কেমন যেন খবরের বেশ আকাল পড়েছে। সেই পুরনো কিছু টপিক। এখন শুধু টেনে টেনে লম্বা করা হচ্ছে। ইউনুস সাহেব কে নিয়ে গল্প থামবার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আর দুই দল ও নতুন কোন যুক্তি হাজির করতে পারছে না। সেই পুরনো যুক্তি, সেই পুরনো তর্ক। নোবেল পুরস্কার পাওয়া কোন ব্যক্তিকে অসম্মান করা উচিৎ কি না কিংবা এতো সুদে টাকা ধার দিয়ে তিনি ভালো কাজ করছেন কি না। খবর গুলোতে কেমন যেন সেনসেশান নেই। নতুন সংযোজন হিসেবে যুক্ত হয়েছে প্রেসিডেন্ট হওয়ার গুজব।
কেমন যেন খবরের বেশ আকাল পড়েছে। সেই পুরনো কিছু টপিক। এখন শুধু টেনে টেনে লম্বা করা হচ্ছে। ইউনুস সাহেব কে নিয়ে গল্প থামবার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আর দুই দল ও নতুন কোন যুক্তি হাজির করতে পারছে না। সেই পুরনো যুক্তি, সেই পুরনো তর্ক। নোবেল পুরস্কার পাওয়া কোন ব্যক্তিকে অসম্মান করা উচিৎ কি না কিংবা এতো সুদে টাকা ধার দিয়ে তিনি ভালো কাজ করছেন কি না। খবর গুলোতে কেমন যেন সেনসেশান নেই। নতুন সংযোজন হিসেবে যুক্ত হয়েছে প্রেসিডেন্ট হওয়ার গুজব।
এদিকে নতুন কোন গালির আমদানিও হচ্ছে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে গোঁয়ার্তুমি চলছেই। ‘সরকারকে সাবধান করে দেয়া’ আর সরকারের সেই ‘সাবধান বাণী না শোনা’, প্রায় সব কিছুই আগের মত চলছে। এরশাদ সাহেব ডিগবাজী একটা দিয়েছেন ঠিকই তবে কেউ ভরসা পাচ্ছেন না। এটাই ফাইনাল না আরও ডিগবাজী অপেক্ষা করে আছে। তবে এই মুহূর্তটা তিনি নিঃসন্দেহে উপভোগ করছেন। জাতীয় পার্টির লোকজন আজকাল ‘টক শো’ তে ডাকও পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে সময়টা সবচেয়ে বেশী ভালো যাচ্চে তাঁর। তাঁর দাবী মানতে দুই দলই তৈরি। শুধু দেখবার অপেক্ষা কাকে তিনি সেবার সুযোগ দিবেন।
রেশমা এপিসোড আবার নতুন মোড় নিয়েছে। ‘আমার দেশ’ এর অনুসন্ধানী রিপোর্ট আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। তবে একসময় তাঁরা গণজাগরণ মঞ্চ কে অপদস্ত করতে বেশ কিছু মিথ্যা রিপোর্ট ছেপেছিল। যার ফল এবার তাঁরা হাতে নাতে পেল। তাঁরা এই স্টোরি টাকে ঠিক বিশ্বাসযোগ্য করতে পারে নি। বেশীর ভাগ পাঠক অপেক্ষা করে থাকলো আর কোন পত্রিকায় এই খবর ছাপা হয় কি না দেখবার জন্য। হয়তো ‘স্টোরি’টা সত্য, তবে পত্রিকাটি যেহেতু তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে, তাই এই স্টোরি বিশ্বাস করবে কি না তা নিয়ে পাঠক মহলে হয়তো কিছুটা সংশয় আছে। ‘আমার দেশে’র খবর? তাহলে ভেতরে নিশ্চয় কোন উদ্দেশ্য আছে।‘
তবে ঘটনাটি নতুন করে ফিরে আসে বিদেশী এক পত্রিকায় প্রকাশের পরে। রেশমা এপিসোড এর প্রথম পর্ব যেমন প্রচারণা পেয়েছিল, বিদেশী সংবাদ মাধ্যম কাভার করেছিল, তাই এপিসোড-২ ও হয়তো তেমন প্রচার পেতে পারে। এ নিয়ে আর কোন অনুসন্ধানী রিপোর্ট বেরোতে পারছে না। রেশমা সাংবাদিকদের সামনে আসছে না। ফলে সংশয় দানা বাঁধছে। আর জনগণ তাঁর নিজের রঙ অনুসারে ঘটনার নিজস্ব ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে নিচ্ছে। সরকার কি করবে দেখার বিষয়, রেশমা প্রশ্নে টাল বাহানা না সাংবাদিক দের সামনে রেশমা কে উপস্থাপন।
নতুন যে খবরের জন্য সবাই অপেক্ষা করছে তা হচ্ছে, ‘গাজিপুর নির্বাচন’। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে জয় পরাজয় নিয়ে কেউই খুব বেশী উৎসাহী না। সবাই উৎসাহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছে, জেতার জন্য আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে কারচুপি করে কি না। হারলে আগের মত বলা হবে সরকার জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আর জিতলে বলা হবে ‘কারচুপি’। এবং তখন শুরু হবে কারচুপির বিভিন্ন প্রমাণ দাখিলের খেলা। সরকারের জন্য কোনটা বেশী উপকারী এ নিয়ে বোধহয় আওয়ামী থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। মনে হচ্ছে, জিততে চাইছে তবে কারচুপি করে নয়। তবে সুন্দর একটা নির্বাচনের পরে আওয়ামী জয় এলে বিএনপি কি করবে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
সামনে আসছে রমজান। প্রতিবারের মত এবারও দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি হতে যাচ্ছে হয়তো। এনিয়ে কিছুদিন পত্রিকার পাতা গরম থাকবে। সরকারী মনিটরিং এর ওপর সুশীল সমাজ তাঁদের চিরাচরিত তত্ত্বকথা শোনাবে। টিসিবি কে আরও শক্তিশালী করা, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) এর ডাল ভাত প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অবশেষে রমজান শেষ হবে এবং এই আলোচনা আবার হিমাগারে যাবে। তবে সম্ভবতঃ রমজান একটা সুখবর সঙ্গে আনে, এই সময়টায় সাধারণতঃ হরতাল হয় না। এতো কষ্টের খবরের ভেতর এটাই একমাত্র সুখবর।
জিএসপি, পদ্মা সেতু, টেন্ডার বাজি, ছাত্র লীগ এসব মনে হয় আপাততঃ খবরে আসবে না। আসলেও দায়সারা গোছের শিরোনাম নিয়ে আসবে। আত্মহত্যা বরং শিরোনাম হতে পারে। বিশেষ করে তারকা কেউ যদি হয়। আর যদি তিনি নারী হন তবে তো কথাই নেই। সবাই স্ক্যান্ডাল এর খোঁজে নেমে পড়বে। ছুটকো ছাটকা ধর্ষণ কিংবা খুন হলেও চলবে। হলমার্ক, ডেস্টিনি এসব নিয়েও কথবার্তা কমে এসেছে। নতুন দুদক চেয়ারম্যানকে নিয়েও কারো মাথাব্যাথা নেই। উনি এখন বলছেন ঠিকই যে তাঁর দাঁত আছে, তবে যাওয়ার আগে স্বীকার করে যাবেন সেই দাঁত ‘বাঁধানো দাঁত’।
মিশর একটা খবর হতে যাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হলে খুব বড় খবর হয়তো হবে না। কিছু লাশ চাই। কিছু জোগাড় হয়েছে তবে আগামী দিনগুলোতে বোঝা যাবে ঘটনা ঠিক কোন দিকে মোড় নিচ্ছে। মার্কিনী নীতি, সিরিয়া, মৌলবাদ সব মিলিয়ে একটা মজার ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। সিরিয়া বিরোধী হিসেবে মুরসি কে মার্কিনীদের দরকার আবার এতবড় আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বললেও সমস্যা। দেখা যাক মার্কিনীরা কি করে। স্নেডেন ইস্যুতে এমনিতেই তাঁরা ব্যাকফুটে। ইমেজ পুনরুদ্ধারে দারুণ একটা হিরোয়িক কিছু চাই। মিসর সেই সুযোগ দিতে পারে। এদেশের রাজনীতিতে তাঁর কোন প্রভাব পড়বে কি না, সেটা নিয়েও অনেকে উৎসাহী।
এই সময়টার আরও একটা মজা আছে। সবাই যে যার মত আখের গোছাতে ব্যস্ত। শেষ সময়ে যা পাওয়া যায়। পরে অন্য সরকার আসলে, এই পোস্ট আর থাকে কি না? ওদিকে নেতারাও মাঠে নেমে পড়েছে। অচিরেই নমিনেশান বাণিজ্য শুরু হতে যাচ্ছে, পার্টি ফান্ডে ভালো চাঁদা জমা দিতে না পারলে কপালে শিকে ছিঁড়বে না। ব্যবসায়ীরাও নেমে পড়বে কিংবা পড়েছে। পত্র পত্রিকাও ভাষা পাল্টেছে। ‘টক শো’ তেও চেষ্টা হচ্ছে নিজের পরিবর্তিত রঙ দেখাবার। সবকিছুই কেমন যেন ছকে বাঁধা। গত বিশ বছরের ‘গণতান্ত্রিক’ পরিবেশ এই একটা শিক্ষা বেশ ভালোভাবে দিয়েছে। কখন রঙ পাল্টাতে হবে।
সুন্দর বলেছেন ।তবে আমাদের(আম
সুন্দর বলেছেন ।তবে আমাদের(আম পাবলিক) রং পাল্টাবে কি না তা নিয়ে কোন ভবিষ্যদ্বানি করা উচিৎ ছিল ।
শুভ কামনা ।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ
মতামতের জন্য ধন্যবাদ
ভাল লিখেছেন,তবে একটু চাপাচাপি
ভাল লিখেছেন,তবে একটু চাপাচাপি হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে
তা একটু হয়েছে। মতামতের জন্য
তা একটু হয়েছে। মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
এই রঙ পাল্টানো দেখতে দেখতে
এই রঙ পাল্টানো দেখতে দেখতে ক্লান্ত
ক্লান্ত না অভ্যস্থ?
ক্লান্ত না অভ্যস্থ?
সমাধান কিছুই হয় না। হবেও না।
সমাধান কিছুই হয় না। হবেও না। এভাবেই চলতে থাকবে। জাতীয় নির্বাচনের সময় পরিবেশ গরম হবে। কিন্তু নির্বাচন হওয়ার আগ মুহূর্তে কি হবে বলা মুশকিল…।
সহমত
সহমত
(No subject)
:মাথানষ্ট: :খাইছে:
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
http://www.amadershomoy1.com/
http://www.amadershomoy1.com/content/2013/07/04/news0758.htm
http://bdkhabor.com/bangla/20
http://bdkhabor.com/bangla/2013/07/11/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A6%83-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF/