সন্ধ্যা ৭টা। বাজারে যাচ্ছি বাজার করার জন্য। সবে মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে বাজারে যাচ্ছি। দুইটি টিউশানি করাই। একটা করে বাজার করে তারপর ২য় টায় যাবো। আর যখনই বাজারে প্রবেশ করলাম তখনই মোবাইলের রিং টোন বেজে উঠল। বুঝতে পারলাম কেউ না কেউ কল করেছে। মোবাইলটা হাতে নিয় দেখি ২য় টিউশানি যেখানে করাই সেখান থেকে কল এসেছে। মনে হয় ছাত্রীর মা কল করেছে। কল গ্রহন করার পর বলল “আজ তোমার ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে দাও। কারণ আমি এখন বাইরে যাচ্ছি।” আমি বললাম “আচ্ছা ঠিকাছে” এই বলে ফোনটা রেখে দিলাম। বাজার শেষে যখন বাসায় ফিরলাম তখন হঠাত্ করেই মনে পড়ল আচ্ছা বাইরে গিয়েছে আন্টি, তবে টিউশানি যেতে নিষেধ করল কেন? তার পরক্ষণেই নিস্তব্দ হযে গেলাম। কোন চিন্তাই মাথা দিয়ে আসছে না। খুবই দুঃখ পেলাম। প্রত্যেক শিক্ষকের জন্য তা দুঃখজনক। খুবই রাগ হল। ইচ্ছে করছিল আর কোনদিন সেখানে পড়াতে যাবো না। ছাত্রীর মা থাকবে না আর সেই ছাত্রীকে পড়াতে শিক্ষক যেতে পারবে না! মনে হল শিক্ষক শব্দের সাথে আর একটি বিশেষণ যোগ হয়েছে ‘আতঙ্ক’। “না।” সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম আর এই টিউশানি করাবো না। যারা শিক্ষকদের সম্পর্কে এমন ভাবতে পারে সেখানে আর টিউশানি করবো না। তবে আস্তে আস্তে অন্য একটি চিন্তা মাথায় আসলো, সেই দৈনিক পত্রিকার খবর। শিক্ষক পরিমলের দ্বারা ছাত্রী ধর্ষণ । অর তখনই বিষয়টা আরো পরিস্কার হতে শুরো করলে। হায়রে শিক্ষক! নিজের অজান্তেই বেরিয়ে পড়ল। আমার নিজেরই শিক্ষক সম্পর্কে এমন বাক্য প্রয়োগ! তাহলে অভিবাবকদের দোষ দিয়ে কি লাভ। অভিবাবকদের এমন ভাবনার পেছনে যতেষ্ট কারণ রয়েছে। দোষ তো সেই শিক্ষকদের যাদের জন্য আজ সমগ্র শিক্ষক জাতির দিকে অভিবাবকদের তাকানোর পেছনে রয়েছে প্রশ্নবোদক চিহ্ন। না। আমাকে পড়াতে হবে আর আমদেরই শিক্ষক শব্দের মর্মার্থ পূনঃরুদ্ধার করতে হবে। (সংগ্রহ)
সত্য
সত্য
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এটা হয়।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এটা হয়। গুটিকয় কুলাঙ্গারের জন্য পুরো একটা পেশার মানুষ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
কানতেছি
কানতেছি
কিছু লোকের জন্যই এই অপমানের
কিছু লোকের জন্যই এই অপমানের ভাগীদার হয় সবাই ।আর মানুষও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে