শাহবাগ প্রজন্ম জাগরনের ২০ দিন চলছে। প্রাপ্তি বা ব্যার্থতা খোজার সময় থেকে আন্দোলন অনেক দূরে আছে। জাতিগত ভাবেই আমরা অস্থির, ডিজিটাল আশির্বাদে এই অস্থিরতা আরো বড় আকার ধারন করেছে। আমরা খুব দ্রুত 3G স্পিডে সব পেতে চাই। গত ৪২ বছরে যে ক্যান্সার পালছে এই দেশ তা এতো দ্রুত নিরাময় হয়ে যাবে সেটা ভাবাও বোকামি। কিন্তু প্রশ্ন কিছু মানুষের মনে জেগেছে। আন্দোলন সমর্থনকারী এবং মাঠে থাকা অনেক সমর্থকদের সাথে কথা বলে জানা গেলো কিছু সংশয় ও প্রশ্ন।
প্রশ্ন ১: সব ব্লগার ও এক্টিভিস্টরা কোথায়?
প্রশ্ন ২: শুক্রবারের তান্ডবের পর মাহমুদুর রহমানকে দেয়া আল্টিমেটামের কি হলো? সংবাদ সম্মেলনে সেতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলো।
শাহবাগ প্রজন্ম জাগরনের ২০ দিন চলছে। প্রাপ্তি বা ব্যার্থতা খোজার সময় থেকে আন্দোলন অনেক দূরে আছে। জাতিগত ভাবেই আমরা অস্থির, ডিজিটাল আশির্বাদে এই অস্থিরতা আরো বড় আকার ধারন করেছে। আমরা খুব দ্রুত 3G স্পিডে সব পেতে চাই। গত ৪২ বছরে যে ক্যান্সার পালছে এই দেশ তা এতো দ্রুত নিরাময় হয়ে যাবে সেটা ভাবাও বোকামি। কিন্তু প্রশ্ন কিছু মানুষের মনে জেগেছে। আন্দোলন সমর্থনকারী এবং মাঠে থাকা অনেক সমর্থকদের সাথে কথা বলে জানা গেলো কিছু সংশয় ও প্রশ্ন।
প্রশ্ন ১: সব ব্লগার ও এক্টিভিস্টরা কোথায়?
প্রশ্ন ২: শুক্রবারের তান্ডবের পর মাহমুদুর রহমানকে দেয়া আল্টিমেটামের কি হলো? সংবাদ সম্মেলনে সেতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলো।
প্রশ্ন ৩: সাঈদির রায় নিয়া চুদুর বুদুর হচ্ছে কেনো সে বিষয়ে কেনো সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছেনা?
প্রশ্ন ৪: যেখানে মন্ত্রি এমপিরা মঞ্চে বেইল পাইতোনা সেখানে বিতর্কিত ব্যাক্তিরা কিভাবে বেইল পাচ্ছে?
প্রশ্ন ৫: এভাবে বসে না থেকে আরো কঠোর কর্মসুচি কি দেয়া যায়না?
আমি প্রশ্নগুলোর উত্তর জানিনা। কিন্তু আমি এটা জানি, এই জাগরন সকল পাপ ধুয়ে দিতে পারে।
আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জামাত শিবির যেটা করতে পেরেছে তা তাদের পুরোনো চাল। ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করা। কিন্তু মানুষ আজ অনেক সচেতন। দেশের অনেক স্থানে এইরকম প্রপাগন্ডা ছড়াতে গিয়ে অনেকেই সাধারন মানুষের কাছে ধরা খেয়েছে। এটাকি আন্দোলনের প্রাপ্তি নয়? সুতরাং আমাদের অস্থির হলে হবেনা।
শহীদ মিনার ভাংচুর ও জাতীয় পতাকা ছিড়া দেখে আমিও ঘর ছেড়ে দউরে গিয়েছিলাম শাহবাগ। চোখে মুখে বুকে আগুন জ্বলছিলো। সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকটা মানুষেরও তাই। কিন্তু গান্ধীবাদী আন্দোলন হতাশ করেছে। কেউ কেউ বলেছে -আমিতো কোন নেতাও না বা কোন সাংস্কতিক জোটের সদস্যও না যে আমি ডাকলে পোলাপাইন ছুটে আসবে। নয়তো ঠিকই বদলা নিতাম।
সরকারের ভূমিকা ঠিক সন্দেহের ঊর্ধে রাখা যাচ্ছেনা। সাঈদীর রায় নিয়া চুদুর বুদুর চলছে। ফেবুতে দেখলাম একভাই বল্লেন সাঈদীর রায় নাকি জাবজ্জীবন হয়ে আছে। তাই সরকার চুদুর বুদুর করছে। তাই যারা বিভিন্ন প্রশ্ন তোলছেন এবং হতাশ তাদের বলছি, চলেন আবার মূল ইস্যুতে ফিরে যাই “যুদ্ধাপরাধীর ফাসি চাই। ফাসি ছাড়া রায় নাই।” এই আন্দোলন আপনার নিজের আন্দোলন। বাঙ্গালী অস্তিত্ত্ব রক্ষার আন্দোলন। এই দেশের কোন রাজনইতিক দলই দেশের মংগল চায় না। সবাই নিজের আখের গোছায়। সবার ক্ষমতার লোভ। তাই কাউকে বিশ্বাস করার দরকার নাই। নিজের দাবী আদায় করে নিতে হবে। সরকারকেও চাপের উপর রাখতে হবে। এজন্য রাজপথ ছেড়ে দেয়া যাবেনা।
this is war time নিজেরে ছাড়া
this is war time নিজেরে ছাড়া কাউরে বিশ্বাস করা যাবে না
হ ভাই। আমার নানা বলতো, ৭১ এ
হ ভাই। আমার নানা বলতো, ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে ঘরের মানুষকেও কোন তথ্য দিতো না।
ব্লগে পরামর্শ দেয়া,সমালোচনা
ব্লগে পরামর্শ দেয়া,সমালোচনা করা অনেক সহজ। কিন্তু এই মতামত কি ভাবে বাস্তবায়িত করতে হয় তার কোন হদিস নাই। অনেকেই দেখি শাহবাগে কেন কঠিন কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে না এই নিয়ে লাফাচ্ছে। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় আপনি আপনার এলাকায় কি ভাবে কাজ করছেন? তাহলে আর উত্তর মিলবে না। কারন মাঠে কাজ না করলে বাস্তব সীমাবদ্ধতা বোঝা সম্ভব নয়।
জি আপনি ঠিকই বলেছেন মাঠে না
জি আপনি ঠিকই বলেছেন মাঠে না থাকলে পরিস্থিতি বোঝা যায় না। গত ২০ দিন মাঠে থেকে আমার মনে হয়েছে কঠোর কর্মসুচি দেয়া উচিত। অহিংস কিন্তু কঠোর। জামাতীরা যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে আর সরকার যে রকম নিস্ক্রিয় উদাসিন তাতে হার্ড লাইনতো প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
আর সরকার যে রকম নিস্ক্রিয়
একটা সহজ সত্য কথা হলো, আওয়ামীলীগ এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে আন্দোলনকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এখন লীগের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো জেলা শহর গুলোতে কি করে সম্ভব?
ঠিক এই জায়গায় উন্নত মস্তিস্ক
ঠিক এই জায়গায় উন্নত মস্তিস্ক এর প্রয়োগ দরকার।