমরা পাবো প্রাণের সোনার বাংলা ।
প্রথমেই মা জাহানারা ইমামকে
প্রথমেই মা জাহানারা ইমামকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা ভরে।
…..স্বাধীন বাংলা হোক একাত্তরের ঘাতক-দালাল মুক্ত।জয় বাংলা। :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
বিকেলে ফ্রি থাকলে চলে আসবো।
বিকেলে ফ্রি থাকলে চলে আসবো।
আসতে পারি
আসতে পারি
হয়তো আসতে পারব না, কিন্তু
হয়তো আসতে পারব না, কিন্তু আয়োজনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে গেলাম…
শহীদ মাতা জাহানারা ইমাম, আপনাকে বিনম্র :bow: :bow: :bow: :salute: :salute:
ঢাকায় থাকলে অবশ্যই যেতাম। তবে
ঢাকায় থাকলে অবশ্যই যেতাম। তবে সংহতি জানিয়ে রাখলাম।