যতই কঠিন কঠোর আইন করা হোক না কেন, সমাজ থেকে অন্যায় দূর করা সম্ভব না। যতক্ষন না, মানুষকে মানবিক শিক্ষায় বড় করা যাচ্ছে, করা যাচ্ছে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
ভয় আর শাসন দিয়ে কারো মনোবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রন করা যায় না। মনোবৃত্তি নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রয়োজন মনশীলতার শিক্ষা। সমাজে শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সবচেয়ে জরুরী হলো, মানুষকে এমন শিক্ষায় বড় করা যার মাধ্যমে সে আইন-কানুন, নিয়ম-নীতিগুলোকে শ্রদ্ধা করতে শিখবে, রীতিনীতিগুলোকে তার নিজের বলে জানবে।
শিশুদেরকে এই ম্যাসেজটা দিতে হবে যে, তারা যদি আইন-কানুনগুলো না মানে, তাহলে তাদের নিজেরদেরই ক্ষতি হবে, সাথে সাথে সমাজের সামগ্রিক ক্ষতি হবে। তাদেরকে নিয়ম-নীতি চাপিয়ে না দিয়ে বরং ক্লাশে ব্যবহারিকভাবে আইন-কানুনগুলোর উপকারী ও অপকারী দিকগুলো তুলে ধরতে হবে।
সাথে সাথে এই বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে, শিশুরা যতোনা বই আর স্কুল থেকে শেখে, তারচেয়ে বেশি শেখে অনুকরণের মাধ্যমে। ফলে শিশুদেরকে আমরা যে রীতিনীতি, নিয়মকানুন শেখাচ্ছি, খেয়াল রাখতে হবে তা আমরা নিজেরা পালন করছি কি না। নিজেরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হবার ফলে শিশুদের মনে এই ধারনা ঢুকে যাচ্ছে যে, আইন কানুন, রীতিনীতি, নিয়ম-কানুন শুধুই বই বা স্কুলের বিষয়, বাস্তবে মানা যায় না। ফলে আমাদের শিশুরা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা নিয়ে বড় হয়।
কঠোর আইন কিংবা এর প্রয়োগ নয়, বরং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও বড়দের মাঝে এর চর্চাই সমাজে অনেক বিশৃংখলা দূর করতে পারে, পারে অন্যের অধিকার রক্ষায় যত্নশীল করতে।
কঠোর আইন ও এর প্রয়োগ যদি অপরাধ কমাতেই পারতো, তাহলে ফি বছর সৌদীতে হাজারখানের শিরোচ্ছেদের দরকার পরতো না, প্রথম বছরের পর আর কোন শিরোচ্ছেদ হতো না।
সহমত
সহমত
সহমত
সহমত
একমত
একমত
পৃথু-দা! অনেক দিন পর আপনার
পৃথু-দা! অনেক দিন পর আপনার লিখা পড়ে ভাল লাগল…
“যতই কঠিন কঠোর আইন করা হোক না কেন, সমাজ থেকে অন্যায় দূর করা সম্ভব না। যতক্ষন না, মানুষকে মানবিক শিক্ষায় বড় করা যাচ্ছে, করা যাচ্ছে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”—
শেষটা এমন হলে যথার্থ হতঃ
“…যতক্ষন না মানুষকে মানবিক শিক্ষায় বড় করা যাচ্ছে আর করা যাচ্ছে বিবেকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”
যারা আইন প্রয়োগ করবেন তারাই
যারা আইন প্রয়োগ করবেন তারাই তো আইনের ফঁাক ফেঁাকরে অন্যায় করেন ! বলতে হয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেন ! সে ক্ষেত্রে আম পাবলিকে আর কি করতে পারে বলুন ………….