আজ পাবলিক গাড়িতে বাসায় ফেরার সময় দুই হুজুর আওয়ামী লীগ প্রার্থির নির্বাচনি পোষ্টার দেখে নিজেরা আলাপ শুরু করল, ‘আলেমদের হত্যা করেছ’ টাইপের বাক্য দিয়ে। কথাবার্তায় হেফাজতের সমাবেশের বিষয় এসে পরাতে আলোচনায় যোগ দিতে হলো অনেকটা বাধ্য হয়ে। তাদের দাবি করা ‘হাজার হাজার আলেম হত্যা’ আমি চ্যালেঞ্জ করার পর নেমে এলো আড়াইশতে! কোরানে আগুন দেওয়া হয়নি, দেওয়া হয়েছে কাপড়ের দোকানে! তারপরও যখন জিজ্ঞেস করলাম ‘যারা নিহত হয়েছে তাদের আত্মীয় এবং নামঠিকানা কেন প্রকাশ করা হয়নি?’ ‘সব মিডিয়া নাস্তিকদের’ দাবি করে বসল। ইতিমধ্যে গাড়িতে কয়েকজন ‘প্রত্যক্ষদর্শী’ বেরিয়ে গেলেন যারা চাক্ষুষ সাক্ষি ‘শাপলা চত্বর গণহত্যার’! বারেবারে সবাই তর্কটা সামনের নির্বাচনে নিচ্ছিল আর আমি চাচ্ছিলাম নির্বাচন না, আগে তাদের সব দাবিকে ভূয়া প্রমান করতে। স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কেটেও আমার নির্দিষ্ট স্টপেজে নামার আগে তাদের সবাইকে প্রায় কব্জা করেছিলাম দুইটা যুক্তি দিয়ে। ‘কাবা ঘরের ছবি দিযে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ’ ও ‘যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক হিসেবে জামাত, বিএনপি ও হেফাজতও অপরাধী’! শেষের যুক্তিটা অবশ্য এক হুজুরের, সে দাবি করল ‘আওয়ামী লীগ নাস্তিকের দল, তাদের নেতা সমর্থকরাও নাস্তিক তথা অপরাধী, কারণ তারা এই নচ্ছার দলের সব কিছু বিনা বাক্য ব্যায়ে মেনে নেয়’। আমি বললাম ঘটনা সত্য, যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করার কারণে তাহলে তো জামাত বিএনপি ও হেফাজতও দোষী! অবশ্য ‘বড় হুজুর’ কাবা ঘরের বিকৃত ছবিকে ‘একটু আধটু তো করতেই পারে’ বলে স্বীকার করলেন যে সেগুলো মিথ্যা!
ঘটনা যা বুঝলাম তা হলো, এরা সবাই যে কোন কারণে হোক সরকারের উপর চরম ত্যাক্ত বিরক্ত। কথা বার্তায় ‘নির্বাচনে প্রভাব ফেলার মত যথেষ্ট অপপ্রচার’ ছিল। সঠিক তথ্যের অনুপস্থিতি, হীন স্বার্থে বিকৃত তথ্য প্রচার, ধর্মান্ধতা ইত্যকার অনেক কারণে তারা প্রায় সবাই সিদ্ধহস্ত ‘লীগ খেদাও’ আন্দোলনে। আমি বললাম তাতে আমার কোন সমস্যা নেই, কিন্তু নির্বাচনে জয়-পরাজয় কি কিছু প্রমান করে? বিরাট জ্ঞানী একজন বললেন, ‘চার নির্বাচনে হার হলো আল্ল্যার গজব’! তো আমি বললাম গত নির্বাচনে তো বিএনপি হেরেছিল সেটা কি ছিল তবে?
ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ সরকারের ‘মহাজোট’এ থাকা অন্যান্য দলের স্থানীয় পর্যায়ে প্রায় সবার কমিটি আছে, নেতা নির্বাচন করা নিয়ে ‘গোলাগুলি’ খুনাখুনি প্রায়ই ঘটে! প্রশ্ন হলো বিরাট এই ‘গাধার পাল’র কাজটা কি? বাংলাদেশের আনাচে কানাচে মিথ্যা, কুৎসা, অপপ্রচার সহ হিংসাত্মক কথা ছড়িয়ে যখন হুজুরেরা রাজাকারদের বাচানোর প্রায় দ্বারপ্রান্তে, ছাত্রলীগ যুবলীগ তখন কি নিয়ে ব্যাস্ত থাকে? তাদের কি সঠিক তথ্য, সরকারের সাফল্য ইত্যাদি নিয়ে মাঠে থাকা উচিৎ না? আমার জানামতে আমার এলাকার ছাত্র-যুবলীগের তেমন কোন কর্মকান্ড নেই, উল্টা অনেকের সাথে ব্যাক্তিগতভাবে কথা বলে দেখেছি তারা ‘হাজার হাজার আলেম হত্যা’ বিশ্বাস করেন, হেফাজতকে আলাদা সম্মান করেন নিজেদের ধর্মান্ধতার কারণে।
কেউ আজগুবি কিছুতে বিশ্বাস করে তাতে আমার কোন সমস্যা নেই, তেমনি খুব একটা সমস্যা নেই সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ গো-হারা হারলেও। সমস্যা হলো আওয়ামী লীগ হারলে সবাইকে তথা পুরা দেশ সাথে নিয়ে হারে! আর এসব অপপ্রচারের বিপক্ষে সঠিক তথ্য প্রচার তথা মাঠ পর্যায়ে নেতা কর্মীদের এই চরম উদাসীনতা সেই গো-হারাকে ত্বরান্বিত করছে।
ফ্রিথিংকিং-ভাই! সমস্যা কি
ফ্রিথিংকিং-ভাই! সমস্যা কি জানেন?
আজ দেশের সকল কূপমণ্ডুক আর ভণ্ডের দলেরা তাদের দাবীতে নির্মোহভাবে কাজ করে আর আমরা সকল মুক্তিযুদ্ধের ধ্বজাধারীরা নিজেদের টুকরা করে সেঞ্চুরি করতে ব্যস্ত!! হেফাজত-জামাত নিজেদের বিবেদ মিটিয়ে একজোট হয়ে মাঠে, আর সকল বাম আর বুদ্ধিজীবীরা মহামানব সুশীল হতে ব্যস্ত… :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি:
//আর আমরা সকল মুক্তিযুদ্ধের
//আর আমরা সকল মুক্তিযুদ্ধের ধ্বজাধারীরা নিজেদের টুকরা করে সেঞ্চুরি করতে ব্যস্ত!! // কারণ এবং ব্যাখ্যা অনেকভাবে করা যাবে! তবে পরিণাম ভয়াবহ!
সহযোগী সংগঠন ও মনে হয় বুঝে
সহযোগী সংগঠন ও মনে হয় বুঝে গেছে তাদের লুটপাটের দিন শেষ । আসছে নতুন লুট পাট কারী তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান । অন্তত ৫ বছরের জন্য ।
ভাইরে দোলগুলোর মধ্যে গনতন্ত্র চর্চার কোন বালাই আছে । তারা কি ধারণ করে দেশকে ?
সুন্দর কথা বলেছেন ভাই! আগে
সুন্দর কথা বলেছেন ভাই! আগে পরিবার তারপর দল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু করতে হবে আমাদের। কিন্তু ‘গণতন্ত্র’ শব্দটা একটা শব্দই শুধু আমাদের কাছে, এখনো ঠিক মানেই জানি না আমরা, চর্চা তো অনেক দূরের ব্যাপার!
মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে
মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে সম্পুর্ন একমত ।
একমাত্র জামাত বাদে সব রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনগুলো টাকার উপরে চলে ।টাকা পেলে আছি নাইলে নাই ।এরা বুঝতে চায় না লোভ ও গাফিলতির কারনে দল ক্ষমতাহীন হলে তাদেরকেই নির্যাতনের স্বীকার হতে হয় বেশি ।
আপনি(লেখক) একটি কথা বলেছেন যে, লীগ গেলে দেশকেও নিয়ে যায় ।হ্যা ভাই, এর জন্যই তো নিজের খেয়ে লীগের দালালি করি, করতে হয়।দেশ মা কে বেইজ্জতি করতে মন সায় দেয় না ।
ব্যাপারটা অনেকটা হয়ে যায়
ব্যাপারটা অনেকটা হয়ে যায় ‘মাথায় বন্দুক রেখে কোন বিষয়ে রাজি করানো এবং প্রচার করা যে আমি তাতে সম্মতি দিয়েছি’! লীগের সমালোচনা আর করতে চাইনা, ক্লান্ত!
অঙ্গসংগঠনগুলোর অনেক কাজ।
অঙ্গসংগঠনগুলোর অনেক কাজ। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ইত্যকার নানান কাজে উনারা বিজি।
অর্থবহ কোন কাজে এদের তেমন
অর্থবহ কোন কাজে এদের তেমন উৎসাহ কখনোই ছিল না, এখনো নেই ভবিষ্যতেও থাকবেনা!
নাই
কেউ নাই
নাই
কেউ নাই