বাংলাদেশের কক্সবাজার, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বাস। প্রায় দেড়শ বছর আগে বার্মিজ রাজা “বোদোপ্র”‘র অত্যাচারে এরা বার্মা থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে সমুদ্র উপকুলে চলে আসে। এখন তারা রাঙাবালি, মৌডুবি, বড়বাইশদিয়া, ছোটবাইশদিয়া, কুয়াকাটা, টিয়াখালী, বালিয়াতলী, বগীসহ বিভিন্ন দ্বীপে বাঙালির সাথে মিলেমিশে বসবাস করছে। বিখ্যাত রাসমেলাতে বাঙালি রাখাইনরা একত্রে পালন করছে ঐ উৎসব। বাঙালির মাঝে বসবাসের কারণে রাখাইনদের সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় কোন সমস্যা হয়েছে এখনো শুনিনি।
:
কিন্তু পার্বত্য ৩-জেলাতে চাকমা মারমাসহ বেশ কটি উপজাতি সেখানে বাঙালিদের বসবাস করতে দিতে চায়না। তাতে নাকি তাদের সংস্কৃত, ধর্ম বিনষ্ট হবে। ৩-জেলা ছাড়া অন্যত্র যেসব উপজাতি বসবাস করছে, সেখানে তাদের বাঙালির সাথে বসবাসে কোন সমস্যা হয়নি কখনো। যেমন সাঁওতাল, মণিপুরী। তাদের মাঝে নাই কোন সন্ত্রাসি উগ্র চাঁদাবাজ গোষ্ঠী কিংবা জুম্মল্যান্ডি। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লীতে আগুন দেয়ার কারণে কোন সাঁওতাল বলেনি, আমরা বাঙালিদের সাথে থাকবোনা। বরং বাঙালি সাঁওতাল সবাই পুলিশকে দায়ী করছে, তাদেরকে ক্লোজ করে বিচারের মুখোমুখি করেছে।
:
কিন্তু এ ঘটনা মারমা চাকমাদের মাঝে হলে, তারা সব দোষ বাঙালিদের দিতো। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে স্বায়ত্ত্বশাসন ফাসনের কথা নিতান্তই হাস্যকর। আসলে যেখানে উগ্র চাঁদাবাজ চাকমা মারমা সেখানেই সমস্যা। যেখানে চাকমা মারমা নেই, সেখানে সকল উপজাতি ভাইবোনেরা মিলেমিশে বসবাস করছে বাঙালির সাথে। অতএব “ডালকে কুছ কালা হায়”! বের করতে হবে এই “কালা” টা কে! এবং তাকে চিহ্নিত করে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। যা এখন সময়ের দাবী।
ছবি : রাখাইন মেয়েদের জল উৎসব
