সকালে মোবাইলের এ্যালার্ম শুনে হুড়মুড় করে উঠে বসে নির্জন ।কাল সারারাত ঘুমাতে পারেনি । সকালের দিকে ঘুম এসেছে । তাই এরকম হল ।
আজ ভালবাসা দিবস । নিথিকে আজ কিছু একটা দিতেই হবে । স্পেশাল কিছু । আজ প্রথম ভালবাসা দিবসে কাউকে কিছু দিবে নির্জন । কি দেওয়া যায় সেই চিন্তায় সারারাত ঘুম হয়নি । কিন্তু কি দেয়া যায় এখনো খুঁজে পায়নি । মাথায় শুধু একটাই আসছে, ‘গোলাপ’ । তাহলে গোলাপই দেওয়া যাক ।
সকালে মোবাইলের এ্যালার্ম শুনে হুড়মুড় করে উঠে বসে নির্জন ।কাল সারারাত ঘুমাতে পারেনি । সকালের দিকে ঘুম এসেছে । তাই এরকম হল ।
আজ ভালবাসা দিবস । নিথিকে আজ কিছু একটা দিতেই হবে । স্পেশাল কিছু । আজ প্রথম ভালবাসা দিবসে কাউকে কিছু দিবে নির্জন । কি দেওয়া যায় সেই চিন্তায় সারারাত ঘুম হয়নি । কিন্তু কি দেয়া যায় এখনো খুঁজে পায়নি । মাথায় শুধু একটাই আসছে, ‘গোলাপ’ । তাহলে গোলাপই দেওয়া যাক ।
এই ভেবেই বিছানা থেকে নামতে শুরু করে নির্জন । হঠাৎ পায়ে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করে ও । কাল খেলতে গিয়ে পায়ে খুব ব্যাথা পেয়েছিল । গোটা পা ফুলে বটগাছ হয়ে গেছে । কোনমতেই দাঁড়াতে পারছেনা ও । এখন কি হবে?? তাহলে কি নিথির সাথে দেখা হবেনা??…… না । এটা হতেই পারেনা । যেভাবেই হোক ওর সাথে দেখা করতেই হবে । না হয় ও আবার রাগ করবে । আর ওর রাগ ভাঙানোটা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে নির্জনের কাছে ।
কোন রকমে উঠে দাঁড়ায় নির্জন । দাঁড়াতেই পারছেনা । তবু কোনরকমে ফ্রেশ হয়েই বাইরে বের হয় । বাসা থেকে ফুলের দোকানটা তেমন দূরে না । তবুও আজকেন জানি দূর লাগছে । পায়ের ব্যাথায় কোনরকমেই হেঁটে যেতে পারছেনা । আবার রিকশার জন্য দাঁড়িয়েও থাকতে পারছেনা ।
এক পর্যায়ে রাস্তার ধারেই পড়ে যায় । উঠে দাঁড়ানোর শক্তি নেই ওর । হঠাৎ কোথা থেকে রিক্ত ছুটে এল । নির্জনের খুব ভাল বন্ধু । যাই হোক রিক্তকে ধরে কোনরকমে দোকানে গেল । নিজের মনের মত সাজিয়ে নিল ফুলগুলো । খুব যত্নে রিক্তকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রিকশায় উঠল । বিকালে ও পড়তে যাওয়ার সময় দেখা করে এটা দিতেই হবে ।
বাসায় আসতেই নিথির ফোন । নিথি তো রেগেমেগে আগুন । “এতক্ষণ মোবাইল অফ্ ছিল কেন??” আসলে মোবাইলের কথা ভুলে গিয়েছিল নির্জন । বললো একটা জরুরী কাজে বাড়িতে এসেছে । এতক্ষণ গাড়িতে ছিল তাই ফোন ধরতে পারেনি ।…… সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এই মিথ্যে কথা । এই বলে কোনরকমে নিথিকে শান্ত করা গেল । হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো নির্জন । নিথিকে প্রচণ্ড ভয় পায় সে ।
বিকেলে সময়মত নিথি পড়তে যাওয়ার সময় রিক্তকে নিয়ে দাঁড়ায় নির্জন । হঠাৎ নিথির মাকে দেখে রীতিমত ভয় পেয়ে গেল নির্জন । অবশ্য তেমন কিছুই হল না । উনি চলে যাচ্ছিলেন । তবে নির্জনকে চিনতে পারায় বারবার পিছন ফিরে দেখছিলেন । যাই হোক, নিথি তো ওকে দেখে অবাক । জিজ্ঞেস করল, “তুমি না বাড়িতে গিয়েছ?? এত তাড়াতাড়ি আসলে কিভাবে??” নির্জন বলল, “তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য মিথ্যে বলেছিলাম ।” নিথি হয়ত নির্জনকে দেখে খুশি হয়েছিল । নির্জন ফুলগুলো নিথির হাতে দিয়ে বলল, “Happy Valentines Day.” এরপর ওর হাতের চকলেটের প্যাকেটটা নিথিকে দিয়ে বলল, “I love you.” নিথিও খুশি হয়ে নিয়েছিল ।
¤
¤
===> এগুলো ছিল নির্জনের লেখা ডায়েরীর পাতা থেকে লেখা কিছু কথা ।
আজ এক বছর হয়ে গেল নিথি ফাহিমের হয়ে গেছে । এখন আর নির্জনের সাথে নিয়মিত কথা হয়না । মাঝে মধ্যে হঠাৎ করে কথা হয় ।
এখন আর সেই হাসিখুশি নির্জন নেই । অনেক পাল্টে গেছে । কারো সাথে কোন কথাবলেনা । সারাক্ষণ একা একা থাকে । খুব জানতে ইচ্ছে করছে, ফাহিম কি এখন নিথিকে ভালবাসা দিবসের দিন নিজের মনের মত করে সাজিয়ে ফুল দেয়?? নিথির চোখ ভরা খুশিগুলো দেখতে পারে?? সে কি নিথিকে ভালবাসে??
নির্জনের সেই দিনগুলো এখন শুধুই স্মৃতি । আর নিথির সাথে কাটানো সময়গুলো এখন সেই স্মৃতির কিছু ছেঁড়া পাতা ।
সহজ প্রেমের সরল
সহজ প্রেমের সরল উপস্থাপন…
আরও বেশী কিছু চাই!! লিখতে থাকুন!! :অপেক্ষায়আছি: :অপেক্ষায়আছি: :অপেক্ষায়আছি:
(No subject)
:কানতেছি: :কানতেছি: :কানতেছি:
সাবলীল ঢং এ লেখা । ভালই লাগল
সাবলীল ঢং এ লেখা । ভালই লাগল । লিখতে থাকুন । :ফুল:
সহজ সরল ভাষায় লেখা আমার
সহজ সরল ভাষায় লেখা আমার পছন্দের ।এভাবেই লিখতে থাকুন
যদিও গতানুগতিক হইছে কাহিনী।
যদিও গতানুগতিক হইছে কাহিনী। তবে লেখায় সাবলীলতা যেহেতু আছে ভালো লিখবেন, চালিয়ে যান।
সবাইকে অনেকটুকু ধন্যবাদ
সবাইকে অনেকটুকু ধন্যবাদ
সবাইকে অনেকটুকু ধন্যবাদ
সবাইকে অনেকটুকু ধন্যবাদ
সবাইকে অনেকটুকু ধন্যবাদ
সবাইকে অনেকটুকু ধন্যবাদ 🙂
সবাইকে অনেকটুকু ধন্যবাদ
সবাইকে অনেকটুকু ধন্যবাদ 🙂