আমি কেন রামপাল সমর্থিন করতে পারছিনা তার বিস্তারিত বর্ণনা নিচে দিলাম। কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দিই।
প্রথমেই জেনে নিই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কিছু বেসিক কথা:
কয়লা বিদ্যুৎ বর্তমানের বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম। সারা বিশ্বে বিদ্যুতের ৪৭% কয়লা বিদ্যুৎ। প্রথমেই দেখে নিন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র কোন দেশে কি পরিমান পাওয়ার সাপ্লাই দিচ্ছে। সাউথ আফ্রিকা ৯৩%, পোল্যান্ড ৮৭%, চীন ৭৯%, অস্ট্রেলিয়া ৭৮%,
আমি কেন রামপাল সমর্থিন করতে পারছিনা তার বিস্তারিত বর্ণনা নিচে দিলাম। কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দিই।
প্রথমেই জেনে নিই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কিছু বেসিক কথা:
কয়লা বিদ্যুৎ বর্তমানের বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম। সারা বিশ্বে বিদ্যুতের ৪৭% কয়লা বিদ্যুৎ। প্রথমেই দেখে নিন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র কোন দেশে কি পরিমান পাওয়ার সাপ্লাই দিচ্ছে। সাউথ আফ্রিকা ৯৩%, পোল্যান্ড ৮৭%, চীন ৭৯%, অস্ট্রেলিয়া ৭৮%,
কাজাকাস্তান ৭৫%, ভারত ৬৮%, ইসরাঈল ৫৮%, মরক্কো ৫১%, গ্রিস ৫৪%, আমেরিকা ৪৫%, জার্মানি ৪১%। ওয়ার্ল্ড কয়েল অ্যাসোসিয়েশান কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেকানিজমের উন্নতি সম্পর্কে নিম্মোক্ত বিবৃতি দেয় যা আসলেই ইমপ্রেসিভ এবং কয়লা বিদ্যুতের প্রতি আগ্রহ তৈরী করে:
Efficiency improvements include the most cost-effective and shortest lead time actions for reducing emissions from coal- fired power generation. This is particularly the case in developing countries where existing power plant efficiencies are generally lower and coal use in electricity generation is increasing. Not only do higher efficiency coal-fired power plants emit less carbon dioxide per megawatt (MW), they are also more suited to retrofitting with CO2 capture systems.
এইবার বলি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতি সম্পর্কিত কিছু কথা:
প্রথমেই এই লিঙ্কটা ঘুরে আসুন। খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে সবকিছু। http://ucsusa.org/clean_energy/coalvswind/c02c.html
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫ থেকে ২০ কিমি এর মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়না। ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দর বন থেকে মাত্র ১৪ কিমি দূরে যা সরকার নির্ধারিত সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিমি এনভাইরনমেন্টালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া(ইসিএ) থেকে ৪ কিমি বাইরে বলে নিরাপদ হিসেবে দাবী করা হয়েছে। অথচ যে ভারতীয় এনটিপিসি বাংলাদেশে সুন্দরবনের পাশে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে সেই ভারতেরই ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশান অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৫ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন বাঘ/হাতি সংরক্ষণ অঞ্চল, জৈব বৈচিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল, জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য কিংবা অন্যকোন সংরক্ষিত বনাঞ্চল থাকা চলবে না। অর্থাৎ ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসিকে বাংলাদেশে সুন্দরবনের যত কাছে পরিবেশ ধ্বংস কারী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে দেয়া হচ্ছে, তার নিজ দেশ ভারতে হলে সেটা করতে পারতো না! আবার সুন্দরবন থেকে দূরত্ব আসলেই ১৪ কিমি কিনা সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে, অনেকেই বলছেন সুন্দরবন থেকে আসলে দূরত্ব ৯ কিমি। খোদ ইআইএ রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে প্রকল্পের স্থানটি একসময় একেবারে সুন্দরবনেরই অংশ ছিল, সেটলার
বা বসতি স্থাপনকারীরা বন কেটে আবাসভূমি তৈরী করেছে:
“The area is about 14 km northeastwards from the Nalian Range
of Sundarbans. Once it was a part of Sundarbans but had been evacuated by the settlers.”(ইআইএ, পৃষ্ঠা ২০৮)
রামপাল নিয়ে আরো কিছু কথা: রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৮৩৪ একর কৃষি, মৎস চাষ ও আবাসিক এলাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে যদিও ভারতে একই আকারের একটি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৭৯২ একর যার বেশির ভাগটাই এক ফসলি কিংবা অনুর্বর পতিত জমি। (রায়গড় ইআইএ, এক্সিকিউটিভ সামারি, পৃষ্ঠা ১)। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্ট
অনুসারে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার(১৮৩৪ একর) ৯৫ শতাংশই কৃষি জমি ও চারপাশের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের এলাকার (স্টাডি এলাকা) ৭৫ শতাংশ কৃষি জমি যেখানে নিম্নোক্ত হারে চিংড়ি অথবা ধান সহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করা হয় (পৃষ্ঠা ১৩৫, ১৯৪, ১৯৭, ১৯৮, ২০৪) :
★ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয়;
★ ধান ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়;
★ প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩/৪টি গরু, ২/৩টি মহিষ, ৪টি ছাগল, ১টি ভেড়া, ৫টি হাস, ৬/৭টি করে মুরগী পালন করা হয়;
★ ম্যানগ্রোভ বনের সাথে এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এলাকাটি স্বাদু ও লোনা পানির মাছের সমৃদ্ধ ভান্ডার। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খাল ও নদীর নেটওয়ার্ক জৈব বৈচিত্র ও ভারসাম্য রক্ষা করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৫২১৮.৬৬ মেট্রিক টন এবং প্রকল্প এলাকায় (১৮৩৪ একর) ৫৬৯.৪১ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়।
এইবার দেখে নিন কিছু ছবি: বন থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূরত্ব নিয়ে অনেকে সন্দেহ করতেছেন। এই ছবিটা দেখে নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি মানচিত্র দেখুন। এইখানে যুক্তরাষ্ট্রে কয়লা বিদ্যুতের ফলে নির্গত বিষাক্ততার চিত্র দেখানো হয়েছে।
অনেকে কয়েকটা ছবি দেখিয়ে ত্যানা প্যাঁচাচ্ছেন যে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশেই কি সুন্দর সবুজ রঙের গাছপালা! ভুল সবই ভুল। শুধুমাত্র কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীদের কথা মাথায় রেখে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে বাতাসে অক্সিজেনের ঘনমাত্রা বাড়ানোর জন্য কৃত্তিম ক্ষুদ্র বন তৈরী করা হয় ঠিক বন বললে ভুল হবে। কিছু গাছপালা লাগানো হয়। এই ছবিটি দেখুন তো। এই ছবিতে গাছপালা গুলোকে কি আপনার কাছে বন বলে মনে হচ্ছে? এটি ভিয়েতনামের থাই বিল কোয়াল প্লান্ট।
এই ছবিটি দেখুন তো। এখানে কোথাও বনাঞ্চলের চিহ্ন দেখতে পান?
ভারতের সাতপুর নিয়ে অনেকে অনেক কিছু প্রমান করতে চাচ্ছেন। আমি এত কথা শুনবো না। জাস্ট, আমাকে রেফারেন্স দেখান পৃথিবীর কোন যায়গাতে একটা মেইনস্ট্রীম বনের পাশে এইরকম একটা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে? আপনি অনেক ছবি দেখাইতে পারবেন যেখানে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে! কিন্তু কোথাও কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে একটা দেশের প্রধান বনভূমি দেখাতে পারবেন না।
এইবার আরেকটু গভীরে যাই:
★ ক্ষতিকর সালফার ও নাইট্রোজেন গ্যাস:
ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2) ও ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড(NO2)
নির্গত হবে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত গ্যাস সুন্দরবনের বাতাসে SO2 ও NO2 এর ঘনত্ব বর্তমান ঘনত্বের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়ে গোটা সুন্দরবন ধ্বংস করবে।
★ কার্বন ডাই অক্সাইড এর প্রভাব: প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যাবহারে ঢাক ঢোল পেটানো হচ্ছে। রিপোর্ট অনুসারে এই প্রযুক্তি ব্যাবহারের ফলে সাধারণ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড কর্ম নির্গত হবে। ৮০% লোড ফ্যাক্টর ধরে প্রতিবছর কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণের পরিমাণ হবে ৭৯ লক্ষ টন। সুন্দরবনের পরিবেশের উপর যে কোনো প্রভাব পড়বে না তা নিশ্চিত হব কিভাবে??
★ ৪) পানি দূষণ: যতই পরিশোধনের কথা বলা হউক, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানি নির্গমন হলে তাতে বিভিন্ন মাত্রায় দূষণকারী উপাদান থাকবেই যে কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেলায় ‘শূণ্য নির্গমণ’ বা ‘জিরো ডিসচার্জ’ নীতি অবলম্বন করা হয়। যে এনটিপিস রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে, সেই এনটিপিসি যখন ভারতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে তখন ‘জিরো ডিসচার্জ’ নীতি অনুসরণ করে যেমন: ভারতের ছত্তিশগড়ের রায়গড়ের কাছে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে :
“Zero Discharge concepts will be followed”. (রায়গড় ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ, এক্সিকিউটিভ সামারি, পৃষ্ঠা ই-১২ ).
অথচ রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে:
“After treatment, effluent shall be discharged to the Passur River
at a rate of 100 m3/hr. Effluent quality shall be monitored at different stage of discharge and intake.”
অর্থাৎ “পরিশোধন করার পর তরল বর্জ্য বা ইফ্লুয়েন্ট ঘন্টায় ১০০ ঘনমিটার হারে পশুর নদীতে নির্গত করা হবে। পানি নির্গমন ও গ্রহণ করার প্রতিটা স্তরেই ইফ্লুয়েন্টের গুনাগুনের উপর নজর রাখা হবে।“
আবার অন্যত্র বলা হয়েছে:
“To meet the water demand for plant operation, domestic water, environmental management 9,150 m3/hr (equivalent to 2.54 m3/s) surface water will be withdrawn from the Passur river and after treatment water shall be discharged back to the Passur river at the rate of 5,150m3/hr.”
অর্থাৎ “প্ল্যান্ট পরিচালনা, ঘরোয়া ব্যাবহার, পরিবেশগত ব্যাবস্থাপনা ইত্যাদি কাজে পশুর নদী থেকে ঘন্টায় ৯১৫০ ঘনমিটার পানি সংগ্রহ করা হবে এবং পরিশোধন করার পর পানি পশুর নদীতে ঘন্টায় ৫১৫০ ঘনমিটার হারে নির্গমন করা হবে।“
ঘন্টায় ১০০ ঘনমিটার বা ৫১৫০ ঘনমিটার যাই হোক, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানি নির্গমন করা হলে নির্গত পানির তাপমাত্রা, পানি নির্গমণের গতি, পানিতে দ্রবীভূতি নানান উপাদান বিভিন্ন মাত্রায় পানি দূষণ ঘটাবে যা গোটা সুন্দরবন এলাকার পরিবেশ ধ্বংস করবে।
ভারতে অনুমোদন করা হয়নি এই প্রকল্প:
প্রস্তাবিত রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্টের এই সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা থেকে স্পষ্ট যে, ইআইএ রিপোর্টে ভুল মানদন্ড ব্যাবহার, ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দেখানো, কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতির মাত্রার কোন পর্যালোচানাই না করা, ‘হতে পারে’, ‘না হওয়া সম্ভাবনাই বেশি’, ‘সুযোগ কম’ জাতীয় বিশেষণ ব্যাবহার করে ক্ষতির মাত্রাকে হালকা ভাবে উপস্থান ইত্যাদির মাধ্যমে সুন্দরবনের পাশে ১৩২০ মেগাওয়াটের এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে জায়েজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা স্বত্ত্বেও, এরপরও খোদ ইআইএ রিপোর্টে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, পরিচালানা ও কয়লা পরিবহনের ফলে সুন্দরবনের উপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে এমন সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে যা প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পকে পরিবেশগত বিবেচনায় অগ্রহণযোগ্য বিবেচনা করার জন্য যথেষ্ট।
বস্তুত, এর চেয়ে আরো সামান্য কারণে খোদ এনটিপিসিরই ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত অনুমোদন দেয় নি ভারতের কেন্দ্রীয় গ্রীণ প্যানেল। গত ৮ অক্টোবর ২০১০ তারিখে ভারতের দ্যা হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত NTPC’s coal-based project in MP turned down বা ‘মধ্যপ্রদেশে এনটিপিসির কয়লা ভিত্তিক প্রকল্প বাতিল’ শীর্ষক খবরে বলা হয়: জনবসতি সম্পন্ন এলাকায় কৃষিজমির উপর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্রহনযোগ্য হতে পারে না বলে ভারতের কেন্দ্রীয় গ্রীন প্যানেল মধ্যপ্রদেশে ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন(এনটিপিসি) এর ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়নি। অথচ বাংলাদেশে সেই এনটিপিসিকে ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে সুন্দরবনের মতো সংরক্ষিত একটি বনাঞ্চল, কৃষি জমি, স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকার উপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাবগুলো তোয়াক্কা না করেই।
এইবার আমার কথা: প্রথমেই বলে রাখি, কয়লা বিদ্যুৎ নির্মানের আরো বিকল্প আছে কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প আর নেই। হ্যাঁ, বিদ্যুৎ আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন। আমাদের এখনো অনেক বিশাল জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি, কিন্তু কিছুতেই এত সুন্দর একটা পরিবেশকে ধ্বংস করে নয়। সুন্দরবনে বাংলাদেশের বৃহত্তম ইকোসিস্টেম রয়েছে। আমি একদমই মানতে পারছিনা যে রামপালের কোনো প্রভাব সুন্দর বনের উপর পড়বে না। সুদূর পাশ্চাত্যের কার্বন নিঃসরণ যদি অ্যান্টার্টিকার বরফ গলিয়ে দিতে পারে, তবে রামপালের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র যে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের সতীত্ব নষ্ট করবেনা এইটা মানি না।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: কল্লোল মোস্তফা
তথ্যসূত্র:
♠ http://m.ucsusa.org/clean_energy/coalvswind/c02c.html
♣ http://www.bpdb.gov.bd/download/coal_EIA_report_rampal_khulna/EIA%20of%202x%20(500-660)%20MW%20Coal%20Based%20Thermal%20Power%20Plant%20at%20Rampal%20in%20Bagerhat%20District%20Khulna.pdf
♣ http://www.indiaenvironmentportal.org.in/files/JSW%20-Executive%20Summary.pdf
♣ http://www.thehindu.com/news/national/article819873.ece
♣ wikipedia
♣ http://cop0.wordpress.com/2013/05/28/the-environmental-impact-of-the-construction-of-the-coal-power-plant-near-sundarbans-rampal-iaie-analysis/
♣ http://www.infraline.com/Search/Sub-Standard+Coal+Supply+To+Satpura+Thermal+Power+Plant
রামপালের ১৩২০ মেগাওয়াট
রামপালের ১৩২০ মেগাওয়াট ইলেকট্রিসিটি পুরাটাই বাংলাদেশ পাবে ।ইন্ডিয়া তাদের ৬১০ মেগাওয়াট বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করে দিবে এবং এটা লাইফ টাইম চলতে থাকবে ।আমরা যদি ১৩২০ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রীডে যোগ করতে পারি তাহলে দেশের ৭% মানুষ অর্থাৎ ৭০ লক্ষ লোক নতুন করে ইলেকট্রিসিটি পাবে যা দেশের জিডিপি বাড়াবে ০.৬% অর্থাৎ ৭.৩% ।আর অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে দুই দেশই থাকবে ।এক বছর বাংলাদেশ এমডি থাকলে ইন্ডিয়া চেয়ারম্যান থাকবে এবং পরের বছর বাংলাদেশ চেয়ারম্যান হবে আর ইন্ডিয়া হবে এমডি ।
রামপালের জন্য কয়লা আমদানি করা হবে নিউজিল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়া,কম্বোডিয়া আর সাউথ আফ্রিকা থেকে ।তাদের কয়লা কখনো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় ।রামপালের জন্য প্রতিদিন ১০০০০ টন কয়লা লাগবে এবং প্রতি চালানে বিদেশ থেকে ৮০০০০ টন কয়লা আসবে ।সুবিধাবাদীরা বলে কয়লা আনা-নেওয়াতে নদী দূষিত হবে,সুন্দরবন ধ্বংশ হয়ে যাবে ।আসলে কি তাই? কয়লা নিয়ে জাহাজ এসে ভিড়বে আকরাম পয়েন্টে এবং আকরাম পয়েন্ট থেকে সরাসরি রামপালে ।তাছাড়া আশুর নদী হয়ে কয়লা জাহাজ রামপালে গেলে তাদের সমস্যা কোথায়?প্রতিদিন তো আশুর নদী হয়ে ১৮ থেকে ২০ টা জাহাজ চলাচল করে ।তখন কি সুন্দরবন ধ্বংশ হয় না?আকরাম পয়েন্ট থেকে মাত্র ১০০০০ টন কয়লা আনতে একটা জাহাজ একবার আসলেই হয় ।২০ টা জাহাজে তাদের সমস্যা না থাকলে একটাতে সমস্যা কোথায়?
সরকার তো বললই যে প্লান্টের শব্দ দূষণ কমানোর জন্য ” সুপার ক্রিটিক্যাল” প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ।আর তারা কি জানে না গাছপালা কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে?রামপাল থেকে যতই কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রোডাকশন হবে ততই সুন্দরবন রক্ষা হবে ।সুবিধাবাদীদের সাথে আমি একটাতেই একমত ।রামপাল থেকে যে সালফার ড্রাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ড্রাই- অক্সাইড ক্রিয়েট হবে একমাত্র তাই সুন্দরবনের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াবে ।
এখন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন হলো,ওষুধে সাইড ইফেক্ট আছে বলে তার জন্য কি আপনারা ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেবেন?
মংলা বন্দর সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের ভিতর অবস্থিত ।মংলা বন্দরেই সিমেন্ট কারখানা,এলপিজি প্লান্ট সহ আরো অনেক ছোট বড় কারখানা আছে ।প্রতিদিন সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকার ভিতর দিয়ে পশুর নদী হয়ে ১৮ থেকে ২০ টি জাহাজ চলাচল করে ।সুবিধাবাদীরা তো কখনো সেখানকার শিল্প কারখানা এবং জাহাজ চলাচলের বিরদ্ধে লং-মার্চ করেনি ।তারা তো তার জন্য কখনো পরিবেশবাদী এবং সবুজপ্রেমী হয়ে উঠেনি ?তাহলে রামপাল পাওয়ার প্লান্টের বিরুদ্ধে তাদের এত মাথাব্যাথা কেন?চীন-রাশিয়ার সাথে চুক্তি করলে তখন লং-মার্চ করা তো দুরের কথা উল্টা তারা তখন সরকারকে স্যালুট দিত ।
সরকার যখন রাশিয়ার সাথে ২০০০ মেগাওয়াট পারমানবিক ইলেকট্রিসিটি প্রোডাকশন করার চুক্তি করে তখন তারা কোনো লং-মার্চ করেনি ।পাবনার রূপপুরে পদ্মা নদীর পারেই এই পাওয়ার প্লান্ট,আকাশ পথ থেকে যার দুরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার ।সুবিধাবাদীরা এখানে চূপ কারণ কাজ পেয়েছে রাশিয়া আর রাশিয়ার কাছ থেকে সাব – কন্ট্রাক্টে কাজ পেয়েছে চীন ।ব্যাপারতা তাহলে বুঝা গেল?
সরকার যখন রাশিয়ার সাথে ২০০০
— :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
মংলা বন্দর সুন্দরবনের ১০
শহীদ ভাই, এইটা কি করলেন :ভেংচি: :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: … কাছা তো খুইলা গেলো… :হাহাপগে: :হাহাপগে: :ভেংচি: 😀
তাদের কয়লা কখনো পরিবেশের জন্য
এরকম উদ্ভট বৈজ্ঞানিক তথ্যের আবিষ্কারক কি আপনি নিজেই? একটু কষ্ট করে গুললে সার্চ দিয়ে দেখুন কিরকম উদ্ভট একটা কথা আপনি বলে ফেলেছেন অন্ধভাবে সরকারকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে। আর আপনার অধিক কার্বনে অধিক বৃক্ষ রক্ষা থিয়োরি নিয়ে যা বলার ইলেকট্রন ভাই বলে দিয়েছেন। অল্প বিদ্যা ভয়ংকরি বলে একটা প্রবাদ আছে, এটা মাথায় রাখলেই ভালো হয়।
দলের প্রতি যখন অন্ধ হয়ে যায়,
দলের প্রতি যখন অন্ধ হয়ে যায়, তখন যা মুখে আসে তাই বলে। সঠিক তথ্য না জেনে কিছু বলা ঠিক না।
শাহীন ভাইয়ের কমেন্ট টা পড়ে
শাহীন ভাইয়ের কমেন্ট টা পড়ে আফসোস লাগলো। কিছু না জেনেই তিনি বলে দিছেন সাউথ আফ্রিকার কয়লা খুব ভালো জিনিস। সাউথ আফ্রিকা কয়লা ধুয়ে ময়লা পরিষ্কার করে ফেলছে! তাহলে আসুন কিছু তথ্য দেখে নিই।
গ্রীণপিস নামক বিশ্বখ্যাত পরিবেশ সংরক্ষণ অ্যাসোসিয়েশন ২০১১ সালে আফ্রিকার কয়লা নিয়ে রিপোর্ট করে। এতে বলা হয়,
আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে,
তারপরো কি শাহীন ভাই বলবেন, এই কয়লা খুব ভালো জিনিস? তিনি কিসের ভিত্তিতে এইটা দাবী করতে পারেন?
অস্ট্রেলিয়ার কয়লা ভালো? তাহলে এইটাও জেনে নেয়া দরকার। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত মোনাস ইউনিভার্সিটির রিপোর্টে দেখা যায়,
এইবার শাহীন ভাই কি দাবী করতে পারেন। এইটা কোনো ক্ষতিই না! না জেনে উদ্ভট দাবী করা অযৌক্তিক। এইটা খুবই হাস্যকর যে অস্ট্রেলিয়া আফ্রিকার কয়লা দূষণমুক্ত। হ্যাঁ, এই দুই দেশে বিশ্বের প্রধান কয়লা খনি আছে। কিন্তু তারমানে দূষণমুক্ত!! হাহাহাহাহা! :হাহাপগে:
কয়লা জিনিসটাই দূষণ। সুপার ক্রিটিকাল পদ্ধতিতে জাস্ট দূষণটা ১০% কমানো যায়। এইটাই মূল কথা।
কিঞ্চিৎ অশ্লীল মন্তব্য।
কিঞ্চিৎ অশ্লীল মন্তব্য। সুশীলরা দুরে থাকুন।
আমি সশব্দে বায়ু নিঃসরণ করলে গন্ধ ছড়ায় না। কারণ, আমি সাউথ আফ্রিকার গম খাই।
তাদের কয়লা কখনো পরিবেশের জন্য
আরে আতিক ভাই, আপনিও না পারেন। এত্তো সুন্দর একটা আবিষ্কারকে “আন্ডারপ্যান্ট” থুক্কু “আন্ডার ইশটিমেট’ করলেন? শাহিন ভাইয়ের পক্ষ হতে আমি খুব “মাইন্ড খাইলাম”। আপনি কি জানেন, ওইসব ফরেন কয়লা দিয়ে দাঁত মাজার পর কুলি করে পানি বাইরে ফেলতে হয় না? কোঁৎ করে গিলে ফেলা যায়, এত্তো ভালো কয়লা, এত্তো লক্ষী কয়লা। Very sweet কয়লা। এইসব কয়লার আরেকটা বৈশিষ্ট হচ্ছে, ফেয়ার এন্ড লাভলি দিয়ে একটু ঘসা দিলেই ময়লা দূর হয়ে যায়। বিশ্বাস না হলে এস.জি.এস শাহিন ভাইকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
অত্যধিক কার্বন ডাই অক্সাইড
অত্যধিক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হওয়ার ফলে সুন্দরবন রক্ষা হবে!! কে দিলো এই যুক্তি? তাহলে আমার যুক্তি শুনুন।
কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুস্তরের টপোস্ফিয়ারের উপর একটা অদৃশ্য আবরণ গড়ে তোলে। এই আবরণ ভেদ করে সূর্যের ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছতে পারে। কিন্তু পৃথিবী হতে বিকীর্ণ দীর্ঘ তরঙ্গের রশ্মি বিকীর্ণ হতে পারেনা। মানে তো বুঝলেন? এলাকার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে বেড়ে যাবে। তাপমাত্রা বাড়লে বায়ুমন্ডলের জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ আপেক্ষিক আদ্রতা কমে যায়। এতে প্রস্বেদনের হার বৃদ্ধি পায়। সুন্দরবনে মাটিতে লবণাক্ততা বেশি। ফলে এই মাটিতে যথেষ্ট পানির অভাব আছে। আর পানি সরাসরি শোষিত হয়, কিন্তু খনিজ লবন আয়ন হিসেবে শোষিত হয়। যার ফলে উদ্ভিদ পানি আর খনিজ লবন আলাদা করতে পারেনা। আর যদি প্রস্বেদনের হার বেড়ে যায় তাহলে উদ্ভিদ হতে অধিক হারে পানি বের হয়ে যাবে। ফলে কোষের অন্তঃচাপ কমে যাবে। এতে করে গাছ নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং কয়েকদিন পর গাছ মারা যায়।
এখন আপনি বলেন, আপনি কিভাবে অধিক কার্বন ডাই অক্সাইডকে আশীর্বাদ বলবেন? তাছাড়া গাছের অক্সিজেন লাগেনা এইটা একটা ভুল কথা। গাছ সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়াতে খাদ্য উৎপাদন করার সময় ক্যালভিন ও ব্যাশাম চক্র, কিংবা হ্যাচ ও স্ল্যাক গতিপথ অনুসারে পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে নেয়। পানির ফটোলাইসিস প্রক্রিয়াতে ইলেকট্রন চলে যায় থাইলাকয়েড ইটিএস প্রক্রিয়াতে। সেখান থেকে ফিয়োফাইটিন, প্লাস্টোকুইনন, সাইটোক্রোম, প্লাস্টোসায়ানিন, ফেরিডক্সিন, NADP reductase প্রক্রিয়া শেষ করে পানি আলোক নির্ভর অধ্যায়ে ২ টি ATP তৈরী করে। এখন যদি কার্বন ডাই অক্সাইডের আধিক্যের কারণে গাছের পানি শোষণ ক্ষমতা কমে যায় তাহলে আপনি বিক্রিয়ার জন্য ৪ অণু পানি কোথায় পাবেন? তাছাড়া অন্ধকার পর্যায়ে, কিটো এসিড,৩-ফসফোগ্লিসারাল্ডিহাইড, বিসফসফোগ্লিসারিক এসিড ইত্যাদি কার্বন যৌগের আধিক্যের ফলে কোষ প্রাচীরের ভেদন ক্ষমতা কমে গিয়ে রসস্ফীতি বেড়ে যাবে। এতে রাইবুলোজ উৎপাদন কমে যাবে। গাছ মারা যাবে। হ্যাচ ও স্ল্যাক গতিপথ নিয়ে একই দশা হবে। ভ্যান নীল, রুবেন কামেনের পরীক্ষা হতে দেখা যায় নির্গত অক্সিজেন আসলে পানি হতে আসে।কার্বন ডাই অক্সাইড হতে নয়। তাহলে অত্যধিক কার্বন ডাই অক্সাইড গাছের কি কারণে লাগিবে আমি বুঝলাম না।
কোত্থেকে পেলেন এই উদ্ভট তথ্য! যেখানে কার্বন নিঃসরণের কারণে সারা বিশ্ব গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর শিকার সেখানে কার্বন ডাই অক্সাইডের কারণে গাছ বাঁচবে এই কথা শুনে আমি না হেসে পারলাম না! :হাহাপগে:
আর, অন্য তথ্যগুলোর লিঙ্ক দিন। ভারত বাংলাদেশের মালিকানা নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য লিঙ্ক চাই। আর, ভারতের মালিকানার প্রশ্ন আসতেছে কেন? ভারত যদি বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য চেয়ারম্যান বানিয়ে দেয়, বিদ্যুতের ৮০% আমাদেরকে দেয়, ১৫০ কেজি ইলিশ রিটার্ন করে তাহলেও আমি সুন্দরবনের পাশে বিদ্যুৎকেন্দ্র সমর্থন করতে পারিনা। বিদ্যুৎকেন্দ্র বানানোর জায়গা কম আছে? অন্য যায়গাতেও বানাইলে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। আমি কিছুতেই সমর্থন করতে পারছিনা এই প্রকল্প।
ভারত বাংলাদেশের মালিকানা নিয়ে
ভারত বাংলাদেশের মালিকানা নিয়ে উনি যা বলেছেন সেখানেও আছে শুভঙ্করের ফাঁকি। প্রকল্প ব্যয়ের ৭০ ভাগ আসবে ঋন থেকে। বাকী ৩০ ভাগের ১৫ ভাগ বাংলাদেশ, ১৫ ভাগ ভারত বহন করবে। কিন্তু ৭০ ভাগ ঋণের বোঝা পুরোটাই বাংলাদেশকে বহন করতে হবে। কিন্তু উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভাগ হবে ৫০-৫০। তার মানে দাঁড়াচ্ছে ভারত মাত্র ১৫ ভাগ খরচ বহন করে লাভের অংশ নেবে ৫০ ভাগ, আর বাংলাদেশ ৮৫ ভাগ ব্যয় বহন করে লাভের ভাগ পাবে ৫০। আরও আছে। কোন কারনে কয়লা আমদানি না করতে পারলে যে লস হবে সেটাও বাংলাদেশকে বহন করতে হবে। তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে? আমরা আমাদের সুন্দরবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে ৮৫ ভাগ খরচ বহন করে, লসের দায় বহন করে বিদ্যুৎ পাবো ৫০ ভাগ। আর ভারত কিছুই না করে শুধুমাত্র ১৫ ভাগ ব্যয় বহন করে সেই একই লাভ তুলে নিয়ে যাবে। মজা না?
তুমি আখ চাষ করে কারখানা তৈরি
তুমি আখ চাষ করে কারখানা তৈরি করে চিটাগুড় খাও। আর চিনিটা আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিও…
সঠিক উপমা দিছেন ভাই।
সঠিক উপমা দিছেন ভাই। :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
সুপার ডুপার উপমা দিলেন
সুপার ডুপার উপমা দিলেন ক্লান্ত ভাই!
দারুণ বলছেন ক্লান্ত কালবৈশাখী
দারুণ বলছেন ক্লান্ত কালবৈশাখী ভাই। :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
ইস্টিশনের বলগাররা মারাত্মক
ইস্টিশনের বলগাররা মারাত্মক খ্রাপ। এত্ত করে বলি, আমার নামের বানান কালবৈশাখি। তারপরও খালি কালবৈশাখী লিখে।
এতো সুন্দর একটা পোষ্টের বিষয়
এতো সুন্দর একটা পোষ্টের বিষয় বস্তু নিয়া যতো না কমেন্ট হইতেছে তার চাইতে বেশী হইতেছে শাহীণ ভাইয়ের কমেন্টের প্রেক্ষিতে কমেন্ট। ভালো লেখছেন। অনেক কষ্ট করে লেখছেন বুঝাই যাইতেছে। ধন্যবাদ ইলেকট্রন ভাই। :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
পোস্টটি খুব দ্রুত স্টিকি করার
পোস্টটি খুব দ্রুত স্টিকি করার জন্য ইস্টিশন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি ।
ইলেকট্রন, তোমাকে ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টটির জন্য ! তবে শিরোনাম পছন্দ হয়নি ।
রাহাত ভাই, শিরোনাম কি দিবো
রাহাত ভাই, শিরোনাম কি দিবো বুঝতেছিনা।
সুন্দরবনের মৃত্যু !!! অথবা
সুন্দরবনের মৃত্যু !!! অথবা রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঃ আত্মজিজ্ঞাসা
— এই শিরোনাম পছন্দ হয় কিনা দেখো ।
করে দিলাম রাহাত ভাই!
করে দিলাম রাহাত ভাই!
রাহাত ভাই, আমি পরিবেশবাদীদের
রাহাত ভাই, আমি পরিবেশবাদীদের এই রকম চেতনার থেকে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের সাথে সুর মিলিয়ে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে বেশী, “দাও ফিরিয়ে অরণ্য , লও হে নগর”…
কারণ শেষমেষ ২০২০ সালের দিকে তাই প্রমাণ হবে…
দেখবেন রামপালও বন্ধ হবে না আবার সুন্দরবনও এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে না!!
গেল পরিবেশ দিবসে একটা ছোট্ট কবিতা টাইপ কিছু লিখার চেষ্টা করেছিলাম, আবার সবার জন্য…
সভ্যতা ও পরিবেশ
তারিক ভাই, সুন্দরবনের উপর
তারিক ভাই, সুন্দরবনের উপর রিস্ক নেয়া কতটা উচিত হবে? কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কি অন্য কোনো যায়গায় করা যায়না? ১৪৭৫৭০ বর্গ কিলোমিটারের দেশে কি রামপাল ছাড়া আর যায়গা নাই?
দেখবেন রামপালও বন্ধ হবে না
লিংকন ভাই, আমি কবিতা কম বুঝি। সেই কম বুঝ নিয়ে কিছুতেই আপনার উপরোক্ত বাক্য এবং পরিবেশ দিবসে লেখা কবিতার কোন সম্পর্ক খুঁজে পেলাম না। বরং মনে হচ্ছে রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধেই আপনার কবিতার লাইনগুলো স্লোগান দিচ্ছে। 😀
আপনার কবিতাটি আজ আপনাকেই
আপনার কবিতাটি আজ আপনাকেই ব্যাজ্ঞ করছেনা লিংকন ?
আপনি নিশ্চয়ই পরিবেশ দিবসের প্রাক্কালে পরিবেশের বিরুদ্ধে কবিতাটি লেখেন নি ?
আমার মনে আছে আপনার এই কবিতাটির প্রশংসা করেছিলাম কমেন্ট করে । একটা রিপ্লাইতে আপনি বলেছিলেন
– এই কথাগুলো তো আপনারই তাই না ? জুনের ৫ তারিখে আপনিই তো বলেছিলেন ! আর আজ আপনার এই বিপরীত অবস্থান স্রেফ সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ ছাড়া আমার কাছে অন্য কিছু মনে হয়না । অনেক প্রশ্নের উত্তর আমরা আমাদের জীবদ্দশায় পেয়ে যাবো । সেইদিন যেন সত্যের মুখোমুখি হতে আমরা ভীত না হয়ে পড়ি !!!
না করছে না, রাহাত ভাই…
আমি
না করছে না, রাহাত ভাই…
আমি ব্যাপক অর্থে বলেছি আর আপনি ক্ষুদ্র অর্থে!!
যখন সারাবিশ্ব পরিবেশ নিয়ে বলবে তখন ঠিক আছে কিন্তু যখন,
আমি চাইব সকল ধরনের শিল্পের সমবিকাশ সারা বিশ্বজুড়ে আর নাচতে নেমে ঘোমটা টানা কখনই মঙ্গলময় কিছু নয়। উন্নত বিশ্বের দূষণে বাংলাদেশ প্লাবিত হয়ে বঞ্চিত মানুষেরা আবার লাঞ্ছিত হবে তার থেকে নিজের দূষণে মৃত্যুর আগে মাথা তুলে বাঁচুক এই নদীমাতৃক বাঙলাদেশের দুঃখী মানুষগুলো…
তখন মানুষের স্বার্থেই আমাদের কিছু ছাড় দিতে হবে!! আমি প্রথমে মানবতাবাদী, দ্বিতীয়ত পরিবেশবাদী …
এখন কি করব আমরা!! মানুষ বাচাব নাকি পরিবেশ, কতটুকু পরিবেশকে ছাড় দিয়ে মানুষ বাঁচাব!! আমাদের মৌলিক চাহিদা কি আগে নিশ্চিত করব না সেকেন্ডারি গুলো? অথবা মানব কল্যাণে পরিবেশকে বাঁচানো অনিবার্য!! কীভাবে?
আজ থেকে ২০০০ বছর আগে কত% বনাঞ্চল ছিল আর কত মানুষ আর আজ কত মানুষ দুনিয়াতে আর কত% বনাঞ্চল? সব কিছুইকি আমরা আমলে নিব? পরিবেশবাদীরা কি খালি রাস্তা গরম করবে নাকি কোন গবেষণাও করবে?
এমন অনেক প্রশ্নই আমার কবিতায় আপনি প্রচ্ছন্নভাবে খুঁজে পাওয়ার কথা…
যাহোক, ভাও থাকবেন!! আর কবিতাটি মনে রাখার জন্য ধইন্যা… :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
মানুষের মৌলিক চাহিদা হল
মানুষের মৌলিক চাহিদা হল খাদ্য, অন্ন, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা। এখানে বিদ্যুৎ অনেক পরের ব্যাপার। বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে ভাসমান যাদের আবাসস্থল নেই। আপনার যুক্তি মত, তাহলে রামপালে তাদের আবাসস্থল তৈরী করা যায়। অন্য দেশ কার্বন নিঃসরণ করে পরিবেশ দুষণ করছে। আপনার কথা হল, আমরা কেন করবো না? ঠিক আছে। আমরাও করবো। কিন্তু আমরা আমাদের সম্পদের ক্ষতি করে কেন করবো? সুন্দরবন আমাদের জাতীয় সম্পদ। উত্তরাঞ্চলে খরা কবলিত অনাবাদী জমি আছে অনেক। সেখানে করা যায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এত রেস্ট্রিকশান সত্ত্বেও এখানেই কেন করতে হবে?? সারা বিশ্ব কার্বন শিল্পের মাধ্যমে ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ করছে। কিন্তু তারা নিজেদের সম্পদ ঠিক রাখছে। আমাদেরও এমনটাই করতে হবে।
আমাদের মৌলিক চাহিদা কি আগে
পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে বিদ্যুৎ পড়ে না। কিন্তু, নিশ্বাস নেবার জন্য অক্সিজেনের অবস্থান মৌলিক চাহিদারও ওপরে।
আগের শিরোনাম কী ছিল???
আগের শিরোনাম কী ছিল???
খোঁজ দ্য সার্চঃ রামপাল কয়লা
খোঁজ দ্য সার্চঃ রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাতকাহন (তথ্য ও উপাত্ত)
এইটাই ছিলো মনে হয়।
এইখানেই চ্যার অনন্ত জ্বলিল
এইখানেই চ্যার অনন্ত জ্বলিল :মাথাঠুকি:
ভাল লেগেছে। স্টিকি করার আবেদন
ভাল লেগেছে। স্টিকি করার আবেদন জানাচ্ছি
চমৎকার বিশ্লেষন!
চমৎকার বিশ্লেষন! :থাম্বসআপ:
রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বিরোধীদের চিন্তাভাবনা টেকসই উন্নয়নের জন্য সহায়ক নয় বলে মনে করছেন টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ‘দুপুর মিত্র’ ।নিচে নতুন দিনের সাংবাদিকের সাথে উনার সাক্ষাতকারের কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরলাম ।পুরো সাক্ষাতকারটি পড়তে সবশেষে দেয়া লিংকটি অনুসরন করুন ।
প্রশ্ন: জাতীয় কমিটির মতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে আপনার মতামত কী?
দুপুর মিত্র: জাতীয় কমিটি যেভাবে মনে করছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে। তাতে আমি একমত নই। কারণ পায়খানার কারণে অসুখ হয় মানে পায়খানায় পায়খানা না করা নয়। পায়খানাটি পাকা না কাঁচা সেটার বিষয়। জাতীয় কমিটি পায়খানা কাঁচা না পাকা সেটা না দেখেই সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে বলেছে।
জাতীয় কমিটির বুকলেটটি দেখলে প্রথম দিকেই আপনি খেয়াল করবেন তারা বলছে আমরা তিনটি গুরুতর সমস্যা সনাক্ত করেছি। তার প্রথমটিই হচ্ছে অসম চুক্তি: ভারতীয় কোম্পানির মুনাফা। এরপর দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে সুন্দরবন ধ্বংস। এখানেই একটি বিষয় স্পষ্ট। পরিবেশ আসলে প্রধান বিষয় নয়, বিষয়টি হচ্ছে ভারত এবং ভারতীয় কোম্পানির মুনাফা। আমি বলছি না ভারতীয়রা বেশি মুনাফা করবে। আমি জাতীয় কমিটির একটি প্রবণতাকে সামনে আনলাম।
তারা মূলত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. আব্দুস সাত্তার মণ্ডলের নেতৃত্বে পরিবেশবিদদের একটি দলের রেফারেন্স দিয়েছেন। যে দলটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে কি কি হতে পারে তার একটি আনুমানিক বিষয় হাজির করেছেন প্রকল্পে কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তার সম্পর্কে ধারণা না নিয়েই বা বলা যায় একটা পূর্ব ধারণা থেকে যা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত আমাজন বনেই রয়েছে পৃথিবীর চতৃর্থ বৃহত্তম পাওয়ার প্লান্ট। সেটা বাধ দিয়ে করা। সেখানে ২৫টি ইউনিট থেকে ৮৩৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হয়। আমাজনের মত বনে যেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে বাধ দিয়ে সেখানে সুন্দরবনে কেন হবে না এই বিতর্ক অবশ্যই তোলা যায়।
”গত ৫ মে, ২০১১ ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. আব্দুস সাত্তার মণ্ডলের নেতৃত্বে পরিবেশবিদদের একটি দল প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জায়গা পরিদর্শন করেন। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের ধ্বংসসহ ২৩ ধরনের ক্ষতির হিসেব তুলে ধরেন। বিস্তৃত বিশেষণে যেসব বিষয়ে তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে আছে:
(১) এতে সুন্দরবনের স্বাভাবিক চরিত্র বিনষ্ট হবে, তৈরি হবে অসংখ্য কয়লা ডিপো, শুরু হবে গাছ কাটা, বনে আগুন লাগানো, বাঘ, হরিণ, কুমির ধরা।
(২) কয়লা পোড়া সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি সুন্দরবনের জৈবিক পরিবেশ ও বায়ুমণ্ডলকে ভয়াবহভাবে তিগ্রস্ত করবে।
(৩) বায়ুমণ্ডলের সালফার ডাই-অক্সাইড ও কার্বন যৌগসমূহ থেকে সৃষ্ট গ্রিনহাউজ গ্যাস বনের জন্য অতি মারাত্মক এসিড বৃষ্টি ঘটাবে।
(৪) ওই অঞ্চলের এবং আশপাশের কৃষি জমিতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য খেলে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়বে অ্যাজমা, ফুসফুসবাহিত নানা রোগ, এমনকি ক্যান্সারের সম্ভাবনাও থাকবে।
সুন্দরবনের একেবারেই নিকটে, আবাসিক এলাকায় এবং কৃষিজমির উপরে ১৩২০ মেগাওয়াটের বিশাল কয়লাভিত্তিক বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাওয়াটা কি ভয়ংকর একটি কাজ সেটা অনুধাবন করতে গেলে প্রথমে বোঝা দরকার একটি কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশের উপর কী কী প্রভাব ফেলে :
ক) বায়ু দূষণ : একটি ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বছরে উৎপাদিত বায়দূষণকারী উপাদানগুলো হলো :
১) ৭৯ ল টন কার্বন ডাই-অক্সাইড যা প্রায় ৩৪ কোটি গাছ কেটে ফেলার সমান।
২) ৫২ হাজার টন সালফার ডাই-অক্সাইড। এই সালফার ডাই-অক্সাইড এসিড বৃষ্টির কারণ এবং অন্যান্য উপাদানের সাথে বাতাসে ক্ষুদ্র কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে, যার ফলে ফুসফুস ও হার্টের রোগসহ বিভিন্ন অসুখবিসুখ হয়।
৩) ৩১ হাজার টন নাইট্রোজেন-অক্সাইড। এই নাইট্রোজেন-অক্সাইড ফুসফুসের টিস্যুর ক্ষতি করে, যার ফলে শ্বাসতন্ত্রের নানান রোগ হতে পারে।
৪) ১৩০০ টন ক্ষুদ্র কণিকা, যার ফলে ব্রংকাইটিসসহ ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ বেড়ে যায়।
এটা কিভাবে অনুমান করা হল আমি জানি না। সম্ভবত এমন প্রকল্প স্থাপন করা হলে কি হয় সেরকম কোন একটা ধারণা বা এভাবে পূর্ব ধারণা থেকে এই কথাগুলো বলা হয়েছে। সরকারের ভাষ্যমতে এটা যদি টেকসই উন্নয়নের ধারণা বা পরিবেশ বান্ধব ধারনাকে সামনে রেখে যন্ত্রপাতি কেনা হয় তাহলে জাতীয় কমিটির এই পরিসংখ্যান সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হবে। আমি আগেই বলেছি পায়খানা কাঁচা না পাকা এটা হল মূল বিষয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র করলেই বন ধ্বংস হয়ে যায় না। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কেমন তার ওপর এটি নির্ভর করে। যে কোন বনেই কোর এরিয়া-বাফার এরিয়া বলে বিষয় থাকে। কোর এরিয়া হচ্ছে মূল বন। এখানে মানুষ ঢুকতেই পারে না। বাফার এরিয়া মূলত কোর এরিয়ার চারপাশে থাকে। বাফার এরিয়াতে মানুষ বসবাস করে।
রামপাল প্রকল্প সুন্দরবনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ থেকে ৭৫কিমি. ও বাফার জোন থেকে ১৪ কিমি. দূরে। আমি যতদূর শুনেছি বাফার জোনের ভিতর সিমেন্ট কারখানা ও এরকম আরো ৪/৫টি কারখানা সেখানে আছে। বন্দর এলাকাও বাফার জোনের মধ্যেই পরে বলে জানি। কিন্তু রামপাল সেই বাফার জোন থেকেও ১৪ কিমি দূরে। যদি যন্ত্রপাতি পরিবেশ বান্ধব নাও হয়, তবুও সেখানকার পরিবেশ দূষণ সুন্দরবনকে আক্রান্ত নাও করতে পারে। যেহেতু অনেক দূরে। আর সুন্দরবনকে আক্রান্ত যদি কিছু করেই থাকে তাহলে বন্দর, সিমেন্ট কারখানা ইতিমধ্যে সেই দূষণ করে ফেলেছে।
http://www.notun-din.com/?p=8382
দুপুর মিত্র… খারান প্রথমে
দুপুর মিত্র… খারান প্রথমে একটু হাইসা নেই :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
উনার বিষয়ে টেকসই কমেন্ট বিশেষজ্ঞ চন্দ্রবিন্দুর মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। গতকাল রাতে ফেসবুকে এইসব বাফার-টাফার নিয়ে বেশ হৈচৈ হইতে দেখলাম। 😀
দুপুর মিত্র নামের ছাগলের এই
দুপুর মিত্র নামের ছাগলের এই থিসিস নিয়ে গতকাল রাতে চটি পিয়াল একটা স্ট্যাটাস দিছিল। সেই স্ট্যাটাসের জবাবে আমি একটা স্ট্যাটাস দিছিলাম। সেটা হুবহু এখানে তুলে দিলামঃ
এখন দেখি বিশিষ্ট দলকানা আওয়ামী ব্লগার শাহিন সাহেব একই তজবি ঝপছেন!
দুপুর মিত্রটা কেডা? সিরিয়াসলি
দুপুর মিত্রটা কেডা? সিরিয়াসলি আমি এই প্রথম নাম শুনলাম।
বাফার জোন, কোর জোন নিয়ে একটু কথা কইলাম নিচে,
তো এইখানে বাফার জোন, কোর জোনের কথা আনলো কেন দুপুর মিয়া! সহজ কথায় মানুষকে হচ্ছে না দেইখা কঠিন ভাষার প্রয়োগ করতেছে। একপ্রকার ত্যানা প্যাঁচানি। যেমন আপনি কোনো এক অশিক্ষিত গ্রামে গিয়ে যদি বলে বসেন, যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট বেরেক ওবামা বলছেন,”আই ইট রাইস।” সবাই ভেবে বসবে, খাইছে রে! কি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে দিলো! অনেকটাই তেমন করতেছে দুপুর মিয়া। জাস্ট অ্যা আইওয়াশ।
চমৎকার বলেছেন।
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
চমৎকার বলেছেন।
হু টোল্ড য়্যু? অয়েল ইন
হু টোল্ড য়্যু? অয়েল ইন ইয়্যোর ওন মেশিন। হুহ…
ইংরাজি কইলাম একটু… আমিও এখন বিশেষ অজ্ঞ
দুপুর মিত্র সকাল গোস্বামীর
দুপুর মিত্র সকাল গোস্বামীর শ্বশুর আর বিকাল বর্মার ভাতিজা !! @ অঘূর্নায়মান ইলেকট্রন ……………… 😀 😀 😀 😀 😀
আমি ভাবলাম আরও আমাকে নিয়ে কথা
আমি ভাবলাম আরও আমাকে নিয়ে কথা হচ্ছে নাকি। নাম প্রায় একই তো
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
আজ থেকে আপনারে আদর করে দুপুর
আজ থেকে আপনারে আদর করে দুপুর মিত্র নামে ডাকব আমি। আমারে হাজতে ডিটেনশনে পাঠানোর ভয় দেখাইলেও লাভ নাই, ডাকুমই ডাকুম, মিস নাই :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
কেউ আমারে মাইরা লা
কেউ আমারে মাইরা লা
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
দুপুর রঞ্জন মিত্র
গতকাল আমিও আরেকটু হইলে ধোঁকা
গতকাল আমিও আরেকটু হইলে ধোঁকা খায়া গেছিলাম। :দেখুমনা: :আমারকুনোদোষনাই: দ্রুপদ সাহেবের একটা পোস্টেও একজন উনাকে “দুপুর মিত্র” সম্বোধন করেছেন :মানেকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: … পুরাই জ্বলিলিয় অবস্থা… :খাইছে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :ভেংচি: 😀
আমাজনের মত বনে যেখানে বিদ্যুৎ
বাধ দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী আর কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এক??? কেউ আমারে মারিস না। আমি নিজে নিজেই মরতেছি।
ভাইরে! এইটা তো খিয়ালই
ভাইরে! এইটা তো খিয়ালই করিনাই!! চলেন, দুইজনে গলাগলি কইরা মরি। :মাথাঠুকি:
আরে ভাই, আমাজনে বাধ বিদ্যুৎ
আরে ভাই, আমাজনে বাধ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যে সালফার আর কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরিত হয়, তার প্রভাবেই দু’জন মরে যাব।
ঐ মিয়া আজকে সবাই মিইল্লা কি
ঐ মিয়া আজকে সবাই মিইল্লা কি শুরু করলেন? ঐদিকে ইলেকট্রন ভাই, এইদিকে আপনি। আর সেরের উপর সোয়া সের দেশী ছোলা তো আজকে বাজিমাৎ করে দিতেছে। আর আমরা আমজনতা :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
কয়েকদিন আগে নিউজ দেখলাম বলিউডের এডাল্ট কমেডি মুভি “গ্র্যান্ড মাস্তি” দেখে একজন নাকি হাসতে হাসতে হার্ট এটাক করে পটল তুলছে। আমাদেরও কি পটল ক্ষেতে পাঠানোর ইচ্ছা? :শয়তান: :শয়তান: :শয়তান:
ভাই, পটলে তো সালফার আছে। তবে
ভাই, পটলে তো সালফার আছে। তবে সাউথ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ার পটল খাইতে পারেন। ওদের পটল সম্পূর্ণ নিরাপদ।
(No subject)
:আমারকুনোদোষনাই: :আমারকুনোদোষনাই: :আমারকুনোদোষনাই:
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
আমি স্যুইসাইড নোট লিখে গেলাম
আমি স্যুইসাইড নোট লিখে গেলাম ক্লান্ত ভাই! আপনার এই কমেন্ট পড়ে আমি হাসতে হাসতে দুইভাগ হইয়া যাইতেছি। আমি মইরা গেলে একভাগ আমাজনে পাঠাইয়া দিবেন কষ্ট কইরা! :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
হা হা হা হা হা হা… ইলেকট্রন
হা হা হা হা হা হা… ইলেকট্রন বিভাজিত হইলে কি আর কিছু থাকে? :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
আজকে আর পারতেছি না। :শয়তান:
আতিক ভাই, আমি নিজেও
আতিক ভাই, আমি নিজেও বুঝতেছিনা। এই বিষয়টাও যথারীতি শাহীন ভাইয়ের কাছে জানতে চাই। :হাহাপগে:
অপেক্ষায় রইলাম। বিভিন্ন বিষয়ে
অপেক্ষায় রইলাম। বিভিন্ন বিষয়ে শাহিন ভাইয়ের জ্ঞ্যান কিন্তু এপ্রিশিয়েটেবল। :ভালুবাশি:
ইলেকট্রন বিভাজিত হয়ে সালফার
ইলেকট্রন বিভাজিত হয়ে সালফার উৎপন্ন হয় বোধ হয়। শিওর না কার্বন ডাই অক্সাইডও হতে পারে। :ভাবতেছি: :ভাবতেছি: :ভাবতেছি: :কনফিউজড: :কনফিউজড: :কনফিউজড:
ধুর মিয়া! আপনে বাংলাদেশী
ধুর মিয়া! আপনে বাংলাদেশী ইলেক্ট্রন। আপনে পরিবেশ দূষণ করবেন। আপনারে আমাজনে পাঠাইলে দেশের অসম্মান। যদি সাউথ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার ইলেক্ট্রন হতেন, তাহলে পাঠানোর কথা চিন্তা ভাবনা করে দেখতাম। ওখানকার ইলেক্ট্রন পরিবেশ দূষণ করে না।
(No subject)
:শয়তান: :শয়তান: :শয়তান: :শয়তান: :শয়তান:
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
সরকারের ভাষ্যমতে এটা যদি
যন্ত্রপাতি কিনেই যদি পরিবেশ দূষণ বন্ধ হত, তাহলে বর্তমান পৃথিবীর একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাবস্থ হত, কয়লা বিদ্যুৎ। আর এই দুপুর মিত্রটা কে??? এই বিশেষজ্ঞ সম্ভবত দুপুরের প্রচণ্ড রোদের তাপে বিশেষ অজ্ঞ হয়ে গেছেন।
পরিবেশ আসলে প্রধান বিষয় নয়,
ইটজ অ্যা ব্যাড জোক। এই বিষয় নিয়ে আপনাদের এত খটকা লাগছে কেন বুঝলাম না। আমার কথা নিশ্চিত করতে পারি, শুধু ভারত না, যদি অন্য কোনো দেশ সুন্দরবনের পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে আসতো আমি সাপোর্ট দিতাম না। আপনাদের কি আসলেই মনে হয় যে, দেশের উন্নতি শুধু এইখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়লেই হয়ে যাবে? আমি তো বলেছি,এদেশে জায়গার অভাব নাই, অন্য জায়গাতে করা হোক? এত বিরোধীতা থাকতে রামপালেই কেন করতে হবে?
ক্ষতি হবে, কি হবে না এই নিয়ে
ক্ষতি হবে, কি হবে না এই নিয়ে সবার তর্ক বিতর্ক নিয়ে একটা চিন্তা মাথায় এলো। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করলে হয়তো ২০২০ সালে দেখা যাবে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়েছে কিংবা হয়তো দেখা গেছে হয়নি।
আমার ছোট বোন কিছু দিন আগে হাঁটতে শিখেছে। এখন আমি যদি তাকে মেইন রোডের এক পাশ থেকে ছেড়ে দিই, তাহলে সে দৌড় দিয়ে অন্য পাশে চলে যেতেও পারে। আবার একটা বাস এসে… আমি আমার ছোট বোনকে নিয়ে সেই ঝুঁকি নেব?
যতদূর জানি, আমাদের দেশের ২০% বনভূমির ১৭% ই সুন্দরবন। সেটা নিয়ে কোনপ্রকার ঝুঁকি??? অসম্ভব!!!
চমৎকার উদাহরণ। কিন্তু এটাও
চমৎকার উদাহরণ। কিন্তু এটাও কারো মাথায় ঢুকতেছেনা কেন বুঝলাম না। :মাথাঠুকি:
টেকসই কমেন্ট বিশেষজ্ঞ
টেকসই কমেন্ট বিশেষজ্ঞ চন্দ্রবিন্দুর মন্তব্যেটা দারুন হৈসে ।তয় এরপর আতিক ভাই আর ইলেকট্রন ভাই যা কৈছেন তার দায় দায়িত্ব আমি না নিয়ে জনাব ‘দুপুর’ সাবের ঘাড়েই ফেলে দিলাম!
বিঃদ্রঃ : মোবাইল ব্লগিং এবং ব্রাউজার সমস্যার কারনে একটি কমেন্ট ৩বার পোস্টিং দেবার পর শো করে ।তাছাড়া মন্তব্যের বিপরীতে প্রতিমন্তব্যও করা সম্ভব হচ্ছে না এবং ৩০টির অধিক মন্তব্য সংবলিত কোন পোস্টে মন্তব্য করা অনেকটা এভারেষ্ট জয়ের মত কঠিন লাগতেছে ।তাই অনেক সময় ইচ্ছা থাকা সত্বেও সহব্লগারদের প্রশ্নের জবাব কিংবা প্রতিটি মন্তব্যের বিপরীতে প্রতিমন্তব্য পোস্টিং দেয়া ও বিনুদনে(বিশেষ করে ইমো ব্যবহার)অংশ নেয়া সম্ভব হয়না ।এজন্য সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।কোনদিন যদি বিদ্যুতের দেখা পাই তবে স্বাচ্ছন্দ্যময় ব্লগিং সহ আপনাদের সাথে আনন্দ-বেদনা, বিনোদন, গলাগলি-চুলাচুলি(যুক্তিসংগত র্যাগিং) ইত্যাদি সবকিছুতে সমভাবে অংশ নেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ।
এজন্য সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ
কিছু বলার নাই… :কানতেছি: :কানতেছি: :কানতেছি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মনখারাপ: :মনখারাপ: :মনখারাপ:
বিদেশী কয়লা থেকে ক্ষতিকারক
বিদেশী কয়লা থেকে ক্ষতিকারক কিছু বের হয়না এটা কি দুফুর সাহেবের আবিষ্কার? স্যরি, এই আবিষ্কারের ক্রেডিট ভুলে আপনাকে দিয়ে ফেলছিলাম শাহিন ভাই।
আহা, ব্লগজগত বিনোদনে ভরপুর।
আহা, ব্লগজগত বিনোদনে ভরপুর। :ভালাপাইছি:
শাহিন ভাই হয়ত দলের উপর আস্থা
শাহিন ভাই হয়ত দলের উপর আস্থা রেখেছন যে সুন্দরবন সবার সম্পদ সরকার নিশ্চয় অবিবেচকের মত কাজ করবে না। এখানে ওনার, আমার বা আপনাদের ও বোঝার ভুল থাকতে পারে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবন এর জন্য ক্ষতিকর হবে এটা ঠিক ধরলাম। তবে আপনারা অনেকেই যে আভবে আক্রমণ করেছেন সেটা আমার কাছে ঠিক মনে হয়নি।
ছাগুদের সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব এক প্রকার আর রামপাল নিয়ে বিতর্ক আরেক রকম। যে অস্ত্র আমি, আপনি জামাত শিবির এর জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে যে ধরণের বাক্য ব্যবহার করি সেই একই রকম অস্ত্র কি আমার কোন সহযোদ্ধা এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি!
কেউ আমাকে সাপোর্ট করল না জন্য তাকে আক্রমণ করার চাইতে যুক্তি-তর্ক বেশি কার্যকর বলে মনে করি। কিন্তু যদি ব্যাঙ্গ করা হয় অনেক সময় দেখা যাবে চাইলেও কেউ তখন নিজের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারছেন না।
রা রা রা করে ছুটে না এসে যদি চোখে আঙ্গুল দিয়ে যদি দেখাতে পারেন সেটা অনেক ভাল। পাইছি এক হাত দিয়া নেই এই নীতি সবসময় ভাল না।
পরিশেষে ইলেকট্রন কে এমন তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। :গোলাপ: :ধইন্যাপাতা:
কিরণ ভাই, আমরা কিন্তু কটুক্তি
কিরণ ভাই, আমরা কিন্তু কটুক্তি করছিনা।কিন্তু কিছু কিছু যুক্তি এতই হাস্যকর ছিলো যে সেগুলোতে না হেসে পারা যায় না। তারপরও আমি কিন্তু ধর তক্তা মার পেরেক টাইপের কিছুই বলিনি। আমি কিন্তু যুক্তিপূর্ণ প্রতিমন্তব্য দেয়ার চেষ্টা করেছি।
কিরন ভাই, এখানে হয়তো
কিরন ভাই, এখানে হয়তো অবস্থানের ভিন্নতার কারণে আমরা পরষ্পরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছি। কিন্তু, তাতে আমাদের মাঝের ঐক্যতে কোন ফাঁটল ধরেছে বলে আমি মনে করি না। এখানে হয়তো আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছি, কিন্তু এখনই আবার গিয়ে দেশী ছোলার পোস্টে একযোগে ছাগু নিধনে ব্যস্ত হচ্ছি। এখানে আমি কোন সমস্যা দেখছি না। ছাগুর ব্যাপারে আমরা সর্বদাই ঐক্যবদ্ধ।
এখানে মূলত শাহিন ভাইয়ের বিপরীতে আমি আর ইলেক্ট্রন ভাই মন্তব্য করেছি। আর আতিক ভাই হেসেছেন। ভবিষ্যতে কোন বিষয়ে ঐকমত্য না থাকলে আমরা পরষ্পরের বিরুদ্ধেও লিখব। এবং দিনশেষে একযোগে ছাগু নিধনে যোগ দেব।
কাউকে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে
কাউকে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে বলছি না। কিন্তু শাহিন ভাই নিজে অন্যদের পোস্টে (যেই পোস্ট হয়ত মানহীন বা উনার পছন্দ হয় না) সেইসব পোস্টে কিভাবে মন্তব্য দেন সেটা কি কখনও লক্ষ্য করেছেন। এক বাক্যে উড়িয়ে দেন ফালতু পোস্ট বলে। আমি বলছি না সেই কারনে এখানে উনার বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে। কেন হয়েছে সেটা উপরে ইলেকট্রন ভাই বলে দিয়েছেন। হোয়াট গোজ এরাউন্ড, কামস এরাউন্ড… :আমারকুনোদোষনাই:
কিরন ভাইর সাথে সহমত ।পাশাপাশি
কিরন ভাইর সাথে সহমত ।পাশাপাশি এও বলতে চাই, আমার মন্তব্যের বিপরীতে যেসব প্রতিমন্তব্য করা হয়েছে তাতে আমি আঘাতবোধ করিনি বা আক্রমিতবোধ করিনি ।
*আমার যে দুটি কথা নিয়ে এত হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে তা হল, 1. বিদেশী কয়লা কম দুষণ সৃষ্টি করে এবং ২. রামপালে যে কার্বনডাই অক্সাইড প্রোডাকশন হবে তা বনকে রক্ষা করবে ।
এই দুটি কথার সমালোচনার প্রথমটির জবাবে বলতে চাই, সরকারী প্রেসনোট, বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, নীতিনির্ধারকদের প্রতিটি বক্তব্যেই এরকম করে দাবী করা হয়েছে ।তাছাড়া ইহাও সত্য যে, ভারতের কয়লার তুলনায় অষ্ট্রেলিয়ার কয়লা অনেকাংশে কম দুষনকারী ।তবে সন্দেহ থাকে যে, বিদেশি কয়লা ব্যবহারের কথা বলে সরকার ভারতীয় নিম্নমানের কয়লা ব্যবহার করতে পারে!
২য়ত: কার্বনডাই অক্সাইড নিয়ে ইলেকট্রন ভাইর ব্যাখ্যা আমি সাদরে গ্রহন করে বলতে চাই, গাছের ধর্মই হল CO2 গ্রহণ করা ।সুতরাং CO2 প্রোডাকশন হলে সুন্দরবনের গাছ তা গ্রহণ করবে তা সবৈর্ব মিথ্যা নয় ।
পরিশেষে বলতে চাই, আমার দুটি কথা নিয়ে যতটুকু হাস্যরসের সৃষ্টি করা হয়েছে ঠিক তার চাইতেও বেশি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্যের বাকী অংশটুকু যা আমার জন্য দুঃখজনক বটে।
*আরেকটি খবর শেয়ার করছি…
আরও ২৪৫০ মেগাওয়াটের ৬ টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে শিগ্রী।
এই ২৪৫০ মেগার মধ্যে ১১০০ মেগাওয়াটের দুটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমতি পেয়েছে এস আলম নামের চট্টগ্রামের একটা কোম্পানি। যার মধ্যে ৮০০ মেগাওয়াটের একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে চট্টগ্রামে, আর ৩০০ মেগা ওয়াটের একটা করবে বরিশালে।
এছারা ওরিয়ন গ্রুপ এক সাথে তিনটা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমতি পেতে যাচ্ছে আজ। এর মধ্যে ৩০০ মেগাওয়াটের একটা চট্টগ্রামে এবং বাঁকি দুইটা ঢাকায়। যার ক্যাপাসিটি হবে ৮০০ এবং ৩০০ মেগাওয়াট।
অন্যদিকে, লিবার্টি পাওয়ার কনসোর্টিয়াম পেয়েছে একটি ৫০ মেগাওয়াটের প্লান্টের কাজ। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো থেকে ২.৫ টাকা থেকে ৮.৫ টাকা দরে পিডিবি বিদ্যুৎ কিনবে। তবে গড় রেট দাঁড়াবে ৬ টাকা।
এই ২৪৫০ মেগাওয়াট ছাড়াও সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহে কুষ্টিয়ার ভেরামারায় উদ্ভোধন হবে ৩৫০ মেগাওয়াট গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ।
গাছ যে সারারাত অক্সিজেন টানে
গাছ যে সারারাত অক্সিজেন টানে এই তথ্য জানেন নিশ্চয়ই?
ইলেকট্রন, ক্লান্ত কালবৈশাখী ও
ইলেকট্রন, ক্লান্ত কালবৈশাখী ও শাহিন ভাই আমিও এই একই কথা বলতে চেয়েছি। একবার বিরোধীতা করেছি বলে আর আমি ভেবে দেখব না বিষয়টা অনেক সময় ভুল হতে পারে। যুক্তি তর্কের মাধ্যমেই আমাদের মাঝে যদি কোন অস্পষ্টতা থাকে সেটা দূর হবে আশা করি। সবাইকে শুভেচ্ছা। :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: