মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক
আজ তার জন্মদিন। ইতিহাসের একজন অবহেলিত মহানায়ক।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক
আজ তার জন্মদিন। ইতিহাসের একজন অবহেলিত মহানায়ক।
আমার বাবার যত বয়স, তার থেকে আট বছর বড় ছিলেন তিনি। অতএব আমাদের জন্য পিতৃতুল্য। আক্ষরিক অর্থে তো বটেই, দার্শনিকভাবেও তিনি পিতৃতুল্য। কারণ, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মকাল যেটি, ২৬৬ দিন তথা সেই মহান মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান সেনাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী। তার জীবনী নিয়ে প্রচুর আলোচনা আমাদের দেশে হয়নি। ১৯৯৯ সালে আমার লেখা বই ‘সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে আটাশ বছর’।
সে বইয়ে আমি প্রথমবারের মতো তার অতি সংক্ষিপ্ত জীবনী বিধৃত করেছিলাম। সেনাবাহিনীর সদর দফতরের উপযুক্ত জায়গায় চাকরি করার সুবাদে জেনারেল ওসমানীর নিজের হাতে লেখা তার নিজের জীবনবৃত্তান্ত আমার কাছে কপি করে রাখতে পেরেছিলাম একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত আমার লেখা এগারতম বই ‘মিশ্র কথন’-এও বিস্তারিতভাবে তার জীবনী উদ্ধৃৃত করেছি এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা মূল্যায়ন করেছি। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকার তত্কালীন রমনা রেসকোর্সে যখন পরাজিত পাকিস্তান সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণ করছিল, তখন সেই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ওসমানী কেন উপস্থিত ছিলেন না অথবা কেন উপস্থিত থাকতে পারেননি অথবা কেন উপস্থিত রাখা হয়নি—সে প্রসঙ্গে মূল্যায়ন করেছি।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম যারা তরুণ, তাদের মধ্যে অতি বৃহত্ একটি অংশ ওসমানী সম্বন্ধে কিছু জানে না বললেই চলে। এই না জানার পেছনে অনেক কারণ আছে। এই কলামে দৈনিক আমার দেশ-এর সৌজন্যে তরুণ প্রজন্মের কাছে ওসমানীকে উপস্থাপনের জন্য এটি একটি অতি ক্ষুদ্র প্রয়াস।
১৯৭১ সালে একটি যুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধের মেয়াদ ছিল ২৬৬ দিন কিংবা ৯ মাস। যুদ্ধে দুটি প্রত্যক্ষ পক্ষ ছিল। একটি পক্ষ ছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালিরা। আরেক পক্ষ ছিল স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী পাকিস্তানিরা ও পাকিস্তান সরকার। স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের পক্ষে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিল অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধারা। আমি নিজে ওইরূপ একজন অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধা। অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধারা দু’ধরনের ছিলেন, যথা—নিয়মিত বাহিনী এবং গেরিলারা। নিয়মিত বাহিনীরা নিয়মিত যুদ্ধ করেছে এবং গেরিলারা গেরিলা যুদ্ধ করেছে। গেরিলা যুদ্ধ কী—সেটা এখানে স্থানাভাবে দেয়া সম্ভব নয়। ওইরূপ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বাহিনীকে বলা হতো মুক্তিবাহিনী। এই মুক্তিবাহিনীকে ইংরেজিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হতো বাংলাদেশ ফোর্সেস ইউঋ. এই মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন তত্কালীন কর্নেল এমএজি ওসমানী।
ওসমানীর জন্ম বৃহত্তর সিলেটের বালাগঞ্জ থানার দয়ামির (বর্তমান নাম ওসমানীনগর) নামক স্থানে। তার বাবার নাম খান বাহাদুর মুফিজুর রহমান। তিনি একজন স্নাতক ছিলেন এবং এমএলএ ছিলেন। মায়ের নাম ছিল জুবেদা খাতুন। তার জন্মতারিখ ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৮। ১৯৩৪ সালে সিলেট গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন প্রথম বিভাগে। যথাক্রমে ১৯৩৮ সালে বিএ এবং ১৯৩৯ সালে এমএ পাস করেন আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি থেকে। ততদিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। তিনি ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশনড অফিসার হিসেবে চাকরি করার নিমিত্তে যথাযথ নিয়মে দেরাদুনে অবস্থিত ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন এবং ১৯৪০ সালের ৫ অক্টোবর কমিশন লাভ করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলাকালে তিনি বার্মা ফ্রন্টে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্র জন্মের পর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি শুরু করেন। তিনি প্রথমদিকে আর্মি সার্ভিসেস কোরে ছিলেন; পরবর্তীতে নিজ আগ্রহে পদাতিক বাহিনীতে আসেন। পদাতিক বাহিনীতে তাকে পাঞ্জাব রেজিমেন্টে দেয়া হয়। ওই সময় মেজর গনি নামের জনৈক মহামতি বাঙালি বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছিলেন। সে সংগ্রামের অন্যতম সহায়ক ও উদ্দীপক ব্যক্তিত্ব ছিলেন লে. কর্নেল ওসমানী। কর্তৃপক্ষ তাকে পদাতিক বাহিনীতেই বেঙ্গল রেজিমেন্টে স্থানান্তরিত করে। ১৯৫৬ থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরে (যাকে জেনারেল হেডকোয়ার্টার বলা হয়) মিলিটারি অপারেশন্স ডাইরেক্টরেটে ডেপুটি ডাইরেক্টর হিসেবে কর্তব্যরত থাকেন। প্রকাশ্যেই কিন্তু অনানুষ্ঠানিকভাবে (সেনাবাহিনীর পরিভাষায় ডেমি-অফিসিয়াল) তিনি বেঙ্গল রেজিমেন্টকে এবং বাঙালিদের পৃষ্ঠপোষকতা করতেই থাকেন। ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান কর্নেল র্যাংকে থেকে। ১৯৭০-এর ১২ জুলাই তিনি বঙ্গবন্ধুর হাতে হাত রেখে তত্কালীন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৭০-এর ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তত্কালীন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের টিকিটে।
২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। অতিপরিচিত মুখ ছিলেন বিধায় ছদ্মবেশ ধারণের জন্য যিকঞ্চিত চেষ্টা করেন, যার জন্য মাথার চুল এবং বিখ্যাত গোঁফ কেটে ফেলেন। অতঃপর বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্ত দিয়ে ভারতের মাটিতে পা রাখেন। ১৯৭১-এর ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আধা-আনুষ্ঠানিক কমান্ড কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। স্থান ছিল বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার তেলিয়াপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলো। সে সময় পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণ তেলিয়াপাড়া পর্যন্ত পৌঁছায়নি। ওই কমান্ড কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন (আমার স্মৃতি থেকে বলছি, তাই ভুলত্রুটি মার্জনীয়) মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর সফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর সাফায়াত জামিল, মেজর মইনুল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ জ্যেষ্ঠ অফিসাররা। যারা এরই মধ্যে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নিজেদের ব্যাটালিয়নসহ মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিলেন। আমি দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কনিষ্ঠতম অফিসার ছিলাম। আমার জন্মতারিখ ৪ অক্টোবর ১৯৪৯ এবং আমার কমিশনের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭০।
বয়স এবং চাকরি উভয় গণনায় অতি তরুণ। ওই মুহূর্তের দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক মেজর সফিউল্লাহর সঙ্গে সহায়ক অফিসার হিসেবে আমি ছিলাম ওই তেলিয়াপাড়ায়। আমি কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি ছিলাম না; ওই উপযুক্ততা বা যোগ্যতা তখনও অর্জন করিনি। জ্যেষ্ঠ অফিসারদের সহায়তা প্রদান করাটাই আমার আনন্দময় ও সৌভাগ্যময় কর্তব্য ছিল। ওইদিনই প্রথম কর্নেল ওসমানীকে স্বচক্ষে দেখি। কারণ, তিনি ওই কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন। সবাই তাকে বলেন প্রধান-এর দায়িত্ব নিতে। অতঃপর তিনি কলকাতায় চলে যান। ১২ এপ্রিল তাকে একজন কেবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদায় মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়। ইংরেজি পরিভাষায় ঈড়সসধহফবত্-রহ-ঈযরবভ. তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রমান্বয়ে সুসংগঠিত করাসহ মাঠে-ময়দানে বিন্যস্ত করা হতে থাকে এবং মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল ও কার্যকলাপ পরিশীলিত হতে থাকে। তার প্রতি রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনা আসত মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার থেকে। বিশেষত, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ হতে এবং প্রধান সেনাপতি ওসমানী তার নির্দেশনা প্রেরণ করতেন সেক্টর কমান্ডার ও ফোর্স কমান্ডারদের কাছে। কালক্রমে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল, যদিও একটি সেক্টর কোনোদিনই সক্রিয় হয়নি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেড ফোর্স, কে ফোর্স এবং এফ ফোর্স নামে তিনটি ব্রিগেড মর্যাদার ও আকৃতির বাহিনী প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।
ওসমানী সাহেব নিজে তার তরুণ বয়সে স্টাফ কলেজ থেকে পিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি লেখাপড়া পছন্দ করতেন এবং জ্ঞান অর্জনকে পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তার দাফতরিক কাজ করার পদ্ধতি ও মানদণ্ড নিখুঁত এবং প্রশংসনীয় ছিল। তার আগ্রহ ও চেষ্টায় ১৯৭১-এর জুন-জুলাই সেক্টর কমান্ডার এবং ফোর্স কমান্ডারদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধের রণকৌশল সংক্রান্ত কমান্ড কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধে অফিসারের সংখ্যা অপ্রতুল ছিল, তাই এই সংখ্যা বৃদ্ধির নিমিত্তে তিনি প্রত্যক্ষভাবে আগ্রহ নিয়ে ভারতীয়দের সঙ্গে সমঝোতায় এসে অফিসার প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করেন। এরূপ প্রথম ব্যাচের অফিসাররা ১৯৭১ সালের অক্টোবরের ৯ তারিখে মূর্তি নামক স্থানে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজের মাধ্যমে কমিশন লাভ করেন।
১৯৭১-এর সেপ্টেম্বরের পর ভারত সরকার ও ভারতীয় বাহিনীগুলোর সম্পৃক্ততার বিষয়টি আলোচনায় বেশি বেশি আসতে থাকে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার, প্রধান সেনাপতি বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক নেতারা মনস্তাত্ত্বিকভাবে চাপে থাকেন। অর্থাত্ ভারতীয় সাহায্য কতটুকু নেয়া হবে, কখন নেয়া হবে এবং কী প্রকারে নেয়া হবে। আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশ ছিল একটি স্বাধীন দেশ। যদিও আন্তর্জাতিক বিশ্ব, এমনকি ভারত তখনও আমাদের স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। অতএব, সামরিক সহযোগিতা গ্রহণ করতে গিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের সামরিক বাহিনীগুলোর মান-স্ট্যাটাস ইত্যাদি নির্ধারণ করা অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। যা হোক, দেশের এবং মানুষের ভাগ্যে যা ছিল, তাই হয়েছিল। বাংলাদেশ এবং ভারত মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। মৈত্রীচুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সামরিক সহযোগিতার বিধান বিধৃত ছিল। এভাবেই নভেম্বর শেষ হয়। পাকিস্তান এবং ভারত দুটি দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্কের দেশ যুদ্ধক্ষেত্রে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়ায়। আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ হয়ে যায় দুজনের দুটি আলাদা যুদ্ধক্ষেত্র। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন আর ভারতীয়দের জন্য পাকিস্তানবিরোধী যুদ্ধের রণাঙ্গন।
১৬ ডিসেম্বর অপরাহ্নে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করবেই—এটা শতভাগ নিশ্চিত ছিল না। কিন্তু আত্মসমর্পণ গ্রহণ করার জন্য ভারতীয় পক্ষ প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। সে প্রস্তুতিতে মুক্তিবাহিনীকে যথেষ্ট সম্পৃক্ত রাখা হয়নি। বৈরী পরিবেশে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ওসমানী ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর রমনা রেসকোর্সে উপস্থিত ছিলেন না বা থাকতে পারেননি বা তাকে রাখা হয়নি।
১৯৭২-এর এপ্রিলের ৭ তারিখে ওসমানী প্রধান সেনাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নেন। অতঃপর কেবিনেটে একজন মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পুনরায় মন্ত্রী হন। কিন্তু ১৯৭৪-এ মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫-এর জানুয়ারিতে একদলীয় শাসন তথা বাকশাল বাস্তবায়নকালে প্রতিবাদস্বরূপ তিনি পদত্যাগ করেন। জেনারেল ওসমানীকে নিয়ে দুটি বইয়ের পরিচয় না দিলে আমার এ লেখা অসম্পূর্ণ থাকবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে দায়বদ্ধতার কারণেই আমি এই পরিচয় দিচ্ছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরিরত লে. কর্নেল দেওয়ান মোহাম্মদ তাসাওয়ার রাজা কর্তৃক লিখিত এবং দি ওসমানী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার পাঁচশ’ পৃষ্ঠার পুস্তক ‘O GENERAL MY GENERAL’, প্রকাশকাল ২০১০।
আরেকটি বই বাংলায় লেখা ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সিপাহসালার বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী’।
লেখক শেখ আখতারুল ইসলাম। বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী চিরকুমার ছিলেন। সম্ভ্রান্ত ধনী পরিবারের সন্তান ছিলেন। নিজে অভিজাত চাকরি করেছেন। তার সব সম্পদ তিনি আইনানুগভাবে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের জন্য এবং অন্যত্র দরিদ্র মানুষের জন্য ওয়াকফ করে দিয়ে গেছেন। ওসমানী সাহেব মেধাবী ছিলেন, সাহসী ছিলেন, সুবক্তা-সুলেখক-সুচিন্তক ছিলেন এবং অত্যন্ত কঠোর শৃঙ্খলাধারী ছিলেন। আজ তার জন্মদিন। এই কলামের মাধ্যমে তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান—জাতীয় বীর ওসমানীকে আপনাদের স্মৃতিতে, আপনাদের মানসপটে স্থান করে দিন।
আজকের এই দিনে মহান এই
আজকের এই দিনে মহান এই বীরপুরুষকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করি ।
আমার এই পোষ্ট টা ২বার দেখাছে
আমার এই পোষ্ট টা ২বার দেখাছে কিভাবে ডিলিট করতে পারি একটু বললে উপকার হত। ধন্যবাদ ।
শিকল টানুন
শিকল টানুন
এই মহান বীরের প্রতি আমার
এই মহান বীরের প্রতি আমার সহস্র সালাম ।
এই মহান বীরের প্রতি আমার
এই মহান বীরের প্রতি আমার সহস্র সালাম ।
এই পোস্ট দুইবার হয়ে গেছে।
এই পোস্ট দুইবার হয়ে গেছে। একটা ডিলিট করার জন্য শিকল টেনে দিন।
এই বীরকে নিয়ে আগে কিঞ্চিত শুনেছিলাম। ধন্যবাদ এমন একটা জিনিস জানিয়ে দেয়ার জন্য।
বিনম্র শ্রদ্ধা।
বিনম্র শ্রদ্ধা। :salute: :salute: :salute: :salute: