(আমার জীবনের একটি ঘটনার ছায়া অবলম্বনে)
“কিরে দোস্ত , এখনো আসেনা কেন?।” অধৈর্য হয়ে রাসেলকে জিজ্ঞেস করে গৌতম।
-কি শুরু করলি তুই? এইসব ব্যাপারে একটু ধৈর্য ধরা লাগে, এত তাড়াতাড়ি অধৈর্য হইলে চলে?
একটু অপেক্ষা কর। এখুনি হয়তো চলে আসবে।
(আমার জীবনের একটি ঘটনার ছায়া অবলম্বনে)
“কিরে দোস্ত , এখনো আসেনা কেন?।” অধৈর্য হয়ে রাসেলকে জিজ্ঞেস করে গৌতম।
-কি শুরু করলি তুই? এইসব ব্যাপারে একটু ধৈর্য ধরা লাগে, এত তাড়াতাড়ি অধৈর্য হইলে চলে?
একটু অপেক্ষা কর। এখুনি হয়তো চলে আসবে।
ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ২য় বর্ষে পড়ে গৌতম। ঐ প্রতিষ্ঠানেই দশম শ্রেণীতে পড়ে অনিন্দিতা। কলেজের একটা গানের ফাংশনে অনিন্দিতাকে প্রথম দেখে গৌতম। অনিন্দিতাও গান গায়। তাই, কলেজের ফাংশনগুলোতে রিহারসেলের সময় অনেকবার অনিন্দিতার সাথে আলাপ হয় গৌতমের। তবে, কথা হত টুকটাক। প্রয়োজনের বেশী নয় কখনোই। একসময় গৌতম বুঝতে পারে সে অনিন্দিতার প্রেমে পড়ে গেছে। অনিন্দিতার ছোট বোনকে দিয়ে সে অনিন্দিতার কাছে খবর পাঠায় যে কলেজ গেটের বাইরে তার সাথে দেখা করতে। গৌতম আর রাসেল এজন্যই কলেজ গেটের বাইরে অপেক্ষা করছিলো।
হঠাত রাসেল গৌতম কে বলে-
-দোস্ত, ঐ দেখ তোর অনিন্দিতা আইতাসে।
গৌতম অনিন্দিতা কে দেখতে পেলো তার এক বান্ধবীর সাথে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে আসছে।
হৃৎস্পন্দন একলাফে বেড়ে গেলো অনেকখানি গৌতমের। গৌতম আর রাসেলের থেকে একটু দূর এসে দাঁড়ায় অনিন্দিতা আর তার বান্ধবী। রাসেল তাগাদা দেয় গৌতম কে-
-দোস্ত, ও তো এসেছে। ডাক দিয়ে এদিকে আন…
-দাড়া, ওরা কথা শেষ করে নিক।
-আরে ডাক দে তো। ওরা তেমন কোনো কথা বলছেনা। জাস্ট একটা বাহানা। তুই ডাক দিলেই আসবে।
গৌতমের হৃদয়ে তখন হাতুড়ি দিয়ে কে যেন পেটাচ্ছে। হঠাত ওর মনে হল- সূর্য টা যেন তার সমস্ত আগুন ঢেলে দিচ্ছে শুধু তার উপর। ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গেছে সে। কলেজ ইউনিফর্ম এর ভেতর দিয়ে স্যান্ডো গেঞ্জি দেখা যাচ্ছে। রাসেলকে বলে গৌতম-
-দোস্ত, খুব ভয় লাগতাসে।
-কি কস না কস? ভয় পাইলে চলব? ডাক দে তো। নাকি আমি ডাক দিয়া দিমু?
