যুদ্ধে প্রতিপক্ষের উপর কেউ মুশোশ পরে হামলা চালায় না। আলবদর এর আগেও অপারেশন চালাইছে, কিন্তু মুখোশ পরে নাই। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর মুখোশ পরতে হলো কেন!! সবাই মুখোশ পরে নাই কয়েকজন মুখোশ পরা ছিলো এবং তারাই বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করে দিচ্ছিলো।
যুদ্ধে প্রতিপক্ষের উপর কেউ মুশোশ পরে হামলা চালায় না। আলবদর এর আগেও অপারেশন চালাইছে, কিন্তু মুখোশ পরে নাই। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর মুখোশ পরতে হলো কেন!! সবাই মুখোশ পরে নাই কয়েকজন মুখোশ পরা ছিলো এবং তারাই বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করে দিচ্ছিলো।
বুদ্ধিজীবীদের ভিতর দুই ধারা সাধারণত রাশিয়া এবং চীন পন্থী। খেয়াল করলে দেখা যাবে ১৪ ডিসেম্বর নিখোঁজ হওয়া বুদ্ধিজীবীরা সবাই একটা বিশেষ ধারার, চীন পন্থী!! এরা গণতন্ত্রপন্থী, “সম্রাজ্যবাদ বিরোধী” … আর মাথামোটাদের কাছে সব লেখক এবং বুদ্ধিজীবীরা একই রকম ছিলেন। অন্য ১০ জন বুদ্ধিজীবীদের সাথে এদের মৌলিক পার্থক্য আছে। জহির রায়হানের ভাষ্যমতে এই পার্থক্যটা মাথামোটা মূর্খ আলবদর ধরতে পারার কথা না। কিন্তু তারা সেটা নির্ভুল ভাবে করতে পেরেছেন!! রহস্যের শুরু এখানেই…
জহির রায়হানই প্রথম বলেছিলেন বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে বিদেশী শক্তি (পাকিস্তান বাদেও) জড়িত। বিজয়ের পরপরই জহির রায়হান একাই তদন্ত শুরু করে দেন। তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দলিলও আবিষ্কার করেন। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন এহতেশাম চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. সিরাজুল ইসলাম ও এনায়েতুল্লাহ খান, সৈয়দ হাসান ইমাম । দুষ্ট লোকেরা অবশ্য সর্ষের ভিতরই ভূত থাকার কথা বলেছেন।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডেরর পরিচালক ছিলেন পাকিস্তানি জেনারেল রাও ফরমান আলী। তার ডায়রিতে পাওয়া যায় দুজন নাগরিক ঢাকা সফর করেন। এরা CIAর লোক। সিআইএ আলবদরকে সহায়তা করছে এটা নিশ্চিত। জহির রায়হান যখন এই সম্পর্কিত গুরুত্বপুর্ন তথ্য প্রমান বের করেছেন। তখন কলকাতার একটা পত্রিকার সাংবাদিক এসব প্রমাণ ভারতে নিয়ে চলে যায়। কে এই সাংবাদিক তা এখনো রহস্য। এজন্যই তদন্ত কমিটির কয়েকজন সদস্যকে সন্দেহ করা হয়।
জহির রায়হান বিশ্বাস করতেন যেসব বুদ্ধিজীবীদের লাশ পাওয়া যায়নি তাদেরকে এখনো বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এরকম একটা উদ্ধার অভিযানে গিয়ে তিনি মিরপুর “ক্যান্টনমেন্টের” কাছাকাছি কোথাও থেকে নিঁখোজ হন। জহির রায়হানকে হত্যার উদ্দেশ্য তাদের ছিলোনা। কিন্তু তিনি যেহেতু অনেক কিছু জেনে ফেলেছেন তাই তাকে আর বাঁচিয়ে রাখার ঝুঁকি তারা নেয়নি। কারন সত্য প্রকাশ হলে অনেক “বিরাট মাপের মানুষ” আটকে যেতেন!! উল্লেখ্য তারিখটা ছিলো বিজয়ের পর ৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হোক। রহস্য উন্মোচিত হোক। পতাকা কলঙ্কমুক্ত হোক। কাজটা মুজাহিদকে দিয়া শুরু করা যায়। কারন সে আল বলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলো।
কেউ যদি পড়ার টেবিলে আগুন লাগায় সে মূর্খ। সে চাইলে সব বইতেই আগুন লাগাতে পারে। অথবা আন্দাজে কয়েকটা বই টেনে আগুন লাগাতে পারে। কিন্তু সে যখন বেচে বেচে ফিজিক্স আর ম্যাথ বইতে আগুন লাগায় তখনই ব্যাপারটা রহস্যময় হয়ে যায়। কারন সে নির্ভুলভাবে এসব বই আলাদা করতে পারার কথা না!
উপযুক্ত কথাটাই বলেছেন ।আপনাকে
উপযুক্ত কথাটাই বলেছেন ।আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।
আমি আপনার সাথে সহমত পোষন করে বলতে চাই, ৭১ পরবর্তী সবকটি গুরুত্বপূর্ন সব হত্যা রহস্য অবিলম্বে উদগাটন করা হোক।
এটা একাত্তর পরবর্তী ঘটনা না।
এটা একাত্তর পরবর্তী ঘটনা না। একাত্তরের ঘটনা…
ধন্যবাদ! অনেক তথ্য জানা ছিল
ধন্যবাদ! অনেক তথ্য জানা ছিল না! তথ্যসূত্র দিয়ে দিলে আরো ভাল হত!
চেষ্টা করবো
চেষ্টা করবো
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআ
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
অনেক দারুণ একটা জিনিস জানালেন
অনেক দারুণ একটা জিনিস জানালেন ।এই রহস্যের অবসান চাই
অপেক্ষায় আছি
অপেক্ষায় আছি
মন খারাপ
মন খারাপ
কেন?
কেন?
এই লেখাটা কিভাবে যেন মিস
এই লেখাটা কিভাবে যেন মিস করেছিলাম। এই পয়েন্টটা কিন্তু এর আগে এভাবে কেউ তুলে ধরেনি। ধন্যবাদ জানানোর জন্য। একাত্তরের ঘটনাবলীর সাথে সিআইএর ঘনিষ্ট সংশ্লিষ্টতা ছিল এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। মুজাহিদকে ভালমতো ডলা দিলে অনেক তথ্যই বের করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের কোন সরকারই সেই কাজে আগ্রহী হবে বলে মনে হয় না। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বের হোক, কে চায় বলেন?
ঠিক বলেছেন। সরকার এর অনাগ্রহ
ঠিক বলেছেন। সরকার এর অনাগ্রহ এইসব বিচার এবং তদন্তকে দীরঘায়িত করছে।
অমিত লাবন্য আপনি আমার ব্লগে
অমিত লাবন্য আপনি আমার ব্লগে না এলে আমি খুশি হই
আতিক ভাই ব্যাপারটা বেশ
আতিক ভাই ব্যাপারটা বেশ কিছুদিন ভাবতেছিলাম। বুদ্ধিজীবি হত্যার বিচার শুরু হওয়া জরুরী, ভীষন জরুরি।
ভাই দারুণ বলেছেন,
গোয়েন্দার
ভাই দারুণ বলেছেন,
গোয়েন্দার মত :বুখেআয়বাবুল:
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ 🙂
বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু
বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু তুলে ধরেছেন । সতত বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার হউয়া জরুরি । আর পোস্ট টির জন্য ধন্যবাদ ।
অপেক্ষায় আছি
অপেক্ষায় আছি