আজকের একটি দৈনিক পত্রিকায় গাজীপূর সিটি’র নির্বাচনে ১৮ দলের প্রার্থি মান্নান’র বিরোদ্ধে অভিযোগ নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অভিযোগগুলো নতুন নয়, অনেক পুরনো সেগুলো! নির্বাচনের প্রাক্কালে এরকম অভিযোগ যেকোন দলের প্রার্থির জন্যই সর্বনাশের কারণ হতে পারে। অভিযোগগুলো হলো,
” ধর্ম প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে সৌদি আরবে হাজিদের বাড়িভাড়ার অন্তত ৫০০ কোটি টাকার অনিয়ম করেছেন মান্নান। সাধারণত কাবা শরিফ ও মদিনা শরিফের কাছাকাছি হাজিদের জন্য বাড়িভাড়া করতে হয়। কিন্তু ১৯৯২ সালে কাছাকাছি বাড়িভাড়ার কথা বলে টাকা নেওয়া হলেও তিন-চার কিলোমিটার দূরে বাড়িভাড়া করা হয়। এতে হাজিদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।”
আজকের একটি দৈনিক পত্রিকায় গাজীপূর সিটি’র নির্বাচনে ১৮ দলের প্রার্থি মান্নান’র বিরোদ্ধে অভিযোগ নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অভিযোগগুলো নতুন নয়, অনেক পুরনো সেগুলো! নির্বাচনের প্রাক্কালে এরকম অভিযোগ যেকোন দলের প্রার্থির জন্যই সর্বনাশের কারণ হতে পারে। অভিযোগগুলো হলো,
” ধর্ম প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে সৌদি আরবে হাজিদের বাড়িভাড়ার অন্তত ৫০০ কোটি টাকার অনিয়ম করেছেন মান্নান। সাধারণত কাবা শরিফ ও মদিনা শরিফের কাছাকাছি হাজিদের জন্য বাড়িভাড়া করতে হয়। কিন্তু ১৯৯২ সালে কাছাকাছি বাড়িভাড়ার কথা বলে টাকা নেওয়া হলেও তিন-চার কিলোমিটার দূরে বাড়িভাড়া করা হয়। এতে হাজিদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।”
“আজিমউদ্দিন কলেজের কয়েকজন প্রবীণ শিক্ষক জানান, ১৯৮২ সালে প্রভাষক হিসেবে এই কলেজে যোগ দেন তিনি। এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠায় ১৯৮৯ সালের ২৭ মার্চ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই বছরেরই ২৭ জুন তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেয়। এতে বলা হয়, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক এম এ মান্নান ১৯৮৪ সালের অক্টোবর থেকে ’৮৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৬২৩ কার্যদিবসের মধ্যে ২২৯ দিন কলেজ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আরও ৩৫০ দিন তিনি ক্লাস না নিয়েই খাতায় সই করেছেন। এটি পেশাগত অসদাচরণ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া তিনি কলেজের প্রভাষক পদে থাকলেও সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পরিচয় দিতেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
মনে রাখা দরকার যে দুইটা অভিযোগের মধ্যে একটা প্রমানিত এবং অন্যটা এখনো শুধুই অভিযোগ। কিন্তু ঘটনা হলো এসব অভিযোগের পরেও জামাত, হেফাজত সহ কাঠ মোল্ল্যাদের অতি কোমল ‘ধর্মানুভুতি’ কখনোই আহত হবে না! চার সিটির মত গাজীপূরের নির্বাচনেও ব্যাক্তি চরিত্র ও ইমেজের চেয়ে জাতীয় ইস্যুগুলোই প্রাধান্য পাচ্ছে, দুই প্রার্থির চরিত্র ও কাজের বদলে দুই দলের কর্মকান্ড নিয়েই ব্যাবচ্ছেদ করা হচ্ছে। নির্দলীয় বা দুই জোট বলা হলেও আসলে যুদ্ধটা দুই দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, তবে বাংলাদেশের রাজনীতির দুইটা মেরুকরণ হয়ত বলা যাবে না একে। কারণ, আদর্শগত দিক দিয়ে দুই দলের তেমন কোন তফাৎ নেই (কাগজে কলমে থাকলেও কাজকর্মে নেই)।
চার সিটির মত গাজীপূর সিটি পুরনো সিটি কর্পোরেশন না, এটা নবগঠিত, তাই ‘পূর্বের মেয়র’র কাজকর্ম বিবেচনা করে ভোট দেওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই (শুধু আজমত উল্ল্যাহ টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং চরমভাবে ব্যার্থ)। তারবদলে জাতীয় ইস্যুগুলোই অবধারিতভাবে সামনে চলে আসছে এখানে। আগের চার সিটি কর্পোরেশন পুরনো এবং মেয়রদের কাজ তুলনামূলক ‘ভাল’ হওয়ার পরেও ভরাডুবি ঘটেছে সরকারি দলের সেখানে গাজীপূরে আরো বড় বিস্ময় অপেক্ষা করছে বলেই মনে হয়।
সবশেষে একটা কথাই বলা যায়, বিএনপি তাদের সাফল্যের জন্য নির্বাচনে জেতে না, আওয়ামী লীগ তাদের ব্যার্থতার জন্য হারে।
আজকে এই ব্যাপার নিয়ে এক
আজকে এই ব্যাপার নিয়ে এক কাঠমোল্লার সাথে তর্ক হলো ।উনার দাবী এতো আগের অপরাধ টানার দরকার কি?
আসল ঘটনা এড়িয়ে যাবার জন্য এসব
আসল ঘটনা এড়িয়ে যাবার জন্য এসব পিছলানি এরা সবসময়ই দেয়। ‘ক্ষমা করে দেওয়া’, ‘রাজনৈতিক সুবিধা’ ইত্যাদি হলো সেসব পিছলানিরই উদাহরণ।
হুম অবশেষে তর্কে না পেরে
হুম অবশেষে তর্কে না পেরে নীরবেই চলে গেছেন
আমার কুনো দোষ নাই
আমার কুনো দোষ নাই