-না দোস্ত, আরেকটু অপেক্ষা করি।
-আরে পাগল ডরাইস না তো। তুই না পারলে আমি ডাক দিয়া দেই।
-প্লিজ দোস্ত, একটু দাড়া।
এভাবে ৫ মিনিট কেটে যায়। রাসেল এর রাগ হতে থাকে গৌতম এর কেরোসিন অবস্থা দেখে। আর এদিকে মুগ্ধ নয়নে শুধু হ্যাংলার মত অনিন্দিতার দিকে চেয়ে থাকে গৌতম। হঠাত রাসেল সামনে এগিয়ে অনিন্দিতা কে ডেকে বলে-
-“এই অনিন্দিতা, এদিকে একটু আসো তো। গৌতম তোমাকে কিছু একটা বলবে।
গৌতম ও এগিয়ে যায় অনিন্দিতার দিকে। গিয়ে বলে-
“অনিন্দিতা তোমার সাথে একটু কথা বলতে চাই।”
অনিন্দিতা বলে-“ভাইয়া, আমার বাস ছেড়ে দিচ্ছে। এখন আমি কথা বলতে পারবোনা, সরি।”
এই বলে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে অনিন্দিতা। গৌতম ওকে পিছন থেকে ডাক দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজ বের হয়না।
আগুন ঝরা রোদ মাথায় আর ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে থাকে গৌতম। মনে বিশাল বড় একটা হতাশা নিয়ে। রাসেল ওর কাঁধে হাত দেয়…
আজ জন্মদিন শায়নের। সকাল থেকে অনিন্দিতা প্রচুর কাজ করছে। খাবার তৈরি করছে, ঘর গোছাচ্ছে। একমাত্র ছেলে শায়নের জন্মদিনে একটু আনন্দ করতে চায়। সিঙ্কে একটা প্লেট রাখতে রাখতে রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে উঠে অনিন্দিতা-
-কইগো, শুনছো? তোমাকে না বলেছিলাম বেকিং পাওডার আর মেয়নীজ বেশী করে আনতে…এত কম নিয়ে এলে কেন? যাও এক্ষুনি বাজারে যাও, গিয়ে আরো একটু নিয়ে এসো।
এইমাত্র বাজার থেকে ফিরে আসা গৌতম ক্লান্ত কন্ঠে জবাব দেয়-” যাচ্ছি বাবা! একটু ঠান্ডা পানি দাও আগে।
সোফায় বসতে বসতে গৌতম স্মৃতির পাতায় হাতড়ায় সেই আগুনঝরা দুপুরের পর পেরিয়ে আসা ৭ টি বসন্তের কথা…
ভাই আপনি গল্পও ভালো লিখেন
ভাই আপনি গল্পও ভালো লিখেন ।
একটা সুন্দর সমাপ্তির জন্য ধন্যবাদ
থ্যাঙ্কস, আমার নিজের কাহিনী
থ্যাঙ্কস, আমার নিজের কাহিনী এইডা…ডাইরেক্ট তুইলা দিছি খালি একটু এদিক সেদিক কইরা
ভাল লাগল!! আচ্ছা বৌদি কি আজও
ভাল লাগল!! আচ্ছা বৌদি কি আজও ভাইয়া ডাকে? 😉
চমৎকারভাবে স্মৃতির জাবর কাটলেন!! :থাম্বসআপ:
তারিক ভাই, গল্পটা
আগুন ঝরা
তারিক ভাই, গল্পটা
এখান পর্যন্তই থেমে গেছিলো 🙁 :মনখারাপ: :মনখারাপ:
হুম!! দেখলাম- ভাইয়া বলেছিল
হুম!! দেখলাম- ভাইয়া বলেছিল রাসেল-কে!! :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট:
লিঙ্কন ভাই, মাথা নষ্ট পুরাই
:মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: লিঙ্কন ভাই, মাথা নষ্ট পুরাই
বাহ নিজের কাহিনী! আপনি
বাহ নিজের কাহিনী! :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া: আপনি সৌভাগ্যবান। মিয়া-বিবির মিলন দিয়া ফিলিম শেষ হইছে। :ভালাপাইছি: তাইলে ব্লগে “অমিত লাবণ্য” নাম নিছেন ক্যারে? :ভাবতেছি:
ভাইবা লাভ নাই ভাই। আমার
ভাইবা লাভ নাই ভাই। আমার কাহিনী অসমাপ্তই রয়ে গেছে 🙁 🙁
ওহ, এখন বুঝছি…
ওহ, এখন বুঝছি… :মনখারাপ:
আইজকা ছোট একটা ভাইয়ের বিয়া।
আইজকা ছোট একটা ভাইয়ের বিয়া। আর আমি নিজের বিয়ার খালি গল্পই লেইখা গেলাম… :মাথানষ্ট:
valo laglo
:ফুল: valo laglo
থ্যাঙ্কু
থ্যাঙ্কু
চিন্তা কইরেন না যে সমাপ্তি
চিন্তা কইরেন না যে সমাপ্তি দিছেন ঠিক তাই ঘটবো
লেট কইরা ফালাইলুম পড়তে ।
লেট কইরা ফালাইলুম পড়তে । ভিন্নধর্মী প্লট !! ভাল্লাগছে রে পাগলা !!! :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য: :নৃত্য:
(No subject)
:নৃত্য: :থাম্বসআপ: :কেউরেকইসনা: :ফুল: :হাসি: :পার্টি: :লইজ্জালাগে: :তালিয়া:
জটিল লাগছে।নিজের ঘটনা ?
জটিল লাগছে।নিজের ঘটনা ?
হ্যাঁ, নিজের
হ্যাঁ, নিজের
সুন্দর উপস্থাপন
সুন্দর উপস্থাপন
থ্যাঙ্কস
থ্যাঙ্কস 🙂