ফেসবুকে মহানবী (সাঃ ) কে কটুক্তির অভিযোগ
এনে শনিবার দুপুরের দিকে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজারে তোলপাড় শুরু
করে হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী সমাজ কল্যান সংঘ নামে একটি সংগঠন ।তাদের দাবির মুখে প্রিন্স রায় নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।শনিবার রাতেই তাকে সুনামগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়। সে সাচনা বাজারের প্রয়াত ডাঃ জি আর রায় এর পুত্র।
ফেসবুকে মহানবী (সাঃ ) কে কটুক্তির অভিযোগ
এনে শনিবার দুপুরের দিকে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজারে তোলপাড় শুরু
করে হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী সমাজ কল্যান সংঘ নামে একটি সংগঠন ।তাদের দাবির মুখে প্রিন্স রায় নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।শনিবার রাতেই তাকে সুনামগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়। সে সাচনা বাজারের প্রয়াত ডাঃ জি আর রায় এর পুত্র।
শনিবার বিকালবেলা হটাৎ করে হেফাজতে ইসলাম স্থানীয় সাচনা বাজার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।মিছিল থেকে প্রিন্স রায়ের ফাঁসি চাই বলে মুহুর্মুহু স্লোগান দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা একপর্যায়ে প্রিন্স রায়কে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকিয়ে প্রচুর মারধরও করে বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকেরা।খবর পেয়ে একদল পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে জামালগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।এরপর হেফাজতের মিছিল থেকে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক দোকানে ঢিল ছোড়া হয় এবং অনেক দোকানপাটে ভাংচুর করার চেষ্টা চালানো হয়। আতংকগ্রস্থ হয়ে অনেকেই তাদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ অনেক কার্যকর ভুমিকা পালন করে।শেষ খবর
পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে আতংক বিরাজ করছে।স্থানীয় জনগনের সূত্রে জানা যায় প্রিন্স রায় সম্প্রতি মহানবী (সাঃ ) কে নিয়ে কটুক্তিকারী একটি ব্যাঙ্গাত্বক পেইজে লাইক দেয়।তবে প্রিন্স রায় জানিয়েছে তিনি এ বিষয়টি জানেন না। তাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে কেউ এই ধরনের ঘটনা সাজিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাফর হোসেন,জামালগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফি কামাল এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে এম মিজানুর হক।সভায় এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ সাম্প্রদায়িক কোন বিশৃংখলা যেন সৃষ্টি করতে না পারে এদিকে বক্তারা নজর দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন তাদের একটি টিম এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে আসলেই কি ঘটেছে তার সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে এবং ওই পেইজের এডমিনকেও খুঁজে বের করা হবে।
খবরের লিঙ্ক দেন দয়া করে।
খবরের লিঙ্ক দেন দয়া করে।