সংবাদপত্রে দেখলাম দেশের এক ক্লাব নাকি ফুটবল কোচ নিচ্ছে বয়স ২৯ বছর। মনে মনে ভাবলাম যাক খেলোয়াড় কম থাকলে কোচ নিজেও মাঠে নামতে পারবে। এ কথা মনে হতেই আমাদের গ্রামের রেজা ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল। ভাই বললেও তার বয়স টা আমার ছোট কাকার সমান। এখন পঞ্চাশ এর কাছাকাছি হবে আর কি।
সংবাদপত্রে দেখলাম দেশের এক ক্লাব নাকি ফুটবল কোচ নিচ্ছে বয়স ২৯ বছর। মনে মনে ভাবলাম যাক খেলোয়াড় কম থাকলে কোচ নিজেও মাঠে নামতে পারবে। এ কথা মনে হতেই আমাদের গ্রামের রেজা ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল। ভাই বললেও তার বয়স টা আমার ছোট কাকার সমান। এখন পঞ্চাশ এর কাছাকাছি হবে আর কি।
বছর ৭-৮ আগের কথা গ্রীষ্ম মৌসুম শেষ হয়ে বর্ষা আসি আসি করছে। তো এমনি এক সময়ে আমাদের গ্রামের সাথে অন্য আরেক গ্রামের সাথে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হল। তারা হোস্ট আমার গেস্ট। তা সেটা আমাদের গ্রাম থেকে পানিপথে ১২-১৪ কিলোমিটার এর মত হবে। নির্দিষ্ট দিন ও ক্ষণে খেলা শুরু হল খেলা প্রচণ্ড প্রতিদ্বন্দ্বী মূলক হচ্ছে। কোন পক্ষই গোল করতে পারছে না। রেজা ভাই গ্রামের ফুটবল টিমের প্রাক্তন গোলকিপার স্বাভাবিক ভাবেই তিনি গোলকিপারের পাশে দাঁড়িয়ে (বারের বাইরে) কোচের ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। এইখানে বলে রাখা ভাল না খেলেও তার হাত-পা গোলকিপারের মতই ছোটাছুটি করছে। এক কুক্ষণে আমাদের প্রতিপক্ষ আক্রমণ করে গোলকিপার কে পরাস্থ করে ফেলে। পোস্ট ফাঁকা শট দিলেই গোল প্রায় হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালেন সাবেক গোলকিপার ও স্বঘোষিত কোচ রেজা ভাই। আর যাবি কোথাই শুরু হয়ে গেল বিশাল ক্যাচাল আমাদের পক্ষ বলে গোল হয় নাই তার বলে ওই লোক না আটকালে অবশ্যই গোল হত। ঘটনা পরের ধাপে এগোল শুরু হল মারামারি। আমাদের অতি উৎসাহি কিছু মানুষ প্রতিপক্ষ কে দিল ধাওয়া। মাঠটা ছিল তাদের গ্রাম থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূর সেকারণে প্রথমে তারা খুব সুবিধা করতে পারল না। এদিকে রেজা ভাইয়ের কোন খোঁজ নাই তিনি নাকি বল আটকিয়েই লাপাত্তা।
যাইহোক মারামারির প্রথম ধাপে সুবিধা না করতে পেরে মসজিদ থেকে মাইকের মাধ্যমে পাশের ২-৩ গ্রামের মানুষ দের ডেকে আমাদের কে দিল রাম ধাওয়া। আমাদের গ্রামের লোক গিয়েছিল ৪ টা বড় ট্রলার নিয়ে। বলা বাহুল্য সবাই পালাতে পারল না। কি বলব ভাই তারা অবশ্য মানুষ ভাল ইট পাথর না, মারার জন্য কোন কিছু না পেয়ে গাছ থেকে কাঁচা তাল পেড়ে এনেছিল ঢিলানোর জন্য। পরের টুকু আর বিশদ বলার দরকার নাই।
গ্রামে ফিরে খোঁজ হল এই রেজা ** কই। কেউ একজন খোঁজ দিল সে নাকি সবার আগে ফিরেছে। সে নাকি মারামারির সময় ওই গ্রামেই কোন আত্মীয়র বাড়ি গিয়ে পিয়াজ, কাঁচা মরিচ, সরিষার তেল দিয়ে মুড়ি খেয়ে বাড়ি ফিরেছে।
মুড়ি অবশ্য বাকিরাও কিছু খেতে পেরেছিল। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের ছিল মুড়ির ব্যবসা। আমাদের গ্রামের পাশ দিয়েই নিয়ে যেতে হত। তা একটা নৌকা আটকায় যুবক পোলাপান। সেখানে ১০-১২ বস্তা মুড়ি ছিল পোলাপান নাকি বস্তা দুয়েক মুড়ি পানি ছাড়াই মুঠে মুঠে চিবিয়ে খায় বাকিটা মীমাংসার মাধ্যমে ফেরত দেয়া হয়।
কাহিনী একখান…
কাহিনী একখান… :ভেংচি: 😀 😀
ভাই আপনি তো ভেঙচি কাটতেছেন
ভাই আপনি তো ভেঙচি কাটতেছেন যারা ওইদিন তারা বুঝছে কাহিনী কি। :মাথাঠুকি:
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: 😀
হাহাহা।মজা পাইলাম
হাহাহা।মজা পাইলাম
কবির জন্য গোলাপ।
কবির জন্য গোলাপ।
:গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ:
ভাই অপনি মুড়ির সাথে ইট পাটকেল
ভাই অপনি মুড়ির সাথে ইট পাটকেল কিছু খাইছেন নি?
মিস করছি ভাই।
মিস করছি ভাই। :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি:
মুড়ির কথা পড়ে ছোট বেলার অনেক
মুড়ির কথা পড়ে ছোট বেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল ।
ভাই লেখেন মুড়ির কথা। আমরা
ভাই লেখেন মুড়ির কথা। আমরা শুনি।
আমাদের দেশে এমন নজির কিন্তু
আমাদের দেশে এমন নজির কিন্তু আছে। ১৯৮৭ সালে ঢাকা মোহামেডান ইরানের চার ফুটবলারকে রেজিষ্ট্রেশন করায়। যাদের মধ্যে ছিলেন নাসের হেজাজী (গোল কিপার), নালজেগার (মিডফিল্ডার), বোরহানজাদেহ (মিডফিল্ডার) এবং অন্যজনের নাম মনে নাই। তো নাসের হেজাজী ছিলেন কোচ কাম প্লেয়ার। তাঁর কোচিং এ সেবার লীগে অপরাজিত চাম্পিয়ন হয় মোহামেডান। আর একদম লীগের শেষ ম্যাচে, আবাহনীর রিরুদ্ধে খেলায় গোল কিপার কানন আহত হলে বাধ্য হয়ে নাসের হেজাজী নামেন। নাসের হেজাজী ভালো প্লেয়ার ছিলেন। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে ইরানের হয়ে খেলেছিলেন। পরে তাঁর কোচিং এ মোহামেডান চাম্পিয়ন হলে সাফ গেমসের জন্য জাতীয় দলের কোচ করা হয় তাঁকে।
উত্তর বাংলা ভাই মানেই কঠিন
উত্তর বাংলা ভাই মানেই কঠিন রেফারেন্স। ধন্যবাদ আপনার তথ্যের জন্য। :গোলাপ: :ধইন্যাপাতা: :গোলাপ:
উত্তর বাংলা ভাই মানেই কঠিন
কথা সইত্ত… :ভেংচি: :তালিয়া: 😀 :বুখেআয়বাবুল: :গোলাপ:
এইডা কিসু হইল ?!
এইডা কিসু হইল ?!
এই জন্য তো হুদাই ক্যাটাগরি তে
এই জন্য তো হুদাই ক্যাটাগরি তে দিছি। 😀
হিহিহি… মজা লাগলো ।
হিহিহি… মজা লাগলো ।
ভাই একটুও কষ্ট লাগলো না আপনার
ভাই একটুও কষ্ট লাগলো না আপনার খালি মজাই পেলেন। :কানতেছি: :কানতেছি: :কানতেছি:
আমাদের এখানে একবার আমাদের
আমাদের এখানে একবার আমাদের গ্রামের একটি টিম আরেক গ্রামে ফুটবল খেলতে গেছে ।যে গ্রামে খেলা অনুষ্টিত হবে সে গ্রামটি ছিল কয়েক কিলোমিটার দুর এবং ঐ দিন ছিল বৃষ্টি ও তুফানের দিন ।যাইহোক, খেলার মাঠে উপস্তিত হয়ে দেখা গেল আবহাওয়া খারাপের কারনে খেলোয়াড় সব মাঠে আসেনি ।মাঠে আছে মোটে দশ জন ।পরে আমাদের গ্রামের দর্শকের মাঝে খেলোয়াড় খোজ করে দেখা গল দর্শকের মাঝেও মাত্র একজন মাঝবয়সী লোক ও দুজন শিশু ছাড়া আর কেউ নেই ।পরে বাধ্য হয়ে টিম পুরা করতে ঐ মাঝবয়সী(নাম মিছবাহ এবং তিনি ফুটবল খেলতেও পারেন না)লোকটিকে খেলায় তোলা হল ।পুরো খেলায় উনি বিপক্ষ দলের গোল পোস্টের এক কোনায়(Ingo তে) নীরব দাড়িয়ে ছিলেন এবং একটা বল ও মারেন নি ।খেলার শেষ পর্যায়ে একজন একটি পাস দিল ঐ লোকটির কাছে ।উনি বলটি রিসিভ করতে যখনি পা বাড়ালেন তখনি বিরাট একটা আছাড় খেলেন এবং উনার আছাড়টি এতই দ্রুত বেগে ঘটেছিল যে উনার দৌড়ের গতির চাইতে বেশি হয়ে গেল এবং অনিচ্ছায় ও বেখেয়ালে উনার পায়ে লেগে বলটি গোল পোষ্টে ঢুকে যায়!!
পরে অনেক আনন্দ আর লাফালাফি করার পর গোলদাতার খোজ করতে দেখা গেল উনি উপুড় হয়ে পড়ে আছেন এবং ব্যাথায় কোকড়াচ্ছেন ।আজও গ্রামে মিছবাহ চাচাকে গোলদাতা মিছবাহ বলে ডাকা হয় ।
এখন কিরণ ভাই আপনি বলুন, ঐ মুহুর্তে যদি আপনি সেখানে থাকলে হাসতেন না কাদঁতেন?
দুইটাই করা উচিৎ এমন ফুটবল
দুইটাই করা উচিৎ এমন ফুটবল উপহার দেয়ার জন্য। 😀 :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :মাথাঠুকি: :কানতেছি: :বুখেআয়বাবুল: :নৃত্য:
মাইরালা কেউ আম্রে…
মাইরালা কেউ আম্রে… :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :ভেংচি: :হাহাপগে: :হাহাপগে: 😀