সেদিন গাড়ি চালিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিল তানভীর । রাত্রি বেলা ।বের হওয়ার সময় খেয়ে দেয়েই বেরিয়েছে সে। হঠাৎ একটা জরুরী কাজেই ঢাকা যেতে হচ্ছে । তার উপর কোথাও বাসের কোন টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না । এদিকে সকাল হওয়ার আগেই গিয়ে পৌছাতে হবে । তাই বাধ্য হয়েই এই রাতে গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়েছে ।
সেদিন গাড়ি চালিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিল তানভীর । রাত্রি বেলা ।বের হওয়ার সময় খেয়ে দেয়েই বেরিয়েছে সে। হঠাৎ একটা জরুরী কাজেই ঢাকা যেতে হচ্ছে । তার উপর কোথাও বাসের কোন টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না । এদিকে সকাল হওয়ার আগেই গিয়ে পৌছাতে হবে । তাই বাধ্য হয়েই এই রাতে গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়েছে ।
রাতের বেলা ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি চালাতে ভালোই লাগে তার । তাই সে অনেকটা দ্রুত গতিতেই গাড়ি চালাতে লাগল । গাড়িতে চলছে Dj Song। তার উপর বাইরের পাগলা হাওয়া… সব মিলিয়ে দারুণ একটা পরিবেশ । রাস্তায় তেমন একটা গাড়ি দেখা যাচ্ছে না । মাঝে মধ্যেই একটা-দুটো গাড়ি ভোঁ করে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে । কেমন একটা ফুর্তির মধ্যেই গাড়ি চালাচ্ছে সে । মাত্র দেড়ঘন্টার মধ্যেই ফেনী পার করে ফেলল ।
সে তার আপন মনেই গাড়ি চালাতে থাকল । হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল গাড়ি । কি হল বুঝতে পারছে না । গাড়ি থেকে নেমে চেক করল । দেখল সবই ঠিক আছে কিন্তু ইঞ্জিনটাই কাজ করছে না ।
চারদিকে তাকিয়ে দেখল নীরব অন্ধকার । কোথাও কোন দোকানপাট না থাকায় জায়গাটার নামও জানতে পারছেনা । কোথাও কোন ঘরবাড়িও নেই । চাঁদের আলো পড়ে জায়গা কেমন জানি আরো ভয়ানক হয়ে উঠল । কোথাও কোন মানুষজনও নেই । একটু ভয় পেয়ে গেল সে । অগত্যা গাড়িতে ঢুকে বসে থাকল । মোবাইলে চার্জও নেই, তাই কাউকেযে ফোন করে জানাবে তারও কোন উপায় নেই । আজ কি তাহলে ঢাকা যাওয়া যাবে না?? এটা চিন্তা করতে করতে হঠাৎ গাড়ির গ্লাসে কে যেন টোকা দিল । এবার সত্যিই সে ভয় পেয়ে গেল । জানলা দিয়ে বাইরে একটা মানুষের অবয়ব দেখা দিল । এত রাতে এই নির্জন জায়গায় মানুষ কোথা থেকে?? আশেপাশে তো কোন বাড়িঘরও নেই ।তাহলে কি…….??
সব ভাবনা ফেলে গাড়ির গ্লাস নামাল । দেখল ওদের বয়সের একটা যুবক সামনে দাড়িয়ে আছে । হাসি হাসি মুখ । ন্যারো জিন্স আর ফুল হাতা শার্ট । দেখেই বোঝাযায় কোন ভদ্র ঘরের ছেলে । এ যুগের ছেলে বটে । চোখগুলো মায়াবী । যে দেখবে তার মন ভাল হতে বেশিক্ষণ লাগবে না । ওকে দেখে তার ভয় চলে গেল ।
দরজা খুলে বাইরে আসতেই হাসিমুখে সামনে এল ছেলেটি । তার পরিচয় দিল । নাম হল সোহান । ওখানেই থাকে । তানভীরও তার পরিচয় দিল । সোহান বলল, “আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোন বিপদে পড়েছেন। আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি??” তানভীর বলল, “আমি একটা জরুরী কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম । হঠাৎ রাস্তায় গাড়িটার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে । এখন যেতে পারছি না । কি করবো বুঝতে পারছিনা ।” সোহান বলল, “সামনেই একটা গ্যারেজ আছে। কিন্তু সেটা অনেক দূরে । হেঁটে যেতে অনেক সময় লাগবে । তাছাড়া এত রাতে সেখানে কোন মিস্ত্রী পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে । তার চাইতে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই ভালো ।” তানভীরের অগত্যা রাজী হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই । কিন্তু সারারাত এই অন্ধকার জায়গায় একা একা কাটাবে কিভাবে??
