আমার দেশের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে , পূর্বের নোয়াখালী । আকাশের তাঁরা যত , এই এলাকায় বিএনপির ভোট তত । বিগত জাতীয় নির্বাচনে আমার বাড়ির পাশে একটি ভোট কেন্দ্র পড়েছিল । আমার আংকেল নিজের পকেটের টাকা দিয়ে কিছু রিক্সা ভাড়া করেছিলেন মহিলাদের ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্যে । শর্ত ছিল তাঁরা নৌকায় ভোট দিবে । দেখাশুনার দায়ীত্ব ছিল আমার উপর । আনুমানিক ৬০০ জনের মত মহিলা আমাদের রিক্সায় ছড়ে ভোট কেন্দ্রে গেলেন এবং ভোট দিয়ে বাড়িও ফিরলেন ।
দিন শেষে আওয়ামীলীগ মোট ভোট পেল ৪৫৭ টি । যা কিনা গত বারের ডাবল । আর বিএনপি পেল ২৮০০ + ভোট ।
পরের ঘটনা:
আমার দেশের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে , পূর্বের নোয়াখালী । আকাশের তাঁরা যত , এই এলাকায় বিএনপির ভোট তত । বিগত জাতীয় নির্বাচনে আমার বাড়ির পাশে একটি ভোট কেন্দ্র পড়েছিল । আমার আংকেল নিজের পকেটের টাকা দিয়ে কিছু রিক্সা ভাড়া করেছিলেন মহিলাদের ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্যে । শর্ত ছিল তাঁরা নৌকায় ভোট দিবে । দেখাশুনার দায়ীত্ব ছিল আমার উপর । আনুমানিক ৬০০ জনের মত মহিলা আমাদের রিক্সায় ছড়ে ভোট কেন্দ্রে গেলেন এবং ভোট দিয়ে বাড়িও ফিরলেন ।
দিন শেষে আওয়ামীলীগ মোট ভোট পেল ৪৫৭ টি । যা কিনা গত বারের ডাবল । আর বিএনপি পেল ২৮০০ + ভোট ।
পরের ঘটনা:
আমার খালাম্মা মহিলা কমিশনারের জন্যে পার্থী হলেন । নির্বাচনী কজের একটা অংশ দেখার ভার পড়ল আমার উপর । আমি তাঁর নির্বাচনী দাওয়াত দিতে গিয়ে নানা বিনোদনের মুখোমুখি হলাম ।
গ্রামের এক মহিলার কাছে দেয়াল ঘড়ি মার্কায় ভোট চাইতেই তিনি জানিয়ে দিলেন ভোট দিতে পারবেন না । কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন :- আমি শুধু ধানের শীষে ভোট দিব , আমরা ধান চাঁষ করি , ভাত খেয়ে বাঁছি । ধানই আমাদের জীবন ।
তাকে কিছুতেই বোঝাতে পারলাম না এটা জাতীয় নির্বাচন নয় , ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ।
আরেক মহিলা জানালেন :- আওয়ামীলীগ হচ্ছে ডাকাত আর বিএনপি হচ্ছে চোর । তার তাঁরা এদের ভোট দেন না , ধানের শীষে ভোট দেন ।
গত বার বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ২০০৪ সালে নোয়াখালী অঞ্চলে খুব বড়সড় বন্যা হয়েছিল । কিন্তু সে বন্যার পানি বিএনপির এমপি শহিদ ! উদ্দিন চৌধুরীর মাছের খামার পর্যন্ত যায়নি । তিনি অবশ্য তার খামারের মাছশুন্য একটা পুকুরের বাঁধ কেটে দিয়ে এবং কিছু কুকুর কে স্কুলের টিনের চালে উঠিয়ে তা ভিডিও করে বড় অংকের ব্যাংক লোন মাফ করিয়ে নিয়েছিলেন । ব্যাংক অবশ্য সব জেনে শুনেই তাঁকে আবার নতুন করে লোনও দিয়েছিল , মৎস খামার চালু রাখার জন্যে । পরপর দুই বার এমপি হওয়া শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপুর বাসীর জন্যে এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান ।
অবশ্য জনগনও কয়েকটি উপহার দিয়েছিল তাঁকে । তিনি বিগত নির্বাচনে নিজের বাড়ির সামনের ভোট কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী পার্থী আবুল হাশেমের কাছে । এছাড়াও কয়েকটি স্থানে সভা করতে গিয়ে জনগনের দৌড়ানি খান জনাব চীপ হুইপ(বর্তমান) ।
গতবারের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরে প্রত্যেকটা আসনে আওয়ামীলীগ ২০০১ এর নির্বাচনের চেয়ে ডাবল ভোট পেয়েছে । বিএনপি ২০০১ এ যত ভোট পেয়েছিল এবার তা কমেছে অনেক । কিন্তু তাতে লাভটা কি ! শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারনে হারাতে হয়েছে সবকটি আসন ।
যাই হোক আরেক দিন আবার বলব এইসব বিষয় নিয়ে ।
আকাশের তাঁরা যত , এই এলাকায়
—- মজা পেলাম !
—- হাহাহাহা । 😀
হ্যাঁ , এর নাম নোয়াখালী আর
হ্যাঁ , এর নাম নোয়াখালী আর আমি এখানের বাসিন্দা
(No subject)
:ফুল:
মানুষ কতটা অন্ধকারে আছে সেটা
মানুষ কতটা অন্ধকারে আছে সেটা তুলে ধরলেন। ভাল লাগল পরে।
কথা হচ্ছে যেখানে ভোটাররা লোভে পরে ভোট দিতে যায় সেখানে প্রার্থীরা পুকুরচুরি করবে তাতে সন্দেহ নাই…
(No subject)
:আমারকুনোদোষনাই: