আমার ন্যাংটা কালের চেয়ে একটু বড় কালের দুইজন বন্ধু হল – Niloy আর Dhruba
আমরা ছিলাম জানের জান টাইপের ।
এক বিল্ডিং এই থাকতাম । বয়সও প্রায় সমান ।
মজার ব্যাপার আমাদের তিনজনের জন্মদিন পরপর তিন মাসে । আমার আগস্ট , ধ্রুবর সেপ্টেম্বর আর নিলয় এর অক্টোবর এ ।
আমি একটা গেঞ্জি পড়তাম ঐখানে লেখা ছিল ” BIG BOSS ”
এরপর আমরা তিনজনের একটা টিম বানাইলাম এই নামে ।
ক্রিকেট খেলা , ফুটবল খেলায় আমরা তিনজন এক টিমে থাইকা খেলতাম ।
আমি ক্লাস ফোর পর্যন্ত ওই বাসায় ছিলাম । এরপরে বাসা পরিবর্তন করি । এর আগেই ধ্রুব বাসা পরিবর্তন করে তবে পাশের বাড়িতে যায় ।
আমার ন্যাংটা কালের চেয়ে একটু বড় কালের দুইজন বন্ধু হল – Niloy আর Dhruba
আমরা ছিলাম জানের জান টাইপের ।
এক বিল্ডিং এই থাকতাম । বয়সও প্রায় সমান ।
মজার ব্যাপার আমাদের তিনজনের জন্মদিন পরপর তিন মাসে । আমার আগস্ট , ধ্রুবর সেপ্টেম্বর আর নিলয় এর অক্টোবর এ ।
আমি একটা গেঞ্জি পড়তাম ঐখানে লেখা ছিল ” BIG BOSS ”
এরপর আমরা তিনজনের একটা টিম বানাইলাম এই নামে ।
ক্রিকেট খেলা , ফুটবল খেলায় আমরা তিনজন এক টিমে থাইকা খেলতাম ।
আমি ক্লাস ফোর পর্যন্ত ওই বাসায় ছিলাম । এরপরে বাসা পরিবর্তন করি । এর আগেই ধ্রুব বাসা পরিবর্তন করে তবে পাশের বাড়িতে যায় ।
নিলয় দীর্ঘদিন ওই বাসায় কাটাইয়া এখন আদাবর থাকে । কালে ভদ্রে একেকজনের সাথে দেখা হত । ফেসবুক এইটা একটা ভালো কাজ করছে । সবার এইখানে দেখা হয় । তা ছাড়া নিলয় এর সাথে এক কোচিং এ পড়ি ।
আমাকে কেউ যদি বলে এতো টাকা দিলে আমি তোমার ওই জীবন ফিরিয়ে দিবো তবে আমি সেই সুযোগ লুফে নিবো ।
আমরা চাঁদা তুলে বল কিনতাম , মাংশ চোর খেলা খেলতাম , কুত কুতও খেলছি , বরফ পানি , ছোঁয়া ছোয়ি খেলছি । কিন্তু খেলা গুলির নাম এখনকার কয়জনই বা জানে কারণ তারা পিসপি তে খেলা কম্পিউটার আছে । বাহিরের খেলা কেউই খেলে না । মাঠ নাই বলে পার পাওয়া যাবে না । ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় । আমরা খেলার সময় অন্য বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙলে দিতাম ঝাইড়া দৌড় । সেই মজা কি কম্পিউতারে খেললে কেউ পাবে ? বল যে হারাইত কিংবা অন্য জায়গায় চিপা কিংবা অন্য বাড়িতে মারত তাকে আনতে হতো । এই মজা কই পাবে কম্পিউটারে ?
আমি মনে করি যেই জায়গায় যে পরিবেশে বেড়ে উঠেছি সেই পরিবার একটা শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য আদর্শ । কারণ পাঁচ তলার তিনটি বিল্ডিং এক মালিকের ,এক সাথে গড়া । সবার ঘরের দরজা খোলা থাকতো , হিন্দু মুসলিম সবাই এক সাথে থাকতো । আমি একেকজনের বাড়িতে সময় কাটাতাম । খাওয়া দাওয়ার জন্য বাসায় আসতাম মাঝে মাঝে অন্য বাসায়ও খাইতাম । সবাই সবার খেয়াল রাখতো । অসুস্থ হলে সবাই খবর নিতে আসতো । কারো সাথে রক্তের সম্পর্ক নাই কিন্তু সবাই ছিল আপন কোন স্বার্থ ছাড়াই । সবাই সবার আপনজন ছিল , ঈদ করতাম সবাই এক সাথে , আনন্দ করতাম এক সাথে, খেলতাম এক সাথে , যে কারো বিপদে সবাই এক সাথে এগিয়ে আসতো ।
এখন আমার বাসায় কে কে থাকে আমি জানি না । দরজা বন্ধ থাকে , দরজার ফুকা দিয়া দেখতে হয় কেডা আইছে ?
দিনগুলো খুব মিস করি । আবার যদি ফিরে পেতাম ………………………………
নস্টালজিক হইয়া গেলুম
:বিগবস: :বিগবস: নস্টালজিক হইয়া গেলুম :দিবাস্বপ্ন: :দিবাস্বপ্ন:
হুম
হুম :অপেক্ষায়আছি:
কি নিয়া এতো চিন্তা ???
কি নিয়া এতো চিন্তা ???
প্রযুক্তি আমাদের কে অনেক
প্রযুক্তি আমাদের কে অনেক সংকুচিত করে ফেলছে ।
দিন যায়, স্মৃতি থাকে। অতীত
দিন যায়, স্মৃতি থাকে। অতীত কোন দিন ফিরে পাওয়া যায় না। এটাই ধ্রুব সত্য….
আসলেই অনেক
আসলেই অনেক নস্টালজিক…
পুরানো দিনের স্মৃতির পিনিক তুলে দিলেন!!
এই বর্শায় যদি একবার আমার গ্রাম (সন্দ্বীপ) থেকে ঘুরে আস্তে পারতাম!