আমাদের চারপাশে অনেকে আছেন অনেক ভাল লিখেন কিন্তু পরিচিতির অভাবে তাদের লেখার তেমন মুল্যায়ন হয়না। মানুষের সাধারণত নামের পাগল। আজকে যদি, আমার একটি কবিতা হুমায়ুন আজাদ স্যার এর নামে প্রকাশ করা হয় তাহলে সেখানে যে মন্তব্য পড়বে, নিজের নামে প্রকাশ করলে সেই মন্তব্য হয়তো পড়বেনা। বেশিরভাগ পাঠকই কি লেখা সেটা দিয়ে মুল্যায়ন করেনা, কার লেখা সেটা দেখে মুল্যায়ন করে। যাই হোক, কবিতার প্রতি ভালবাসা থেকে এই সিরিজ লেখা শুরু করলাম। কবিতাগুলো চোখে পড়েছে এবং ভাল লেগেছে তাই আমার ভাল লাগা সবার প্রানে ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করলাম। আশা করি ভাল লাগবে। সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
তুমি বাড়ি যাও
–বিন্তী সরোবর
আমাদের চারপাশে অনেকে আছেন অনেক ভাল লিখেন কিন্তু পরিচিতির অভাবে তাদের লেখার তেমন মুল্যায়ন হয়না। মানুষের সাধারণত নামের পাগল। আজকে যদি, আমার একটি কবিতা হুমায়ুন আজাদ স্যার এর নামে প্রকাশ করা হয় তাহলে সেখানে যে মন্তব্য পড়বে, নিজের নামে প্রকাশ করলে সেই মন্তব্য হয়তো পড়বেনা। বেশিরভাগ পাঠকই কি লেখা সেটা দিয়ে মুল্যায়ন করেনা, কার লেখা সেটা দেখে মুল্যায়ন করে। যাই হোক, কবিতার প্রতি ভালবাসা থেকে এই সিরিজ লেখা শুরু করলাম। কবিতাগুলো চোখে পড়েছে এবং ভাল লেগেছে তাই আমার ভাল লাগা সবার প্রানে ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করলাম। আশা করি ভাল লাগবে। সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
তুমি বাড়ি যাও
–বিন্তী সরোবর
তুমি বাড়ী যাও, চিন্তা করোনা আমি ঠিকই ফিরবো;
স্বপ্নের দরজা বন্ধ করে চলে আসবো, আমি ফিরবো
নিষিদ্ধ গলিতে- আমার ঠিকানায়।
এবার বাড়ী যাও, স্বপ্নে হারাও
আমি ঠায় দাঁড়িয়ে পাহারা দেবো, তোমার
লাল-রং স্বপ্নে ফাগুন ঝরাবো; তুমি ভাসবে
কল্পনাতীত সৌন্দর্যে, হারাবে অবাস্তবে।
তুমি বাড়ী যাও, চিন্তা করোনা আমি ঠিকই ফিরবো;
স্বপ্নের দরজা বন্ধ করে চলে আসবো, আমি ফিরবো
নিষিদ্ধ গলিতে- আমার ঠিকানায়।
এবার বাড়ী যাও, স্বপ্নে হারাও
আমি ঠায় দাঁড়িয়ে পাহারা দেবো, তোমার
লাল-রং স্বপ্নে ফাগুন ঝরাবো; তুমি ভাসবে
কল্পনাতীত সৌন্দর্যে, হারাবে অবাস্তবে।
এক সময় নিজেকে অসহ্য মনে হবে,
মনে হবে জগতের সব সৌন্দর্যে বিষ মেখে দিয়েছে কেউ;
মনে পড়বে অতীত। তাড়া করে ফিরবে তোমাকে,
সাগরের ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়বে তোমার অস্তিত্বে।
অবশেষে,
তুমি জেনে যাবে আমি রয়েছি ঠায় দাঁড়িয়ে;
তুমি ফিরবে, যাত্রা বিলম্বে অস্থির হয়ে উঠবে…
তোমার আগমনী হাওয়া আমাকে ব্যাকুল করে তুলবে
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, আমি হারাবো। অতঃপর তুমি থাকবে-
ঠায় দাঁড়িয়ে পাহারা দিবে, আমার অদৃশ্য অস্তিত্বে বন্দী হবে।
__________
গ্রেনেড দিও, ফুল দিওনা
—আবু রায়হান সানন
গালে তিল আঁকা শ্যামবর্ণের মেয়েটি
নীল শাড়ি,নীল টিপে আকাশ সেজে থাকত
এক সন্ধ্যায় সে সবুজ শাড়ী,সবুজ টিপে
প্রকৃতি সেজে এলো
হাতে এক গুচ্ছ কাগজের ফুল নিয়ে।
আশ্চর্য রঙ্গিন(!) কাগজের ফুলগুলো
আমার ঘুণে ধরা হাতে গুজে দিয়ে কিছুদূর
হাত ধরে হাঁটল
তারপর সময়ের ঘোড়ায় চেপে রাত্রির
অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।
কাগজের ফুলগুলোতে কোন গন্ধ ছিলনা
তবু কেন কাঁটার আঘাতে আমার হাত রক্তাত্ব হল?
মেয়ে ভুল করে আর্জেস গ্রেনেড দিও কখনো ফুল দিওনা…
__________
একলা আকাশের রবি
—-উত্তম কুমার
আমার একলা আকাশে রবির স্পর্শ অনুভব করছি।
সেই রবি হয়তো ভোরের না হয় সাঁঝের হবে,
কারন সেই রবি স্পর্শটি- আমাকে ঘামে সিক্ত করছে না।
বরঞ্চ, প্রতি আলোক ঝাঁকে গায়ে লাগিয়ে দিচ্ছে হিম স্নিগ্ধতা।
তুমিই যে সেই রবি তা কি বুঝতে পেরেছ ?
তোমার সাথে মনের যোগে যে আমি কোমলতা পাই তা কি অনুভব করেছ?
চারিদিক ছেয়ে গেছে নিস্তব্ধতায় ।
কালের ঘণ্টা ঢং ঢং ঢং করে বাজচ্ছে শুনতে পেলাম হঠাৎ
একি ! আমার সময় যে ফুরিয়ে আসছে,
তোমায় পেয়ে, স্মৃতি থেকে সময়কে তাড়িয়েই দিয়েছিলাম
কিন্তু, এখন তো দেখছি সময় আমার পাশেই লুকিয়ে ছিল
কোথাও ছায়াসঙ্গীর মতো ।
এখন আবার আমার সামনে পাথরের মূর্তির মতো দাড়িয়ে আছে
হাত বাড়িয়ে।
কি বিচ্ছিরি দেখতে সে মূর্তি !
আমি তোমায় ছেড়ে যেতে পারব না হে প্রিয়তমা
রবি, তুমি সাঁঝের বেলা আমায় ছেড়ে ডুবে যেও না যেন,
করুন চোখে তোমার নিকট এই অনুরোধ করি।
দেখা না দেখায় তোমার তরে আমার ব্যকুলতা তা কি তুমি বুঝতে পেরেছ ?
ডাক বাক্সের কোণে তোমার জন্য আমার মায়া জড়িত চিঠির কথা কি জানতে পেরেছ ?
চারদিক থেকে আবার সেই নিস্তব্ধতা ।
মনে মনে ভাবি-
কোথাও সান্ত্বনা নেই পৃথিবীতে আজ।
শান্তি নেই।
সেই নিস্তব্ধতার ক্ষণ পরে হঠাৎ করে চুপি সারে,
কে যেন, কোকিল এর কণ্ঠে করে মৃদু স্বরে বার্তা পাঠাল।
রোদ বলেছে সে তোমারি হবে,
সকল আলো তোমারেই দিবে।
__________
চাই এক বর্গমাইল ‘তুই’
—সৌমেন রায়
প্রতিবার দুটি পথের বাকা লেন ধরে হাটছিস,
বড্ড একগুয়ে তো তুই!
কাজলে ঢেকে দৃষ্টির উপর থেকে ঐ কালো পর্দা সরিয়ে নে,
আড়চোখেই হোক, তাও একবার মন ফিরিয়ে
তোর জন্য প্রবল ঘৃনার আগুনে জ্বলা লাল চোখ ভাবছিস?
আড়ষ্ট দৃষ্টে দেখ, এ রক্তচক্ষু আমার ক্ষোভের না …
“দিনভর তোকে বুকে আগলে রাখতে চেয়েছি,
ঝিঝির কোরাসে কোমল চিবুকে শুধুমাত্রই আমার স্পর্শ,
স্পর্শ গন্তব্য খুঁজতে গিয়েও ফিরে আসে প্রবল বাঁধায়,
থেমে যায় শক্ত মুঠির বন্ধনে।
দুটি পথকে এক করে দুজনার এক পথে পা বাড়াবো।
আচ্ছা, তখনও কি তোর হাতে চায়ের পেয়ালা থাকবে?
একাকীত্বের চা যেন একটু বেশিই ভালোবাসিস!”
রাতভোর এই স্বপ্ন সমুদ্রে ভেসে ভেসে,
কত তারার সাথে যে গল্প করেছি তোকে নিয়ে,
একরোখা হাসির জেদে বাকাই রয়ে যায় চিবুকটা,
তবুও ভাঙ্গা পেন্সিলে অসংখ্যবার তোর স্কেচ এঁকেই তো চোখে রক্ত নামিয়েছি!
ভালো দেখছিওনা আর, কেমন যেন আবছা কালো ছায়া …
আর তুই ভাবিস এসবই আমার অভিশাপ!
আমি ঘৃনা চাইনা, মৃত্যু চাইনা,
চাই শুধুই আমৃত্যু তোর শিরা কাঁপিয়ে যাওয়া স্পর্শের অনুভূতি
আর এক বর্গমাইল ‘তুই’
মনটা আমার একদমই বুঝিস না …!
___________
?
—প্রান্ত ধর
আমার ভালবাসারা আজ সকল কিছু ছেড়ে-
প্রশ্নবোধকে এসে দাঁড়িয়েছে ।
থমকে রয়েছে সবাই ।
শর্তের তাড়নে আজ ওরা ভীত-সন্ত্রস্থ;
কাঁপছে ঠোঁট,
টলমল পা,
উত্তাল গতিতে বেড়ে চলেছে হৃদকম্পন
তিল পরিমান টলবার শক্তি নেই ।
শর্তরা সব লাশ খাওয়া শকুনের মত-
ঘিরে রেখেছে আমার ভালবাসাদের
এই টেনে নিল বলে অকাল গহ্বরে ।
নিস্পলক চোখ,
আড়ষ্ট হাত,
মস্তিস্কে দ্রুত ছড়াচ্ছে রক্ত
যেন আটকাবার বিন্দু মাত্র ইচ্ছা নেই ।
তা দেখে হাঁসছো তুমি;
অট্টহাঁসিতে ফেটে পড়ছে তোমার দেয়া শর্তরা ।
আর কাঁদছি আমি;
বুকফাটা কান্না আর হাহাকারে ফেটে পড়ছে
আমার ভীত-সন্ত্রস্থ ভালবাসারা ।
সবার মন্তব্য কামনা করছি। সবাইকে অনেক ভালবাসা এবং ধন্যবাদ।
সবগুলোই চমৎকার তবে ‘গ্রেনেড
সবগুলোই চমৎকার তবে ‘গ্রেনেড দিও,ফুল দিওনা’ লেখাটা বেশী আকর্ষণ করেছে :থাম্বসআপ:
ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই :ফুল: :ফুল:
ভাইরে একসাথে ২৮ টা রসগোল্লা
ভাইরে একসাথে ২৮ টা রসগোল্লা খেতে দিলে কি খেলাম কিছুই বুঝবো না …..একটা একটা করে খেতে দিলে ২৮ টাই ভালো লাগবে ….
আমি আপনার সামনে ২৮ টা
আমি আপনার সামনে ২৮ টা রসগোল্লা দিলাম। ২৮ টা ২৮ জাতের। এখন আপনি আস্তে ধীরে একটা একটা করে খান :ফুল: :ফুল: :ফুল:
ভালো লাগলো। “তুমি বাড়ি
ভালো লাগলো। “তুমি বাড়ি যাও”এটা বেশি ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম :ফুল: :ফুল:
চমৎকার লেগেছে…
চমৎকার লেগেছে…
ভাল লেগেছে জেনে সুখী হলাম
ভাল লেগেছে জেনে সুখী হলাম ম্যাজিক মুন্সী :ফুল: :ফুল:
অখ্যাত কবিদের কবিতার জন্য ই
অখ্যাত কবিদের কবিতার জন্য ই কবিতা শব্দটা এখনো টিকে আছে।প্রতিটাই সুন্দর হয়েছে
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভাল লেগেছে
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভাল লেগেছে জেনে খুশি হ্লাম :ফুল: :ফুল:
গ্রেনেড দিও, ফুল দিওনা
—আবু
সবচেয়ে চমৎকার ছিল এইটা… :মাথানষ্ট: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ:
আপনাকে নতুন করে ধন্যবাদ দেব না। একজন সত্যিকারের কবির সাথে পরিচিত হতে পেরে কৃতার্থ বোধ করছি… :ফুল: :ফুল: :ফুল: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ:
ধন্যবাদ ডন মাইকেল করলিওনি
ধন্যবাদ ডন মাইকেল করলিওনি সাহেব…ভালবাসা নিবেন :ফুল: :ফুল: :ফুল:
প্রিয়তে রাখলাম।এখন একটু
প্রিয়তে রাখলাম।এখন একটু ব্যস্ত।পরে পড়ে নেব।
আচ্ছা ভাই
আচ্ছা ভাই :ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল:
পড়লাম।
কী বলবো বুঝে উঠতে
পড়লাম।
কী বলবো বুঝে উঠতে পারছি না?
চমত্কার সব কবিতা।
আমার খুব হিংসে হচ্ছে!!কেন আমি এমন প্রেমের কবিতা লিখতে পারি না!!
‘তুমি বাড়ি যাও’ সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
প্রচার এবং পরিচিতির অভাবে
প্রচার এবং পরিচিতির অভাবে এদের কবিতার পাঠক কম, কথায় আছে প্রচারেই প্রসার। তুমিও পারবে এমন লিখতে- বেশি করে পড়, অনেক অনেক পড় :ফুল: :ফুল: :ফুল:
গ্রেনেড দিও, ফুল দিওনা
–
গ্রেনেড দিও, ফুল দিওনা
– দুর্দান্ত কবিতা । জাত কবিতা ! সত্যি অনেক ভালো লেগেছে কবিতাটি !!!
আমিও কবিতাটি পড়ে অনেক
আমিও কবিতাটি পড়ে অনেক উচ্ছ্বসিত হয়েছি রাহাত ভাই :ফুল: :ফুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল:
আবু রায়হান সানন,চমৎকার
আবু রায়হান সানন,চমৎকার লিখেছেন।এছাড়া সৌমেন রয়ের কবিতাটাও বেশ হয়েছে।দ্রুপদ দাদাকে ধন্যবাদ।
আসলে কি বলব, আমারও প্রত্যেকটী
আসলে কি বলব, আমারও প্রত্যেকটী কবিতাই খুব প্রিয় তাই তুলে ধরলাম। আর আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে এই কবিতার মালিকদের দুইজন আমার ছোট ভাই, আর দুইজন আমার বড় ভাই। গর্বিতই মনে করি নিজেকে :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল:
অসাধারন কবিতা।
অসাধারন কবিতা।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ :ফুল: :ফুল: