সময়টা ২০০০ সালের পর। বয়সটাও কম। সবে দৈহিক ভাবে সবল। ভাল হাটতে পারি, কথাও বলতে পারি, স্মৃতি শক্তিও ছিল প্রখর। লেখা পড়ায় কেমন ছিল জানিনা কিন্তু কোনো জায়গা চিনার ক্ষেত্রে ছিল অপারদক্ষতা। কেউ হয়তো ভাববেন লেখক! সাহেব নিজের প্রশংসায় পন্চ মুখ দেখছি। আসলে তা নয়, ব্যাপারটা হচ্ছে সেই ৪ কি ৫ বছরের নিজেকে এই প্রায় ১৭ বছরের যুবকে পরিনত হওয়ার পর একটু অন্য রকম ভাবে চিন্তা করছি। যাই হোক, বকর বকর বাদ দিয়ে চলে যাই ঘটনায়।
মা ভক্ত ছিলাম কত টুকু মনে নেই। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে মাকে না দেখতে পেলেই ছোট দেহের ছোট চোখ গুলো এক নাগারে খুজে ফিরে মাকে।
সময়টা ২০০০ সালের পর। বয়সটাও কম। সবে দৈহিক ভাবে সবল। ভাল হাটতে পারি, কথাও বলতে পারি, স্মৃতি শক্তিও ছিল প্রখর। লেখা পড়ায় কেমন ছিল জানিনা কিন্তু কোনো জায়গা চিনার ক্ষেত্রে ছিল অপারদক্ষতা। কেউ হয়তো ভাববেন লেখক! সাহেব নিজের প্রশংসায় পন্চ মুখ দেখছি। আসলে তা নয়, ব্যাপারটা হচ্ছে সেই ৪ কি ৫ বছরের নিজেকে এই প্রায় ১৭ বছরের যুবকে পরিনত হওয়ার পর একটু অন্য রকম ভাবে চিন্তা করছি। যাই হোক, বকর বকর বাদ দিয়ে চলে যাই ঘটনায়।
মা ভক্ত ছিলাম কত টুকু মনে নেই। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে মাকে না দেখতে পেলেই ছোট দেহের ছোট চোখ গুলো এক নাগারে খুজে ফিরে মাকে।
সেই দিনও সকাল ৫ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে এক পাশে দেখলাম বাবা শুয়ে আছে অন্য পাশে আন্কেল রা। বি-বাড়িয়ার শহরে এক আন্কেলের বাসায় বেরাতে গিয়েছিলাম তাদের বাসার কয়েকজনো ছিল। বাসাটা ছোট ছিল কিছুটা। তাই বাবা সহ তাদের সাথে ফ্লোরেই ঘুমিয়েছিলাম আমি। মাকে না পেয়ে বেরিয়ে আসলাম রোম থেকে। দেখলাম ড্রয়িং রোম ফাকা। পাশের রান্না ঘরে ঠুক ঠাক আওয়াজ দেখে। রান্না ঘরে গেলাম, আন্টিকে বললাম আম্মা কোথায়। আন্টি হাত নারিয়ে উপরের দিকে লক্ষ হাত উচিয়ে বললেন ওখানে। সামনে ছোট ছোট পা বাড়িয়ে হাটা দিলাম। গায়ে একটা সাদা সেন্টু গেন্জি। পরনে কোনো পেন্ট ছিল না। অর্ৎহাত লেংটু ছিলাম। হাটতে হাটতে দরজার কাছে গেলাম। সিটকিরি খুলে বেরিয়ে পরলাম। আসলে সিটকিরি খুলা ছিল, এক আন্কেল নামাজ পড়ার জন্য বের হওয়ার পর আর দরজা লাগানো হয় নাই। বেরিয়ে পড়লাম আমি, গন্তব্য একজন ভাইয়ার বাড়ি। কেননা এর আগের দিন তাদের বাসাতেই বেরাতে গিয়েছিলাম। সকালে যখন আন্টি হাত উচিয়ে উপরের দিকে আমাকে দেখালেন যে আম্মা উপরে। তখন আমি ভাবছিলাম আম্মা ঐ ভাইয়াদের বাড়িতে।
ফাকা রাস্তা। শহুরে পরিবেশে সত্যি এরকম ফাকা রাস্তা এর পর কখনো দেখছি কিনা মনে নাই। দূর থেকে গাড়ি আওয়াজ ভেসে আসছিল অনেক ক্ষন পর পর। হাটছি আমি গুটি গুটি পায়ে। কতটুকু হাটলাম মনে নেই। কিন্তু মনে আছে সুর্যের আলো তার তাপ ছড়িয়ে দিচ্ছে সব দিকে। শান্ত শহরে কোলাহল ও বেরে যাচ্ছে। হাটছি আমি ছোট ছোট পা ফেলে। দেহটাও ছিল নাদুস নুদুস। ঘুম ঘুম চুখে ঘরে থেকে বের হওয়া অনেক মানুষ আমার দৃষ্টিতে লুলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সবাই হয়তো ভাবছে, ” এই লেংটু ছোট নাদুস নুদুস সুন্দর ছেলেটা কে?
কে কি ভাবলো তা আমার মনে ছিলনা। তখন শুধু মাকে খুজছিলাম। আর মনের মধ্যে একা সেই ছবিটা মনে করার চেষ্টা করলাম ভাইয়ার বাড়িটাকে মনে ধরে। তাদের টিনের গেটে সুন্দর করে লাল রঙ্গের হযবরল নকশা ছিল।
হাটতে হাটতে হটাৎ ঢুকে গেলাম একটা গেট দিয়ে। গেট দিয়ে কিছুটা ভিতরে যাওয়ার পর আতকে উঠলাম আমি। নাহ এটাতো ভাইয়ার বাড়ি না!
আবার বের হয়ে আসলাম। সামনে এগুলাম আরো। প্রায় এক কিলোমিটারের মত। তাই মনে হচ্ছে। আরেকটু আগাতেই মনটা সুখি হয়ে গেল। নকশা করা গেটটা পেয়ে গেলাম। ঠেলে ভিতরে গেলাম।
ভিতরে ঢুকেই দেখলাম ভাইয়া (নামটা মনে আসছে না) সামনের দিকে ফিরে ব্রাশ করছে। পিছন থেকে কাপর ধরলাম। উনি আমাকে দেখে তো পুরা অবাক। জানতে চাইলো, ” ইব্রাহিম তুমি এখানে। তোমার আম্মু কোথায়? কার সাথে এসেছ।
তার কোনো উত্তর না দিয়ে জানতে চাইলাম, ” ভাইয়া আম্মু কোথায়?
প্রশনটা করার পরেই তিনি একটু হচকচিয়ে গেলেন। তারা তারি তার আম্মাকে ডাকলেন। ঘরের সবাই বারান্দায় বের হয়ে আসলো। আমাকে নিয়ে তিনি রাস্তায় বের হলেন। হতাশা যেন তাকে ছেয়ে গেল। নাহ আমার সাথে কেহ নাই। আমাকে প্রশ্ন করল, ” তুমি কি একাই এসেছ?
আমি সাবলিল উত্তর দিলাম, ”হ্যা ” এর পর আমি আবার প্রশ্ন করলাম আম্মু কোথায়?
তিনি আমাকে বুঝতে পারলেন। ব্রাশ করা রেখে মুখ ধুয়ে, গায়ে একটা জামা চরিয়ে আমাকে বললেন চল তোমার আম্মার কাছে নিয়ে যাই।
মোবাইলের ব্যবহার ছিল না। তাই কেউ কাওকে ফোন ও দিতে পারে নাই। তাই হাটতে থাকলাম আমরা রাস্তা ধরে। আগের পরিচিত রাস্তা। কিন্তু পরিবেশটা ভিন্ন। কৌলাহল বেরে যাচ্ছে। উৎসুক কিছু মানুষ সামনে ভিড় করে আছে। সামনে আগাতেই দেখলাম আমার মা সহ আন্টি আন্কেল আব্বু সবাই মানুষ কে প্রশ্ন করছে আমাকে কেউ দেখেছে কি না? অনেক অনেক কথায় বলল।
জটলা ভেঙ্গে ঠেলে ভিতরে ঢুকল ভাইয়া। গিয়ে দেখি আম্মা কাদছে। আমি আম্মা বলে ডাক দেয়ার পরেই আমাকে জড়িয়ে ধরে নানান প্রশ্ন। কিভাবে আসলি? কেমন করে আসলি? তুই চিনলি কি করে?? কিসের উত্তর কিসের কি, আম্মার কান্না দেখে আমিও কেদে দিলাম। বুঝলাম মাকে খুজতে গিয়ে একটা ভুল করে ফেলেছি। কিন্তু ৪ বছরের ঐ ছোট বাচ্চা আবার এসবের কি বাই বুঝে?
বাসায় নিয়ে যাওয়া হল আমায়। প্রথমত আব্বুর মৃদু ধমক, তুমি এতো সাহস কই পাইলা? এতো ভুরে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা কিভাবে গেলা? আবার আন্কেলরা বলছে আব্বুকে, ” আলী তুর ছেলে অনেক ভাল মনে রাখতে পারে। সাহস ও অনেক। আর যা হইছে এর জন্য ধমকানোর কি আছে?
এমন অনেক কিছু সবাই বলা বলি করলো। আমিও হাসি কান্নার সাথে তাদের কথা গুলো শুনলাম। আর বসে থাকলাম আম্মুকে জড়িয়ে ধরে। এখনো ইচ্ছা হয় কিছু সময়ের জন্য এভাবে হাড়িয়ে যাই। আর আমাকে কাছে পেয়ে পরম স্নেহে আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখুক।
ভালো প্রচষ্টা।কিন্তু আপনার
ভালো প্রচষ্টা।কিন্তু আপনার গল্পটা তেমন জমেনি।এটা কী আপনার সত্যি কাহিনী?যদি সত্যি কাহিনী হয় তবে বিভাগ চয়েজ করতে ভুল করছেন।বানানেও অনেক ভুল।চালিয়ে যান।ভালো পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
হুম… কাহানীটা সত্য… সম্পুর্ণ
হুম… কাহানীটা সত্য… সম্পুর্ণ তুলে ধরেছি। সাজানোর জন্য অন্য কোনো গ্রেজেট ও ব্যবহার করি নাই।
আর সমস্যা হইলো হোস্টেলে পিসি ব্যবহার করা নিষেদ। তাই মোবাইলে অভ্র দিয়ে লেখার কারণে বানান ভুল অতঃপর আন্দাজের উপর বিভাগ ও চয়েজ করা হয়েছে।
আর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
হুম।চালিয়ে যান।আরো ভালো
হুম।চালিয়ে যান।আরো ভালো পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
তা তো অবশ্যই..…
তা তো অবশ্যই..…
বাহ! আপনি তো দেখি ছোটবেলায়
বাহ! আপনি তো দেখি ছোটবেলায় মিনি ইবনে বতুতা ছিলেন!
আপনার লেখা পড়ে হচকচিয়ে গেলাম।
:হাসি: :হাসি: :হাসি:
ইবনে বাতুতার জীবন ইতিহাস পড়ি
ইবনে বাতুতার জীবন ইতিহাস পড়ি নাই এখনো। তাই এখনো কইবার পারি না কোন দিক থেকে মিনি বতুতা ছিলাম…
আর বয়েসটা এখনো ছোট। তাই যে কেউ লেখা পড়ে হচকচিয়ে গেলে আমি দুঃখিত।