অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে- “সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সহ অন্যদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রত্যাহার করা উচিত বাংলাদেশের।” খুব জোরালো এই দাবীর পক্ষে বিপক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেকেই বলছেন। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভূয়সী প্রশংসা করছে আর অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিগুলো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং মৌলবাদী গোষ্ঠীর সমর্থন করায় তীব্র নিন্দা করছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে- “সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সহ অন্যদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রত্যাহার করা উচিত বাংলাদেশের।” খুব জোরালো এই দাবীর পক্ষে বিপক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেকেই বলছেন। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভূয়সী প্রশংসা করছে আর অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিগুলো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং মৌলবাদী গোষ্ঠীর সমর্থন করায় তীব্র নিন্দা করছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
অ্যাবোলিশনিজম দর্শনে বিশ্বাস করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অধিকাংশ দেশই “অ্যাবোলিশনিস্ট” অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড বিলোপের পক্ষপাতী। মৃত্যুদণ্ড হল আইনি পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তিকে শাস্তিস্বরূপ হত্যা করা। অতীতে প্রায় সকল দেশেই মৃত্যুদণ্ড প্রথা প্রচলিত ছিল। বর্তমানে বিশ্বের ৯৫টি দেশ এই প্রথা অবলুপ্ত করে দিয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে চায়না, ইরান, সৌদি আরব, ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র, ইয়েমেন, দক্ষিন কোরিয়া, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, আফগানিস্থান, মালয়শিয়া, সিরিয়া প্রভিতি দেশসমূহে এখনো এই অমানবিক মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে সব থেকে বেশি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সব সময় এই দেশগুলোকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা থেকে বের হয়ে আসার তাগিদ দিচ্ছে। আর এই তাগিদের ফলশ্রুতি হিসেবেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক যুদ্ধ অপরাধের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিরুদ্ধে ভয়েস রেইজ করছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কোন ধরণের বিরোধী মতের প্রচারণার ফলে অথবা মৌলবাদী পক্ষাবলম্বন করার ফলে এআই এই মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলছে আমার তা মনে হচ্ছে না।
অ্যাবোলিশনিস্ট মুভমেন্ট পোস্টার
দার্শনিকভাবে যে প্রশ্ন গুলো মাথায় আসে তা হলো, মৃত্যুদণ্ড কি অমানবিক নয়? মৃত্যুদণ্ড কি সমর্থনযোগ্য? এই বিষয়ে সতন্ত্র কিছু চিন্তা আছে আমার। আমিও আমার দার্শনিক অবস্থান থেকে মানবতাবাদী হিসেবে অবশ্যই একজন অ্যাবোলিশনিস্ট তবে কৌশলী। কৌশলগত দিক থেকে আমি একটু অন্যরকম ভাবে অ্যাবোলিশনিজম ইমপ্লিমেন্ট করতে চাই। সেটা নিয়ে নিম্নে সংক্ষেপে আলোকপাত করছি-
ছোটকালে আমাদের স্কুলে স্যাররা বেত নিয়ে আসতো ক্লাসে এবং পড়া না পারলে মারধোর করতো। এখন বেত নেয়া নাকি নিষিদ্ধ এবং মারধোর অমানবিক। হ্যাঁ বেত্রাঘাত অমানবিক হলেও তারপরও আমি বেত নিয়ে ক্লাসে আসা সমর্থন করি। এবং মাঝের মধ্যে দুএকজন চরম স্তরে বখে যাওয়া ছাত্রকে বেত্রাঘাত করাও সমর্থন করি। এটা হবে অন্যে ছাত্রের জন্য দৃষ্টান্তমূলক এবং একমাত্র চরম ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার হবে।
অনুরূপভাবে একটি দেশে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড চালু রাখা উচিত সেটা যতই অমানবিক হোক। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার যত সম্ভব কম করাই ভালো। এবং সুপ্রিম অপরাধের জন্য অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক হিসেবে এই মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এই অপরাধ আর কেউ না করতে পারে।
অ্যাবোলিশনিস্ট মুভমেন্ট মোটিভেশন
এইবার প্রশ্ন হলো, দেলু সাইদি, সাকা চৌ, কসাই কাদেররা এই রকম সুপ্রিম অপরাধ করেছে কিনা যাতে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া যায়? বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা জানি তারা এই রকম সুপ্রিম অপরাধ করেছে যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে অন্য কিছু দেয়াই বরং অমানবিক মনে হয়। তাই একজন অ্যাবোলিশনিস্ট হয়েও আমি এদের মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে একজন বাংলাদেশী অ্যাবোলিশনিস্ট হিসেবে প্রত্যাশা করি মানবিকতার প্রেক্ষাপট অনুধাবন করে অ্যাবোলিশনিস্ট হয়েও কৌশলগত কারণেই মৌনতা অবলম্বন করবেন তারা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সব
এইটাও মনে হয় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতো কেস।স্বচ্ছতার মতোই মানবিকতা ফলাতে এসেছে।
আমি মানুষের মৃত্যুতে কাঁদি।
আমি মানুষের মৃত্যুতে কাঁদি। পিশাচের মৃত্যুতে নয়…
(No subject)
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
এই বিষয়ে একটু বিস্তারিত
এই বিষয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনার দরকার আছে।
লাদেন হত্যাকান্ডের বিরোধীতা: অ্যামনেস্টি লাদেন হত্যাকান্ডেরও বিরোধীতা করেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো এইটা জানেন না। লাদেনের হত্যাকান্ডে বিশ্বমানবতা যেমন খুশি হয়েছিলো ঠিক সেভাবে অ্যামনেস্টির মত মানবাধিকারের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাদেনকে বিচারের আওতায় নিয়ে আনতে চেয়েছিলো। এইটা অবশ্য ঠিক যে, লাদেনকে আদালতে নিয়ে আসা উচিত ছিলো। সেখানেই ওর ফাঁসির দন্ড দেয়া উচিত ছিলো। কিন্তু অযামনেস্টি লাদেনের মত জঙ্গিকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিপক্ষে! ২৪ মে, ২০১২ তারিখে ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার চুম্বক অংশ দেখে নিন।
অর্থাৎ, তারা লাদেনের মৃত্যু সমর্থন করতে পারছেনা। তাদের মানবতা (!) এতই উন্মুক্ত যে একটা বিশ্বস্বীকৃত খুনিকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিরুদ্ধে।
সাদ্দাম হোসেন সহ আরো বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের কি কর্মকান্ড ছিলো তা আমি জানতে পারিনি এখনো। যদি জানি তাহলে আপনাদেরও জানাবো।
কিছু ফ্লাশব্যাক দেখে নিন আগে: প্রথমে তাদের সাম্প্রতিক খুনোখুনি (যেমন সাগর রুনি, বিশ্বজিৎ) যুক্তির
জবাব দেই। বাংলায় একখানা প্রবাদ আছে: সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সারা দেশ যখন একাট্টা তখন বলব, এটাই সময় এই বিচার সেরে নেয়ার। নয় তো হাত ফস্কে গেলে আরো ৪০ বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। সেসময় ‘দশ ফোঁড়’ দিয়েও বিচারের খাতায়
অপরাধীদের গাঁথা যাবে না। ফৌজদারি মামলার যেসব ঘটনার কথা ‘তাহারা’
বলছেন, ‘তাহাদের’ বোঝা উচিৎ যুদ্ধাপরাধ আর ফৌজদারি অপরাধ এক চিজ নয়। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামি যা করেছে তা হলো সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত ভাবে, আদর্শিক জায়গা থেকে এদেশের মানুষকে খুন ও ধর্ষণ, বুদ্ধিজীবীদের গুমহত্যা।
এখন আসি অ্যামনেস্টি ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সম্পর্কে। ‘দুষ্টু’ লোকেরা বলে, পশ্চিমা বিশ্বের মানবতার ‘কণ্ঠস্বর’ নাকি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আর হোয়াইট হাউজের ‘চোরা মুখপাত্র’ নাকি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তো তাদের যে অবস্থান, ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বিরুদ্ধে, এর জবাবে কিছু ঘটনা তাদের ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মনে করিয়ে দিতে চাই। দুনিয়ায় দুই নম্বর বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির নুরেমবার্গ শহরে একখানা বিচার বসে। সেখানে নাৎসি বাহিনীর নেতাদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ গঠন ও তাদের বিচার করে ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগগুলো ছিল মূলত চার প্রকারের। সে যাই হোক, ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল এই বিচারের অধিকার পায় ১৯৪৫ সালের ৮ই আগস্ট লন্ডনে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির মাধ্যমে। সেই ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ফ্রান্সের প্রাদেশিক সরকারের প্রতিনিধিরা। যাতে যুৎসই করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যায়। পরে আরও ১৯টি দেশ চুক্তিকে প্রতি সমর্থন জানায়। এই বিচারে ১২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে ট্রাইবুনাল। এই ১২ জনের মধ্যে ১০ জনকে ১৯৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর ফাঁসির
রজ্জুতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করা হয়। বাকি দুয়ের মধ্যে মার্টিন বোরম্যান নাম্নী নাৎসি নেতা পলাতক ছিলেন। আর হারম্যান গোরিং বিচার শুরুর সপ্তা যেতে না যেতেই আত্মহননের পথ বেছে নেন। এইসকল ঘটনা এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটেনিকা শুদ্ধ নয়, সকল প্রামাণিক দলিলেই
প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। ঐ নুরেমবার্গ বিচারে পলাতক বোরম্যানের
সঙ্গে আমাদের বাচ্চু রাজাকারের মিল পাওয়া যায়।
এখন প্রশ্ন পশ্চিমারা যারা এখন মানবাধিকার, ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বিরুদ্ধে কথা বলছে, কোথায় ছিলো তাদের এই বিচার সেই নুরেমবার্গ বিচারের সময়? কারণ যার যায় সেই বোঝে- স্বজন হারানোর বেদনা, ধর্ষিত প্রিয়জনের কষ্ট, বাস্তুচ্যুত হওয়ার ব্যথা। পশ্চিমারা তখন যেমন বুঝতে পেরেছিলেন নাৎসিদের নৃশংসতা, ঠিক তেমনি করে ১৯৭১ সালে দেশীয় রাজাকারদের নৃসংশতাও তারা বুঝতে পারবেন বলে আশা করি। এটা ঠিক, তারা যুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিচার সম্পন্ন করেছিলো, আমাদের দেরী হয়েছে ৪০
বছরেরও বেশী, কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে কি অপরাধ কমতে থাকে? এই প্রশ্নোবোধক চিহ্ন পশ্চিমাদের প্রতি, এই প্রশ্নবোধক চিহ্ন ‘তাহাদে’র প্রতি, ‘যাহারা’ রাজাকারদের নিজেদের গুরু বলে বোধ করেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি: ইউরোপীয় কমিশনের বৈদেশিক সম্পর্ক দপ্তরের বাংলাদেশ ডেস্কের মহাপরিচালক মিসেস ড. জেনোডেভা জেরনালদেজ সফররত বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং বাসুগ ও আইসি ডিবি’র প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন।এই বৈঠক হবে মি:ডেভিড তিরের সঙ্গে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ নিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের যে ইউনিট রয়েছে মি ডেভিড তির হলেন সে ইউনিটের প্রধান। ইউরোপীয় কমিশনের নিজস্ব ভবনে তাঁর দপ্তর। ইসলামের ধুয়া তুলে এই গণহত্যা চালানো হয়েছিল, হিজবুত তাহেরি নামের এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠী আবারও বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধর্ম নিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করার কাজে নেমেছে। এতে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বিনষ্ট হবে। অতি সম্প্রতি ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হলো। বাংলাদেশে এই হিজবুত তাহেরিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে তারা খুবই সক্রিয়। এমন কি তাদের প্রধান কার্যালয়ও স্থাপিত হয়েছে লন্ডনে। তারা যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। লর্ড কার্লাইলকে এটা জানানো হয়েছে। তাঁরা আশ্বস্ত করে বলেছেন যে বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকারের গোচরে আনবেন এবং এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলবেন। আমরা কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছিনা, সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার দাবি জানিয়ে যাচ্ছি। নুরেমবার্গ ট্রায়ালে যদি গেস্টাপোর মতো সংগঠনের বিচার হতে পারে তাহলে জামায়াতেরবিচার হতে পারবে না কেন? ২০১২ সালের জুন মাসে যুক্তরাজ্যে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্মেলন হবে। এ পর্যায়ে মিসেস জেনোডেভা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে একটা আঞ্চলিক আইন প্রয়োগ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম বলতে ওঠেন। তিনি বলেন, এর বিচার কাজের
প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং গণতান্ত্রিক। নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালে আপিলের কোন বিধান ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের যে কারো বিচারের চূড়ান্ত পর্যায়ে আপিলের অধিকার রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য কর্তব্যের মধ্যে নিরপেক্ষ বিচারের নিশ্চয়তা বিধানের দায়িত্ব ও রয়েছে। কিন্তু জামায়াত তার লবিস্টরা উভয়েই দেশে বিদেশে ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে, সাঈদী (পিরোজপুর) নিজামী (পাবনা) , মুজাহিদ (ফরিদপুর) ও সালাউদ্দিন কাদের (রাউজান) এর যুদ্ধে স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্ত এবং সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। উল্টো অপরাধীরা বলে যাচ্ছে যে তারাই হুমকির সম্মুখীন। এ প্রসঙ্গে জনাব মালুম তাঁর ভাষায়
জামায়াতের নিযুক্ত যুক্তরাজ্যে আইনজীবী ক্যার্ডমান ও বাংলাদেশের নিউজের সাংবাদিক নুরুল কবির ট্রাইব্যুনাল বিরোধী প্রচারাভিযান
চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি বিল পাস
করিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল এবং পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হয়ে পাকিস্তান
সেনাবাহিনীর এদেশীয় অনুচরদের যথোচিত
শাস্তি দানের জন্য প্রণীত কোলাবরেটর আইন
বাতিল করা হয়েছিল সেখানে বিএনপি ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
প্রক্রিয়া যে বাতিল হয়ে যাবে সে তো জানার কথা।
এইবার আমার কথা: একটা ব্যাপার প্রায় সুনিশ্চিত ভাবে বলা যায়, এসব কিছুই মূলত একই সূতোয় গাঁথা। বাংলাদেশ যেখানে স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে এই হায়েনাদের একটা উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছে তখন উটকো মানবতাবাদীদের আগমন হচ্ছে। একটু খেয়াল করে দেখুন তো, এইসব বিদেশী পরাশক্তিদের বিরোধীতায় জামাতের শক্তিও বেড়ে যাচ্ছে ভালোভাবেই। তারউপর জামাত নিষিদ্ধ না করার দাবী নিয়ে এসেছে অ্যামনেস্টি। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের কু ক্ল্যাক্স ক্লান সংঘ নিষিদ্ধের ব্যাপারে তারা নিশ্চুপ!! তো কেন এইরকম বিরোধীতা? জামাতিদের এখানে হাত আছেই। একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে অ্যামনেস্টির মত মানবতাবাদী সংগঠন নিশ্চুপ ছিলো এমনকি কেন তারা তখন নিশ্চুপ ছিলো সে যুক্তি তারা না দেখাতে পারলেও আমরা সবাই জানি কারণ দুই বৃহৎ পরাশক্তি আমেরিকা ও চীন বিরোধীতা করেছিলো আমাদের স্বাধীনতার। এতসব বাধা পেরিয়েও আমরা ধীরে ধীরে উন্নতির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করছি। আমরা একতাবদ্ধ হয়েছি জাতীয়তা বাদের অগ্নশিখায়।
আমি বাংলার গর্বে গর্বিত, আমি বাঙালি। আমি গর্বিত, আমি বাঙালি। গো, অ্যামনেস্টি অ্যান্ড ফাক ইয়োরসেলভস, ইউ আর ড্রাঙ্ক। 16 ক্রোর মিডল ফিঙ্গার ইজ গিভেন অন বিহাফ অব দ্য পিপল অব বাংলাদেশ। উই উইল হ্যাং দোজ, এনিমেলস। উই হ্যাভ নো টাইম টু গিভ অ্যা ফাক, অ্যান্ড উই স্টিল ডোন্ট গিভ অ্যা ফাক।
ইলেক্ট্রন ভাই, আপনার
ইলেক্ট্রন ভাই, আপনার মন্তব্যগুলো ছাপিয়ে ঘরে বাধাই করে রাখার মত। হ্যাটস অফ!
যে মানবতা ত্রিশ লাখ মানুষের মৃত্যুর সময়ে চুপ থাকে, আর একটা পিশাচের মৃত্যুতে গর্জে ওঠে, সেই মানবতার মুখে আমি থুথু মারি।
আপনাদের অনুপ্রেরনাই আমার
আপনাদের অনুপ্রেরনাই আমার ঘূর্নন শক্তির উৎস। :বুখেআয়বাবুল:
(No subject)
:তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া:
যে মানবতা ত্রিশ লাখ মানুষের
কোন কথা হবে না, শুধুই :bow: :bow: :bow: :তালিয়া: :তালিয়া: :বুখেআয়বাবুল:
সহমত…
অ্যামনেস্টি
সহমত…
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল -কে বলছি আপনারা কাদের জন্য মানবিক দাবী নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছেন? এদেরকে আমরা বাঙালীরা মানুষ মনে করি না।। তাই এইসব হায়েনা-জানোয়ারদের মৃত্যুদণ্ডই কাম্য…
সোজা কথা কোন প্যাঁচ নাই, বাঙালীর সাফ কথা জানোয়ারদের কোন মানবাধিকার নেই-থাকতে পারে না… দুঃখিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল; আপনারা এখনও মানুষ চিনেন না!!
আমি বাংলার গর্বে গর্বিত, আমি
আমি বাংলার গর্বে গর্বিত, আমি বাঙালি। আমি গর্বিত, আমি বাঙালি। গো, অ্যামনেস্টি অ্যান্ড ফাক ইয়োরসেলভস, ইউ আর ড্রাঙ্ক। 16 ক্রোর মিডল ফিঙ্গার ইজ গিভেন অন বিহাফ অব দ্য পিপল অব বাংলাদেশ। উই উইল হ্যাং দোজ, এনিমেলস। উই হ্যাভ নো টাইম টু গিভ অ্যা ফাক, অ্যান্ড উই স্টিল ডোন্ট গিভ অ্যা ফাক।
আপনার ঘূর্ণন শক্তির প্রেরণা যাই হোক!! ইয়উ গায়েজ আর জাস্ট রকিং…
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :bow: :bow: :bow: :bow: :রকঅন: :রকঅন: :রকঅন: :রকঅন: :রকঅন: :রকঅন: :রকঅন: :রকঅন: :রকঅন: :রকঅন: :রকঅন: :রকঅন: :salute: :salute: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি:
16 ক্রোর মিডল ফিঙ্গার ইজ
:তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া: :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: 😀 :নৃত্য: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :গোলাপ:
ধন্যবাদ ইলেকট্রন ভাই ।আপনি
ধন্যবাদ ইলেকট্রন ভাই ।আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে অসাধারাণ যুক্তিতে অ্যামনেষ্টির কালচারকে তুলে ধরেছেন ।আপনার মন্তব্যটি একটি ব্লগ পোস্টের যোগ্যতা রাখে ।
মৃত্যুদন্ড খুবই অমানবিক। আমি
মৃত্যুদন্ড খুবই অমানবিক। আমি চরমভাবে এর বিপক্ষে। আমিও ভাবছি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এই আন্দোলনে সকৃয়ভাবে অংশগ্রহন করবো। তবে কিনা সাইদি, দেলু, সাকা, কাদু মোল্লা গং এর ফাঁসি উৎসব উদ্যাপন করার পর। উল্লেক্ষ্য ফাঁসি উৎসবে আপনারা সপরিবারে আমন্ত্রিত।
ফাঁসি উৎসবে আপনারা স্বপরিবারে
ফাঁসি উৎসবে আপনারা স্বপরিবারে আমন্ত্রিত…
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: 😀 😀 😀 😀 :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :পার্টি: :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া:
হ… জানোয়ারের
হ… জানোয়ারের :তুইরাজাকার: :তুইরাজাকার: :তুইরাজাকার: ফাঁশিতে সবাইকে নিমন্ত্রন… :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :ভেংচি: :ভেংচি: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য:
হালাল আলালদের এখন কি হবে??? :চোখমারা: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: 😀 😀 😀
(No subject)
:অপেক্ষায়আছি: :অপেক্ষায়আছি: :অপেক্ষায়আছি:
ভাল লিখেছেন।
ভাল লিখেছেন।