অথচ লোকটা রোদের গন্ধের ভেতর নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকে।
শিমুলতলার অধিবাসীদের দীর্ঘদিনের নির্লিপ্ত জীবনে হয়তো খানিকটা কৌতুহল বয়ে আনার জন্যই আকস্মিক উদয় ঘটে তার এবং কেউ কেউ তাকে দেখে বিস্মিত হয়। তারা বলে, কি রে ব্যাডা, তুই ইবা খাড়াই আছস ক্যা? তর কী হইছে? প্রতুত্তরে সে তাদের দিকে শূণ্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। লোকটার অভিব্যক্তি তাদের কাছে দুর্বোধ্য মনে হয়, এবং তারা বিভ্রান্ত বোধ করে। তারা লক্ষ্য করে যে, লোকটার চোয়াল একসময় কঠোর হয়ে ওঠে, চোখ ঈষত্ লাল এবং সে দৃঢ়স্বরে বলে, আপনারা আসলে জন্মান্ধের পাঠে অভ্যস্থ বইলা বিষয়ডা খেয়াল করেন নাই,
অথচ লোকটা রোদের গন্ধের ভেতর নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকে।
শিমুলতলার অধিবাসীদের দীর্ঘদিনের নির্লিপ্ত জীবনে হয়তো খানিকটা কৌতুহল বয়ে আনার জন্যই আকস্মিক উদয় ঘটে তার এবং কেউ কেউ তাকে দেখে বিস্মিত হয়। তারা বলে, কি রে ব্যাডা, তুই ইবা খাড়াই আছস ক্যা? তর কী হইছে? প্রতুত্তরে সে তাদের দিকে শূণ্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। লোকটার অভিব্যক্তি তাদের কাছে দুর্বোধ্য মনে হয়, এবং তারা বিভ্রান্ত বোধ করে। তারা লক্ষ্য করে যে, লোকটার চোয়াল একসময় কঠোর হয়ে ওঠে, চোখ ঈষত্ লাল এবং সে দৃঢ়স্বরে বলে, আপনারা আসলে জন্মান্ধের পাঠে অভ্যস্থ বইলা বিষয়ডা খেয়াল করেন নাই, অন্ধকারের রঙ মাঝেমইধ্যে গাঢ় লাল হয়, রক্তের মতন। এই বলে সে ফোঁস করে একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে, মুহূর্তেই তা লুফে নেয় শিমুলতলার বৃষ্টিপূর্ব চতুর বাতাস। তার এ কথায় কেউ কেউ প্রতিবাদ করে, তারা বলে, অন্ধকার অবশ্যই কালা, ম্যাঘের মতন। লোকটা তখন সামনে দাঁড়ানো হ্যাংলামতন একজনকে বলে, বিড়ি দে দেহি, বহুত পিয়াস লাগছে। সদ্যকেনা আকিজের প্যাকেট থেকে সে একটা বিড়ি ও পকেট থেকে বারুদ বের করে এগিয়ে দিলে সে তাতে অগ্নিসংযোগ করে এবং তা ডান কানের উপরে রেখে নির্বিকারভাবে হাঁটতে শুরু করে।
পেছনে দাড়িয়ে থাকা শিমুলতলার অধিবাসীরা কেউ কেউ বিহ্বল হয়ে পড়ে এবং দ্যাখে, তার কানে জ্বলন্ত লাল সিগারেট ধীরে ধীরে ধূসর হতে থাকে। এই সময় শিমুলতলার বাতাস ঘনায়মান হয়ে আসে এবং মুহুর্মুহু শব্দছন্দে বৃষ্টি নামে। তারপর, তখন, আকস্মিক লোকটা ঘুরে দাঁড়িয়ে নিভন্ত বিড়ি’টা ছুড়ে দেয় তাদের দিকে এবং হো হো করে তীব্রস্বরে হাসে। তারা চমকে সরে দাঁড়ায়। বিড়িটা গড়িয়ে কিছুপথ অতিক্রম করে একসময় নিশ্চল হয়ে পড়ে এবং তখন কেউ কেউ উকি দিয়ে দ্যাখে যে, ফিল্টারের সম্মুখভাগের পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া ছাইয়ে আচমকা শীতল হাওয়া লাগলে এই মুষল বৃষ্টির মধ্যেও সেখানে লালচে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
তারপর দীর্ঘদিনব্যাপী লোকটা’কে শিমুলতলায় বা তার আশেপাশে দেখা যায় না এবং কেউ কেউ তার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তারা নিজেদের মধ্যে বলে যে, লোকটা হয়তো পাগল ছিল এবং ঘটনা’টা নিছক কাকতালীয়, যেহেতু এর দ্বারা অন্ধকারের রঙ সম্পর্কে বিশদ কোনো ধারণা পাওয়া যায় না এবং তারা ঘটনাটিকে একসময় ভুলে যেতে চায়। কিন্তু একজন, যে কীনা হ্যাংলামতন এবং লোকটা’কে সেদিন বিড়ি দেয়, তাকে শিমুলতলার একদম উত্তুরে, নদীর ধারের তপ্ত বালুচরে রোদের গন্ধের ভেতর দিকশূণ্য হেঁটে বেড়াতে অথবা নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
১৩/৭/১৩
চমৎকার লিখেন আপনি। মানে,
চমৎকার লিখেন আপনি। মানে, গল্পের ভাষা, উপমা ইত্যাদির কথা বলছি। কিন্তু এই অনুগল্পের ম্যাসেজটা ধরতে পারলাম না। :চিন্তায়আছি:
বুঝলাম না?
বুঝলাম না?
ঠিক ধরতে পারলাম না
ঠিক ধরতে পারলাম না