তালেবানি শাসনামলে ফুটবল ক্রিকেট বা যে কোন ধরনের “ক্রীড়া কর্ম”ই ছিল “ক্রীড়া কৌতুকে”র ই অন্য নাম ! তালেবানী এক বিস্ময়কর ফতোয়া সেই সময় বহির্বিশ্বে বেশ মাস্তির খোরাক জোগাইছিল – খেলা ভাল লাগলে চিল্লা চিল্লি ,হৈ চৈ বা সকল প্রকারের তালি দেয়া নিষিদ্ধ , তার বদলে অবশ্য দর্শক আলমহামদুলিল্লাহ বা সুবহানাল্লাহ পড়তে পারবে !!!!
ক্যান মাদারচ্চোত! !! অথচ দশম সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতছে সেই আফগানিস্তান। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ২-০ গোলে ভারতকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো সাফ ফুটবলের শিরোপা জয় করে তারা !!!
তালেবানি শাসনামলে ফুটবল ক্রিকেট বা যে কোন ধরনের “ক্রীড়া কর্ম”ই ছিল “ক্রীড়া কৌতুকে”র ই অন্য নাম ! তালেবানী এক বিস্ময়কর ফতোয়া সেই সময় বহির্বিশ্বে বেশ মাস্তির খোরাক জোগাইছিল – খেলা ভাল লাগলে চিল্লা চিল্লি ,হৈ চৈ বা সকল প্রকারের তালি দেয়া নিষিদ্ধ , তার বদলে অবশ্য দর্শক আলমহামদুলিল্লাহ বা সুবহানাল্লাহ পড়তে পারবে !!!!
ক্যান মাদারচ্চোত! !! অথচ দশম সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতছে সেই আফগানিস্তান। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ২-০ গোলে ভারতকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো সাফ ফুটবলের শিরোপা জয় করে তারা !!!
আফগানরা আসলেই এক বিস্ময়কর জাতি !! প্রতিদিন তাদের ঘুম ভাঙ্গে পিলে চমকানো বোমার আওয়াজে, আবার রাতে ঘুমাতে যাবার সময় ও তাদের চির সঙ্গী বোমার আওয়াজ !!!! “ভবিষ্যত পরিকল্পনা” নামক কোন শব্দ আফগান দের অভিধানে নাই , সেটাই স্বাভাবিক, যেখানে পরের দিন পর্যন্ত বাঁচার নিশ্চয়তা নাই, সেখানে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করা তো স্রেফ বিলাসিতা বা সময়ের অপচয় !! অফিস আদালত, হাট বাজার , পাবলিক ট্রানসপোর্ট, বিপণী পবিতান, খেলার মাঠ, সিনেমা হল , স্কুল কলেজ, হাসপাতাল , এমন কি মসজিদ ও বোমা হামলার আওতা মুক্ত নয়! !!
এই আফগান খেলোয়াড় রা হয়ত তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পান না সরকারের কাছ থেকে, তবু খেলার মাঠে তাদের খেলোয়াড়দের নিবেদন শতভাগ, ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল টা ২-০ গোলের স্পস্ট ব্যাবধানে জিতল তারা…. অথচ এরা নেশার টানে ফুটবল খেলে, কারন খেলা-ধুলাকে পেশা হিসাবে নেয়ার মত অবস্থা তাদের নাই ….. বিস্ময়কর হচ্ছে, তাদের ঘরোয়া ফুটবল শুরু হৈছে মাত্র গত বছর! !!
কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়রা ত আফগানিস্তানের খেলয়াড়দের চেয়ে ১০০ গুন বেশি সুযোগ সুবিধা পায়, আরো ৪ দশক আগে থেকেই এদেশে ফুটবল খেলা “পেশা” হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত ….
বাফুফে যে মানের কোচ রিক্রুট করে তার কাছাকাছি মানের কোচদের রিক্রুট করার মত অর্থনৈতিক অবস্থা তাদের নাই ! হাহ কোচ আবার! খেলার মাঠই নাই!
অথচ এরা সাফ চ্যাম্পিয়ন , আর আমরা গ্রুপ পর্বই পার হতে পারলাম না !!! আরো দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে -আমাদের কোচ কয়েকজন খেলোয়াড়ের ওপর ক্ষুদ্ধ, তারা নাকি তাদের সর্বোচ্চটা দেয় নাই !!! এদের কে কি এই লেভেলে খেলার মাথে নিজের সর্বোচ্চ টা দেয়ার জন্য পায়ে ধরতে হবে !!?
অথচ আজ থেকে ২০/২৫ বছর আগে ও মোনেম মুন্নারা ১ মৌসুমে খেলার জন ২০/২৫ লাখ টাকা পাইত …. এখনো বহু টাকা এদেশের ফুটবলে !!! এ এক অদ্ভুত ব্যাপার, গতবার বা তার আগেরবার একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার মাত্র ২ দিন আগে এক পাড়ার টুর্নামেন্টে ২০ হাজার টাকার খ্যাপ খেলতে যায় এমিলি সহ জাতীয় দলের ৩ অপরিহার্য খেলোয়াড় !!! অথচ এই সময়টাতে যেকোন খেলায় অংশগ্রহন করতে মানা করা হৈছিল , আর অজ পাড়া গায়ের টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়া ত বহু দুরের ব্যাপার !!! কারন এসব ম্যাচ খেলা খেলতে যাওয়া আর ইঞ্জুরি কে দাওয়াত করে আনা একৈ কথা !! চিন্তা করেন, যে খেলোয়াড় মওসুম প্রতি ১৫/২০ লাখ টাকা অনায়াসে কামায় , সেই খেলোয়াড় রা মাত্র ১৫/২০ হাজারের লোভ সামলাতে পারে না !!! এই হৈল আমাদের খেলার প্রতি বা দেশের প্রতি কমিটমেন্ট !!
চলুক, এভাবেই চলুক সবকিছু ! আফগানিস্তানের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা , আমাদের ফুটবলারদের কমিট্মেন্টের অভাব টা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্য!!!!!