পৃথিবীতে শান্তি কখনো ছিল কিনা জানি না তবে শান্তি আর কখনো ফিরে আসবে না। শান্তি ফিরে আসবেনা কারণ পৃথিবীময় অহরহ ধর্ম আর কোন না কোন ভাবে এই ধর্ম গুলো পরষ্পরের সাংঘর্ষিক। দেখা যাচ্ছে যে ধর্ম যত বেশি প্রবীণ সেই ধর্মের ফাক ফোঁকর আর কুসংস্কার এর পরিমাণ ও তত অসীম। সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ব্যাপার হচ্ছে অন্য ধর্মাবলম্বীদের পরিচয় করানো হয় আমাদের শত্রু হিসেবে।
তবে,
তবে কি ধর্ম ত্যাগী হব?
নাস্তিক হয়ে যাব?
মানবতার ধর্ম বেছে নেব?
পৃথিবীতে শান্তি কখনো ছিল কিনা জানি না তবে শান্তি আর কখনো ফিরে আসবে না। শান্তি ফিরে আসবেনা কারণ পৃথিবীময় অহরহ ধর্ম আর কোন না কোন ভাবে এই ধর্ম গুলো পরষ্পরের সাংঘর্ষিক। দেখা যাচ্ছে যে ধর্ম যত বেশি প্রবীণ সেই ধর্মের ফাক ফোঁকর আর কুসংস্কার এর পরিমাণ ও তত অসীম। সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ব্যাপার হচ্ছে অন্য ধর্মাবলম্বীদের পরিচয় করানো হয় আমাদের শত্রু হিসেবে।
তবে,
তবে কি ধর্ম ত্যাগী হব?
নাস্তিক হয়ে যাব?
মানবতার ধর্ম বেছে নেব?
মানবতার কথা ধর্ম গ্রন্থ গুলোর চেয়ে বেশি যুক্তিক ভাবে কেউ বলতে পারে এটা অবিশ্বাস্য। মানুষ যখন কিছু বলে তখন নিজের সার্থের কথা সবার আগে ভাবে,মানবতা অনেক পরের ব্যাপার। আর কতটুকু জ্ঞানী হলে একজন মানুষ নাস্তিক হয় তা জানতে আমার অনেক দেরী। আমার জং ধরা মস্তিষ্ক যা বলে,বেচেঁ থাকার জন্য অক্সিজেন যতটা প্রয়োজন সুন্দর ভাবে বেচেঁ থাকার জন্য ধর্ম ও ঠিক ততটা প্রয়োজন।
তবে,
তবে কোন ধর্মটা বেছে নেব?
আমার মত চারলাইনের ব্লগ লেখা কারো কথায় আপনি ধর্ম বেছে নেবেন না তা আমি জানি। তবু ছোট্ট একটা উদাহরণ রেখে যাই,
“ইন্টারনেট ব্রাউজার” সবারই আছে। যদি না থাকে তবে এই লেখাটা কিভাবে পড়ছেন?একটা ব্রাউজারের অনেকগুলো ভার্সন থাকে আর আমরা লেটেস্ট ভার্সনটাই ব্যাবহার করি এবং ব্রাউজার কতৃপক্ষ আমাদের লেটেস্ট ভার্সন ব্যাবহার করতে সাজেস্ট করে। কারণ নতুন ভার্সনে আগের ভুল ত্রুটি সারিয়ে নতুন নতুন ফিচার দেওয়া হয়।
আপনার গায়ের কাপড়টা লেটেস্ট, ফোনটাও যুগ উপযোগী, পিসিকে আপগ্রেড করেছেন কিংবা করতে চাচ্ছেন সর্বশেষ প্রযুক্তি দিয়ে, পিসি/ফোনের ব্রাউজার এর ভার্সনটাও লেটেস্ট তবে আপনার ধর্মটা কেন ভুলে ভরা আর ঘুনেধরা??
ধর্ম নিয়ে একজন সাধারণ ধর্মালম্বীর চেয়ে বেশি জ্ঞাত একজন নাস্তিক। সেই নাস্তিকদের মতে সবচেয়ে আধুনিক এবং আপগ্রেডেড ধর্ম “ইসলাম ধর্ম”
আপনি যখন একজন মানুষ,বুদ্ধি হওয়ার পর আপনার প্রথম জানার বিষয়টা হল কে আপনি?কি আপনার পরিচয়? কেন এসেছেন এই পৃথীবিতে?
পুরু বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দেওয়া বিজ্ঞানের এই বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা নেই যে ব্যাখ্যা শুনে আপনার আত্মার শান্তি মিলবে। এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুজেঁ খুজেঁ যখন আমি উন্মাদ প্রায়,তখন কুরআন বলছে:
তিনি (আল্লাহ) মানুষ এবং জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। তিনি সৃষ্টি করেছেন জীবন এবং মৃত্যু সুতরাং যে জন্ম নিয়েছে তাকে অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। তিনি শপথ করেছেন ইহকাল (এই জন্মে) যারা পূণ্য করবে তারা পরকালে (মৃত্যুর পরের জগত) জান্নাত পাবে আর যারা পাপী তাদের নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নাম/নরকে।
আমার আত্মার শান্তি মিলল আর আমি ব্রত হলাম পূণ্য অর্জনে।
আপনার চিন্তার প্রতি সন্মান।
আপনার চিন্তার প্রতি সন্মান।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 🙂
আপনি আপনার ধর্ম পালন করুন,
আপনি আপনার ধর্ম পালন করুন, আমি আমার্। আপনার ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আপনার কথার আলোকে কিছু প্রশ্ন।
ইসলাম ধর্মই যে লেটেস্ট তার প্রমাণ কোথায় পান? এর পর যে আর ধর্ম আসে নি তা কি করে শিওর??
কোন ধর্মই সাংঘর্ষিক নয়, প্রয়োজন সঠিক অনুধাবন ক্ষমতা। জিহাদ অথবা দুষ্টের দমনের নামে মানুষ খুনকে কে কখনই সমর্থন করা যায় না।
ইসলাম ধর্মই যে লেটেস্ট তার
ইসলাম ধর্মই যে লেটেস্ট তার প্রমাণ কোথায় পান? < সর্বত্রই এর পর যে আর ধর্ম আসে নি তা কি করে শিওর?? <লেটেস্ট বলতে সয়ংসম্পূর্ণতার কথা বলা হয়েছে। এর পরে আগত সয়ংসম্পূর্ণ কোন ধর্মের নাম জানালে খুশি হব। কোন ধর্মই সাংঘর্ষিক নয়, প্রয়োজন সঠিক অনুধাবন ক্ষমতা < এর জন্য তো হাজার হাজার উদাহরণ দেওয়া যায়। হিন্দুরা গরুকে দেবতা মানে। আমি যতটুকু জানি হিন্দু না এমন মানুষরা এই দেবতাকে জবাই করে খেয়ে ফেলে। জিহাদ অথবা দুষ্টের দমনের নামে মানুষ খুনকে কে কখনই সমর্থন করা যায় না। < তাহলে 1971 এর যুদ্ধ প্রশ্নবিদ্ধ হয়!
হিন্দুরা গরুকে দেবতা মানে
এই
এই জায়গায় ভুল… হিন্দুরা দেবতা মনে করে নারে ভাই। আপনারা শুনতে শুনতে এই অবস্থা। গরু একটি দেবতার বাহন। আমাদের এক দেবতা যখন ক্ষুধায় কাতর ছিল তার কাছে তার মা ছিলেন না, তখন এক গরু তাকে সেই সময় দুগ্ধ পান করান। সেই হিসেবে গরু কে মায়ের সাথে তুলনা করা হয়। কিন্তু আপনারা না বুঝে অথবা বেশি বুঝে মা বলতে বলতে মা বানিয়ে ফেলেছেন।
এমই সব…
এখানে দেখুন ১৯৭১ এ পাকিস্তানীরা কি ছিল?
আজকের বিএনপি জামাত যে সহিংসতা চালাচ্ছে সেটার তুলনায় ১৯৭১ সালের টা ছিল ভয়াবহ। এখনের টা হিন্দুরা যদি মনে করে সেই দাড়ি ওলা লোক গুলো দুষ্ট, অসুর তার দমন করতে হবে সবাইকে খুন করতে হবে তা কি সমর্থন যগ্য??
আমি আজ শফী সাহেবের তেতুল তত্বের বিরোধিতা করে স্টাটাস দেয়ায় এক শিবির নেতা, যে নিজেকে জিহাদ কারী মনে আমাকে খুন করার হুমকি দিয়েছে, এখন কথা হল সেটা কি প্রকৃত জিহাদ??
আশা করি বুঝাতে পেরেছি ভাই…
যদি কোণ প্রশ্ন থাকে করতে পারেন।
আন্তরিক ভাবে দু:খিত। না জেনে
আন্তরিক ভাবে দু:খিত। না জেনে আমার্জনীয় একটা ভুল করলাম। আপনার মত কাউকে পেয়ে খুব ভাল লাগছে যিনি কিনা হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিষধ জ্ঞান রাখেন। আচ্ছা “কাম শাস্ত্রে বলা হচ্ছে ধন সম্পদ লাভের আশায় অন্যের স্ত্রীর সাথে দৈহিক মিলন বৈধ”
এটা কেমন ধর্মীয় আরজ বুঝলাম না। একটু যদি বুঝিয়ে বলতেন?
“”” যিনি কিনা হিন্দু ধর্ম
“”” যিনি কিনা হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিষধ
জ্ঞান রাখেন। “” উপহাস টা ভালই জানেন।
আর আপনার শেষের প্রশ্ন সম্পর্কে আমার ধারণা নেই।
আমরা সবকিছু আবেগ দিয়ে চিন্তা
আমরা সবকিছু আবেগ দিয়ে চিন্তা না করি,আমরা আগে আমাদের ধর্ম জানার চেষ্টা করি। নিজের ধর্মে কুসংস্কার আর গোড়ামি কি আছে তা খুজে বের করি। তারপর না হয় অন্য ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলি?তারপর না হয় তর্কে যায় কার ধর্ম সয়ংসম্পূর্ণ 🙂
আমরা আগে আমাদের ধর্ম জানার
উপদেশ কিংবা অনুরোধটা আপনার প্রতিই থাকল… 🙂
জিহাদে ধর্মীয় স্বার্থ জড়িত,
জিহাদে ধর্মীয় স্বার্থ জড়িত, আর ৭১ এ বাঙালির অধিকার জড়িত। জিহাদ সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা সৃষ্টি করে আর ৭১ অসাম্প্রদায়ীক মানুষের অধিকারের জন্যে অস্ত্র ধরে। জিহাদ ধর্মব্যবসায়ের হাতিয়ার, ৭১ বাঙালি জাতির অস্থিত্ব রক্ষার হাতিয়ার। ৭১ তিরিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীনতার জন্ম আর জিহাদ ইনফিনিটি হত্যার পরেও ইন্দ্রপরায়ণতার জন্ম।
দেশে ধর্ম নিয়ে যেমন ব্যাবসা
দেশে ধর্ম নিয়ে যেমন ব্যাবসা হয় 71 নিয়েও ব্যাবসা হয়। আর এতে করে একাত্তুর যেমন অশুদ্ধ হয়ে যায়নি ঠিক তেমনি ধর্ম ও। অস্ত্র সন্ত্রাস নির্মুলে ব্যাবহার করবেন নাকি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যাবহার করবেন তা একান্তই আপনার উপর নির্ভর করে।
১৯৭১ এর সাথে যে ধর্মীয়
১৯৭১ এর সাথে যে ধর্মীয় জিহাদের তুলনা করে, তার অতিসত্বর ডাক্তার দেখান উচিৎ।
ক্ষেপে যাইয়েন না। রোগ সবারই হতে পারে।
তিনি (আল্লাহ) মানুষ এবং জ্বীন
হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম !! =)) =))
ধর্ম নিয়ে বিতর্ক কি না করলেই
ধর্ম নিয়ে বিতর্ক কি না করলেই নয়?
বিতর্ক খারাপ কিছু না,খারাপ হল
বিতর্ক খারাপ কিছু না,খারাপ হল অহেতুক তর্ক। আর আমরা মনে হয় অহেতুক তর্কই করছি!
অহেতুক টপিকে অহেতুক তর্কই
অহেতুক টপিকে অহেতুক তর্কই হবে… :/
বাবু ভাই, With due respect ,
বাবু ভাই, With due respect , এই ধরনের লেখা না লিখলেই ভালো। আপনি যদি ঠিক মতো নামাজ কালাম পড়তেন তাহলে এসব আপনার লেখার প্রয়োজনই পড়তো না। ধর্ম নিয়ে গবেষণা করে কোনই লাভ নাই।
আপনি ভবিষ্যতে মনে হচ্ছে
আপনি ভবিষ্যতে মনে হচ্ছে রাসায়নিক বোমা ফাটাবেন ইস্টিশনে। :অপেক্ষায়আছি:
মিঃ PHD সাহেব আপনি মনে হয়
মিঃ PHD সাহেব আপনি মনে হয় ইস্টিশনে বিধি নিষেধ ভুলে গেছেন একটু দেখুন
অনুগ্রহ করে বিধি নিষেধ মেনে চলবেন ।। ধর্মকে সম্মান করা যায় তর্ক-বিতর্ক করা যায় না ……
অর্থাৎ আপনার থিওরি অনুযায়ী,
অর্থাৎ আপনার থিওরি অনুযায়ী, সবচেয়ে পরে আসা ধর্মটাই সবচেয়ে উন্নত এবং সবার সেটাই পালন করা উচিত। এই তো?
ওকে… পৃথিবীতে বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেগে ছড়িয়ে পড়া ধর্মের নাম বাহাইজম। বাহাউল্লাহ কর্তৃক প্রবর্তিত এ ধর্মের অনুসারী সবচেয়ে বেশি ভারতে (1,880,707)
২০০৫ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে বাংলাদেশেই 10,619 জন বাহাই রয়েছে…
সবচেয়ে আপগ্রেডেড ধর্ম পালনের স্বার্থে আপনি এখনই ধর্মান্তরিত হবেন বলে আশা রাখি…
ক্লান্ত কালবৈশাখি ভাই,
ক্লান্ত কালবৈশাখি ভাই, বাহাইজম নতুন কোন ধারনা দিতে পারলে চিন্তা ভাবনার বিষয় ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছে এটা ইসলামিক দর্শন থেকে মৌলিক ধারনা পুরোপুরি ধার করে নিয়ে সেটার সাথে সব ধর্মের প্রবক্তা পুরুষদের মিলিয়ে একটা কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরীর চেষ্টা। ইসলাম ধর্মে যা আছে তার মোটামুটি সবই আছে, সেই সাথে আরো কিছু টুকটাক কমন বিষয় যোগ করা আর কি। অন্তত বাহাই মতবাদ থেকে তাই আমার মনে হয়। বাহাই ধর্মের মৌলিক কিছু বিষয় নিম্নরুপ,
১. সৃষ্টিকর্তা এক, অবিনশ্বর আদি-অন্তহীন, জন্ম-মৃত্যুহীন এবং তিনি সকল গুনের সমন্বয়।
২. এক সৃষ্টিকর্তাই সকল ধর্ম সৃষ্টি করেছেন।(বিভিন্নন যুগে বিভিন্ন ধর্ম)।
৩. সকল মানুষ সমান।
৪. তিনি যুগে যুগে তাঁর প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন মানবজাতীর কল্যানের জন্য [ইব্রাহিম (আঃ), কৃষ্ণ, জরথ্রুস্ট্র, মুসা (আঃ), গৌতম বুদ্ধ, ইসা (আঃ)/যিশু খৃস্ট এবং হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)অন্যতম]
ইত্যাদি। আমি এখানে নতুন কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।
আর আপনি যে লিংক দিয়েছেন সেটা শুধু বলছে কোন দেশে কতজন বাহাই আছেন। বাহাই ধর্ম দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম (হতে পারে, এতে আমার কোন অসুবিধা নেই) এটা কিন্তু এই লিংকটাতে আমি পাই নি। তবে থাকলেও থাকতে পারে, আমি অতটা দেখার সময় পাই নি।
পৃথিবীর কোন ধর্মই তার উৎস
পৃথিবীর কোন ধর্মই তার উৎস থেকে খুব বেশি ভিন্নতা রাখেনি। Even ইসলামও না… উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ইসলামে আছে কেবল ইহুদী ও খ্রিষ্টান পয়গম্বরদের কথা। কারণ, আরবে এর বাইরে কোন ধর্ম ছিল না। ইসলামে রোজার বিধান আছে। যেটা আরব তথা বিষুবীয় অঞ্চলের কাছের এলাকায় সম্ভব হলেও শীত প্রধান এলাকায় অনেক সময় দিন এত বড় হয় যে রোজা অসম্ভবের কাছাকাছি। আর মেরু অঞ্চলে তো ছয়মাস দিন, ছয়মার রাত। সেখানে কী হবে রোজার? জ্বীন নামক বস্তু ইহুদি বা খ্রিষ্টান বাদে না থাকলেও ইসলামে আছে। কারণ, এটা আরবের তৎকালীন মিথের অংশ। অন্য কারও দ্বারা আবিষ্ট হয়ে (মুহম্মদের ক্ষেত্রে জিবরাইল) কবিতা বলাও নতুন কিছু না। আরবে কাহিন নামে একটা সম্প্রদায়ই ছিল, যারা জ্বিনের প্রভাবে কথা বলত…
এমন কি আল্লাহ শব্দটাও ইসলামের আবিষ্কার না… আরবে লাত, মানাত, উজ্জা প্রভৃতি দেব দেবীর নাম শুনে থাকবেন। এদের ডাকা হত বানাত আল্লাহ অর্থাৎ, আল্লাহ’র কন্যা।
একই ভাবে দেখাতে পারব, কোন ধর্মই সমসাময়িক প্রেক্ষাপট থেকে মুক্ত হতে পারে নি। সেটা সম্ভবও না…
শেষে একটা কথাই বলব, ধর্ম কখনও যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ধর্ম আসে বিশ্বাস থেকে। সেটাকে সেখানে থাকতে দেয়াই ভাল। শুধু শুধু যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে যাওয়া অর্থহীন। “যখন সত্য এসে মিথ্যার সামনে দাড়ায় তখন মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে যায়। অবশ্যই মিথ্যাকে বিলুপ্ত হতে হবে।” [সূরা-ইসরা, আয়াত-৮১]
শেষে একটা কথাই বলব, ধর্ম
ধর্ম আসে বিশ্বাস থেকে। সেটাকে
ক্লান্ত কালবৈশাখি ভাই, একটা জায়গায় মনে হয় ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। আমি কিন্তু আমার আলোচনায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব বিষয়ক কোন বিষয় টেনে আনিনি। আপনার কথাই ঠিক, ধর্ম কিন্তু পুরোপুরি বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। অদেখা আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত রসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাই ইসলামের ভিত্তি। একথাতো কেউ অস্বীকার করছে না। কেউ এটাকে যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করারও কিছু নেই। আবার কেউ বিশ্বাস করছে যে ধর্ম বলে কিছু নেই, তাই না? মূল বিষয়টা হচ্ছে বিশ্বাসের বিষয়বস্তুর পার্থক্য। সমস্যা হয় যখন একজন তার বিশ্বাস অন্যের উপর চাপানোর চেষ্টা করে।
ধর্মের উৎসের ক্ষেত্রে বলতে হয় ইসলামও এর উৎস থেকে ভিন্ন তো না বটেই বরং ইসলাম এর পূর্ববর্তী ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোর অস্তিত্বও স্বীকার করে, এবং একজন মুসলিমের জন্য এর পূর্ববর্তী ধর্মীয় প্রধান প্রেরিত পুরুষ যেমন ইসমাইল (আঃ), মুসা (আঃ), ইসা (আঃ) সকলকে স্বীকার করাটা বাধ্যতামূলক, যদিও ইহুদী ও খৃষ্টানগণ আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)কে নবী হিসেবে স্বীকার করেন না। কোরান অনুযায়ী ইসলাম হচ্ছে একেশ্বরবাদী পুর্ববর্তী ধর্মগুলোর পরিপূর্ন রূপ।
তবে একটা বিষয় আমাকে খুব ভাবায়। সেটা হচ্ছে মুসা (আঃ) এবং ইসা (আঃ) এর সময়ের মধ্যে প্রায় ১৪০০ বছরের ফারাক। আবার ইসা (আঃ) এবং আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর সময়ের মধ্যে প্রায় ৬০০ বছরের ফারাক। কিন্তু এনারা সবাই কেন নিজ নিজ সময়ে মুর্তিপুজারী সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে জন্ম নিয়ে তৎকালীন প্রচলিত ধর্মীয় এবং সামাজিক ব্যাপক প্রতিকূলতার মধ্যেও কারো প্ররোচনা ব্যাতিরেকে একেশ্বরবাদের কথা বললেন? তাঁরা কি শুধু প্রচলিত মিথ কিংবা লোককথার উপর ভিত্তি করে নিজেদের মতবাদ প্রচার করেছিলেন? অনেক বড় ঝুঁকির বিষয় হয়ে গেল না? নিজেদের সময়ের সমাজের নেতা হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার পরেও কেন পুর্ববর্তীদের স্বীকার করলেন, অর্থাৎ ইসা (আঃ) স্বীকার করলেন মুসা (আঃ) বা তাঁর পূর্ববর্তীদের কিংবা মোহাম্মদ (সাঃ) স্বীকার করলেন ইসা (আঃ), মুসা (আঃ) এবং পূর্ববর্তীদের? শত সহস্র শতাব্দী ব্যাবধানে থাকার পরেও তাঁদের মধ্যে এই অদৃশ্য আদর্শগত যোগসূত্র কিভাবে স্থাপিত হল? কে এই যোগসূত্র স্থাপন করলেন?
ইসলাম পরবর্তী ধর্মীয় দর্শনের কথা যদি বলা হয় তাহলে তিনটি ধর্মীয় দর্শনের কথা মূলত চলে আসে। সেগুলো হচ্ছে (১) শিখ (২) বাহাই (৩) ব্রাম্মবাদ। এই তিনটির মূল মন্ত্রই কিন্তু একেশ্বরবাদ। সুতরাং ধরে নেয়া যায় যে একেশ্বরবাদের পর আর কোন নতুন তত্ত্ব আসে নি।
এবার আসি জ্বীন প্রসঙ্গে।
ইসলামে জিব্রাইল (আঃ) জ্বীন নন ফেরেশতা। জিব্রাইল (আঃ) এর উল্লেখ বাইবেলে আছে। খৃষ্টধর্মে তাকে ডাকা হয় গ্যাব্রিয়েল নামে। আবার কাহিন নামক সম্প্রদায়ের জ্বীনের প্রভাবে কথা বলার বিষয়টা যদি সত্যি হয় তাহলে তো জ্বীনের অস্তিত্বই প্রমানিত হয়ে গেল।
রোজা প্রসঙ্গে বলতে গেলে আমাকে অনেক বিষয় জানতে হবে। তবে যেটা আমার সাধারন জ্ঞানে মনে হয়, মেরু অঞ্চল যেখানে জনমানুষের বসতি প্রায় নেই, সেখানে রোজা কে রাখবে সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। থাকলেও তারা কিভাবে রোজা পালন করবেন সেটা ইসলামী আলেমরাই বলতে পারবেন।
আসলে ধর্ম সম্পর্কে বলতে গেলে কথার পীঠে কথা আসবে, অনেক তর্ক বিতর্ক আসবে। আবার জামাতে ইসলামের বা বাল থাকড়ের শিবসেনা কিংবা বি.জে.পির আদর্শের ভিত্তিতে দেখলে ধর্মের চেহারা কি দাঁড়ায় সেটা আর বুঝিয়ে বলতে হবে না। আমার ক্ষেত্রে যেটা বুঝি সেটা হচ্ছে ধর্ম আমাকে মদ, জুয়া, মিথ্যা, প্রতারনা, নারীলোভ ইত্যাদি কাজ থেকে দূরে রাখে। সমাজের কতটা উপকার হয় আমি জানি না, কিন্তু আমি সাধ্যমত যাকাত আদায় করি। চোখে সুরমা দেই না, বা গোড়ালির উপর প্যান্ট গুটিয়ে রাখি না কিন্তু দৈনন্দিন ধর্মীয় আচারগুলো পালন করি। এসব করে আমি আরাম পাই, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করি, রাতে শান্তিতে ঘুমাই। তবে হ্যাঁ, এসব না করেও অনেকে ভালো আছেন এবং তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।
আসলে ধর্ম সম্পর্কে বলতে গেলে
That’s what I’s saying… 🙂 :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল:
আহা! মন জুড়িয়ে গেল। কই যে
আহা! মন জুড়িয়ে গেল। কই যে যাই আমি
তিনি (আল্লাহ) মানুষ এবং জ্বীন
আপনি একেই জীবনের উদ্দেশ্য মনে করছেন। সবাই তেমন নাও ভাবতে পারে। তাই আপনার কাছে ইসলাম শ্রেষ্ঠ , অন্যের কাছে নগণ্যও হতে পারে। আর কোরআনে আছে তাই মেনে নিচ্ছেন। তো কোরআনের কথাগুলোর প্রমাণ কি? অন্য বইতে অন্য কিছুও লিখা থাকতে পারে। সেগুলো আপনি বিশ্বাস করবেন না। কারণ প্রমাণ খুঁজবেন। তেমনি অন্যরাও কোরআনের কথার প্রমাণ খুঁজবে।
আর ইসলাম যে লেটেস্ট ধর্ম সেটা কই পাইলেন :চিন্তায়আছি: :চিন্তায়আছি: :চিন্তায়আছি:
ধর্মের বিশ্বাস সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিশ্বাস। যুক্তির সাথে এর দূর দূরান্তে কোন সম্পর্ক নেই।