সোহান হয়ত বুঝতে পারল । তাই সে তানভীরকে বলল, “চলেন, আমরা আড্ডা দিই ।” কথাটা শুনে তানভীর খুশি হয়ে গেল । যাক তাইলে একটা সঙ্গী পাওয়া গেল ।
এরপর তারা কিছুক্ষণ চুটিয়ে আড্ডা দিল । তানভীর সোহানকে কার্ড দেয়ার জন্য তার ওয়ালেটটা বের করল । ওখানে একটা মেয়ের ছবি দেখে সোহান জিজ্ঞেস করল,”মেয়েটি কে??” তানভীর বলল, ওর স্ত্রী । নাম সূচনা । কয়েকদিন আগেই প্রেম করেবিয়ে করেছে তারা । কথাটা শুনে সোহান বলল, “কন্গ্রেচুলেশান । আপনাদের বিবাহিত জীবন সুখী হোক ।” তানভীর হেসেবলল, “থ্যাংকস ।” এরপর সে সোহানকে বলল,”এবার আপনার কথা বলুন । কাউকে ভালবাসেন আপনি??” সোহান একটু হেসে বলল, “একজনকে ভালবাসতাম । কিন্তু……” তানভীর বলল, “কিন্তু এখন আর ভালবাসেন না । তাইতো??” সোহান বলল, “না তা নয় । এখনো ভালবাসি । কিন্তু ও এখন আর আমার নয় । অন্যজনের হয়ে গেছে ।”
গলার স্বরটা কেন জানি ভারী হয়ে গেল । গাড়ির ভিতরের আবছা আলোয় তানভীর দেখল সোহানের চোখে পানি । কাঁদছে ও । সে তার কাঁধে হাত রাখল । কিন্তু তার শরীরটা ঠান্ডা মনে হল । সে কিছু না ভেবে হাতটা সরিয়ে বলল, “কি সমস্যা আমাকে খুলে বলুন । দেখি আপনার সমস্যার কোন সমাধান করতে পারি কিনা ।” সোহান একটু হেসে বলল, “আপনাকে বলে কি হবে?? আপনি কোনদিনই এর সমাধান করতে পারবেন না ।” তানভীর বলল, “আমি তবুও চেষ্টা করব । আপনি বলেন ।” সোহান একটু হেসে বলতে লাগল,
“আমি তখন ক্লাস টেনে পড়তাম । লেখাপড়ায় মোটামুটি ভালোই ছিলাম । স্কুলের প্রত্যেকটা স্যার আমাকে পছন্দ করতো । তখন একদিন একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয় । নাম অরোরা । ওর সাথে কথা হতে হতে ওকে ভালবেসে ফেললাম । আমার চাইতে এক বছরের ছোট সে । ওকে একদিন প্রপোজ করলাম । ও মেনে নিল । তারপর শুরু হল আমাদের সম্পর্ক । সবকিছু চলতে লাগল ঠিকমত । প্রেম করলে যেরকম হয় আমার অবস্থাও ঠিক ওরকম । কোনকাজে মন বসত না । শুধু ওর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হত । খুব ভালবাসতাম ওকে আমি । ওকে না দেখে থাকতে পারতামনা । তাই প্রায় সময় ওকে দেখার জন্য ছুটে যেতাম । এভাবেই দিন কাটতে লাগল । দেখতে দেখতে আমি কলেজে উঠে গেলাম আর ও ক্লাস টেন….. (To be Continued)
জমে নি ভাই। ভৌতিক করে তুলতে
জমে নি ভাই। ভৌতিক করে তুলতে পারেন নি। অনেক ফাঁক রয়ে গেছে।
যাহোক, আরও চিন্তা করে লিখেন। যাতে পাঠক ভৌতিক অনুভূতি পায়।
শুভ কামনা।
ভাইয়া, এটা ভৌতিক কোন গল্প
ভাইয়া, এটা ভৌতিক কোন গল্প নয়।
কন কী? তবে আত্মা লিখছেন কেন?
:খাইছে: কন কী? তবে আত্মা লিখছেন কেন?
আমি তো হরর স্টোরি ভাবছি
আমি তো হরর স্টোরি ভাবছি :হাহাপগে:
পরের কিস্তির অপেক্ষায় রইলাম
পরের কিস্তির অপেক্ষায় রইলাম
নাম দেখে যা ভাবছি তা পাই নাই
নাম দেখে যা ভাবছি তা পাই নাই