বাস চলছে বেনাপোল অভিমুখে।আমার পাশের সিটের যাত্রী অনেক্ষন যাবত ইয়ার ফোনে গান শুনছে।খেয়াল করলাম সে হালকা হালকা মাথা দুলাচ্ছে।
মনে হচ্ছে চমক চাল্লু টাইপ গান শুনছে।ভাব জমাব কি না বুঝতে পারছি না।
কারন কিছু মাল ভাব জমালে একেবারে কান জ্বালা ফালা করে দেয় আবার কিছু মাল খুব ভাব ধরে বসে থাকে।শুধু উ আ করে।তখন নিজেকে ফেলনা মনে হয়।আর মনে হয় ‘মাইরালা আমারে মাইরালা’,কি দরকার ছিল ভাব করতে।লও টেলা এহন।
যাই হোক,
দুলাচলে মন দুলছে,পাশের জন গান শুনছে।
ভালই তো ভাল না।
বাস চলছে বেনাপোল অভিমুখে।আমার পাশের সিটের যাত্রী অনেক্ষন যাবত ইয়ার ফোনে গান শুনছে।খেয়াল করলাম সে হালকা হালকা মাথা দুলাচ্ছে।
মনে হচ্ছে চমক চাল্লু টাইপ গান শুনছে।ভাব জমাব কি না বুঝতে পারছি না।
কারন কিছু মাল ভাব জমালে একেবারে কান জ্বালা ফালা করে দেয় আবার কিছু মাল খুব ভাব ধরে বসে থাকে।শুধু উ আ করে।তখন নিজেকে ফেলনা মনে হয়।আর মনে হয় ‘মাইরালা আমারে মাইরালা’,কি দরকার ছিল ভাব করতে।লও টেলা এহন।
যাই হোক,
দুলাচলে মন দুলছে,পাশের জন গান শুনছে।
ভালই তো ভাল না।
পেটরাপোল এসে আমাদের ইন্ডিয়া যাত্রা শেষ হল।এ পাড়ে ইন্ডিয়া ওই পাড়ে আমার দেশ আমার কলিজা। যারা একদিনের জন্যও বিদেশ যান তারা বাংলার মাটি চোখে পড়া মাত্রই আবেগতাড়িত হন।আহা আমার বাংলার তৃষ্ণা কি যে আছে এই মাটিতে।
হয়ত প্রবাসীরাই শুধু এই মর্ম বুঝে ভালো।
কাস্টমে এসে এম্বারগেসন ফর্ম ফিলাপ করছি।আচমকা একজন আমার কাঁধে আলত করে হাত দিয়ে বলল।কলম আছে কি না।আমি খুব আনন্দ চিত্তে তাকে জানালাম আছে।সে আমার পাশের যাত্রী ।যিনি ইয়ার ফোনে গান শুনছিলেন।এইতো মওকা কারন আমি উন্মুখ হয়ে আছি তার সাথে কথা বলব বলে,এতদুর পর্যন্ত দু’জন আসলাম কথা না বলে, মনে তাই স্বস্তি ছিল না।
আমি আবার খুব বন্ধু পাততে উস্তাদ।কলম দিলাম।লিখা শেষ করে
কলম ফেরত দিয়ে একটি হাসি দিল।আমার কাছে মনে হল মালটি খাঁটি।
এখন আমরা টুকটাক কথা বলে সামনে এগুচ্ছি কথা হচ্ছে ইংরেজিতে তাই অনেকে ভাবছে আমরা উভয়েই ইন্ডিয়ান। কারন দেশের কাছাকাছি আসলে তখন সবাই তার নিজের ভাষায় কথা বলতে উদগ্রীব থাকে।বিশেষ করে আমরা বাঙ্গালীরা।
অনেক কথা হল খুব ভালো ছেলে বুঝা যায়।আমরা মানুষের খুব কাছে থাকি তাই মানুষ বুঝতে আইনস্টাইন হতে হয় না অন্তত।তার রুচি আর সামাজিক অবস্থান বুঝতে মুখের বচনটিই কাফি(যথেষ্ট)।
তার নাম মেহমুদ সে কাশ্মীরে থাকে।বাংলাদেশে সে চঃগ্রাম ভার্সিটিতে একটি বিষয়ে পড়াশুনা করছে।শুনে সেইরকম আনন্দ হল।আমাদের দেশে কেউ পড়তে আসলে শুনলে শার্টের কলার অটো দাড়িয়ে যায়।
তো আমি কিছু না ভেবেই আমার টিকেট কেটে ফেললাম।কারন সে যাবে চিটাগং আর আমি ঢাকায়।।মেহমুদ কে এসে বললাম তুমি টিকেট কেটেছ কি না?বলল আরে না তুমি আমি একসাতেই কাটবো।জিবে কামড় দিয়ে বললাম সরি boss আমি কেটে ফেলেছি চল আবার যাই।তার সুন্দর ঝকঝকে হাসি দিয়ে বলল চল।
–ভাই একটি টিকেট দেন।
–কোথায় যাবেন ঢাকা না চিটাগং
–বললাম চিটাগং।
মেহমুদ হই হই করে বলল নানা ঢাকা।
বললাম কেন চিটাগং যাবে না।বলল আগে ঢাকা যাব।আমিও প্রায় লাফ দিয়ে বললাম “ঢাকা”।
সে ব্যাপারটা বুঝে ফেলল।সেই ভুবনজয়ী হাসি দিয়ে আমার কাঁধে হাত দিয়ে বলল ‘এক সাথে’।
দুজনে টিকেট কেটে ফেললাম।মেহমুদ কে বললাম চল খেয়ে আসি বিষণ খিদে পেয়েছে।সেও রাজি হল, পাশেই একটি খাবার হোটেলে গেলাম।দেশের খাবার কি বলব অমৃত সমতুল্য মনে হল।যেন এ কয়দিন কিছু খাওয়া হয়নি ভুখা ছিলাম ।ওমা আমি খাচ্ছি আমার দেশের খাবার এত দিন পরে পেয়েছি আমার তো ভালো লাগবেই মেহমুদ ওহতো সেরকম খাচ্ছে।হয়ত ৫/৬ ঘণ্টায় তারও খুব খিদে পেয়েছে।বিল দিয়ে বের হলাম, স্বচ্ছন্দে বিল দিলাম আমিই।কোন পারাপারি বা কোন মেকী আবদার মেহমুদ করেনি।মনে হল সে বলছে তোমার দেশ তুমিই তো আপ্যায়ন করাবে।বাসে উঠলাম দুজনে। এমা এ কি যাত্রি সংখ্যা মাত্র ছয় জন।
অনেক আলাপ আলোচনা চলছে।ফোন নাম্বার ঠিকানা আদান প্রদান হল।প্রায় জানে দুস্ত বনে গেলাম।দুজনে আলাপে আলাপে কখন যে দৌলতদিয়া ফেরীর কাছে চলে এসেছি তা খেয়াল করিনি।কথায় আলাপে এমন মত্ত ছিলাম।
একটু নড়েচড়ে বসেন,এখানে গল্প আছে।
গাড়ি অনেক্ষন যাবত আটকা সামনে পিছনে নড়ছে না।এদিকে সিগারেট এর তৃষ্ণায় বুক মনে হয় ফেটে যাবে। মেহমুদ কে বললাম চল নীচে নামি কি হল দেখি।বাস থেকে নেমে চক্ষু বিস্ফারিত।আমাদের সামনে প্রায় দুশো গাড়ির জ্যাম।কল্পনা থেকে বাস্তবে নামলাম।মনে হল আমার বাংলাদেশের বিখ্যাত জ্যাম আর তার চেয়ে বিখ্যাত গরমের কথা।
আমাদের বাস দৌলতদিয়াতে এসেছিল রাত ৮ টায় এখন বাজে রাত ১১টা।খুব ক্লান্তি আর গত কয়েক দিনের জার্নি শরীর মানল না।বাসের এসিটা খুব লাগছে।শীত শীত ভাব গায়ে জ্বর মনে হচ্ছে।মেহমুদ কে বললাম দেখো তো গায়ে জ্বর কি না।তাইতো গায়ে তো পুরাই জ্বর।হাতটি কপালে রেখেই মেহমুদ বলল।টিক এর আধ ঘণ্টা পরে,আমি একটু তন্দ্রাচছন্নভাবে পড়ে ছিলাম।একজনের ডাক শুনে উঠলাম।
–এই কি করচ (ভ্যাবাচ্যাকা কি বলছে!)
ধরমরিয়ে উঠলাম।বললাম আপনি কে?প্রতি উত্তরে বলছে…
–কই থেকে আসচচ
–ভাই বেনাপোল থেকে
–আরে গেছিলে কই
–আপনি কে এভাবে কথা বলছেন কেন?
–আমি(–-)পুলিশ।ওইখান থেকে কি আনসচ?
–বাচ্চাদের জন্য কিছু কাপড় খেলনা আর চকলেট।ক্যাশ মেমো আছে।
–(প্রায় অবাক হয়ে)ক্যাশ মেমো চু…না ফেন্সি আর গাঁজার মামলা দিলে।
ক্যাশ মেম পাবি কই।পাকনামি করিস না।
একটু ঘাবড়ে গেলাম।আজ খারাবী আছে কপালে।মেহমুদ ভালো বাংলা বলতে পারে না।এদিকে আমাদের শ্রদ্ধেয় পুলিশ সাহেব ভালো ইংরেজি বুঝেন না।মেহমুদ খুব খেপল।সে অন্তত বুঝতে পারল ঘটনা যেটা ঘটছে তা টিক না।আমি ওকে কথা বলতে বারণ করলাম।বুঝলাম তাকে বুঝাতে পারব না যে সামনে ঈদ তাই আমাদের পুলিশ এখন এমন আচরন করবেই।
–ওই প্যাঁচাল করবি না কিছু ছেড়ে দে।
আমি ভাবলাম এই পথেই ভাল।আমরা কি আর পারি।মানিব্যাগ বের করলাম।একভাগ শুধু খুলেছি…
ছু মেরে আমার হাত থেকে মানিব্যাগ নিয়ে গেল।সবগুলা টাকা নিয়ে মানিব্যাগ ফেরত দিয়ে বলল…
–ওই(আমাকে)হেল্পারকে দুশো টাকা দিস
–কিভাবে দিবো কিছুই তো রেখে যাননি।
–কথা কম কহ(প্রস্থান)
আমি তখনও দাতস্থ হইনি।মাত্র ছ জনের বাস সবাই নির্বাক বিহবল স্তব্ধ।কে এগিয়ে আসবে।কেন আসবে?
বাস কনডাক্টর বলল।
আমার টাকা লাগব না আপনি নামেন…।
পরবর্তী অংশ কি ছিল…………?
ভাই কথা ছিল বানান ভূল হবেনা
ভাই কথা ছিল বানান ভূল হবেনা কিন্তু কয়েকটা ছিলো ।পরের পর্বে আশা করি শুধরে নেবেন ।আর মেহমুদের সাথে পরিচয়পর্বটা মজার ছিলো
(No subject)
:ভাবতেছি: