১. পাড়ায় রাস্তার পাশে চার পাঁচটা ছেলে প্রতিদিন বিকেলে দাঁড়িয়ে আড্ডা মারে। এই ছেলেগুলোর মধ্যে নেতা গোছের একটা ছেলে দেখা যায় । নাম হল রিগ্যান । নেতাই বটে সে । পাড়ায় ভাল, খারাপ সব ধরনের কাজে যথেষ্ট সুনাম আছে ওদের । দুর্নামও কম নেই । তাই পাড়ার কিছু মানুষের কাছে তারা খারাপ ।
খারাপ হলেও লেখাপড়ায় দুর্দান্ত তারা। এখানেও নেতা রিগ্যান । সবাই কলেজের ছাত্র । গত বছর এস এস সি পরীক্ষায় গোল্ডেন পেয়েছে । দুষ্টামি করলেও খুব ভাল সে । পাড়ার অনেকেই তাকে পছন্দ করে ।
যারা তাদের পছন্দ করে না তাদের মধ্যে ঘোরতর একজন হল অধরা । সেদিন খেলতে গিয়ে বল পড়ে তার রুমের জানলার কাঁচ ভেঙে যায় । সেই থেকেই তার দুচোখের বিষ ।
১. পাড়ায় রাস্তার পাশে চার পাঁচটা ছেলে প্রতিদিন বিকেলে দাঁড়িয়ে আড্ডা মারে। এই ছেলেগুলোর মধ্যে নেতা গোছের একটা ছেলে দেখা যায় । নাম হল রিগ্যান । নেতাই বটে সে । পাড়ায় ভাল, খারাপ সব ধরনের কাজে যথেষ্ট সুনাম আছে ওদের । দুর্নামও কম নেই । তাই পাড়ার কিছু মানুষের কাছে তারা খারাপ ।
খারাপ হলেও লেখাপড়ায় দুর্দান্ত তারা। এখানেও নেতা রিগ্যান । সবাই কলেজের ছাত্র । গত বছর এস এস সি পরীক্ষায় গোল্ডেন পেয়েছে । দুষ্টামি করলেও খুব ভাল সে । পাড়ার অনেকেই তাকে পছন্দ করে ।
যারা তাদের পছন্দ করে না তাদের মধ্যে ঘোরতর একজন হল অধরা । সেদিন খেলতে গিয়ে বল পড়ে তার রুমের জানলার কাঁচ ভেঙে যায় । সেই থেকেই তার দুচোখের বিষ ।
এদিকে অধরাকে দেখলেই রিগ্যান যেন নিজের মধ্যেই থাকে না । ওর চাইতে এক বছরের ছোট । মনে মনে হয়তো তাকে ভালবাসে । এদিকে অধরাও মনে মনে রিগ্যানের প্রতি দুর্বল । ওর দুষ্টুমিগুলো খুব ভাল লাগে অধরার । কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে ওকে ।
দুজন দুজনকে মনে মনে খুব ভালবাসে । কিন্তু কেউ কাউকে বলে উঠতে পারেনি এখনো । শেষ পর্যন্ত রিগ্যান নিজ থেকেই ওকে প্রপোজ করে বসল । আর অধরারও যখন একই অবস্থা তখন কি আর না মেনে পারে?? তবে শর্ত একটাই । দুষ্টুমিগুলো কিন্তু বন্ধ করা যাবে না । শর্ত শুনে দুজনেই হেঁসে দেয় ।
এরপর থেকে চলতে থাকে তাদের প্রেম । দেখা, কথা সবকিছুই চলতে লাগল । মাঝে মাঝে রিগ্যান ওদের বাসার নিচে এসে দাড়াতো ওকে দেখার জন্য । আর অধরা তার জানালার সেই ভাঙা অংশ দিয়ে দেখা দিত । এভাবেই তাদের সব চলতে লাগল ।
কিছুদিন থেকে অধরা কেমন জানি রিগ্যানকে এড়িয়ে যাচ্ছে । ওর সাথে কথা বলেনা, ওর সাথে দেখা করেনা, ও বাইরে দাঁড়ালে দেখা দেয় না । রিগ্যানবুঝতে পারেনা কেন ও এরকম করছে । খুব কষ্ট পেত সে । ওর কয়েকজন বন্ধুর কাছ থেকে শুনল ও জীবন নামের একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক করেছে । রিগ্যান বিশ্বাস করতে পারেনা । এটা সত্যি হতে পারেনা ।
অধরার সাথে দেখা করার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকল । অধরাকে আসতে দেখে সে সামনে গিয়ে ওর হাতটা ধরল । কিন্তু কিছু বলার আগেই অধরা বলতে লাগল, ও আর রিগ্যানের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারবে না । ও জীবনকে ভালবাসে এবং ওর সাথেই সম্পর্ক করেছে ।
রিগ্যানের মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়লো । তার পুরো পৃথিবী যেন অন্ধকার হয়ে গেল । অধরার হাতটা ছেড়ে দিল সে । কিছুই বলতে পারলনা সে । শুধু চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল । আর অধরা চলে গেল ।
২. ১০-১১ বছর পরের কথা । অধরা তার ৪-৫ বছরের ছোট মেয়ে নিথিকে নিয়ে রেষ্টুরেন্টে ঢুকল । তেমন কোন মানুষ নেই সেখানে । কোণায় একটা ছেলে আর মেয়ে, আর মাঝখানে একটা মানুষ । চেহারাটা চেনা চেনা লাগছে । রিগ্যান । কিছুই বদলায়নি । শুধু চোখে চশমা পড়ে এখন ।
অধোরা ওদিকে এগিয়ে গেল । ভেবেছিল চিনতে পারবেনা । কিন্তু সামনে যেতেই রিগ্যান চেয়ার বাড়িয়ে দিয়ে বলল, “অধোরা বসো” । বসতে বসতে অধরা জিজ্ঞেস করল, “কেমন আছো তুমি??” রিগ্যান প্রশ্নের জবাব না দিয়েই জিজ্ঞেস করল, “তুমি কেমন আছো??” অধরা বলল, “ভালো “। নিথিকে দেখে বলল, “এটা কি তোমার মেয়ে??” অধরা বলল, “হ্যাঁ “।কথা বলতে বলতে জানতে পারল কোন একটা কারণে জীবনের সাথে ব্রেক আপ হয়ে যাবার পর নির্ঝরের সাথে অধরার বিয়ে হয়ে যায় । এখন নিথিকে নিয়ে ওদের সুখের সংসার । রিগ্যানের পাশের সিটটা খালি দেখে অধরা বলল, “এখানে কে আছে??” রিগ্যান হেসে বলল, “আমার পাশের সিটটা খালি থাকে” । কিছু না বুঝে অধরা আবার জিজ্ঞেস করল, “এবার বল তোমার ফ্যামিলিতে কে কে আছে??” সে বলল, “মা, বাবা, ছোটভাই আর ছোটভাইয়ের বউ” । অধরা বলল, “তুমি বিয়ে করোনি??” রিগ্যান প্রশ্নটা এড়িয়ে বলল, “বাদ দাও ওসব কথা । কি খাবে বল??”
এরপর খাওয়া দাওয়া হল, কথা হল । খাওয়া শেষে বিল চুকিয়ে তারা বাইরে বের হল । লিফটে নামার সময় রিগ্যানের মোবাইলে একটা কল আসল । হঠাৎ চোখ পড়ায় অধরা দেখল রিগ্যানের মোবাইলের ওয়ালপেপারে তার ছবি । যেটা অনেক আগে সে তাকে দিয়েছিল । মনে মনে সব বুঝতে পারল অধরা । কষ্টও পেল খুব । এরপর যে যার গাড়িতে উঠতে লাগল । হঠাৎ রিগ্যান এসে অধরার হাত ধরে বলল, “ভালো থেকো” ।হঠাৎ করে ওর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল ।
অধরার কিছু বলার ছিল না । সে নীরবে গাড়িতে উঠে বসল । গাড়ি ছেড়ে দিতে দিতে দেখল রিগ্যান নিষ্পলক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে । মনের অজান্তে কান্না পেল তার । আজ তার জন্যে রিগ্যানের এই অবস্থা । একমাত্র সে নিজেই দায়ী । নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছে তার । রিগ্যানকে খুব বলতে ইচ্ছে করছে তার….. “আমার জন্য নিজেকে আর এভাবে কষ্ট দিওনা । নিজের জীবনকে গুছিয়ে নাও । ক্ষমা করে দিও আমায় তুমি । যদি পারতাম তোমার কাছে ফিরে আসতে, তাহলে আমি আসতাম । কিন্তু এখন আর সম্ভব না । নিজের জীবনকে গুছিয়ে নাও । আমার জন্য আর অপেক্ষা করে থেকোনা । এই জন্মে আমি তোমার হতে পারলামনা । কিন্তু পরজন্মে আমি শুধু তোমার হয়ে থাকবো । Promise…….” :'(
সুন্দর লাগল
সুন্দর লাগল
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
সাধারণ গল্প।
ভবিষ্যতে ভালো
সাধারণ গল্প।
ভবিষ্যতে ভালো লিখবেন এই শুভ কামনা … :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ:
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
গল্পে হাড় আছে, রক্ত আছে
গল্পে হাড় আছে, রক্ত আছে কিন্তু মাংসটা ঠিকমত লাগেনি। শুভ কামনা পরের গল্পটার জন্য 🙂
কি ব্যবচ্ছেদ রে ভাই- মাথায়
কি ব্যবচ্ছেদ রে ভাই- মাথায় নষ্ট!! রুবেল ভাই মাংস কোনটা?
গল্প সাধারণ ঠিক আছে… তবে লিখকের চেষ্টা সাবলীল ছিল!
ভালো লিখেছেন
ভালো লিখেছেন
ভালোই
ভালোই
আজাইরা
মেজাজ খারাপ হইল
আজাইরা
মেজাজ খারাপ হইল
ব্রহ্ম পুত্র ভাই আজাইরা বলা
ব্রহ্ম পুত্র ভাই আজাইরা বলা ঠিক হবে না!!
আমি বলব সাধারণ এক গল্পের সাবলীল উপস্থাপন…
আমার মনে হয় উনি লিখতে থাকলে ভাল করবেন–
এইটা লিখক নিতান্তই নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে একটা শাস্তির কাল্পনিকরুপ তুলে ধরলেন!! তবে লিখতে থাকলেই আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন…
শুভ কামনা লিখকের প্রতি…
লিখতে থাকুন। তবে ভালো লেখক
লিখতে থাকুন। তবে ভালো লেখক হবার অন্যতম শর্ত হচ্ছে প্রচুর পড়তে হয় এবং নিজের লেখায় অন্যের সমালোচনাকে পজিটিভ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হয়। শুভকামনা রইল।