সে কি পেরেছিলো প্রাচীরের ওপাশটা দেখতে?
দশ ইঞ্চি কংক্রিট ফুঁড়ে
অথবা নিচের মাটি খুঁড়ে
কিংবা পাখির মতো উড়ে;
কতোভাবেই না চেয়েছিলো দেখতে ওপাশটা!
পেরেছিলো সে? জানিনা!
নিজের আঙুলের ওপর দাঁড়িয়ে সে অযথাই
তাকিয়ে থাকতো ওপরে, দেখতে পেত আকাশ!
সে কি পেরেছিলো প্রাচীরের ওপাশটা দেখতে?
দশ ইঞ্চি কংক্রিট ফুঁড়ে
অথবা নিচের মাটি খুঁড়ে
কিংবা পাখির মতো উড়ে;
কতোভাবেই না চেয়েছিলো দেখতে ওপাশটা!
পেরেছিলো সে? জানিনা!
নিজের আঙুলের ওপর দাঁড়িয়ে সে অযথাই
তাকিয়ে থাকতো ওপরে, দেখতে পেত আকাশ!
সে স্বপ্ন দেখতো মুক্তির, সে স্বপ্ন দেখতো
এক টুকরো আকাশ হয়ে অসীমে মিলিয়ে যাওয়ার!
সে স্বপ্ন দেখতো দেয়াল পার হয়ে ওপারে ছুটে যাওয়ার!
কি আছে রুদ্ধদেয়াল জীবনের ওপারে? অনাবিল মেঠো প্রান্তর?
সে নগ্ন পায়ে ঘাসের গায়ে আঁকিবুঁকি করতে চায়।
ওপারে কী যুদ্ধ চলছে? পথের ধারে মানুষ মরছে?
তারা কী তার মতো মানুষ? রক্তপিপাসুরা উৎসব করছে?
একটা ছোট্ট আতঙ্কগ্রস্ত মেয়ের হাত ধরে অভয় দিতে চায়, সে
একটা হায়েনাকে শক্ত-চোয়ালে আগুন-দেয়ালে ছুড়ে মারতে চায়!
ওপারের জগতটার নাম কি শান্তিপুর?
সেখানে সুখের বৃষ্টি ঝরে সকাল-দুপুর?
খেলার সাথি পাওয়া যায়? রাতের আঁধারে জোনাকি
নামে আলো’র বেচা-কেনায়?
সে একটা জোনাকির আলোয় পাড়ি দিতে চায় উদ্যানের পথ,
একটা চাঁদের সাথে বলতে চায় কিছু মনের কথা একান্তে!
ওপারে কী ব্যস্ত শহর? ছুটছে সবাই অষ্ট-প্রহর?
ভিসিয়াস সার্কেল ভাঙতে অনবরত চেষ্টারত?
কর্দমাক্ত বৈষম্যের পাশে নীতিবাকের সাজানো বুলি?
সে মুছতে চায় একটি একটি করে ক্লেদাক্ত কণা,
সাম্য গড়ে দিতে চায়, দুইপ্রান্তে! স্বপ্ন দেখে সে!
কতো স্বপ্ন তার দেয়ালের ওপাশটা নিয়ে!
একদিন সে বড় হবে, নাগাল পাবে, হাত বাড়াবে অজানায়!
খুঁজে পাবে জীবন!
একদিন হঠাৎ পাশের বাড়ির রাগি বুড়ো
দেয়াল গেঁথে উঁচু করে, কাঁটাতারের বেঁড়া দিয়ে মুড়ে দেয়!
আবছা দেখা স্বপ্নের আলো ঢাকা পড়ে যায় আড়ালে!
স্বপ্নে বিভোর মেয়েটা হঠাৎ দেখা পায় কষ্টের, ক্ষোভের,
হাহাকারের তীব্র দহনের!
হঠাৎ বুঝতে পারে,
দেয়ালের বৃদ্ধির হার স্বপ্ন দেখার সমানুপাতিক!
সে বড় হতে হতে বড় হয়। আরো বড় হয়ে যেতে যেতে
অনেক বেশি বড় হয়! ফিরেও তাকায় না আর আকাশের দিকে,
দেয়ালের দিকে, স্বপ্নের দিকে, মুক্তির দিকে…
পাশের বাড়ির বুড়ো অগ্নিদৃষ্টি দিতে দিতে ধ্বংস হয়েছে কবেই,
শুধু রেখে গেছে দেয়ালটি সযত্নে!
বড় হয়ে যাওয়া মেয়েটি জন্ম দিয়েছে একবুক পাথর;
পাথরের পাশে একলা দীর্ঘশ্বাস! অফুরন্ত কৃষ্ণ-প্রহর!
সে মুছতে চায় একটি একটি করে
সে মুছতে চায় একটি একটি করে ক্লেদাক্ত কণা,
সাম্য গড়ে দিতে চায়, দুইপ্রান্তে! স্বপ্ন দেখে সে!
(No subject)
🙂
চমৎকার একটা কবিতা । কলম চলুক,
চমৎকার একটা কবিতা । কলম চলুক, শুভেচ্ছা নিবেন।
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ!
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ! :থাম্বসআপ:
ভালো লাগলো।
ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ নিবেন
ধন্যবাদ নিবেন 🙂
ভালো লাগলো।
ভালো লাগলো।
অসাধারণ লিখেছেন ।
ভাল লাগলো ।
অসাধারণ লিখেছেন ।
ভাল লাগলো ।
ধন্যবাদ নিবেন!
ধন্যবাদ নিবেন! 😀