ধর্ষণের প্রতি প্রচণ্ড আক্রোশ এবং ধর্ষকদের প্রতি তীব্র ঘৃর্ণা প্রকাশ করতে গিয়ে কবিতাটা লিখেছিলাম। পাঠকরা কতটুকু গ্রহণ করবে জানিনা। সমালোচনাটুকু কাম্য।
ইন্দ্রিয় গুচ্ছে ভীষণ জঙ লেগেছে
চৌদ্দটি’র কোনটি পুরো বিকল হয়েছে
আমি প্রচণ্ড হতাশায় ডুবে যাচ্ছি
কেন এমনটি হচ্ছে বুঝতে পারছিনা
শুধু এইটুকু জানি, নষ্ট হচ্ছে।
ধর্ষণের প্রতি প্রচণ্ড আক্রোশ এবং ধর্ষকদের প্রতি তীব্র ঘৃর্ণা প্রকাশ করতে গিয়ে কবিতাটা লিখেছিলাম। পাঠকরা কতটুকু গ্রহণ করবে জানিনা। সমালোচনাটুকু কাম্য।
ইন্দ্রিয় গুচ্ছে ভীষণ জঙ লেগেছে
চৌদ্দটি’র কোনটি পুরো বিকল হয়েছে
আমি প্রচণ্ড হতাশায় ডুবে যাচ্ছি
কেন এমনটি হচ্ছে বুঝতে পারছিনা
শুধু এইটুকু জানি, নষ্ট হচ্ছে।
চক্ষু,কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বকে
ভীষণ জঙ ধরেছে, জীর্ণতায়, ক্ষয়ে
দর্শন ইন্দ্রিয়ে কোথাও সুদর্শন মেলেনা
বারবার বিস্ময়ে, আতঙ্কে চমকে উঠেছি
যেদিকে তাকিয়েছি ধর্ষণ আর ধর্ষণ
প্রথম যেদিন রবীন্দ্রসংগীত শুনে ছিলাম
ভেবে ছিলাম কর্ণযুগলের এমন ধারা
আজকাল কর্ণযুগলেও ভীষণ জঙ লেগেছে
কিশোরী বালিকাটির চিত্কার, চেঁচামেচি, আর্তনাদে।
এগুলো এখন ভীষণ বিড়ম্বনা দেয়
সখার নরম স্বরে গান শুনেছি
মঞ্চে শিশুটির কবিতা অবৃতিতে বিহ্বল
আমি অনেক বার চেষ্টা করেছি
নরম সুরে গান গাইতে, আবৃতিতে
বারবার পরাজিত হয়েও ক্লেশ পাইনি
জিহ্বার প্রতি একটু ক্ষোভ ছিলো
কিন্তু এখন প্রচণ্ড ঘৃণা জন্মেছে
শূয়রগুলোর জিহ্বায় চেটে খাওয়া দেখে
ভীষণ ঘৃণা জন্মেছে জিহ্বার প্রতি
হাসনাহেনার মত্ত করা সুগন্ধে, সুঘ্রাণে
ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের প্রতি প্রবল ভালোবাসা জন্মেছিল
একপাল শূয়রের ঘ্রাণকামের নোংরা দৃশ্যে
ক্লিষ্ট, জর্জরিত হয়ে ঘৃর্ণা জন্মেছে
ইন্দ্র থেকে ইন্দ্রতরে, ইন্দ্রগুচ্ছে, ঘ্রাণেন্দ্রিয়ে
অরুণিমাকে পবিত্র গঙ্গাস্নানে যেতে দেখলাম
শূয়রগুলো তাকে ছিঁড়ে-চেটে, কেটে-কুঁড়ে খেয়েছে
ত্বকে ভীষণ নোংরা লেপ্টে আছে
স্নান বেলায় নিরবে কাঁদতে দেখেছি
শরীরে, ত্বকে আচড় কেটে কাঁদছে
ক্ষোভ হলো শরীরের ত্বকটুকু টেনে-হিসড়ে,
বিচ্ছিন্ন করে অরুণিমার শরীরে লেপ্টে দিয়
এগুলো আমায় ভীষণ বিড়ম্বনা দেয়।
বাক, হস্ত, পায়ু, পদ, উপস্থে
ভীষণ জঙ ধরেছে, জীর্ণতায় ক্ষয়ে
আমি সব দেখেছি, সব শুনেছি
বাক শক্তির দূর্বলতা আমার ছিলোনা
তারপরেও আমি প্রতিবাদে মেতে উঠেনি
আমি জানতাম প্রতিবাদ অরুণিমাকে কিছুই দিবেনা, শুধুই নষ্ট কলঙ্কিত করবে
শূয়রগুলো আইনের ডাস্টবিনটা কুঁড়ে খাবে
তারপরেও এখন বাকশক্তির প্রতি ঘৃর্ণা
কেন আমি জোর প্রতিবাদ করিনি
এগুলো এখন ভীষণ বিড়ম্বনা দেয়
এতো কিছুর পরেও আমি লিখিনি
একটি সস্তা, পূর্বাপর প্রকৃষ্ট বন্ধ
জানতাম এটি কেউ উল্টেও দেখবেনা
কাগজের স্তুপ হয়ে অমৃত্যু পড়েরবে
এখন হস্তচালনে প্রবল ঘৃর্ণা জন্মেছে
হস্তের জীর্ণতা নষ্ট করেছে আমায়
এগুলো এখন ভীষণ বিড়ম্বনা দেয়।
উপস্থ মন বুদ্ধি অহঙ্কার চিত্তে
ভীষণ জঙ ধরেছে, জীর্ণতায় ক্ষয়ে
ঘৃর্ণায়, ক্ষোভে নষ্ট হচ্ছে ইন্দ্রিয়
ইন্দ্রিয়গুচ্ছ, নষ্ট ক্লিষ্ট, জর্জরিত হয়ে ঘৃর্ণা জন্মেছে
ইন্দ্র থেকে ইন্দ্রতরে, ইন্দ্রগুচ্ছে,শূয়রের কামে
এগুলো এখন ভীষণ বিড়ম্বনা দেয়।
By ইমরান হোসেন
৫ নভেম্বর ২০১৩
আসুন, ধর্ষণকে না বলি।