নেশার আদি উৎপাদন হলো তামাক। সমাজে এটি চালু ও গ্রহন যোগ্য নেশা হিসেবে স্বীকৃত। এখন বাংলাদেশ,ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশে ও তামাকের চাষ হয়।তামাক এই উপমহাদেশের নিজস্ব সম্পদ নয়।
নেশার আদি উৎপাদন হলো তামাক। সমাজে এটি চালু ও গ্রহন যোগ্য নেশা হিসেবে স্বীকৃত। এখন বাংলাদেশ,ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশে ও তামাকের চাষ হয়।তামাক এই উপমহাদেশের নিজস্ব সম্পদ নয়।
প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগে পূর্ত-গিজরাই প্রথম উপমহাদেশে তামাক ও এর বীজ নিয়ে আসে। তামাক খাওয়া প্রথম শুরু হয়েছিলো সেই সুদুর আমেরিকায়! তিন হাজার আগে থেকেই আমেরিকায় তামাক জন্মাত। রেড ইন্ডিয়ানরা তামাকের পাতা পেঁচিয়ে চুরুটের মতো করে তার মাথায় আগুন দিয়ে ধোঁয়া খেত। ১৪৯২ সালে কলম্বাস কিউবা থেকে তামাক প্রথম নিয়ে আসেন ইউরোপে। তবে তামাকের নাম টোব্যাকো(tobacco) কিভাবে হলো টা নিয়ে মতঐক্য রয়েছে। তামাক পাতা দিয়ে বানানো হয় চুরুট,এটি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে বিড়ি,কখনো সিগারেট এ রুপান্তর হয়েছে।
বেশ অল্প কিছু বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ছড়িয়ে পরে। যা ছিলো উচ্চবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তদের মধ্যে তা চলে আসে রিকশাওয়ালা, ফেরিওয়ালা থেকে দিন মজুরের মধ্যে।
এরই ফাঁকে কখন যেনো একদল ছেলেপুলে ডেক্সপোর্টেন (এসকে+এফ), ফেনারগন (প্রমথজেন হাইড্রোক্লোরাইড), ফেনারড্রিল, ব্রুনেক্স, ই-কফ, তুষকা নামক কাশের সিরাপ নেশার উপকরন বানায়-হিরোইন, প্যাথেড্রিন, ফেনসিডিল, গাঁজা, মদের ভিরে ব্যাপারটা তেমন আলোচনায় আসে নি।
নেশার রাজ্যে গাঁজা সবচেয়ে পুরনো। অনেকেই এই রাজ্যে প্রবেশ করে সিগারেট এর হাত ধরে। ভাং ও চরেসের সঙ্গে গাঁজার ভাই সম্পর্ক। সিদ্বি জাতীয় গাছের পুরনো মঞ্জুরি থেকে তৈরি হয় গাজা। পাতা থেকে তৈরি হয় ভাং,এটি ও সিদ্বি নামেই পরিচিত। আর গাজার আঠা থেকে তৈরি এক ধরনের মাদক হচ্ছে চরস। তবে এই গাঁজা সাড়া দুনিয়ায় হাশিশ নামে পরিচিত।
হাশিশ একটি আরবি শব্দ! আরবি ভাষার এই শব্দ টির মাধ্যমে বিশ্বে গাঁজার ব্যবহার চলছে!মজার কথা হলও বিশ্বব্যাপী নেশার কাজে ব্যবহিত এই গাঁজা(Cannabis Sativia) কে বা কারা আবিস্কার করেছিলো তা এখনও জানা যায় নি।
গাঁজা থেকে এককাঠি সরেস নেশা হিরোইন। পপি নামক একটি গাছের বীজ থেকে তৈরি হয় এই হিরোইন। জার্মানির বায়ার ফারমাসিউটিকেলস কম্পেনি প্রথম আফিম থেকে এই মাদক বানায় ও বাজারজাত করে।
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল পপি উৎপাদনের উৎস স্থল হিসেবে পরিচিত! এটি লাওস, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সংযোগ স্থল কে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী এক বিস্তীর্ণ এলাকা। মেকং নদীর তীর ঘেঁষা তিন দেশের সংযোগ স্থলও গোল্ডেন ট্রায়েঙ্গেল! এখানে হল অব অপিয়াম নামে একটি প্রসিদ্ব জাদুঘর আছে!
আফিমও পপির বীজ থেকেই তৈরি।শুনেছি একটা সময় আমাদের পূর্বপুরুষগণ আফিমে আসক্ত ছিলেন। বাংলাদেশে আফিম নিষিদ্ধ হয় ১৯৮১ইং সালে। বর্তমানে আফগানিস্তানে আফিমের জন্য পপির চাষ হলেও এই নেশাটির চাহিদা দিন দিন কমে আসছে! কমে যাওয়ার মূল কারন হিসেবে নতুন নতুন নেশার আগমন।
এর সাথে আবার যোগ হল ‘ইয়াবা’ নামক যুবসমাজ বিধ্বংসী আরেক মাদকদ্রব্য। আপাত দৃষ্টিতে চিন্তা করলে দেখা যায় যে, এর প্রতিক্রিয়া বা ফলাফল হেরোইনের চেয়েও ভয়াবহ। যা বিকৃত যৌনাচারের মতো জগন্য কাজেও উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু এই ট্যাবলেট কিভাবে এলো এবং এর মধ্যে কি এমন অসাধারণ উপাদান রয়েছে যা নেশা ও অদম্য উদ্দিপনা সৃষ্টি করে থাকে-একটু পিছন ফিরে দেখা যাক।
(ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত) সর্বপ্রথম জার্মানীর একজন বিশিষ্ট রসায়নবিদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মূল নায়ক এডলফ হিটলারের নির্দেশে একটি নিদ্রাহীন, শক্তিবর্ধক ও উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ঔষধ তৈরী করেন। লক্ষ্য ছিল, ঐ ঔষধ সেবন করার পর যেন তার সৈন্যরা ক্লান্তিহীন এবং অদম্যভাবে চবি্বশ ঘন্টা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। এতে মূল উপাদান হিসাবে নেওয়া হয়েছিল ‘এ্যামফিটামিন’। এর বানিজ্যিক নাম বেনজিড্রিন। এটা দেহের মেদ কমানোর প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসা মতে ব্যবহৃত এটা মোহাবেশ সৃষ্টিকারী এক ধরনের মাদকদ্রব্য। মিথেল এবং এ্যামফিটামিন মিলে হয়েছে মেথাএ্যামফিটামিন। যা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং শরীরে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, চায়ের পাতা এবং কফি বীজের মধ্যে এক ধরনের জৈব যৌগ থাকে যাকে ইংরেজীতে ক্যাফিন বলে। এই ক্যাফিন, মিথেল এবং বেনজিড্রিন অর্থাৎ ক্যাফিন প্লাস মেথাএ্যামফিটামিন মিলে তৈরী হয়েছে ‘ক্রেজি মেডিসিন’ বা ‘নাজী স্পীড’। তারপর এর নাম হয়েছিল ‘ইয়ার বাহ্’। ‘ইয়ার বাহ্’ থেকে পরবর্তীতে নাম হল ‘ইয়াবা’।
আজ থেকে প্রায় আটত্রিশ বছর আগে জার্মান নাৎসী পদ্ধতিতে (নাজি থিউরী) থাইল্যান্ডে প্রথম ইয়াবা তৈরী শুরু হয়। সে সময় ইয়াবা বৈধ ছিল এবং পেট্টোল স্টেশনে পানীয় ও সিগারেটের পাশাপাশি বিক্রী হত। দুরপাল্লার লরী চালকেরা তা সেবন করে বিনিদ্র রজনী গাড়ী চালাত। আস্তে আস্তে সেই ল্যাবলেট নেশার পাশাপাশি অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহার করা শুরু হল এবং ১৯৭০ সালে ইয়াবা তৈরী ও বিক্রী সম্পূর্নরুপে অবৈধ ঘোষনা করা হল। অবৈধ ঘোষনার পর পরই এর দাম ও চাহিদা বেড়ে গেল বহুগুন এবং এর বাজার আন্ডার ওয়ার্ল্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকলো।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরই নিয়ন্ত্রনহীন,প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ১৯৯০ সালে। এটি এখন চলছে স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রনালয়ের অধীনে।মাদক নিয়ন্ত্রন আইন গুলো যথেষ্ট হাল নাগাদ নয়।ফলে দেশে মাদক নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে অর্থবহ কোন নিয়ন্ত্রন ও নেই। এই অবস্থার বিপরীতে এ দেশে ব্যাপক হারে এর বিস্তার ঘটছে! যার লাগাম টেনে ধরাটা এখন সময়ের দাবী।
ভাল লিখেছেন ।নেশা সম্পর্কে
ভাল লিখেছেন ।নেশা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম ।
* বানানে কিছু সমস্যা আছে ।হয়তো তাড়াহুড়ার কারনে এমনটি হয়েছে ।আগামীতে আরো ভাল লিখবেন এই প্রত্যাশায়…
শুভকামনা থাকলো ।
ভাইয়া এটা ইস্টিশনে আমার প্রথম
ভাইয়া এটা ইস্টিশনে আমার প্রথম লেখা,নেক্সট থেকে বানানের ব্যাপারে সচেতন থাকবো!
আপনার জন্যও শুভ কামনা থাকলো।
ধন্যবাদ!
টপিকটা সত্যিই খুব
টপিকটা সত্যিই খুব ক্রিটিকাল… শুরু হিসেবে চমৎকার লিখেছেন… তবে বানানগুলোর দিকে একটু নজর রাখবেন… ইষ্টিশনে স্বাগতম… :ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল: :ধইন্যাপাতা:
ধন্যবাদ ভাইয়া!
ধন্যবাদ ভাইয়া! :খুশি: :খুশি: :খুশি: :খুশি: :খুশি: :খুশি: :খুশি: :খুশি: :খুশি: :খুশি:
ভালো লিখেছেন।
ভালো লিখেছেন। :ফুল:
ধন্যবাদ ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাইয়া
নেশা ও নেশার ইতিহাস জানানোর
নেশা ও নেশার ইতিহাস জানানোর জন্য ধন্যবাদ ॥
ভাইয়া তোমাকেও ধন্যবাদ!
ভাইয়া তোমাকেও ধন্যবাদ!
নেশা ও নেশার ইতিহাস জানানোর
নেশা ও নেশার ইতিহাস জানানোর জন্য ধন্যবাদ ॥
ঈদ মোবারক
ঈদ মোবারক :ফেরেশতা: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য: