তারা পরাক্রমশালী মোড়ল।তারা দাতা । সুতরাং শুনতেই হবে তাঁদের কথা ।মানতেই হবে নির্দেশনা ।ছোটাছুটি হুটোপুটির ধারাবাহিকতায় তারা মানে পশ্চিমা কূটনীতিকরা এবার এলেন নির্বাচন কমিশনে ।বসলেন এবং রীতিমত জেরা করলেন বাংলাদেশের সার্বভৌম সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের । গণমাধ্যমে শিরোনাম সে খবর ।ঘটনায় অনেকে চমকিত কেউ পুলকিত কেউ কেউ বিরক্ত ।মোটাদাগে প্রতিক্রিয়া দুই ধরনের ।একদল তুষ্ট তো অন্য দল রুষ্ট ।এটাই হওয়ার কথা ।কারণ রাজনীতিতে যে প্রবল বিভাজন ।আর এই বিভেদ রেখার কারিগর আমাদের রাজনীতিকরা ।
তারা পরাক্রমশালী মোড়ল।তারা দাতা । সুতরাং শুনতেই হবে তাঁদের কথা ।মানতেই হবে নির্দেশনা ।ছোটাছুটি হুটোপুটির ধারাবাহিকতায় তারা মানে পশ্চিমা কূটনীতিকরা এবার এলেন নির্বাচন কমিশনে ।বসলেন এবং রীতিমত জেরা করলেন বাংলাদেশের সার্বভৌম সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের । গণমাধ্যমে শিরোনাম সে খবর ।ঘটনায় অনেকে চমকিত কেউ পুলকিত কেউ কেউ বিরক্ত ।মোটাদাগে প্রতিক্রিয়া দুই ধরনের ।একদল তুষ্ট তো অন্য দল রুষ্ট ।এটাই হওয়ার কথা ।কারণ রাজনীতিতে যে প্রবল বিভাজন ।আর এই বিভেদ রেখার কারিগর আমাদের রাজনীতিকরা ।
উচিত ছিল রাষ্ট্রের স্বার্থে এই বিভাজনরেখা মুছে ফেলা; কিন্তু রাজনীতিবিদরা সেইপথে হাঁটেন না ।বরং ক্ষমতা আর মতলবি রাজনীতির স্বার্থে প্রতিনিয়ত চলে সেই বিভেদ রেখায় রং চড়ানো, যার সুযোগ নেয় বিদেশিরা ।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বার বার এমন অযাচিত হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটছে আর জাতি হচ্ছে অপমানিত ।রাজনীতিবিদরাই নালিশ নিয়ে ছোটেন বিদেশিদের দরবারে ।চান হস্তক্ষেপ ।কী বলবেন একে? ক্ষমতার লোভ দেউলিয়াত্ব গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা নাকি জনমত জনস্বার্থ নিয়ে ছেলেখেলা? দেশের এই দুর্বল নতজানু রাজনৈতিক সংস্কৃতির সুযোগ নিয়ে নানা ইস্যুতে নাক গলানোর সুযোগ নিচ্ছে বিদেশিরা ।ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ- কেউ বসে নেই ।প্রায়ই বিভিন্ন ফোরামে শুনতে হচ্ছে পশ্চিমা কূটনীতিকদের মুখ ঝামটা নসিহত ।এসব শুনে এক পক্ষ তুমুল বিগলিত মানে সরকারবিরুধীরা ।এই পক্ষের নেতারা বিভিন্ন সভামঞ্চে উচ্চকিত কণ্ঠে সেসবের বয়ান তুলে ধরে বলেন দেখলেন তো কেমন দিল?! আহা এমন মূল্যায়ন সোজাসাপটা কথার তুলনা নেই ।অন্যদিকে মহাবিরক্ত সরকার পক্ষের নেতারা সভামঞ্চ কাঁপিয়ে তোলেন ওই বিদেশিদের তুলোধুনো করে- দেশ আমাদের, আমাদের সংকট আমরাই সমাধান করব ।এসব নিয়ে তোমরা বলার কে হে?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ নাটক অতি পুরনো ।সময় সময় শুধু পাত্র-পাত্রী বদলে যায় ।এখন যারা রুষ্ট গতনির্বাচনে তারাই ছিলেন বিদেশিদের এই ভূমিকায় প্রবল তুষ্ট ।আর এখন যারা বিগলিত তারাই ছিলেন সে সময় মহাবিরক্ত ।
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অশান্তির অন্যতম কারণ হলো নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থা ।দুই দশক ধরে এ নিয়ে চলছে লড়াই আন্দোলন রক্তক্ষয় ।কিন্তু সমাধান সূত্র যেন সোনার পাথরবাটি ।সমঝোতার অভাবে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুটি রিলে রেসের দণ্ডের মতো হস্তান্তরিত হয়েই চলেছে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে, আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে ।রিলে রেস তো তবু একসময় শেষ হয় ।ফলাফল আসে ।কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুটি যেন মীমাংসার অতীত ।ক্ষমতায় থাকাকালে ভাবনা একরকম ক্ষমতার বাইরে গেলে সমাধান সূত্র অন্য রকম ।ফলে নির্বাচনের আগে প্রতিবারই গোল বাধে ।ঘরের এই কলহ মেটাতে তখন বাইরের লোকদের উঁকিঝুঁকি বেড়ে যায় ।ছুটে আসেন জিমি কার্টার থেকে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি পর্যন্ত ।অথচ দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে ন্যূনতম ইস্যুতে সহমত থাকলে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা হলে সব অশান্তি মিটে সহজে যেত ।
যত কার্যকারণের কথাই বলা হোক দেশে চলমান রাজনৈতিক অশান্তির একমাত্র কারণ মসনদ ।আগামী দিনে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতা থেকেই যাবতীয় বিরোধ-বিপত্তি ।কিন্তু গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থায় ক্ষমতার মালিক তো জনগণ ।জনগণের ওপর আস্থা রাখুন তারাই সময়মত ম্যান্ডেট দেবে ।কিন্তু সেই পথে না গিয়ে বিভেদ-বিভাজনে জড়িয়ে পরিস্থিতিকে জটিলতার দিকে ঠেলে দিয়ে বিদেশিদের নাক গলানো নসিহত করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন আমাদের রাজনীতিবিদরাই ।এমনভাবে অপমান করার কষ্ট দেওয়ার অধিকার কিন্তু জনগণ তাঁদের দেয়নি ।নির্বাচনের সময় মানুষের গুরুত্ব প্রভূত মতামত রায় মহামূল্যবান ।আর নির্বাচনোত্তর শাসনের সময় মানুষ কীটসদৃশ; এই ভাবনা প্রবণতার নিরাময় জরুরি ।তা না হলে গণতন্ত্র পরিণত হবে নেহাতই মূল্যহীন প্রসাধনে ।
[লেখকঃ চৌধুরী আফতাবুল ইসলাম ।সৌজন্যে দৈনিক কালের কন্ঠ ।
মুল লিখার লিংক… http://www.kalerkantho.com/print_edition/apps/weblite/index.php?ref=MjBfMDhfMzFfMTNfMV8xM18xXzM3NDY4Ng==
এই টাই বাংলাদেশ!!!
এই টাই বাংলাদেশ!!!
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ নাটক
অতি পুরনো ।সময় সময় শুধু পাত্র-
পাত্রী বদলে যায় ।এখন যারা রুষ্ট
গতনির্বাচনে তারাই ছিলেন বিদেশিদের এই
ভূমিকায় প্রবল তুষ্ট ।আর এখন যারা বিগলিত
তারাই ছিলেন সে সময় মহাবিরক্ত ।
এই টাই বাংলাদেশ!!!
এই টাই বাংলাদেশ!!!
হুম অপ্রিয় সত্য কথা!!
হুম অপ্রিয় সত্য কথা!!
এই টাই বাংলাদেশ না ।এইটা
এই টাই বাংলাদেশ না ।এইটা বাংলাদেশের মানুষ ।আমরা খালি নিতেই জানি ।দিতে কিছু জানি না ।যেই দেশটা থেকে এত কিছু নিলাম তাকে কিছুই দিতে পারলাম না।হায়রে বাঙ্গালী মাতা, এত কুলাঙ্গার কীভাবে তুমি কেন দিলা তোমার গর্ভে জন্ম ?আমরা তো তার যোগ্য নয়
এই টাই বাংলাদেশ না ।এইটা
এই টাই বাংলাদেশ না ।এইটা বাংলাদেশের মানুষ ।আমরা খালি নিতেই জানি ।দিতে কিছু জানি না ।যেই দেশটা থেকে এত কিছু নিলাম তাকে কিছুই দিতে পারলাম না।হায়রে বাঙ্গালী মাতা, এত কুলাঙ্গার কীভাবে তুমি কেন দিলা তোমার গর্ভে জন্ম ?আমরা তো তার যোগ্য নয়
আপনার নাম দেখে লেখাটি পড়তে
আপনার নাম দেখে লেখাটি পড়তে শুরু করেছিলাম … সে যাহোক
এই একই কথা শুনছি বহুকাল ধরে … লেখক বদল হয় বাট কথা
সেই পুরনো ।
আফসোস!!! আমাদের নাম দেখেও কেউ
আফসোস!!! আমাদের নাম দেখেও কেউ পড়ে না রে 🙁
কথাগুলো আমার বেশ পছন্দ হয়েছে
কথাগুলো আমার বেশ পছন্দ হয়েছে তাই শেয়ার দিছি ।লেখক উনার লিখায় বিদেশী প্রভুদের বাদ দিয়ে আমাদের মত অসহায় জনগণের গুরুত্ব বিবেচনার জন্য রাজনীতিকদের আহবান জানিয়েছেন যা আমার কাছে মনে হয়েছে অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
আপনার নাম দেখে পড়া শুরু
আপনার নাম দেখে পড়া শুরু করেছিলাম, কিন্তু শুরু করার পর দেখি হানিফ সঙ্কেত স্টাইল। খুব ভাল লাগলো। খুব সুন্দর করে লিখেছে সত্য কথন
খুব ভালো লাগল ।এই লেখা গুলা
খুব ভালো লাগল ।এই লেখা গুলা আসলেই অনেকদিন থেকেই শুনছি।লেখক বদল হয় কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়না