কালকে রাতে স্কুলের ২ জন বন্ধুর সাথে দেখা হল। ওরা সিগারেট খাওয়ার পর আমারে বিল দিতে বলল। আমি বরাবরের মতই অসম্মতি জানালাম। যদিও ওরা আমার স্কুল লাইফের সব থেকে কাছের বন্ধু। কিন্তু আমি সিগারেট খাইতে কাউরে টাকা দেই না।
তাই আমি একটা ফ্যান্টার বোতল কিনে আনলাম।
কিন্তু সিগারেটের দাম না দেওয়াতে আমার এক বন্ধু ব্যাপক মন:ক্ষুন্ন হল। তাই সে নানা ভাষায় আকারে ইঙ্গিতে আমারে খোচা মাইরা কথা বলতে লাগল যাতে আমি রাগ কইরা আরো কিছু খাওয়াই।
ওরে বুঝাইয়া বললাম,,,,,,,,,
আমি :দেখ দোস্ত আমি জাহাঙ্গীরনগর ভারসিটিতে পড়ি। ঢাকা থেকে যাতায়াত করতে কত খরচ!! আর তোর ভারসিটি তো বাসার পাশেই…. খরচ কম।
কালকে রাতে স্কুলের ২ জন বন্ধুর সাথে দেখা হল। ওরা সিগারেট খাওয়ার পর আমারে বিল দিতে বলল। আমি বরাবরের মতই অসম্মতি জানালাম। যদিও ওরা আমার স্কুল লাইফের সব থেকে কাছের বন্ধু। কিন্তু আমি সিগারেট খাইতে কাউরে টাকা দেই না।
তাই আমি একটা ফ্যান্টার বোতল কিনে আনলাম।
কিন্তু সিগারেটের দাম না দেওয়াতে আমার এক বন্ধু ব্যাপক মন:ক্ষুন্ন হল। তাই সে নানা ভাষায় আকারে ইঙ্গিতে আমারে খোচা মাইরা কথা বলতে লাগল যাতে আমি রাগ কইরা আরো কিছু খাওয়াই।
ওরে বুঝাইয়া বললাম,,,,,,,,,
আমি :দেখ দোস্ত আমি জাহাঙ্গীরনগর ভারসিটিতে পড়ি। ঢাকা থেকে যাতায়াত করতে কত খরচ!! আর তোর ভারসিটি তো বাসার পাশেই…. খরচ কম।
বন্ধু :ওই বেটা তোরা ভাড়া দেস বাসের? কিসের খরচ?
আমি :না বাসের মালিক তো আমার শশুড় লাগে।
বন্ধু :আরে কয় টাকাই আর খরচ।
আমি :বাসা থেকে গাবতলি। গাবতলি থেকে আরেক বাসে ক্যাম্পাসে, ভারসিটির গেট থেকে ফ্যাকাল্টিতে রিকশা………….
বন্ধু :বেটা জমিদারি দেখাছ? গেট থেকে ফ্যাকাল্টিতে যাইতে রিকশা নেওয়া লাগে?
আমি :হারামজাদা তোর খরচটা কি এইটা আগে বল।
বন্ধু :একটা সিগারেটের দাম ৯ টাকা। সারাদিনে কম তো আর খাই না।
আমি :তোরে খাইতে বলসে কে?
বন্ধু :আরো আছে ভারসিটিতে গেলে ৩০/৩৫ টাকা রিকশা ভাড়া, আবার আসার সময় রিকশা ভাড়া।
আমি :ও আমি গেট থেকে রিকশা নিলে জমিদারি, আর তোর বাসা থেকে ভারসিটি হেটে গেলে ১০ মিনিটের রাস্তা। বাসে গেলে ২ টাকা, টেম্পোতে ৫ টাকা ভাড়া। তুই রিকশায় যাস কেন?
বন্ধু :দোস্ত বুঝসই তো প্রাইভেট ভারসিটিতে পড়ি একটা ব্যাপার আছে না? বাসে গেলে কেমন দেখা যায় না?
!
!
!
আই থিঙ্ক, দিস ইজ কলড ”আলগা ফুটানি ”।
(উল্লেখ্য, আমার ভারসিটির গেট থেকে ফ্যাকাল্টির দুরত্ব যতটুকু ওর বাসা থেকে ভারসিটির দুরত্ব তার চেয়েও কম।)
(((সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি পুর্ন শ্রদ্ধা রেখে নিতান্তই আমার বন্ধুকে নিয়ে লেখা। কোন ভারসিটি বা স্টুডেন্টদের ছোট করার উদ্দেশ্যে না।)))
আলগা ফুডানি কিনা জানি না…
আলগা ফুডানি কিনা জানি না… অন্য কোন কারণেও না… আমিও কখনও আমার কোন ফ্রেন্ডের সিগারেটের বিল দেই না। চায়ের দোকানে বসে একসাথে চা বিস্কুট খেয়ে বলি- মামা, সিগারেট ছাড়া কত হইছে? তারপর ঐ বিলটা দিয়ে ওদেরকে বলি- সিগারেটের দাম কে দিবি দিস…!
আমার বন্ধুরা আমার সম্পর্কে জানে, তাই তারা কখনও কোন কথা বলে না।
“ফুডানি” দেখানোটা মোটেও দোষের না। ইনফ্যাক্ট মানুষ টাকা আয় করেই ব্যয় করার জন্য…।
কিন্তু দেখার বিষয় হল- টাকাটা তার নিজের অর্জিত কিনা এবং সেটা অন্য সব প্রয়োজনীয় কাজ মেটানোর পর উদ্ধৃত টাকা দিয়ে করছে কিনা?
বাবার টাকায় ফুডানি করার মধ্যে আর যাই থাক কোন ভাব নেই। ১৮+ বয়সে ফ্যামিলি থেকে টাকা নিয়ে হাত খরচ চালানো আমার কাছে ভিক্ষার শামিল মনে হয়…
আমরা সবাই একটু আধটু আলগা
আমরা সবাই একটু আধটু আলগা ফুটানী কইরাই থাকি।কারণ আলসেমির জন্ম আমাদের ঘরেই!!বাপের কত টাকা খরচ কইরা যে যে বই কিনি,সিগারেট খাই,ফাস্টফুড খাই তা তো বাপও জানে না!