গত ১৫ জুন এর নির্বাচনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী শওকত হোসেন হিরন পরাজিত হয়েছেন অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে । যদিও এই পরাজয় টা অপ্রত্যাশিত ছিল তবুও অঘটন ঘটল । বর্তমানে চার সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচিত সব মেয়র ই বি এন পি সমর্থিত । কিন্তু বরিশালের হিসেব আলাদা ।
গত ১৫ জুন এর নির্বাচনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী শওকত হোসেন হিরন পরাজিত হয়েছেন অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে । যদিও এই পরাজয় টা অপ্রত্যাশিত ছিল তবুও অঘটন ঘটল । বর্তমানে চার সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচিত সব মেয়র ই বি এন পি সমর্থিত । কিন্তু বরিশালের হিসেব আলাদা ।
মেয়র নির্বাচিত হবার পর থেকেই হিরন শহরের উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন । শহরের এমন কোন গলি নেই যেখানে তার পা পড়ে নি ।সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন প্রতিটা ওয়ার্ডের চিত্র । উন্নয়ন এর কথা কী বলব ? প্রভুত উন্নয়ন করেছেন ।উদাহরন স্বরূপ নতুন বাজার থেকে জেলখানা পর্যন্ত যে হাসপাতাল রোড টা চলে গেছে ওটা ছিল চলাচলের সম্পুর্ন অনুপযুক্ত ।ওপেন চ্যালেঞ্জ ।বরিশাল বাসীকে প্রশ্ন করুন এখন সেই রাস্তা কেমন ? ঐ রাস্তা এখন কার্পেটিং এ মোড়ানো ।রাস্তার মাঝে রোড ডিভাইডার আর সড়কবাতি । বরিশালের কেন্দ্রস্থল বিবির পুকুরের পারে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক যা একটি পাবলিক বিনোদন কেন্দ্র ।কাজ টা শেষ করে যেতে পারলেন না । কত কী করেছেন । উন্নয়ন এর কথা বাদ দিলাম কারন বলে শেষ হবে না ।তবে লঞ্চঘাট ,কীর্তনখোলা পাড়ে সৌন্দর্যায়ন ,সি এন্ড বি রোড উন্নয়ন ,ডি সি পুকুর উন্নয়ন ,সড়ক প্রসস্তকরন সহ নানা কাজ করেছেন । প্রতিবছর মেয়র নাইট করে প্রায় লক্ষাধিক লোক কে বিনামুল্যে নামকরা শিল্পীদের গান শুনিয়েছেন ,মেয়র কাপ ,রিক্সাচালক দের জন্য মেয়র রিক্সাচালক নাইট করেছেন । তবু ও পারলেন না ।হেরে গেলেন পরিবর্তনপ্রেমী অকৃতজ্ঞ বরিশাল বাসীর কাছে ।
তার পরাজয়ের কয়েকটি কারন দেয়া যেতে পারেঃ
1. গনজাগরন মঞ্চকে সর্মথন দেয়া এবং কথিত নাস্তিকতা
2. ভোটের আগের রাতে বিরোধীপক্ষের পাচঁ প্রচারকারীকে গ্রেফতার ও পুলিশ কর্তৃক গুলি ছোড়া
3. রাস্তা প্রশস্তকরনের সময় জনগনের মন রক্ষা করতে না পারা
4. সর্বোপরি অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস
আর কিছু বলার নেই ।প্রিয় বরিশালবাসী দেখি নতুন মেয়র আপনাদের কিভাবে ট্রিট করে । হিরন ভাই না এই নতুন মেয়র ভাল দেখা যাক
বরিশালবাসীর জন্য একটাই শব্দ-
বরিশালবাসীর জন্য একটাই শব্দ- অকৃতজ্ঞ।
একটা প্রধান পয়েন্ট বাদ দিয়ে
একটা প্রধান পয়েন্ট বাদ দিয়ে গেছেন। দলীয় কোন্দল একটা বড় ব্যপার ছিল। হাসানাত-হীরন কোন্দলের কথা বলেননি। বাকি পয়েন্টগুলো মোটামুটি ঠিকই আছে। ওগুলো সম্পর্কে দু-চারটা কথা বলি।
১. এটা একটা গুরুত্বপুর্ন পয়েন্ট। বরিশালের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ইসলামি গ্রুপ হল চরমোনাই পীরের ভক্তরা। চরমোনাই পীর নিজে বরিশালবাসীকে হীরনের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য উৎসাহিত করলেও সেটা তেমন একটা কাজে দেয়নি। জামাতের সাংগঠনিক অবস্থান কিংবা বরিশালেরই কুলাঙ্গার সন্তান সাইদির গ্রেপ্তার বরিশালবাসীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করত না। কিন্তু ইস্যুটা যেহেতু নাস্তিক-আস্তিক তাই জিনিসটা খুব ভালোভাবে কাজে লেগেছে।
২. বিরোধীপক্ষের পাঁচজনকে কেন গুলি ছোড়া হয়েছে সেটা লীগ সঠিকভাবে প্রচার করতে পারেনি। লীগের প্রচার পদ্ধতি যে ভয়ঙ্কর দূর্বল সেটার আরেকটা উদাহরন হলো এই ঘটনা। আসলে ওই পাঁচজন লীগের নামে নাস্তিকতার অভিযোগ দিয়ে কিছু নোংরা ও বানোয়াট অভিযোগ সম্বলিত পোষ্টার লাগাচ্ছিল। এটা দেখতে পেয়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এটা অনেকেই আজও জানতে পারেনি।
৩. এটার কথা আর কি বলব! এটা আমাদের জাতিগতভাবে প্রাপ্ত নোংরা অভ্যাস। আমরা নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দশজনের স্বার্থ দেখতে শিখি নাই। রাস্তার জন্য আমার দুইহাত জমি গেলে দুঃখে বাচি না, কিন্তু এটা চিন্তা করিনা যে একটা ভাল রাস্তা হলে আমার বাড়িটার ভাড়া অনেক বেড়ে যাবে।
৪. হুম, হীরন সাহেবের আত্মবিশ্বাস একটু বেশি ছিলো। এতটা নিশ্চিত হওয়া উচিৎ হয়নি।
পরিশেষে বলব, বরিশালবাসীর মত মূর্খরা হীরনের মত মেয়র পাওয়ার অযোগ্য। হারছে বরিশালবাসী, হীরন না।
চমৎকার বলেছেন নাজীব
চমৎকার বলেছেন নাজীব :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
বিশেষ করে-
আপাদমস্তক অকৃতজ্ঞ
আপাদমস্তক অকৃতজ্ঞ বরিশালবাসী…
আশাকরি এর উপজুক্ত জবাব সদ্য নির্বাচিত মেয়র দিয়ে দিবেন!!
ভাল কাজের প্রসংসা করতে জানে না বলেই বাংলায় ভাল কাজ হয় কদাচিৎ…
আফসুস লাগতাছে মাগার কথা
আফসুস লাগতাছে :ভাবতেছি: মাগার কথা সত্য যে মানুষ পরিবর্তনে বিশ্বাসী ।। দেখা যাক সামনের পথটা কেমন হয় সরু নাকি সুন্দর………
অকৃতজ্ঞ বরিশালবাসী
অকৃতজ্ঞ বরিশালবাসী :ক্ষেপছি: :মাথাঠুকি: