সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামীণ ফোনের একটি ভিক্ষাপণ দেখলাম “একটি মার্ক স্যার একটি মার্ক” শিরোনামে। এটাকে আমি কোন ভাবেই বিজ্ঞাপন বলতে পারিনা বরং একে ভিক্ষাপণ বলাই আমার কাছে যুক্তিযুক্ত। “এক ঢিলে দুই পাখী শিকার” থিমের উপরে নির্ভর করে স্যারের কাছে নম্বর ভিক্ষা করতে গিয়ে নম্বরের পাশাপাশি পণ হিসেবে স্যারের সুন্দরী মেয়েকে অর্জন করার সফলতা নিয়েই ভিক্ষাপণটি তৈরি করা হয়েছে। ভিক্ষাপণটি আমাদের নীতি নৈতিকতা ও শিষ্টাচারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন টেলিভিশনে।
সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামীণ ফোনের একটি ভিক্ষাপণ দেখলাম “একটি মার্ক স্যার একটি মার্ক” শিরোনামে। এটাকে আমি কোন ভাবেই বিজ্ঞাপন বলতে পারিনা বরং একে ভিক্ষাপণ বলাই আমার কাছে যুক্তিযুক্ত। “এক ঢিলে দুই পাখী শিকার” থিমের উপরে নির্ভর করে স্যারের কাছে নম্বর ভিক্ষা করতে গিয়ে নম্বরের পাশাপাশি পণ হিসেবে স্যারের সুন্দরী মেয়েকে অর্জন করার সফলতা নিয়েই ভিক্ষাপণটি তৈরি করা হয়েছে। ভিক্ষাপণটি আমাদের নীতি নৈতিকতা ও শিষ্টাচারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন টেলিভিশনে।
ভিক্ষাপণে আমরা দেখতে পাই সারা বছর পড়াশুনা না করে পরীক্ষায় খারাপ করায় স্যারের পিছনে ১ টি নাম্বার ভিক্ষা দেবার কাকুতি মিনতি করছে ছাত্র। এদিকে স্যার আবার অনন্ত জলিলের মতো নাথিং ইজ ইমপুছিবল ডায়লগ দিলেও এই দুর্নীতি কোন ভাবেই পুছিবল না বলে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ছাত্রও নাছোড়বান্দা, স্যারের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি করতে করতে স্যারের বাসা পর্যন্ত আসলো। স্যারের বাসায় এসেও স্যারকে জ্বালাতন শুরু করলো একটি নাম্বারের জন্য।
এমন সময় স্যারের সুন্দরী মেয়ে “বাবা বাইইইইইইই” বলে বই খাতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা বাড়ানোর সময় পা পিছলে পড়ে গেলো। সিঁড়ির উপর থেকে পড়লেও সিঁড়ি থেকে না গড়িয়ে একেবারে সিঁড়ির নিচে দাঁড়ানো ছাত্রের কোলে পড়লো। স্যারের মেয়েকে একহাতে সামলে স্যারের মেয়ের বইগুলো অবিশ্বাস্য উপায়ে টপাটপ সামলে নিলো ছাত্র। ছাত্রের কোলে নিজের মেয়ে পড়েছে বলে নরম হয়ে গেলো স্যার। “একটি মার্কই তো” ডায়লগ দিয়ে খুশী হয়ে দিয়ে দিলো শিক্ষক। এরমধ্যে ছাত্রের উপরে একবার কোলে পড়েই ফিদা হয়ে গেলো স্যারের মেয়ে। মেয়ে মানুষ যেহেতু অবলা একা একা হাঁটতে পারে না, হাঁটলেই হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে পারে আর তখন পুরুষ মানুষ যদি সাথে না থাকে তখন কি হবে এই ভেবে বাবার ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করে “আবার পড়ে গেলে?”
এখন প্রশ্ন হলো এই ধরণের ভিক্ষাপণ আমাদেরকে কি শিক্ষা দেয়? প্রথমত পড়াশুনা না করে স্যারের পিছনে মার্কের জন্য কুত্তার মতো দৌড়ানো। স্যার নীতিপরায়ণ হলেও পরবর্তীতে ব্যাক্তিগত কারণে দুর্নীতি পরায়ণ হওয়া। আবার অবলা নারীজাতি পুরুষ ছাড়া চলতে পারেনা যদি পড়ে যায় তাহলে পুরুষজাতি তাকে উদ্ধার করবে এই ধরণের পুরুষ নির্ভরশীলতার শিক্ষাই পাই আমরা। কর্পোরেট যুগে বিজ্ঞাপন ছাড়া চলবে না কিন্তু বিজ্ঞাপনের নামে এই ধরণের ভিক্ষাপণ কোন ভাবেই বরদাস্ত করা যায়না। অবিলম্বে এই ধরণের অনৈতিক ভিক্ষাপণ প্রচার বন্ধের দাবী জানাচ্ছি।
আমি নাম্বার নিয়ে কিছু বলব না
আমি নাম্বার নিয়ে কিছু বলব না হতে পারে এক মার্কের জন্য এ প্লাস না পেলেও স্যারের পেছনে এভাবে দৌড়ায়।
আমার অভিযোগ এখানেই যে ,শিক্ষকেরা আমাদের উপর আস্থা হারাবেন ।
বিজ্ঞাপনটা ফাউল হয়েছে। ইদানিং
বিজ্ঞাপনটা ফাউল হয়েছে। ইদানিং বিজ্ঞাপনের কাহিনীর কোন আগামাথা পাইনা। যার যা ইচ্ছা হয় বানায়ে ছেঁড়ে দেয়। কোন নীতির বালাই নাই। সভ্য দেশে এটা চিন্তাও করা যায় না। এই ধরনের উদ্ভট বিজ্ঞাপনের কালচারও ভারতীয় চ্যানেলের প্রভাবেই হয়েছে। আগে আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন এমন উদ্ভট ছিলোনা।
যার যা ইচ্ছা হয় বানায়ে ছেঁড়ে
:মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মানেকি: :মানেকি: :ক্ষেপছি:
গ্রামীণ হঠাৎ করে এই অ্যাডটা
গ্রামীণ হঠাৎ করে এই অ্যাডটা কেন করলো বুঝলাম না। আমি গ্রামীনের অ্যাডের দারুণ ভক্ত। বিশেষ করে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী নির্মিত ‘ময়নাপাখি,হুতুম প্যাঁচা’ অ্যাডটা অসাধারন ছিলো।
হুম, ‘ময়নাপাখি,হুতুম পেঁচা’
হুম, ‘ময়নাপাখি,হুতুম পেঁচা’ অ্যাডটা সত্যিই চমৎকার ছিল… :তালিয়া: :মাথানষ্ট: :তালিয়া: :থাম্বসআপ: :বুখেআয়বাবুল:
(No subject)
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
ভাল লাগল লেখাটা।আসলেই ফালতু
ভাল লাগল লেখাটা।আসলেই ফালতু হয়েছে এ্যডটা :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: