ছোট একটা গল্প,ছোট একটা শহর,ছোট একটা সময়।
আজ আমরা যাবো সেতু মনির বাড়িতে।
বাড়িটা শহরের মাঝেই তবে বাড়িটা দেখে কেউ হাজার বার চেষ্টা করলেও বুঝতে পারবে না,সে একটা শহরের প্রানকেন্দ্রে আছে।
আসলে পুরাতন জমিদারী স্টাইলের বাড়ি সুবিশাল পুকুর আর মাঝারি সাইজের প্রার্থনা ঘর দক্ষিন দিকটায় একটা বাগান ও আছে।
এ বাড়ির মালিক শেখ শাহেদ কোন কালে জমিদার ছিলেন না,জন্মে ছিলেন যেখানে সেখানে অসভ্যদের চাইতে সভ্যদের আনাগোনা খুব বেশি।
তার মা তার জন্মের পূর্বে দুবছর যার সাথে ছিলেন সে লোক মন্ত্রী না হলে ও এমপি ছিল।
অবশ্যই এমপি মশাই বিনিময়ে
অনেক টাকা দিয়েছেন।
না খুব বেশি দিন বাঁচেনি শেখের মা।
ছোট একটা গল্প,ছোট একটা শহর,ছোট একটা সময়।
আজ আমরা যাবো সেতু মনির বাড়িতে।
বাড়িটা শহরের মাঝেই তবে বাড়িটা দেখে কেউ হাজার বার চেষ্টা করলেও বুঝতে পারবে না,সে একটা শহরের প্রানকেন্দ্রে আছে।
আসলে পুরাতন জমিদারী স্টাইলের বাড়ি সুবিশাল পুকুর আর মাঝারি সাইজের প্রার্থনা ঘর দক্ষিন দিকটায় একটা বাগান ও আছে।
এ বাড়ির মালিক শেখ শাহেদ কোন কালে জমিদার ছিলেন না,জন্মে ছিলেন যেখানে সেখানে অসভ্যদের চাইতে সভ্যদের আনাগোনা খুব বেশি।
তার মা তার জন্মের পূর্বে দুবছর যার সাথে ছিলেন সে লোক মন্ত্রী না হলে ও এমপি ছিল।
অবশ্যই এমপি মশাই বিনিময়ে
অনেক টাকা দিয়েছেন।
না খুব বেশি দিন বাঁচেনি শেখের মা।
শেখ সর্দারনীর কাছেই বড় হয়েছে,ছাত্র রাজনীতি করেছে যদি ও স্কুলের ধার ধারেনি।একবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পার্টির জোরে কাউন্সিলর হয়ে যায়।
ভাগ্যের চাকা দ্রুত ঘুরতে থাকে বাহুবলে কাউন্সিলর থেকে এমপি,মন্ত্রী হয়ে যায়।কে পায় সর্দারনীর ভাইস্তা শেখকে এখন অবশ্য ভাইস্তা থেকে বেমালুম চাচা হয়ে গিয়েছে।
মাঝখানে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয় চাচার মেয়ে রাজকুমারীকে জোর করে তুলে এনে বিয়ে করে।
জয় চাচার হেরোইনের ব্যবসা ছিল,ক্ষমতা শাহেদের হাতে কিছু করার নেই।
রাজকুমারী অবশ্য স্বামীকে মেনে নিয়ে ছিল,দেশীয় মেয়েদের এই দোষ স্বামী সংসার পেলে প্রানের প্রিয় প্রেমিককে ও ভুলে যায়।
স্বামী যত দোষই করুক সে কিছুই শুনবে না,দরকার লাগলে স্বামীর মার খেয়ে ভাঙ্গা কোমর নিয়ে ও স্বামীর পায়ে পড়ে থাকবে।
এই বৌ পেটানোর বিশেষ অভ্যাস শুধু ভারতবর্ষের সুপুরুষদের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়।
এমন সুপুরুষ আপনি দেশের বাইরেও ঢের দেখতে পাবেন।
তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত মার খাওয়া নারী কেবল এই দেশে পাবেন।
এই সকল পুরুষদের আবার কারো কারো বৌ পেটানোর পর ন্যাকা কান্না করার অভ্যাস আছে শেখ চাচা এই দলের।
ইচ্ছে মত পেটাবে রাজকুমারীকে সারা বিকেল বাগানে বসে নাক,গাল ফুলিয়ে কাঁদবে।
সন্ধ্যে হলে শেখ চাচা এসে কান্নাকাটি করে,কান ধরে,চুমোচুমি করে রাজকুমারীকে নিয়ে যাবেন।
রাজকুমারীর অবশ্যই এটা খুব ভাল লাগে।
রাজকুমারীর পুরো বিকেলটা বসে বসে কাঁদতে যেন কোন রকম কষ্ট না হয় তাই শেখ চাচা বাগানটা মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজিয়েছেন।
শেখ চাচার ভাবনা মেয়ে মানুষ দু চারটা মাঝেমধ্যে দিতে হবে আর ওকে কাঁদলে বেশ সুন্দরী লাগে।
চড়- থাপ্পর ছাড়া ও রাজকুমারীর অনেক কষ্ট আছে,তবে শেখ চাচা তাকেই সুখেই রেখেছে।
এই শহরে এত সুন্দর বৌ আর কারই বা আছে।শেখ চাচার তো গাইতে ইচ্ছে করে
– ” ওগো রুপের রাণী ” ।
(No subject)
:মাথানষ্ট: