রাস্তায় এক শিশুকে দেখছেন মানুষের কাজ থেকে টাকা চাচ্ছে, পরক্ষণে আপনার হাত ধরে আসা শিশুটির দিকে লক্ষকরুন সে খেলা করছে। ভিক্ষাকরা শিশুটির পরণে ছেড়া জামা, শার্ট, প্যান্ট আর আপনার আশে পাশে ঘুরতে আশা শিশুদের উপর নজর দিন কি দেখলেন? বলতে হবে না, মনের মধ্যে রাখুন।
রাস্তায় এক শিশুকে দেখছেন মানুষের কাজ থেকে টাকা চাচ্ছে, পরক্ষণে আপনার হাত ধরে আসা শিশুটির দিকে লক্ষকরুন সে খেলা করছে। ভিক্ষাকরা শিশুটির পরণে ছেড়া জামা, শার্ট, প্যান্ট আর আপনার আশে পাশে ঘুরতে আশা শিশুদের উপর নজর দিন কি দেখলেন? বলতে হবে না, মনের মধ্যে রাখুন।
বাসার কাজের মেয়েকে ভোর ৬টা থেকে রাত ১২-১টা পর্যন্ত হাড় ভাঙ্গা খাটুনির পর দু বেলা ভাত কি দিয়েছেন? দু দিনের বাসি ভাত আর লবণ, মরিচ দিয়ে খেতে দিয়েছেন। এবার আপনার ডাইনিং রুমে আসুন। কি দেখছেন? মাংস, পোলাও, মাছ, সবজি ইত্যাদি সুস্বাদু খাবার। খেতে খুব মজা। বুকেহাত রাখুন আর উত্তর দিন এই সুস্বাদু খাবার কে রান্না করেছে? ঐ যে দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকা বা স্টোর রুমেঘুম যাওয়া কাজের মেয়েটি। প্রশ্ন রাখলাম। রান্না করল যে সে সামান্যটুকু পেল না, আপনারা খাচ্ছেন কি করে? বাদ দেন, উত্তর মনের মধ্যে রাখুন।
যে মেয়েটি সারাদিন এত খাটল রাতে আবার তার সাথে সেক্স করেন (সবাই নয়). দিনের বেলা তার আশে পাশে দাঁড়াতেন না কারণ দুর্গন্ধময় শরীর। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়নাকে রুমাল দেন। রাতে সেই দুর্গন্ধ কয় থাকে জনাব? তার সাথে সেক্স করতে তো দিব্যি মজা লাগে তাই না?
আপনার সন্তান ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ছে আর বাসার কাজের মেয়েটি অক্ষর জ্ঞানটুকু থাকে না। আপনারা ইংলিশ টয়লেট ব্যবহার করছেন, একবার ঘুরে আসুন বস্তিতে কিংবা অজ পাড়া গায়ে। কি দেখছেন?? ইংলিশ তো নয় সাধারণ সেনেটারীও নেই। তারপরও তারা বেঁচে থাকে।
অফিসে যান গাড়িতে, আর যারা নিম্মবিত্ত তারা পায়ে হেঁটে বা বাসে করে। বাবার বয়সী রিকশাওয়ালাকে তুই তোকারি থেকে মা-বোন ধরে গালিও দেন, আবার সময়ে পুরুষত্ব দেখানোর জন্য মার দেন কারণ আপনি যে পুরুষ এবং ভদ্র তা দেখাতে হবে নাহ! এইসব কাজ না করলে সমাজ তাকে ভদ্র বলবে কি করে, ঠিক তো?
আচ্ছা এমন অনেক কথা বলতে গেলে সময় যাবে, কালি ফুরাবে। কিন্তু আমার কথা শেষ হবে না। গতানুগতিক নিয়মের গন্ডি পেরিয়ে আসুন এইবার অন্য দিকে ঘুরে আসি।
“লিমন” আলোচিত এক নাম। ভাইজান, আমি পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকানে কাজ করে কিংবা জুতা পালিশ করে লিমনদের কথা বলি নি। বলেছি যার্ব
গুলিতে পা হারা এক হতভাগ্যছেলের কথা। স্বপ্ন ছিল বড় হবে। মানুষ হবে। মা-বাবাকে দেখবে। অন্যদের মত দৌড়ঝাপ করবে। কিন্তু কি হল, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান লিমনকে ফাঁসানো হল রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে। একজনের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে ওস্তাত এই রাষ্ট্র। নির্দোষ ছেলেকে কিভাবে ফাঁসাতে হয় এই বাংলাদেশের দিকে তাকালেই জানা যাবে।
এত কথা বললাম তার পিছনে একটা কারণ আছে। একটু ভেবে দেখুন সব কিছুর পিছনে এক বৈষম্য কাজ করছে। তার নাম সামাজিক বৈষম্য। সমাজের প্রতিটি স্তরে এই বৈষম্য প্রকটভাবে বিদ্যমান। বলতে পারেন কেন এই বৈষম্য?? রিকশাওয়ালা, কাজের মেয়ে এরা সবাই মানুষ। শুধু পার্থক্য একটাই যে তারা গরীব ঘরে জন্ম নিয়েছে। কেউ তো আর সাধে চাই না গরীব ঘরে জন্ম নিতে। উপরওয়ালা যেখানে জন্মের স্থান বেঁধে রেখেছেন সেখানেই তার জন্ম হয়। কিন্তু আমরা যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত তারা যদি এক পা করে এগিয়ে আসি তাহলে এই অন্ধকারে থাকা মানুষগুলোকে আলোর পথ দেখাতে পারবো। দায়িত্ব আমাদের সবার, নিজ উদ্যোগে করতে হবে। আমরা তো বলি “সবার আগে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই” তাহলে এই অখন্ডিত বচন কি মিথ্যা?? নাহ! মিথ্যা নয়। সত্য, সত্যকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের আরো আন্তরিক হতে হবে।
একটা কথা ভেবে দেখুন তো তাদের স্থানে আপনি থাকতে পারতেন কিন্তু উপরওয়ালার দয়ায় আপনি আজ টাকা পয়সার মালিক হয়েছেন। কিন্তু এইসব আপনার কখনো একার নয়। যেকোন দিন চাইলে উপরওয়ালা কেড়ে নিতে পারে, তাহলে আপনি চুপ করে থাকেন কি করে? “যতই করিবে দান, ততই যাবে বেড়ে”. সাময়িক মনে হতে পারে যে টাকা যাচ্ছে, শ্রম বৃথা যাচ্ছে ইত্যাদি, ইত্যাদি। যে পরিমাণ যাবে সেই পরিমাণ আপনার কাছে ফিরে আসবে অন্যকোন উপায়ে।
এবার আসি একটু অন্য প্রসঙ্গে, তারকাদের বিয়ে হয় দামী দামী হোটেলে। পোষাক দেখলে মনে হয় যেন রাজা বাদশাদের সমারহ। আর খাবারের দিকে গেলাম না। ইতালি, থাই, চাইনিজ সুপ না হলে তো মুখে দেয়া যায় না। তো কথা হল একবার সেই এসি হোটেল থেকে বেরিয়ে বস্তিতে, অজ পাড়া গায়ে যান।দেখেন পান্তা ভাত খাচ্ছে, কারো পরিবারে সেই পান্তা ভাতের বদলে ভাতের ফেন খাচ্ছে। আপনি তাদের সাথে বসে সেই খাদ্য কি খেতে পারবেন?? লিখে দিলাম, পারবেন না। দেখলেই বমি করবেন। বলবেন এইগুলো কি করে খাই, তাহলে ভেবে দেখুন তারা কি করে খাই?? অনুরোধ বিয়ে করছেন, অনুষ্ঠান করছেন ইত্যাদি সামাজিক অন্যান্য অনুষ্ঠান, সেমিনার করছেন তাতে আপত্তি নেই, আপত্তি হল যে টাকা বরাদ্দ করেন তার থেকেকিছু কমিয়ে অর্থাৎ বিলাসবহুল না করে কিছু টাকা তাদের জন্য খরচ করুন যাদের পান্তা ভাত আনতে নুন ফুরাই।
ছোট করে দেখবেন না। বড় যদি হতে হয় ছোট হোন আগে। আপনাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে তারাই, একবার ফ্লাশব্যাক দেখুন তারা ছাড়া আপনি অচল। ধরুন দেশের সব কর্মীরা যদি কাজ না করে আপনি এক সপ্তাহে পথের ভিখারী হবেন। একটা কথা মনেরাখা জরুরী, ক্ষুদ্র থেকে বৃহতের সৃস্টি। বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র নয়। সামাজিক বৈষম্যকে না বলুন। সবার পাশে সবাইকে থাকতে হবে, নির্ভরতার জন্য তাদের হাত ধরুন। তারা এমনিতেই আপনাকে উপরে তুলবে।
একটা দেশের সামাজিক বৈষম্য যত প্রকট হয় সেই দেশের শোষণের মাত্রাও খুব বেশি হয়। সামাজিক বৈষম্য দাস প্রথার অন্যতম কারণ। শোষণদের পাশে নয়, শোষিতদের পাশে দাঁড়ান। দেখবেন মনের যত কালিমা আছে নিমিষেই মুছে যাবে, বয়ে আনবে এক অনাবিল শান্তি, স্বস্তি।
স্পিরিট নিয়ে কোন কথা হবে
স্পিরিট নিয়ে কোন কথা হবে না…
তবে বর্ণনা শৈলী ও লিখনি আরও চমৎকার হতে পারত!!
লিখতে থাকুন… :থাম্বসআপ:
তারিক ভাইয়ের সাথে একমত।
তারিক ভাইয়ের সাথে একমত।
জয় জয় জনতা… আসুক এবার
জয় জয় জনতা… আসুক এবার সমতা..।।
লিখে যান…
হ্যা এই সব কিছুর পেছনে একটির
হ্যা এই সব কিছুর পেছনে একটির কারন তা হল সামাজিক বৈষম্য
লিখাটা সহজ সরল ও সহজের মর্তার্থ বুঝা যায় .। ভাল লেগেছে
লেখাটা পড়ে বেশ ভাল লাগল
লেখাটা পড়ে বেশ ভাল লাগল
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
(No subject)
:মনখারাপ: