বাংলাদেশের রামপালে সুন্দরবনে পরিবেশ বিপন্নকারী এক ভয়ংকর প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।ভারতের সাথে যৌথ উদ্যোগে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে বাংলাদেশ। ভারতের রাজ্যসরকার তাদের দেশে আগেই বাতিল করে দিয়েছিলো। ২০১০ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশে রায়পুরায় কংগ্রেস এমপির উদ্যোগে সেখানে এ প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। একটি বেসরকারি কোম্পানির উদ্যোগে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করেন। তবে পরিবেশ ছাড়পত্র না পাওয়ায় বাতিল হয় এ প্রজেক্ট। কৃষিজমি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে তাই বাতিল করা হয়। এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের ফলে সুন্দরবনের পরিবেশ বিপন্ন করে দেবে মূহূর্তেই! জীব বৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলবে। বিলুপ্তির পথে যাবে অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদকে। আর এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে শুরু হয়ে গেছে কাজ। প্রায় ১৯শ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠছে পরিবেশ বিপন্নকারী কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।ভারত বাংলাদেশের জন্যে এই পরিবেশ বিপন্নকারী প্রকল্পের লাভের গুড় খেতে চলে এলেও আইন অনুসারে ভারত নিজের দেশে এমন প্রকল্প করার কথা চিন্তাও করতে পারত না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বিদ্যুতকেন্দ্রর কারণে সুন্দরবনের প্রায় ২৩ ধরেন ক্ষতির শিকার হবে। বিলুপ্ত হয়ে যাবে কিছু প্রাণী। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে একটি দল এ প্রকল্পের উপর গবেষণা করেন। তারা গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন এই স্থানে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। বিপন্ন হবে বনের স্বাভাবিক পরিবেশ। ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বনাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ উজাড় হবে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাস স্থল এই বনে বাঘের সংখ্যা এখম ৪৪০টি। হুমকির মুখে থাকা বাঘগুলোর প্রজাতিটি বিলুপ্তির পথে যাবে তাদের আবাস স্থল সুন্দরবনের পরিবেশ নষ্ট হলে।কয়লা পোড়া সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি সুন্দরবনের জৈবিক পরিবেশ ও বায়ুমণ্ডলকে বিগ্নিত করবে।
বায়ুমণ্ডলের সালফার ডাই-অক্সাইড ও কার্বন যৌগগুলো থেকে সৃষ্ট গ্রিনহাউজ গ্যাস বনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসিড বৃষ্টি ঘটাবে।
এছাড়াহুমকির মুখে পড়বে পশুর নদী। সেই সাথে জলজ উদ্ভিদ, ডলফিনের খাদ্য ও আবাস সম্পূর্ণই নষ্ট হবে। বিলুপ্ত হতে শুরু করবে বিরল প্রজাতির ডলফিন ইরাবতী। ডলফিনের এই বিরল প্রজাতিটি সারা বিশ্বে সুন্দরবনের পশুর নদীতে সবচেয়ে বেশি রয়েছে।
এই সাথে আরো অনেক পাখি ও প্রাণীরা তাদের স্বাভাবিক জীব বৈচিত্র্যের পরিবেশ হাড়িয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।সরকারের পরিবেশ সমীক্ষাতেই স্বীকার করা হয়েছে, এভাবে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করার ফলে-
১) কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ থেকে কয়লার গুড়া, ভাঙা/টুকরো কয়লা, তেল, ময়লা আবর্জনা, জাহাজের দূষিত পানি সহ বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নি:সৃত হয়ে নদী-খাল-মাটি সহ গোটা সুন্দরবন দূষিত করে ফেলবে।
২) সুন্দরবনের ভেতরে আকরাম পয়েন্টে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে কয়লা উঠানো নামানোর সময় কয়লার গুড়া, ভাঙা কয়লা পানিতে/মাটিতে পড়ে- বাতাসে মিশে মাটিতে মিশে ব্যাপক পানি-বায়ু দূষণ ঘটাবে।
৩) চলাচলকারী জাহাজের ঢেউয়ে দুইপাশের তীরের ভূমি ক্ষয় হবে।
৪) কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ ও কয়লা লোড-আনলোড করার যন্ত্রপাতি থেকে দিনরাত ব্যাপক শব্দ দূষণ হবে।
৫) রাতে জাহাজ চলের সময় জাহাজের সার্চ লাইটের আলো নিশাচর প্রাণী সহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল সুন্দরবনের পশু-পাখির জীবনচক্রের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চলছে।সেই ধারাবহিকতায় আগামী ২৪-২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা রামপাল লংমার্চ কমসূচী ঘোষনা করেছে।কর্মসূচী সফল করার জন্য ইতিমধ্যে এ কমিটি দেশের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন বিভিন্ন শেনী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা ও প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে ।আসুন আমরা দেশের প্রান পরিবেশ রক্ষায় ২৪-২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা-রামপাল লংমার্চ সফল করি।
আপনি ঠিক যে অধিকারে সুন্দরবনে
আপনি ঠিক যে অধিকারে সুন্দরবনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে আপত্তি জানাচ্ছেন আমিও ঠিক সেই অধিকারে ঐ একই স্তানে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যত দ্রুত সম্ভব স্থাপনের দাবী জানাই ।
আপনি যে দাবী করছেন তাতে কিছু
আপনি যে দাবী করছেন তাতে কিছু ব্যাক্তির স্বার্থ সংরক্ষন হবে।আর আমার দাবী গোটা দেশ ও জাতির।আমার মাটি আমার মা সুন্দরবন ধবংস করতে দিব না।
সহমত হাসান সরদারের সাথে !
সহমত হাসান সরদারের সাথে !
শাহিন ভাই,
অন্ধভক্তি মানুষকে
শাহিন ভাই,
অন্ধভক্তি মানুষকে সুন্দর চিন্তা করায় সহযোগিতা করে কিনা আমার জানা নেই ।
আপনার বিবেক জাগ্রত হবে এই আশায় রইলাম ।
সহ মত রাহাত ভাই
সহ মত রাহাত ভাই
আমার পক্ষ নেয়ার পেছনেও যুক্তি
আমার পক্ষ নেয়ার পেছনেও যুক্তি আছে ।সবগুলো লিংক মোবাইল দিয়ে দেয়া যায় না তাই নিচে কিছু লিংক দিলাম একটু দেখুন ।
শাহীন ভাই, নির্দিষ্ট কোনো এক
শাহীন ভাই, নির্দিষ্ট কোনো এক দলের প্রতি অন্ধভক্তি কখনোই ভালো কোনো চিন্তাধারার জন্মদিতে পারেনা।
লংমার্চে নৈতিক সমর্থন
লংমার্চে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ।তৈরী থাকুন সুন্দর বন
ধন্যবাদ।তৈরী থাকুন সুন্দর বন রক্ষার জন্য।
আপনি নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন
আপনি নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন দেখে আনন্দিত হয়েছি , সেই সাথে কিছুটা চিন্তিত হয়েছি বটে । দেশে থাকলে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতেন ?
দেশেই আছি।
দেশেই আছি।
চমৎকার তথ্যভিত্তিক লেখা ।
চমৎকার তথ্যভিত্তিক লেখা । বিষয়গুলো জানা তবু বলছি
যেহেতু বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ের জন্য বারনিং ইস্যু ও প্রাসঙ্গিক
তাই এর প্রচারণার স্বার্থে এই ধরণের পোস্ট বেশি বেশি করে দিতে
হবে । খালেদা – হাসিনার বস্তা পচা গাল গল্প আলোচনার কেন্দ্র থেকে
সরিয়ে ” রামপাল ইস্যু ” শীর্ষে নিয়ে যেতে হবে ।
ধন্যবাদ রাহাত ভাই।আপনার
ধন্যবাদ রাহাত ভাই।আপনার সুন্দর মন্বব্যর জন্য।আসুন আমরা যে যার অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলি প্রতিদিন অন্তত ৫জন মানুষকে এ বিষয়ে বুঝানো অন্তত একজন মানুষকে রাজি করানো কর্মসুচিতে যোগদানে।
ধন্যবাদ সঠিক ও উপযুক্ত জবাব
ধন্যবাদ সঠিক ও উপযুক্ত জবাব প্রদানের জন্য ।আপনার কাছ থেকে এই ধরনের জবাব আমি প্রত্যাশাও করেছিলাম ।এবার শুনুন আমার জবাব…
গোটা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমার ক্ষুদ্র বা ব্যাক্তিসার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে আপনার সাথে সহমত পোষন করলাম।আপনার মত আমিও বিশ্বাস করি, আমার মাটি আমার মা ।আমার মায়ের একটা পশম পরিমান ক্ষতি হোক সন্তান হিসেবে আমারও তা কাম্য হতে পারে না ।তাই আমি দৃড়কন্ঠে উচ্চারন করছি… বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটা কেন হাজারটা স্থাপিত হোক কিন্তু সুন্দরবন ধবংস করে নয় ।
(আমার প্রথম মন্তব্যটি ছিল একটা পরীক্ষামুলক মন্তব্য ।কেউ কিছু মনে করবেন না ।এই মন্তব্যটি কেন করলাম এই বিষয়ে প্রশ্ন করলেও জবাব দিতে অপারগ ।)
ধন্যবাদ সবাইকে ।
কিন্তু আপনি ভালো করেই জানেন
কিন্তু আপনি ভালো করেই জানেন রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের জাতীয় অহংকার সুন্দরবনের ক্ষতি করবে। তাও, অনেক দিন থেকেই দেখছি আপনি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সমর্থন দিয়ে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সরকার নয়, যদি স্বয়ং সুপারম্যান এসে বলে যে,”রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবো।”,তাহলে আমি সুপারম্যানের আন্ডারপ্যান্ট টেনে ছিঁড়ে ফেলবো।
আমি সমর্থন দিয়ে আসছি ঠিক তবে
আমি সমর্থন দিয়ে আসছি ঠিক তবে কিছুটা সুশীলের মত ।অর্থ্যাৎ আমি চাচ্ছি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মান হোক এবং বন ও রক্ষা করা হোক ।এক্ষেত্রে আমি পরিবেশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মত ভাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মানের দাবী জানিয়েছি ।
জানামতে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মানের জন্য সরকার সবকিছু পাকাপোক্ত করে ফেলেছে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরও ছাড়পত্র দিয়ে দিছে ।তাছাড়া বিরুধীদল সহ প্রভাবশালী সব মহলের সমর্থন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মানের পক্ষে ।সুতরাং খামোখা বিরুধীতা না করে সুন্দরবন বাচিয়ে কেন্দ্রটি নির্মানের দাবী বা আন্দোলনই হবে সময়োপযোগী ও যুক্তিযুক্ত ।
কোনো একটা অধিদপ্তরের ছাড়পত্র
কোনো একটা অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া মানেই এক নয় যে কাজটা হালাল হয়ে গেল। ফুলবাড়ি কয়লা উত্তোলন প্রকল্পেও এই ফটকাবাজ অধিদপ্তর ছাড়পত্র দিয়েছিলো। যার ফলাফল হয়েছে ভয়ঙ্কর। সাধারণ মানুষই রাস্তায় নেমে এসেছে। বাংলাদেশে পতিত জমির অভাব নাই। কয়লা বিদ্যুৎ যে কোনো যায়গাতে স্থাপন করা যায়। তাই বলে সুন্দরবনে কেন!
বাঙালীর একটা খারাপ দিক হচ্ছে
বাঙালীর একটা খারাপ দিক হচ্ছে এইধরণের উন্নয়নমুলক(!) কাজে বাধা দেয়া। সুন্দরবন চুলায় যাক না। বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে কত চুতিয়ার পেট ভরবে। আর না হলে বিদেশী বাবাদের দেয়া হালুয়ারুটি বন্ধ হয়ে যাবে। শালার বাঙালী বুঝেনা। না বুঝে বন্দুকের গুলির সামনে বুক পেতে দেয়।
।
।
।
।
সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবেনা।
তাইলে পড়ুন…
রামপাল বিদ্যুৎ
তাইলে পড়ুন…
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
১) মুল ক্যাপাসিটি ১৩২০ মেগাওয়াট।
২) ৫০:৫০ মালিকানায় প্রতিষ্ঠা
৩) ১৮৩৪ একর জায়গা লাগবে
৪) বাংলাদেশ পাবে ৬৬০ মেগাওয়াট, যা বাংলাদেশের মুল উৎপাদনের ১০%
৫) দেশের আরও ৭% মানুষ মানে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় আসবে
৬) জিডিপি বারবে ০.৬%, মানে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে জিডিপি গিয়ে দাঁড়াবে ৭.৩% এ
৭) দক্ষিন অঞ্চলের হাজার হাজার বেকার যুবকের কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে
৮) দক্ষিণ অঞ্চল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিজনেস হাবে পরিণত হবে
৯) মংলা বন্দর ফিরে পাবে তার প্রাণ
১০) দেশের শিল্পাঞ্চলের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণে দেশআরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
১১) রামপাল থেকে সুন্দরবন ২২.৩ কিমি দূরে তাই প্রকৃতির উপর প্রভাব পরার কোনপ্রস্নই আসে না।
১২) বিদ্যুৎ খরচ অনেকাংশে কমে যাবে
১৩) মানুষ কৃষিকাজেরপাশাপাশি শিল্পের দিকে আরেক ধাপ আগায়ে যাবে।
১৪) বিদেশ যাওয়া বা বিদেশ নির্ভর অনেক পরিমানে কমিয়ে দিবে।
বেশী দিন আগের কথা নয়। মাত্র দুই বছর পিছনে ফিরে গেলেই আমরা দেখতে পাবো আমাদের আসল চিত্র। শুধু ঢাকা নয়, পশ্চিমবঙ্গ এবং করাচির চিত্রও যেন একই। ২০১২ সালের পর থেকে ঢাকার চিত্র পালটাতে থাকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এবং করাচি এখনও যেন ডিজিটাল শহর। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে আবার এক ঘণ্টা নাই। মানে দিনের সারাদিনের ৯ ঘণ্টা কাজের মোট ৪-৫ ঘণ্টা তারা করতে পারে।
সারা পৃথিবীর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৫০০০ গেগাওয়াট। যার ২৬%ই কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেখানে বাংলাদেশের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৮.৫ গেগাওয়াট, যা মুল উৎপাদনের মাত্র ০.০২% এর মতো। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে, খুলনা শহর ডুবে যাবে পানির নিচে, কি সুন্দর তোতা পাখীর মতো মুখস্ত বুলি গুলান আওরিয়ে যাই আমরা। কিন্তু একবারও চিন্তা করিনা আবহাওয়ার কোন ভুগলিক সীমারেখা আছে কিনা? পাশের দেশ ভারত, যার মুল উৎপাদন ১৯০ গেগাওয়াট বিদ্যুৎ, এর মধ্যে ১০০ গেগাওয়াটই কয়লা ভিত্তিক। চায়নার মুল উৎপাদনের ৭০% কয়লা ভিত্তিক। তাহলে পরিবেশ কি শুধু চায়নার নষ্ট হচ্ছে না তার প্রভাবআমাদের উপরও এসে পরছে?
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাদের আগে সেইপ্রযুক্তি সম্পর্কেজানা দরকার। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে কয়লা ব্যাবহার করা হয় সেইটা অনেক ময়লা যুক্ত থাকে, তাই প্রথমে সেইটাকে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়। এরপর ডাম্প করেরেখে দেয়া হয় অন্তত পক্ষে ৪০ দিনের মতো। কয়লাটা যেহেতু সঠিক ফর্মে থাকে না তাই তাকে শুকিয়ে এইবার নিয়ে যাওয়া হয় ক্রাশ করবার জন্য। ক্রাশ করতে নিয়ে যাওয়ার আগে কয়লা থেকে তার আয়রন পার্টিকেল আলাদা করে ফেলা হয়। পুরো কয়লাটা ক্রাশ মেসিনে যায় বেল্ট দিয়ে, সেখানে কোন মানুষের কাজের দরকার পরে না। ক্রাশমেসিনে কয়লা ক্রাশ হয়ে গুরায় পরিণত হয়, অতঃপর সেইটা বারনিং এর জন্য পাঠানো হয়। গুরা কয়লা বয়লারের মধ্যে বার্ন হয়ে শক্তি উৎপাদন করে। এভাবেই মেকানিক্যালশক্তিকে ইলেক্ট্রিক্যাল শক্তিতে পরিণত করা হয়।
http:// indianpowersecto r.com/home/ power- station/ thermal- power-pl ant/
সমালোচকরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করার কথা বলে উদাহরণ হিসাবে টেনে আনেন ভারতের তামিল নারুর কোদালর ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রর কথা। তারা বলে এইটা নাকি পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র দেয়নি। কি সুন্দর মিথ্যাচার।
http:// http://www.guruchandali .com/default/ 2013/08/30/ 1377803280000.ht ml#writehere
কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, বৃহৎ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০১৪ সালের মধ্যে অপারেসনে যাচ্ছে। ভারতের রাজ্য সরকার তাদেরকে কাজ খুব দ্রুত শেষ করার জন্যতাগাদা দিয়েছেন। যে কেউ তাদের ওয়েভ পেইজে গিয়ে দেখে আসতে পারেন কাজের অগ্রগতি।
http:// http://www.infraline.co m/Details/ Cuddalore- PowerG en-gets-2-more- years-to-arrang e-funds- for-Rs- 62-billion-proj ect-192823.htm
এইবার আসা যাক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপালে হইলে প্রকৃতির উপর তার প্রভাব পরবে কতো টুকু?
১ম চিত্রঃ
রামপাল থেকে সুন্দরবনের নিচের দিকের দুরুত্ত ২১.২৫কিমি, যা কিনা প্রকৃতি বা সুন্দর বনের উপর কোন প্রভাবপরবারই কথা নয়। যারা এইটা নিয়ে সমালোচনা করেন তারা বলেন সুন্দর বন নাকিমাত্র ১০ কিমির মধ্যে। চিত্রটি নিজে চোখে দেখুন। আমি কোন সমালোচকের মতো হাতে আঁকানো ছবিএখানে দেইনি। এইটা স্যাটেলাইট ভিউ। যারা কথায় কথায় ডাক্তার পিনাকী (বিদ্যুৎ ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ’র এই লিংক সেঁটে দেন তাদের জন্য এই ছবি, পিনাকি নিজে বলেছেন রামপাল থেকে সুন্দরবন নাকি ১৪ কিমি দূরে। কতো বড় মিথ্যাচার।
http:// opinion.bdnews24 .com/bangla/ 2013/04/23/ %E0%A6 %B0%E0%A6% BE%E0%A6%AE%E0% A6%AA%E0%A6%BE% E0%A6%B2-%E0%A6 %AC%E0%A6%BF%E0 %A6%A6%E0%A7%8D %E0%A6%AF%E0%A7 %81%E0%A7%8E-%E 0%A6%AA%E0%A7%8 D%E0%A6%B0%E0%A 6%95%E0%A6%B2%E 0%A7%8D%E0%A6%A A-%E0%A6%AC/
এই লিংকে বিস্তারিত পাবেন ।নিন
এই লিংকে বিস্তারিত পাবেন ।নিন পড়ুন …
https://m.facebook.com/story.php?_e_pi_=7%2CPAGE_ID10%2C6541845207
সুন্দরবনের কোন ক্ষতি না হইলে
সুন্দরবনের কোন ক্ষতি না হইলে দেশের এত গুলা মানুষ শুধু শুধু হাউকাউ করতেছে! বা! দেশের সরকার মারাত্মক বুদ্ধিমান আর বাকি জনতা আবালশ্রেষ্ঠ!! ভারত নিজে তার এলাকায় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেনা কেন? বাংলার প্রতি তাদের এতো অসীম মায়া মমতার কোনো কারণ দেখিনা। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কার্বন নিঃসরণের কারণ কি দেশের জলবায়ুর কোনো ক্ষতি হবেনা?? বলেন কি? তাহলে কৃষি জমিতে ইটের ভাটা নির্মানে সবার এত মাথা ব্যথা কেন?
বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে একটি সূরা নাজিল করে দিলাম:
সূরার নাম: আল- বিদ্যুৎ
আয়াত: ১০
১। কঞগচটত
২। হে বাঙলি, তোমরা অসীম ক্ষমতা আর প্রজ্ঞার অধিকারী যে তোমরা মাছকে পানিতে ডুবিয়ে মারতে পার।
৩। বলুন, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে দরকার, একটা কেন? হাজার হাজার দরকার।
৪। তবেকি বাঙলার মানুষ বিদ্যুৎ ছাড়া থাকেনি? নাকি বিদ্যুৎ তাদের ছেড়ে থাকেনি?
৫। তবে হে সুন্দরবন, গুটিয়ে ফেল নিজের ঐ বিশ্রী দূর্গন্ধময় পশু পক্ষী, আর লম্বা লম্বা ঐ কদাকার অথর্ব বৃক্ষরাশি।
৬। বলুন, তোমরা কি করবে এই প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে, যখন তোমাদের জন্য বেহেস্তে আমি রেখেছি অগণিত সম্পদরাশি।
৭। অতএব নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বানাতে পার, অথচ নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্যুৎ বানাতে প্রতিবেশির ডাকে এগিয়ে এলে।
৮। তবেকি তোমরা আলো চাষ করতে চাও?
৯। অতএব, ধ্বংস হও সুন্দরবন।
১০। বাঙালি কোনো দিন কি গর্বের কিছু রাখতে পেরেছে জড়িয়ে আঁকড়ে ধরে?