আমরা প্রত্যেকেই মরনশীল। একদিন আমরা সবাই মাটির সাথে মিশে যাব! আমাদের কিছুই পৃথিবীতে থাকবে না- শুধু কিছু ভাল কাজ ছাড়া।
কারণ, মানুষকে অমরত্ব দেয়া হয় নি।
তবে আমরা চাইলে এই নশ্বর শরীরটাকে মৃত্যুর পরেও কিছুদিন পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখতে পারি! কিভাবে???
আমরা মৃত্যুর পূর্বে যদি আমাদের চোখ দান করে যাই তাহলে মৃত্যুর পরেও অনেকদিন আমার এই চোখ বেঁচে থাকবে! এভাবে আমাদের কিডনী, লিভারসহ আরও অনেক কিছুই দান করে যেতে পারি! এজন্য অবশ্য আগে থেকে উইল করে রেখে যেতে হবে। তাছাড়া ব্যাপারটা কিছুটা শর্ত স্বাপেক্ষ এবং কিছু ক্ষেত্রে অনেকটাই অনিশ্চিত!
আমরা প্রত্যেকেই মরনশীল। একদিন আমরা সবাই মাটির সাথে মিশে যাব! আমাদের কিছুই পৃথিবীতে থাকবে না- শুধু কিছু ভাল কাজ ছাড়া।
কারণ, মানুষকে অমরত্ব দেয়া হয় নি।
তবে আমরা চাইলে এই নশ্বর শরীরটাকে মৃত্যুর পরেও কিছুদিন পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখতে পারি! কিভাবে???
আমরা মৃত্যুর পূর্বে যদি আমাদের চোখ দান করে যাই তাহলে মৃত্যুর পরেও অনেকদিন আমার এই চোখ বেঁচে থাকবে! এভাবে আমাদের কিডনী, লিভারসহ আরও অনেক কিছুই দান করে যেতে পারি! এজন্য অবশ্য আগে থেকে উইল করে রেখে যেতে হবে। তাছাড়া ব্যাপারটা কিছুটা শর্ত স্বাপেক্ষ এবং কিছু ক্ষেত্রে অনেকটাই অনিশ্চিত!
তবে আমরা আপাতত একটা সহজ কাজ করতে পারি। সেটা হচ্ছে- রক্ত দান! একবার ভাবুন- আমাদের রক্ত একদিকে যেমন একটা জীবন বাঁচবে, তেমনি শরীরের জন্যও নিয়মিত রক্ত দান খুবই ভাল একটা ব্যাপার। একটা সরাসরি উপকার হচ্ছে আপনি যদি (৩/৪ মাসে একবার) নিয়মিত রক্ত দান করেন তাহলে প্রতিবার রক্ত দেয়ার সময় আপনি জানতে পারছেন আপনার রক্তে কোন রোগ/সমস্যা আছে কিনা? ফলে বছরে অন্তত ৩/৪বার আপনার রক্ত পরীক্ষা করা হয়ে যাচ্ছে। এতে করে রক্তে কোন সংক্রামক ব্যাধি বাসা বাঁধার পায়তারা করলেও সর্বোচ্চ ৩/৪ মাসের মধ্যেই তা ধরা পড়ে যাবে! তারমানে দাঁড়ালো ব্লাড ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগও প্রথম স্টেজেই ধরা পড়ে যাবে (কারণ, আমার জানামতে ৩/৪ মাসে ব্লাড ক্যান্সার সহ কোন রক্তবাহিত রোগই ভয়াবহ আকার ধারণ করে না) ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে আপনার সুস্থ হবার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে!
আরেকটি মজার ব্যাপার- আমি যাকে রক্ত দিচ্ছি, আমার রক্ত তার সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে! সুস্থ হলে ঐ লোকটা আমার শরীরের কিছু কোষ নিয়ে ঘুরে বেড়াবে!
আরও মজার ব্যাপার- ঐ লোকটাও আবার যদি কাউকে রক্ত দেয় তাহলে আমার রক্তটুকু আরও মানুষের মাঝে ছড়িয়ে গেল! এভাবে আমি মৃত্যুর পরেও বহুদিন বেঁচে থাকতে পারি হাজার মানুষের (আক্ষরিক অর্থেই) শরীরে!
ব্যাপারটা পুরোপুরিই অনুভবের… অমরত্ব পাবার এরচেয়ে সহজ উপায় আর কী হতে পারে???
কাজেই আসুন- রক্ত দেই, অমর হই!
[পোস্টের ছবিটি পিজি হাসপাতালে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর জন্য রক্ত দেয়ার পর তোলা]
গ্রীণ রোডের গ্রীণ ভিউ হাসপাতালে একজন ক্যান্সারের রোগিকে বাঁচাতে কয়েক সপ্তাহব্যাপী বেশ কয়েক ব্যাগ O+ (ও পজেটিভ) রক্ত দরকার। আগ্রহী কেউ থাকলে নিচের লিঙ্কগুলোতে যোগাযোগ করুন।]
https://www.facebook.com/weareblooddoner/
https://www.facebook.com/groups/blooddonorsbd2010/
গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জানলাম
গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জানলাম ।ধন্যবাদ সফিক ভাই ।
তথ্য আর দিলাম কোথায় শাহিন
তথ্য আর দিলাম কোথায় শাহিন ভাই? পুরোটাই তো আবেগ…!
:লইজ্জালাগে:
এই ব্যাপারটাতে আমার দুর্বলতা
এই ব্যাপারটাতে আমার দুর্বলতা আছে। মনে পরে কোন এক হরতালের দিনে (তখনকার হরতাল মানে হরতালই) প্রায় সাত প্লাস সাত মোট ১৪ কিমি হেটে গিয়ে রক্ত দিয়ে আসি কলেজের কমনরুমের দায়িত্বে থাকা চাচার স্ত্রীর জন্য। পরে আরও দুজনকে রক্ত দিতে হয়েছে। তারপরে অনেক দিনের গ্যাপ। আর দেয়া হয়নি। কিন্তু নিতে হয়েছে। ২০০৮ র সেপ্টেম্বর থেকে ০৯ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাকে ২৩ ব্যাগ রক্ত নিতে হয়েছে। দুইবার দুইটা বড় ধরণের সার্জারি হয়েছিল। নিজের ভাই, বোন এবং অপ্ল কিছু আত্মীয় স্বজন ছাড়া বাকী সবই অচেনা মানুষদের রক্ত। আমি তাদের চিনি না, দেখিও নাই।
ঐ লোকগুলো বেঁচে আছে আপনার
ঐ লোকগুলো বেঁচে আছে আপনার মাঝে…!
এভাবেই বিশ্ব মানবতা মিশে একাকার হয়ে যায় একে অপরের শরীরে… অন্তত আমার তা-ই ধারনা! 😀
অমরত্ব লাভের এমন চমৎকার আয়োজন
অমরত্ব লাভের এমন চমৎকার আয়োজন আছে জেনে পুলক অনুভব করছি । আমি ১০/১২ রক্ত দিয়েছি । তবে অনেকদিন হয় দেওয়া হয়না । আমার গ্রুপ বি + ( সস্তা রক্ত বলে হাসবেন না বলে দিলাম :ভেংচি: )
ধুর মিয়া! বি+ বুঝি সস্তা!
ধুর মিয়া! বি+ বুঝি সস্তা! তাহলে ও+ কী? মাগনা?!?!?
রক্ত দিতে চাইলে ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ/গ্রুপ আছে… কানেক্টেড থাকেন। আমার জানা মতে এই মুহূর্তে একজন রোগীর বি+ রক্ত দরকার। ইউ ক্যান কনসিডার…
https://www.facebook.com/BhootFmDaily/posts/651676131510763
আমার রক্ত দেয়ার বয়স এখনো
আমার রক্ত দেয়ার বয়স এখনো হয়েছে কিনা জানিনা।। প্রাপ্ত বয়ষ্ক হলে অবশ্যই রক্ত দেবো। আর আমার মরণোত্তর চক্ষু দানের ইচ্ছা আছে।
গুড ডিসিশন…!!!
আমার জানামতে
গুড ডিসিশন…!!!
আমার জানামতে ১৪ বছর বয়স থেকেই রক্ত দেয়া যায়। আপনি কি ১৪ না হতেই ব্লগে লিখতেছেন!!! আপনার পোস্ট-কমেন্ট পড়ে তো মনে হয় না আপনি ইম-ম্যাচ্যুরেট!
:ভাবতেছি: :ভাবতেছি: :ভাবতেছি:
না। চৌদ্দ বছরের তথ্যটা আমি
না। চৌদ্দ বছরের তথ্যটা আমি জানতাম না। তবে এখনো আমি আঠারো পার করতে পারিনাই। :আমারকুনোদোষনাই:
আপনার উচ্চতা অনুযায়ী যদি ওজন
আপনার উচ্চতা অনুযায়ী যদি ওজন ঠিক থাকে এবং ১৪+ ও অন্যান্য বিষয়গুলো ঠিক থাকে তাহলে কোন সমস্যা নাই…
ভাই, আমার পক্ষ থেকে কোটি কোটি
ভাই, আমার পক্ষ থেকে কোটি কোটি টন ধইন্যা নেন। আজ থেকেই নেমে পড়বো।
ধইন্না দেখি ফ্রিতে পাওয়া
ধইন্না দেখি ফ্রিতে পাওয়া যাইতেসে
(No subject)
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
আর ইউ সিওর ,ইউ আর আণ্ডার ১৮
আর ইউ সিওর ,ইউ আর আণ্ডার ১৮ ?!?!?!?!?!? :ভাবতেছি: :কনফিউজড: :চিন্তায়আছি: :ভাবতেছি: :খুশি: :গোলাপ: :ফুল: :তালিয়া: :থাম্বসআপ:
যদি তাই হয়, প্লীজ গিভ প্রপার রেস্পেক্ত টু ইউর মেরিট !
আশা করি কি বলতে চেয়েছি বুঝতে পেরেছেন … ?
পুরোপুরি বুঝি নাই ভাই।
পুরোপুরি বুঝি নাই ভাই। ছোটবেলা থেকেই অনেক পাকা পাকা কথা বলতাম। আম্মু এক্সট্রা কাবিল ছিলো। নার্সারী থেকে সোজা ক্লাশ টু তে তুলে দিছে। :আমারকুনোদোষনাই:
আর, হ্যাঁ। আমি আন্ডার ১৮। সঠিক বয়স বললে কেউ বিশ্বাস করেনা। তাই কোথাও উল্লেখ করিনা। আন্ডার ১৮ বলে চালাই দিই।
নানা বাড়ির দিকে ছেলে কাজিনদের
নানা বাড়ির দিকে ছেলে কাজিনদের মধ্যে আমি সবার ছোট। তারপরও সবাই যখন বুঝল যে আমি বড় হয়ে গেছি আর আমার রক্ত নেয়া যায়; তখন থেকেই আমি অমর হয়ে গেছি। এখন মামা-মামি,খালা-খালু অথবা কাজিনদের কারো রক্ত লাগলে আমাকে বলা হয়, “অ্যাই, শয়তান। কালকে কোথাও পালাবি না। রক্ত দিতে হবে।”
আমি একবার মিন মিন করে বলেছিলাম যে যারা সিগারেট খায় তাদের রক্ত নেয়া ঠিক না।
জবাবে আমার মা হুংকার দিয়ে উঠল, “তুই কি সিগারেট খাস নাকি?”
আমি ভালো ছেলের মতো বললাম, না, যারা খায় তাদের কথা বলছিলাম আরকি। আমার রক্ত তো একদম ফ্রেশ।
আমার মতলব বুঝতে পেরে আমার চাইতে বয়সে বড় কাজিনরা খিক খিক করে হাসে আর বলে, “আসুন- রক্ত দেই, অমর হই!”
😀
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
:ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল: