আমরা যারা ভাষাতত্ত্ব নিয়ে চর্চা করি তারা জানি যে ভাষা শেখা এবং ভাষা অর্জন করার মাঝে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। এই পার্থোক্য শুধু শাব্দিক বা আভিদানিক অর্থের মাঝেই নয় বরং ব্যবহারিক এবং প্রায়োগিক দিক থেকেও এই দুই শব্দের মাঝে কিছু অমিল আছে।বিশিষ্ট ইংরেজী ভাষাবিদ এবং মনস্তত্ববিদ স্টিফেন ক্রাশেন , তাঁর বহুল আলোচিত ‘ দ্য মনিটর মডেল থিওরী (১৯৭৭-৮৫) ‘-তে এই সূক্ষ্ম পার্থক্যটি তুলে ধরেন।
আমরা যারা ভাষাতত্ত্ব নিয়ে চর্চা করি তারা জানি যে ভাষা শেখা এবং ভাষা অর্জন করার মাঝে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। এই পার্থোক্য শুধু শাব্দিক বা আভিদানিক অর্থের মাঝেই নয় বরং ব্যবহারিক এবং প্রায়োগিক দিক থেকেও এই দুই শব্দের মাঝে কিছু অমিল আছে।বিশিষ্ট ইংরেজী ভাষাবিদ এবং মনস্তত্ববিদ স্টিফেন ক্রাশেন , তাঁর বহুল আলোচিত ‘ দ্য মনিটর মডেল থিওরী (১৯৭৭-৮৫) ‘-তে এই সূক্ষ্ম পার্থক্যটি তুলে ধরেন।
ক্রাশেন তাঁর মনিটর মডেল থিওরীর ” দ্য একুইজিশন-লার্নিং হাইপথিসিস ‘ অংশে ভাষা শেখা এবং অর্জনের মাঝে পার্থক্যটি পরিষ্কার করেন। তাঁর মতে ভাষা অর্জন করা যায় কিন্তু শেখা যায় না।তিনি অর্জন বলতে বুঝিয়েছেন মনের অসচেতন অংশের { সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতে মানুষের মন তিনটি অংশে বিভক্ত- চেতন, অসচেতন এবং অবচেতন } এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন মানুষ প্রাকৃতিকভাবে , না জেনে (শুধুমাত্র গ্রহন ) কোন প্রকার নিয়ম (ব্যাকারণভিত্তিক) না মেনে যে কোন বস্তু,বিষয়,ভাষা বা আচরণ সম্পর্কে ধারনা সন্ঞ্চয় করে।মজার ব্যাপার হলো পুরো বিষয়টি মানুষ পরোক্ষ এবং অসচেতনভাবে করে থাকে। উদাহরনস্বরুপ তিনি এখানে একটি শিশুর মাতৃভাষা অর্জনের প্রসঙ্গটিকে টেনেছেন ; যেখানে আমরা দেখি কিভাবে একটা শিশু ব্যাকরনের নিয়ম না মেনে শুধুমাত্র পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবেই তার মাতৃভাষা অর্জন করে। এখানে উল্লেখ্য যে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে যোগাযোগ হ-ওয়া অবশ্যই বান্ঞ্ছনিয়।
অপরদিকে শেখা প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণই সচেতন-মননভিত্তিক ; যেটা আমরা বিভিন্ন পুস্তক পাঠ , ব্যাকরনিক নিয়ম এবং উক্ত ভাষাভাষীর মানুষদের অনুকরনে করে থাকি।এখানে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে আমরা মাতৃভাষা ব্যাতিত অন্য সকল ভাষাই শিখে থাকি এবং যখন আমরা সেই ভাষা ব্যাবহার করি বা শুনি তখন তার একটা রুপান্তর আমাদের অসচেতন মনে ঘটে।ভাষার এই রুপান্তর প্রক্রিয়াটি ২য় ভাষা থেকে মাতৃভাষায় অথবা মাতৃভাষা থেকে ২ য় ভাষায় ঘটে। মানে কোন ব্যাক্তি যখন কোন ভাষা শেখে তখন সে ভাষাটি বোঝার জন্য তার অসচেতন মনে মাতৃভাষায় অনুরুপ বা সমতুল্য কোন শব্দ বা বাক্য দ্বারা বোঝে। যেমন ধরা যাক ‘ ট্রি ‘ শব্দটি ইংরেজী শব্দ।আমরা যখন ‘ ট্রি ‘ শব্দটি শুনি তখন আমাদের মাতৃভাষায় অনুরুপ বা সমতুল্য কোন শব্দ ‘ গাছ ‘ কে বেছে নেই এবং ‘ ট্রি ‘ বলতে যা বোঝানো হচ্ছে আমারা তা গাছ হিসেবে বুঝি।সরাসরি ট্রি শব্দটি কিন্তু আমাদের ভাবের আদান-প্রদানে ব্যর্থ হবে যদি না এটা গাছ শব্দের মাধ্যমে রুপান্তরিত হয়। ঠিক বিপরীত বিষয়টি ঘটে যখন আমরা কোন ইংরেজীভাষীকে গাছ শব্দটি বলি।তারা গাছ শব্দটিকে তাদের মাতৃভাষায় ট্রি শব্দ দ্বারা রুপান্তর করে নেয়। তবে এক্ষেত্রে এটিও মনে রাখতে হবে যেন মাতৃভাষায় অনুরুপ বা সমতুল্য শব্দটি বরাদ্দ থাকে।
*** এবার জানা যাক ‘ ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড হাইপথিসিস ‘ সম্পর্কে ; এই তত্ত্বটি মূলত ভাষা অর্জনের সময়-সীমা নিয়ে আলোচনা করে। এই তত্ত্বের একটি অংশে বলা হচ্ছে একজন মানুষকে তার বয়ঃ সন্ধিকালের পূর্বেই মাতৃভাষা অর্জন করতে হবে।তা না হলে সে বয়ঃ সন্ধি পরবর্তি সময়ে মাতৃভাষা অর্জন করতে পারবে না বরং তাকে তখন মাতৃভাষা শিখতে হবে। কিছু বিশেষজ্ঞ এখানে প্রশ্ন করেন যে মানুষের জীবনের কোন পর্যায়টি ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড অথবা তার শুরু এবং শেষ সময়-সীমা কোনটি ? এই প্রশ্নের উত্তরে অপরপক্ষ বলেন যে সাধারনভাবে একজন মানুষের ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড দুই ভাগে বিভক্ত- প্রথমটি হচ্ছে জন্ম পরবর্তী প্রথম দুই বছর এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে বয়ঃ সন্ধিকাল বা ষোল বছর পর্যন্ত।এরপরেও যদি কেউ ম্তৃভাষা অর্জন করে বা শেখে তাহলে তার সেভাষা বোঝা অথবা প্রয়োগের ক্ষেত্রে পূর্নাঙ্গ দক্ষতা আসবে না।এর পরের প্রশ্নটি হচ্ছে ২ য় ভাষা (মাতৃভাষা ব্যাতিত ) অর্জন বা শেখার ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড কোনটি বা আদৌ কি ২ য় ভাষা শেখার ক্ষেত্রে কোন ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড আছে নাকি একজন মানুষ চাইলেই সারাজীবন ভাষা (২ য়) শিখতে পারে? যদি থেকে থাকে তবে সেটা কোন সময়টি ? ? ?
এই প্রশ্নের উত্তর বা প্রতিউত্তরে যা এসেছে তা দ্বারা এখন-ও কোন সার্বজনীন অবস্থানে পৌছান যায় নি। [চলবে..…।]
[ => তথ্যসুত্র ঃ ইনাটারনেট]
ধন্যবাদ ।ভাষা বিষয়ে অনেক কিছু
ধন্যবাদ ।ভাষা বিষয়ে অনেক কিছু জানলাম ।
(No subject)
:গোলাপ:
চালিয়ে যান দাদা,…
চালিয়ে যান দাদা,…
যদি অভয় দেন.…
যদি অভয় দেন.…
হুম
হুম
হুম ……
হুম ……