মায়ের কাছে পরীদের গল্প শুনেছি।শুভ্র পরী, লাল পরী, নীল পরী আর সবুজ পরীদের গল্প। গল্পে ওরা উড়ে বেড়াতো, একসাথে হাসত, খেলত, আনন্দ করত। গল্পের এই পরীগুলো বাস্তবে আছে কিনা জানিনা তবে যাদের মাঝে আমি এই পরীদের খুজে পাই তারা আর কেউ নয় আমার গর্বের বিদ্যাপিঠ কিশোরেগঞ্জ জেলার কুলিয়ার চর থানার ‘ লক্ষ্মীপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের’ ছাত্রীদের মাঝে। কিছু নিষ্পাপ স্কুল বালিকারা যখন রাস্তায় হেটে যাবার সময় একে অন্যের সাথে দুষ্টামী করে, আনন্দ করে স্কুলে যায় কিঙ্গবা স্কুল হতে বাড়ি ফিরে তখন তাদের আমার কাছে পরী বলেই মনে হয়। কিন্তু আজ কিছু হায়েনাদের কারনে বন্ধ হওয়ার পথে এই পরীদের স্কুলে যাওয়া। গত মঙ্গল বার পরীর মত নিষ্পাপ এক বোন ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে মানুষরূপী কিছু হায়েনার কাছে। তাদের এই আচরনে শত শত পিতা মাতা তাদের কন্যাকে স্কুলে দিতে ভয় পাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ার চর থানার গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের জাপরাবাদ গ্রামের চারাল(মুচি) সম্প্রদায়ের এক মেয়ে ধর্ষনের স্বীকার। মেয়েটি পাশের গ্রামে অবস্থিত লক্ষ্মীপুর দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। গত মঙ্গল বার স্কুলে কোচিং করে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের তিন নরপশু রবিন, জনি ও বাবুল মেয়েটিকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অপহরন করে ও পরবর্তিতে ধর্ষন এবং তার অশ্লিল ভিডিও ও ছবি মুঠোফোনে ধারন করে অপহরনের নয় ঘন্টা মেয়েটিকে তার বাড়ীর কাছে রেখে যায়
এই খবরটা শুনে মনটা ভীষণ রকম খারাপ হয়ে গেছে। আমার চোখের অশ্রু ঝরাকে অনেক কঠিন একটা বিষয় বলে ভাবতাম কিন্তু এই খবর শুনার পর নিজের অশ্রু ধরে রাখতে পারিনি। কেননা প্রতিদিন ঘুম হতে জেগে পত্রিকায় কিঙ্গবা ফেইসবুক ফিডে যখন খুন, ধর্ষনের লেখাগুলো পড়ি তখন আমার গ্রাম, আমার ইউনিয়ন কে নিয়ে খুব গর্ব হতো। ভাবতাম দেশের প্রতিটা গ্রাম, প্রতিটা ইউনিয়ন যদি আমার গ্রামের মত হতো, আমার ইউনিয়নের মত হত। আমার গ্রামটা ছিল সাম্রদায়িক কলহহীন একটা গ্রাম।
মনটা আমার ভীষণ খারাপ যখন যেনেছি আমার গর্বের ধন অসয়াম্প্রদায়িক এই গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নকে কয়েকটি হায়েনা কলঙ্কিত করছে, কলঙ্কিত করে দিয়েছে পরীর মত নিষ্পাপ মেয়ের জীবনে।কলঙ্কিত করেছে আমার শ্রদ্ধার স্কুল ড্রেসকে। অথচ এই ড্রেস নিয়ে আমার কত তাজা স্মৃতি ছিল। এখন চোখ বন্ধ করলে সেই স্মৃতির পটে একটা গাঢ় অন্ধকার ভেসে উঠে। ভেসে উঠে আমার রক্তাক্ত বোনের রক্ত মাখা সাদ জামা।
আমার মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে আছে এই জন্য যে আগামী কাল হতে হয়ত অনেক বাবা-মা তাদের মায়েকে স্কুলে পাঠাবে না নিরাপত্তার ভয়ে।কিন্তু আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না ক্রমে প্রগতির দিকে দাবিত হওয়া আমার গ্রাম। আমার ইউনিয়ন কাল হতে আবার পিছাতে থাকবে!! ঐ গ্রামের ছেলে হিসেবে আমি কখনো মেনে নিতে পারিনা। শত শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে আগামীর কোনো বেগম রোকেয়া সেটা আমি কখনো মেনে নিতে পারি না।আমার চিরকালের গর্ব, চির কালের অহঙ্গকার তিন কুলাঙ্গারের জন্য ছাত্রীশুন্য হয়ে যাবে তা কখনো ভাবতেও পারিনা।
তবে হায়েনাদের লুলুপ দৃষ্টি বন্ধ করার জন্য, প্রত্যক মা-বাবার মনে আস্থা ফেরানোর জন্য আমার ইউনিয়নের শান্তিপ্রিয় ছাত্র জনতা কিছু কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। আপনারা যারা কিশোরগঞ্জ জেলায় আছেন, কিংবা কিশোরগঞ্জ জেলার পাশা-পাশি কোন জেলায় আছেন তারা তাদের প্রতিবাদ ও গণসচেতনতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করুন। যারা মিডিয়া কিংবা অন্য কোন ভাবে সাহায্য করতে চান তারাও প্লিজ আমাদের পাশে দাড়ান, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আমাদের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করুন। কোমলমতি ছাত্রীদের জ্ঞান অর্জন করে প্রকৃত মানুষ হতে সহযোগিতা করুন।
ধর্ষকের সর্বচ্চ
ধর্ষকের সর্বচ্চ শাস্তি(মৃত্যুদন্ড করা হোক) নিশ্চিত এবং তা কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই মানুষরূপী জানোয়ার গুলো থামবে না।
এদের ফাঁসিতে না ঝুলালে এরা
এদের ফাঁসিতে না ঝুলালে এরা থামবে না। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে আইন আন্ধা। তার চোখ খোলার জন্য সেই কসরত চালাতে হয় তাতে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই নির্যাতিতা ও তার পরিবার হার মানে।
একমত
একমত
ভাই আর বালা লাগেনা এইসব শুনতে
ভাই আর বালা লাগেনা এইসব শুনতে কাজের কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছে না খালি আমরা ব্লগে সাংবাদিকরা টিভি চ্যানেল, মন্ত্রীরা সংসদ আর বিরোধীদল সমবেদনা প্রকাশ করেই ক্ষ্যান্ত ।। কেউ কোন ধরণের কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে এখনো দেখিনি……… :মাথাঠুকি:
ধর্ষক যে ধর্মেরই হোক, যে
ধর্ষক যে ধর্মেরই হোক, যে দলেরই হোক তার শাস্তি নিশ্চিত চাই ।
ঘটনাটা খুবই বেদনাদায়ক।তার
ঘটনাটা খুবই বেদনাদায়ক।তার থেকে বেদনাদায়ক আমাদের সমাজের মানুষ মেয়েটিকে ঘৃণা করবে যেখানে ঘৃণার পাত্র সেই রাক্ষসগুলো।আর রাক্ষসগুলো আইনের ফাঁক ফোকরে বেরিয়ে আসবে।
কানতেছি
কানতেছি
মন খারাপ করে দিলো …
— আর
মন খারাপ করে দিলো …
— আর শুধু আপনার ইউনিয়ন না দেশের যে কোন জায়গাতেই এই অপরাধ সংঘটিত হোক না কেন আমাদের সবার বিবেক হেট হয়ে যায় …
ধর্ষকদের শাস্তি হওয়া উচিৎ
ধর্ষকদের শাস্তি হওয়া উচিৎ তাদের পুরষাঙ্গ বিকল করে দেয়া তা ছাড়া আর কোন কিছুতেই এরা থামবে বলে মনে হয় না….