একটা দেশ কাকে বলে? এটা কি শুধু একটা মানচিত্র, নাকি একটা চেতনা? কে জানে! এতো চিন্তা করলে আমার মাথায় কেমন যেন ধান্দা লেগে যায়। দেশের সবাই আজকাল কেমন যেন অস্থির! কারো যেন কিছু ভাল লাগছে না, সব কিছু ছিঁড়ে ফুঁড়ে একাকার করে ফেলতে পারলে যেন শান্তি পেত। কিছু একটা হলেই সবাই মিলে অশান্তি তৈরি করছি। ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সবখানে অশান্তি। সবাই যেন একসাথে চেঁচিয়ে বলছে “ভালো লাগছে না, কিছুই ভাল লাগছে না। সব ধ্বংস করে দাও। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দাও।”
একটা দেশ কাকে বলে? এটা কি শুধু একটা মানচিত্র, নাকি একটা চেতনা? কে জানে! এতো চিন্তা করলে আমার মাথায় কেমন যেন ধান্দা লেগে যায়। দেশের সবাই আজকাল কেমন যেন অস্থির! কারো যেন কিছু ভাল লাগছে না, সব কিছু ছিঁড়ে ফুঁড়ে একাকার করে ফেলতে পারলে যেন শান্তি পেত। কিছু একটা হলেই সবাই মিলে অশান্তি তৈরি করছি। ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সবখানে অশান্তি। সবাই যেন একসাথে চেঁচিয়ে বলছে “ভালো লাগছে না, কিছুই ভাল লাগছে না। সব ধ্বংস করে দাও। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দাও।”
এতো গরম গরম কথা আমার মাথায় ঢোকে না। আমি ভাই নিরীহ মানুষ। সকালে অনেক কষ্টে ঘুম থেকে উঠে অফিস যাই, অফিস শেষে বাসায় আসি, খাই-দাই, ঘুমাই। টেনশনবিহীন আরামের জীবন। দেশ নিয়ে এতো চিন্তা ভাবনা করার অবসর নাই। ভালোও লাগে না। মাঝে মাঝে শুধু পেপার পত্রিকা দেখে খারাপ লাগে। কেন লাগে ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। শুধু মনে হয়, দেশটা একদম ভেতর থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। মিষ্টি আমটা যেন পোকায় খেয়ে ফেলেছে। কথাটা ভেবে একটু যেন উত্তেজিত হয়ে পড়ি। আমার সোনার দেশটারে কারা এভাবে নষ্ট করে ফেললো রে? কারা??? কার এতো বড় সাহস!!!???
এই উত্তেজনা সাময়িক। আমার মধ্যবিত্ত মাথা খুব সহজেই ঠাণ্ডা হয়ে আসে। আমি জানি ওরা কারা। কারা আমার দেশটাকে আমার সামনে দেখিয়ে দেখিয়ে রেপ করে গেল। সবাই জানে, সবাই দেখেছে। কারো কিছুই করার নেই। আমরা জানি আমরা ওদের সাথে পারব না। ওদের কাছে ক্ষমতা আছে, রাজনীতি আছে, গুন্ডা বাহিনী আছে , টাকা-পয়সা- বুদ্ধিজীবী কি নেই!
আমার কাছে? কিছুই না। হা হা হা। ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সরদার।
বুঝি। সবই বুঝি। এভাবে চললে দেশটা যে গোল্লায় যাবে সেটাও বুঝি।
কিন্তু কি করবো? দেশটাকে বাঁচাতে কেউ যে এগিয়ে আসছে না। সামনে যেতে যে ভয় করে!
বুকের মাঝে কেমন যেন একটা অস্বস্তি তৈরি হয়। ভালো লাগে না, কিছুই ভাল লাগে না। মনে হয় একটা লাঠি দিয়ে যদি বদমাইশগুলার মাথা ফাটায় দিয়ে আস্তে পারতাম! ঘুষ খাবি, তাই না হারামজাদা? দুই নাম্বারি করবি? খাবারে ফরমালিন মেশাবি? রাজনীতির নামে দেশটাকে লুটে পুটে খাবি? একটাকেও ছাড়ব না। সব কয়টারে জ্যান্ত পুটে ফেলব!
রাগ লাগে। খুব রাগ লাগে। মনে হয় সব ধ্বংস করে দেই। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেই সব।
একটা দেশ কাকে বলে? এটা কি শুধু একটা মানচিত্র, নাকি একটা চেতনা?
মানচিত্রে যখন ঘুণপোকা ধরে
মানচিত্রে যখন ঘুণপোকা ধরে অথবা চেতনারা সব অচেতন হয়ে পরে, তখনই স্বাধীনতা ইতিহাস হয়ে যায় |
অস্থির সময়ের পদাবলী … ”
অস্থির সময়ের পদাবলী … ” সুদিন আসবে বলে তাই আমি স্বপ্ন সাজাই … ”
হাত পা বেঁধে ফেলে দেওয়া
হাত পা বেঁধে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অথবা সবাই বেশি আত্মকেন্দ্রিক। সময় কই দেশ নিয়ে ভাবার!!!!!
অথবা সময় হয়েছিলো। জেগেছিল সবাই। কিন্তু আবার থেমে গেছে। আবার নিসচুপ হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু যেন হবে না।
বাঙালি নির্বোধ। সে জানে না কিসে তার ভালো কিসে তার মন্দ। সামনে সময়, নির্ধারণ করার দেশকে কি গন ধর্ষণের জন্য রেখে যাবে নাকি সুন্দর করে সাজাবে।
“রাষ্ট্র হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট
“রাষ্ট্র হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড যার একটা সীমানা থাকে আর এই ভূখণ্ডের জনসাধারন একটি আইনত লিগ্যাল সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। এইখানে সাধারনত নির্দিষ্ট ভূখণ্ডটি নির্ধারিত হয় কখনও ভাষাগত বা কখনও সংস্কৃতিগত চেতনা থেকে অথবা দুটির সংমিশ্রণে, আর সরকারের ক্ষেত্রে তা হয় জনসাধারণের সম্মতিতে কোন সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক আদর্শের দ্বারা পরিচালিত! উইকিপিডিয়ায় রাষ্ট্রের সংজ্ঞায় রাজনৈতিক ভূখণ্ডের উপর বারবার দৃষ্টি দেয়া হয়েছে…”
— টমাস মোর এর ইউটোপিয়া’য় একটা আদর্শিক স্বপ্ন রাষ্ট্রের বর্ণনা এইভাবেই করা হয়েছে যেখানে রাষ্ট্র ও তার জনগন সর্বক্ষণ ১০০% উৎকর্ষতা ও যথার্থতার দিকে ধাবিত হয়।। এই স্বপ্ন রাষ্ট্রের অন্যতম পূর্ব শর্ত হচ্ছে শিক্ষায় সবাইকে আলোকিত করা!!
তাই বলছিলাম কি যেইখানে তেঁতুলতত্ত্ব বিশ্বাস করে ৫০% জনগন সেইখানে এইসব নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নাই! আজ আমি জন্ম নিয়ন্ত্রন করতে গেলেও বাধা পাব!! আগে সমাজকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে তবেই আমার হতাশার গ্রাউন্ড সৃষ্টি হবে, এখন হতাশ হওয়ার ও সুযোগ নাই…
আমি মনে করি আমাদের দেশের
আমি মনে করি আমাদের দেশের মানুষের মানবিক অবক্ষয়ের মূল কারন নিহিত আছে বিশাল জনসংখ্যার ভিতরেই। এতো ছোট একটা দেশে এতো মানুষ!!! সম্পদের সীমাবদ্ধতায় এই দেশ তার নাগরিকের নুন্যতম নাগরিক চাওয়া পূরণ করতে অক্ষম। ফলে সবাই একটা অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে থাকে। ফলস্বরূপ নিজের স্বার্থের চিন্তায় আমরা এতোটাই ডুবে আছি যে দেশ, দেশের মানুষ নিয়ে ভাবার অবকাশ পায় না বেশীর ভাগ মানুষ। সবাই দিনকে দিন আরও বেশী আত্মকেন্দ্রিক এবং স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি। নিজেরটা কিভাবে ম্যানেজ হবে এই চিন্তাই মানুষকে অমানুষে পরিণত করছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করা না গেলে রাষ্ট্র হিসেবে আমরা আরও দ্রুতই ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হবো।
দেশ ছাড়তে পারেন
দেশ ছাড়তে পারেন