আমার দেশের বাড়ি পিরোজপুরে, নির্বাচনী এলাকা পিরোজপুর ১ আসন যেখান থেকে সাইদির উত্থান। আমাদের ওখানে সাধারণত নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হয় জামাত এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে। বিগত দিনগুলোতে বিএনপি জামাত জোট থেকে সব সময় জামাত ইসলাম নমিনেশন পেয়ে এসেছে। সাইদির ফাসির আদেশের পরে আমরা আশাবাদী ছিলাম যে হয়তো জামাত ইসলাম এই আসন থেকে মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না। কিন্তু এখন সাইদির উত্তরসূরি তার পুত্র শামিম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
আমার দেশের বাড়ি পিরোজপুরে, নির্বাচনী এলাকা পিরোজপুর ১ আসন যেখান থেকে সাইদির উত্থান। আমাদের ওখানে সাধারণত নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হয় জামাত এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে। বিগত দিনগুলোতে বিএনপি জামাত জোট থেকে সব সময় জামাত ইসলাম নমিনেশন পেয়ে এসেছে। সাইদির ফাসির আদেশের পরে আমরা আশাবাদী ছিলাম যে হয়তো জামাত ইসলাম এই আসন থেকে মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না। কিন্তু এখন সাইদির উত্তরসূরি তার পুত্র শামিম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
শামিম সাইদির সকল পোস্টারে তার পিতার জেলে বসে নামাজ পড়ার ছবি ব্যবহার করে। এবারে ঈদ পুজা একসাথে গেলেও শামিম সাইদি শুধু ঈদের শুভেচ্ছাই জানাইছে। পোস্টারে দেখা যায় হুজুরে জেলের মধ্যে নামাজ পরতেছেন, একেবারে লোহার শিকের কাছে এসে। মনে হচ্ছে মডেলিং ছবি তোলার জন্য পোজ দিছেন। আর ওনার সুযোগ্য সন্তান সেইটারে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করতেছে। আর একটা প্রশ্ন কোন জেলে পুলিশ এই ধরনের ফটো সেশনের ব্যবস্তা করে দেয়?
সাইদির বীরুধে পিরোজপুরে যারা যারা সাক্ষী দিয়েছে তারা কেউই এখন তাদের নিজেদের বাড়িতে নেই। তারপরও প্রতি দিন তাদের বাড়িঘরে হামলা হবার দুঃস্বপ্ন থেকে বের হতে পারছে না তারা। স্থানীয় আওয়ামীলীগের একজন সংখ্যালঘু সদস্য দেখলাম তার ক্লাস নাইনে পড়া মেয়ের জন্য পাসপোর্ট করছে। জানতে পারলাম মেয়ে সেয়ানা (Mature) হয়ে উঠেছে তাই মেয়েকে ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দিবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তিনি, ২০০১ সালের স্মৃতি এতো তাড়াতাড়ি মুছে ফেলা সম্ভবও নয়। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন এই অবস্থা পরে কি হবে তা কল্পনার বাইরে।
শুনলাম আমাদের এলাকায় একটা সিক্রেট সংগঠন হয়েছে, বদরের যুদ্ধের অনুপ্রেরণায় ৩১৯ জন সদস্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বদর বাহিনী। এই সংগঠনে আলেম, মাওলানা, হুজুর এবং ইসলামী চেতনার লোকজন রয়েছে। তাদের কাজ হচ্ছে ইসলামের প্রসার ও প্রচার এবং ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করা। এই সংগঠনে আওয়ামী চিন্তাভাবনার কোন লোকজনের স্থান নেই কেনোনা আওয়ামী হল নাস্তিক। সংগঠনটা জামাত ইসলামের হলেও এখানেও জামাত উহ্য সামনে শুধুই ইসলাম।
এই সংগঠনের সদস্য চাঁদা নাকি প্রতি সপ্তাহে ৩১৯ টাকা, মাসে পৌনে তেরশো টাকা। এর মানে প্রতি মাসে এই সংগঠনের মাত্র ৩১৯ জন সদস্যের শুধু সদস্য চাঁদা হল ৪ লক্ষ্য ৭০ হাজার টাকা!!! ৩১৯ জন সামর্থ্য বান সদস্য ইতিমধ্যেই ফিল আপ হয়ে গেছে বলে নতুন সামর্থ্যবান তরুন মোটিভেটেড দের সুযোগ দিতে ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে বদর টু। ভবিষ্যতে বদর থ্রী, ফোর, ফাইভও হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। এই হচ্ছে একটি গ্রামের সংগঠনের কথা যার মাসিক ইনকাম প্রায় ৫ লক্ষ্য টাকা। এই ধরনের সিক্রেট গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় গঠিত হচ্ছে, যারা সরকারকে নাস্তিক অভিহিত করে তাদের বিরুদ্ধে জেহাদ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এখন আর তারা জামাত ইসলাম না শুধুই ইসলাম।
ইসলাম ধর্মটাকে আর কত বিক্রি
ইসলাম ধর্মটাকে আর কত বিক্রি করবে এই পশুরা।
সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা
সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া উপায় নাই।
আতিক ভাইয়ের সাথে সহমত।
আতিক ভাইয়ের সাথে সহমত।
দিয়েছিতো রক্ত,আরো দেবো রক্ত
রক্তের বন্যায়,ভেসে যাবে অন্যায়।।
সহমত ডাঃ আতিক।
সহমত ডাঃ আতিক।
হায়রে দেশ! এই কুলাঙ্গার রা এত
হায়রে দেশ! এই কুলাঙ্গার রা এত সাহস পায় কারণ এদেশের মানুষের মাঝে এখন দেশ কি জিনিস সেই ভাবনা ঠিক ভাবে গড়ে উঠেনি।
কোন দিকে যাবো? যে দিকে যাই
কোন দিকে যাবো? যে দিকে যাই নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এখন দেশের প্রতি কারো ভালোবাসা দেখিনা, সবাই করুণা করে যেটা শুধুমাত্র মায়া বলা যেতে পারে। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সরকারী ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী পর্যন্ত ধর্ষণ করছে বাঙালাদেশ। এটি এখন যে কোন ধর্ষিত নারীতে পরিণত হয়েছে। কেউ ধর্মের নামে বলত্কার করছে, কেউ স্বাধীনতার নামে ধর্ষণ করছে। এখন আমারও ভীষণ করুণা লাগে রূপসীর জন্যে। ভালোবাসাটা পাপে পরিণত হয়েছ রূপসীর বুকে।