মানূষের সব থেকে বেশী দরকার চিন্তার স্বাধীনতা।কথাটা আপাতভাবে শোনার পর মনে হবে চিন্তা তো সবারই স্বাধীন,যে যার মতো চিন্তা করে।আমার মতে না,আমাদের চিন্তাও স্বাধীন নয়।
আমাদের এই বদ্ধ সমাজে আমরা এমন ভাবে বড় হয়ে উঠছি যে এখন আমাদের চিন্তাতেও এই সমাজ আর এই পারিপার্শ্বিকতার দেয়ালের বাইরে গিয়ে আমরা চিন্তা করতে পারি না/সাহস হয় না।আর দুএকজন যারা এই চিন্তার সীমারেখার গন্ডিকে অতিক্রম করে ফেলেন তারাই চাপাতির কোপ খান,জেল খাটেন,শাস্তি ভোগ করেন,সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হোন,বন্ধুহীন হয়ে পড়েন এবং একটা সময় একাকী গৃহবন্দী জীবন কাঁটান।এটাই হচ্ছে আমাদের সমাজের চিন্তার স্বাধীনতাকামীদের পরিণাম।
মানূষের সব থেকে বেশী দরকার চিন্তার স্বাধীনতা।কথাটা আপাতভাবে শোনার পর মনে হবে চিন্তা তো সবারই স্বাধীন,যে যার মতো চিন্তা করে।আমার মতে না,আমাদের চিন্তাও স্বাধীন নয়।
আমাদের এই বদ্ধ সমাজে আমরা এমন ভাবে বড় হয়ে উঠছি যে এখন আমাদের চিন্তাতেও এই সমাজ আর এই পারিপার্শ্বিকতার দেয়ালের বাইরে গিয়ে আমরা চিন্তা করতে পারি না/সাহস হয় না।আর দুএকজন যারা এই চিন্তার সীমারেখার গন্ডিকে অতিক্রম করে ফেলেন তারাই চাপাতির কোপ খান,জেল খাটেন,শাস্তি ভোগ করেন,সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হোন,বন্ধুহীন হয়ে পড়েন এবং একটা সময় একাকী গৃহবন্দী জীবন কাঁটান।এটাই হচ্ছে আমাদের সমাজের চিন্তার স্বাধীনতাকামীদের পরিণাম।
সেই চিন্তার স্বাধীনতাকামীদের অথবা মুক্তচিন্তকদের আমাদের সমাজের সাপেক্ষে প্রচলিত বাংলায় ডাকা হয় নাস্তিক অথবা নাস্তিক নামক গালির মাধ্যমে।আফসুস লাগে,এমনই এক সমাজের বাসিন্দা আমরা এখনো আমাদের চিন্তার জায়গাটিকেও গন্ডির বাইরে নিয়ে যেতে শিখিনি।কিন্তু একটু সাধারন জ্ঞান ব্যবহার করেও যদি আমি ধর্ম ও সৃষ্টিকর্তায় মানতে এবং বিশ্বাস করতে যাই তবুও কিছু প্রশ্ন তো আমার ভিতরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবেই।
কারন-
আমি কখনোই মনে করিনা হঠাৎ করেই আকাশ হতে আমাকে কেউ সমৃদ্ধ একটি পৃথিবীতে ফেলে দিল আর তখন থেকেই পৃথিবী মানুষে মানুষে ফুলে ফেপে উঠেছে।
আমরা -হোমো সেপিয়েন্স এর পূর্বেও আরো অনেক প্রজাতি পৃথিবীর বুকে বীরদর্পে হেঁটে বেরিয়েছে। তারও বহু আগে এই পৃথিবীতে বিলুপ্ত হয়েছে ডায়নোসরের রাজত্ব। তাই আমাকে হুট করে কেউ লিখে দিলেন যে কারো ইচ্ছা হলো আর ছয় দিনে(!!লক্ষ কোটি দিনের হিসেবে ছয় দিন কি একটি কৌতুক ছিল!!) সব হয়ে গেলো আর অমনি তিনি দুজনকে মাটিতে পাঠিয়ে দিলেন তা তো মানা সম্ভব নয়!
(মনুষ্য বিবর্তন)
(ডায়নোসর)
(হোমো এরগ্যাস্টার)
মানুষকে সৃষ্টির সেরার আসনে বসানো আমাদেরই গোপনে লুকানো সেরা হবার ইচ্ছারই প্রতিফলন ,মূলত বিবর্তনের বন্ধুর পথে মানুষও অন্যান্য প্রাণীর সাথে চলমান জীব ব্যতীত আর কিছুই না।
আর এই বন্ধুর পথে বেঁচে থাকতে কোন অলৌকিক সত্ত্বার প্রতি প্রার্থণার নয় বরং নিজের পরিশ্রমে বেঁচে থাকার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে।এক বন্ধু একবার তার মৃত্যুর পর তার অস্তিত্ব নিয়ে এবং জীবনের লক্ষ্য কি এই প্রশ্ন নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় পড়েছিলো,তো আমাকে বললে আমি হেসেছিলাম আর আমার যা মনে এসেছিলো তা হলো জীবনের লক্ষ্য আসলে কিছুই না,যে সকল লক্ষ্য আমরা ঠিক করি তা ওই পরিস্থিতিতে ঐ সময়ে আমাদের যা দরকার তার ভিত্তিতেই আমাদের লক্ষ্য স্থির হয়।
আমাকে আজ আমাজন অরণ্যে কেউ একা ফেলে দিয়ে আসলে আমার লক্ষ্য এটা থাকবে না যে কোনও পরম করুনাময় আমাকে তার অপার করুনা দিয়ে আমাকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসবেন বরং আমার তখন জীবনের লক্ষ্য একটাই থাকবে সেই প্রতিকূল পরিবেশে জীবিত থেকে কি করে বের হয়ে আসা যায়,কি করে সারভাইভ কররা যায়।তাই জীবনের প্রকৃতপক্ষে কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে বলে আমার মনে হয় না।
তেমনি আমাদের মৃত্যুর পর কি হবে তা নিয়ে ভাবাটা নিতান্ত হাস্যকর একটি বিষয় এবং সময়ের অপচয়।কারন জন্মের আগেও বহুবছর মৃত থাকতে আমার কোনও সমস্যা হয় নি।তাই মৃত্যু পরবর্তী কিছু নিয়ে ভেবে ভেবে সুন্দরী হুরের সান্নিধ্যের স্বপ্নে বিভোর থেকে সময় কাটিয়ে সময় অপচয় করা আর ইথারকে সত্য ভেবে তা প্রমাণ করতে চাওয়া একই বিষয়।
এখন যদি আমি বলি আমার পাশে রবীন্দ্রনাথ বসে আছেন, এক মনে লিখে যাচ্ছেন কবিতা! কত মানুষ আমাকে পাগল বলে আখ্যা দিবে ইয়ত্তা নেই, কেউ বলবে ফাজলামি, কেউ বলবে ভন্ডামি, কেউ বলবে হ্যালুসিনেশান! ডাক্তার দেখান!!
কিন্তু একই প্রশ্ন আমি সৃষ্টিকর্তার উপর করতে গেলে আমাকে নাস্তিক মুরতাদ আখ্যা দেয়া হবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু যখন বলা হয় ঈশ্বর সবখানে আছেন, সব দেখছেন তখন কেন আমি তাদেরকে ডাক্তার দেখাতে বলব না/বলতে পারবো না!!সেলুকাস নয় কি?
ফাইনম্যানের ভাষ্যে শেষ করবো-
“আপনার থিয়োরি যতই সুন্দর কিংবা স্মার্ট হোক না কেনো যদি তা এক্সপেরিমেন্টালি প্রমাণ করতে না পারেন তবে তা ভুল”।
এবং নিঃসন্দেহে সেটার স্থান আস্তাকুঁড়।
নারী যদি তেঁতুলের মতই হয় আর
— যা বলেছেন ভাই; এইবার একটা রিভিউ চাই…
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :bow: :bow: :bow: :bow:
বাল্লামা শফী হুজুর যখন তার
:হাসি: :হাসি:
বাল্লামা শফী হুজুর যখন তার আম্মার গর্ভে ছিলেন তখন তার আম্মার যখন তেঁতুল খাইতে ইচ্ছাইতো তখন কি আসলে বাল্লামা হুজুরের হৃদয়ে লালা ঝরিত?চিন্তায় পইড়া গেলাম!
:ফুল: :ফুল:
ওইসব পাগলের প্রগালাপ… আফসোস
😀 😀 😀 😀 :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
ওইসব পাগলের প্রগালাপ… আফসোস আমাদের জনগণ তাও খায়!! :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি:
ঈশ্বর বেঁচে থাকলে মরে যেত
ঈশ্বর বেঁচে থাকলে মরে যেত :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি:
এই কথাগুলো একই বিষয়ে লিখা
এই কথাগুলো একই বিষয়ে লিখা অন্য একটি পোস্টে বলেছিলাম।আপনার পোস্টে ও বলতে ইচ্ছা হল বিধায় কপি মারলাম…
আমি সহজে যেটা বুঝি, মানুষের জ্ঞান যত বেশি হোক না কেন এরপর ও সীমিত ।সীমিত জ্ঞান নিয়ে অসীম বিষয়ে টানাটানি করলে অবশেষে ফলাফল শুন্যই থাকবে ।তবে শালীনতা ও সহনীয়তার ভিতর আলোচনা সমালোচনা বা পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি দেখানো অবশ্যই ভাল।
আমি বিশ্বাস করি, একদিন সব রহস্যের সমাধান বের হবে কিন্তু আপনি আমি সেদিন থাকব কিনা সেটাই আসল প্রশ্ন ।
আপনি বললেন জ্ঞান সীমিত
আপনি বললেন জ্ঞান সীমিত মানুষের, তাহলে আপনি কিভাবে বুঝলেন সীমাহীন ঈশ্বরকে?
ভালো বলেছেন।আমার বক্তব্যও ঠিক
ভালো বলেছেন।আমার বক্তব্যও ঠিক একই।সীমিত জ্ঞানে যা কুলায় না সেটাকে বর্জন করে চলাই উচিত,সময় সেটাকে সামনে নিয়ে আসলে তা গ্রহণযোগ্যতা এমনিতেই পেয়ে যাবে।কি বলেন?আপনি নিশ্চয়ই অসীমের জ্ঞানের অসীমে যার বাস তার সম্পর্কে কোনও জ্ঞান রাখেন না এবং আশা রাখি আপনি নিঃসন্দেহে বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় নতুন কোনও প্রজাতিও না।
:ফেরেশতা: :ফেরেশতা: @সৈয়দ গোলাম শহিদ.
ক্লাস-নাইনে থাকতে সন্দ্বীপে
ক্লাস-নাইনে থাকতে সন্দ্বীপে এক ঝাড়ফুঁক বিশারদ এল পাশের বাড়িতে; আমরা তিন বাউন্ডলে বন্ধু প্ল্যান করলাম তার জীনের নাটক ফাঁস করে দিব! যেই প্ল্যান সেই কাজ… শেষ পর্যন্ত ঐ বুড়ি বাড়ি ছেড়ে পালাল আর আমাদের অভিশাপ দিতে দিতে আর বলতে বলতে যে আমরা অজ্ঞ কিছুই জানিনা দুইদিনের জুইজ্ঞা এসেছি তাদের বিরোধিতা করতে!! আমাদের সীমিত জ্ঞানের দোহায় দিয়ে কি কি জানি বলল যেতে যেতে বিরবির করতে করতে…
খুব খারাপ লাগছিল পরে যখন খবর পেলাম এক সময় তাদের করুণ পরিনতি হল! কেউ আর তেমন ডাকত না দিনদিন তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে… যাহোক কেউ যদি প্রমান করে অজ্ঞতাই বিশ্বাসের মূল হাতিয়ার তবে তা হবে অবিশ্বাসীদের জন্যে বিশাল পাওয়া…
যারা এসব ভন্ডামিতে বিশ্বাস
যারা এসব ভন্ডামিতে বিশ্বাস করে তারা কখনোই আরজ আলি মতুব্বর বা প্রবীর ঘোষের বই পড়তে চায় না… কারন ধরা খায়া যাবে :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
অজ্ঞতাই বিশ্বাসের মূল হাতিয়ার
অজ্ঞতাই বিশ্বাসের মূল হাতিয়ার তবে তা হবে অবিশ্বাসীদের জন্যে বিশাল পাওয়া… :কেউরেকইসনা: :কেউরেকইসনা: :কেউরেকইসনা: :কেউরেকইসনা:
এই বন্ধুর পথে বেঁচে থাকতে কোন
পোস্ট এর অন্যান্য কথার সাথে কোন তর্ক বিতরক করব নাহ । জাস্ট বলব এই উক্তি টা যথার্থ । বেচে থাকতে পরিশ্রম প্রয়োজন ।
ধন্যবাদ মোশফেক আহমেদ
ধন্যবাদ মোশফেক আহমেদ :ফুল:
এই বন্ধুর পথে বেঁচে থাকতে কোন
এটিই হচ্ছে মূল কথা। প্রত্যেক প্রাণী তার নিজ পরিশ্রমে বেঁচে থাকে, টিকে থাকে জীব বৈচিত্র্যে। যারা পারে নি তারা বিলুপ্ত হয়েছে। যারা পেরেছে তারা এখনও টিকে আছে। এখানে অতিপ্রাকৃত সত্ত্বার কোন ভূমিকা দেখি না।
ধন্যবাদ অবাস্তব স্বপ্নচারী
ধন্যবাদ অবাস্তব স্বপ্নচারী :ফুল: