গত বছর ইন্ডিয়া গেলাম দুর্গা পূজা দেখতে।ঢাকা থেকে ইউনাইটেড এয়ারে ৪০ মিনিটেই দমদমে সুভাষ চন্দ্র এয়ারপোর্টে নেমে গেলাম।আমি ইন্ডিয়াতে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছি।তাই ইন্ডিয়া আমার খুব ফেভারিট জায়গা।দমদম থেকে বের হবার আগে ট্যাক্সি ভাড়া করার জন্য নির্দিষ্ট করা প্রি-পেইড বুথে গেলাম।বললাম দাদা পার্ক স্ট্রিট যাব।এই বলে আমার কাছে থাকা ৫০০ রুপি দুটা নোট দিলাম।ভাড়া জানা ছিল না।বুথের লোকটি বললেন দাদা খুচরো দেন।বললাম খুচরো তো নেই।ভদ্রলোক বললেন খুঁজে দেখেন কার কাছে পান কিনা।একটু দূরে গেলাম কিন্তু রুপি সাথে নেইনি তা রেখেই চলে গেলাম।একজনকে গিয়ে বললাম দাদা খুচরো আছে।বল্লেন খুঁজে দেখি দাঁড়ান ।তিনি বললেন হবে।আমি গিয়ে অই বুথের লোক কে বললাম একটি নোট দেন।তিনি বললেন নোট তো একটাই দিয়েছেন ।পড়লাম না ফাঁফরে।আমি কনফিদেন্ট নিয়ে বললাম আমিতো আপনাকে দুটা নোট দিয়েছি।প্রতি উত্তরে খ্যাঁক খ্যাঁক করে তিনি বললেন পকেটে চেক করে দেখেন।উনাকে না ঘাটিয়ে পকেটে হাত দিয়ে খুঁজলাম। না রুপি নেই শুধু ডলার আছে।আমি আবার তাকে বললাম দাদা খুজে দেখেন না একটু প্লিজ আমার কাছে ডলার আর এ দুটি রুপি ছিল,অন্য আর কোন টাকা নেই দাদা। ।তিনি আমার দিকে অগ্নিমূর্তি হয়ে বল্লেন,আপনি খুজে দেখেন।কি বলব আমার সবকিছু যেরেও কিছুতেই রুপিটা পেলাম না।কথা চালাচালি চলল।কিন্তু তিনি কোন ভাবেই স্বীকার করলেন না যে আমি দুটি নোট দিয়েছি।তারপর তিনি একটি শব্দ উচ্চারণ করে আমাকে বথসনা করলেন।তখন আমি বুঝে গেলাম এই শালা খুব ত্যাঁদড়।সে আমার জাতি নিয়ে খুব বাজে একটি গালি দিয়েছে।আমিও অনেক তরপাইলাম কারন আমার দেশকে নিয়ে কিছু বললে আমি কেন মেনে নেব।আমি নিশ্চিত সে এখন ইচ্ছে করে আমার সাথে তেরামি করছে।যাই হোক ভগ্ন মনে ফিরে আসছি এক্সিট করব বলে।ভাবছি এইভাবে ওয়েল্কাম হইলাম।না জানি ভিন দেশে এভার কত কিছু অপেক্ষা করছে আমার জন্য।বাহিরে এসে অন্য ট্যাক্সি ভাড়া করে দমদম থেকে পার্কস্ট্রীট এর দিকে যাত্রা শুরু করলাম।মন কিন্তু বেজায় খারাপ।মনে মনে অই শালাকে গালি দিচ্ছি।আমি ১০০% সিওর বাইঞ্চুত আমাকে সিস্টেম করেছে।বুথ থেকে টাকা না নিয়ে যাওয়া বোকামি হয়েছিল।নানান গালি দিয়ে মনকে শান্ত করলাম।কি আর করা এ ছাড়া উপায় ছিল না।পার্কস্ট্রীট এসে নিরধারিত রেস্ট হাউসে নাম্লাম।প্রথমেই ট্যাক্সি ভাড়া মিটালাম রিসেপ্সন থেকে টাকা এনে।তারপর চেক ইন করলাম। ফ্রেস হয়ে একটি ঘুম দিলাম।সন্ধ্যে বেলা খাবার এর জন্য গেলাম মারকুইকস্ট্রীট।এই জায়গার নামকরা হোটেল, হোটেল কস্তরি ।বাংলাদেশিরা এখানে খুব ভিড় করেন।সব রকম বাঙালি খাবার পাওয়া যায়।বাব্বা খুব ভিড় পুজার ভিড় একেই বলে।খুব জমজমাট চারিদিকে ভালই লাগছে,শুধু ভালো না বেশ ভালো লাগছে।আমার পছেন্দের কিছু ডিসের অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করছি।খেয়ে আর রেস্ট হাউজে ফিরলাম না।অল্প কয়েকটি মণ্ডপে ঘুরলাম।মনে হল মণ্ডপের ভিড় ভাটটা একটু কম।মণ্ডপ এখনও জমে উঠেনি।রাতও খুব একটা বেশি না।ভাবলাম আজ ফিরে যাই,একটু ক্লান্ত লাগছিল।ফিরে চললাম রেস্ট হাউসে।
পরের দিন সকালে উটেই তরগরি করে বের হলাম।প্রথমে গেলাম গঙ্গার পাড়ে।হায় হায় পাবলিক আর পাবলিক, ছুটির আমেজে সব বয়সীদের সমান ভিড়।সবার মধ্যে চাঞ্চল্য আছে,ভালো লাগছে।কিছু সময় কাঁটিয়ে গেলাম ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালে।অমা এখানে যে পা ফেলার জায়গা নেই।সারাদেশের মানুষ কি এখানে চলে আসছে নাকি।প্রচুর ভিড় লাইন ধরে ডুকছে সবাই তাও একটা দুটা লাইন না।ভাবলাম ফিরে যাই কাছেই আমার পার্ক স্ট্রীট।মন সায় দিল না।এসেছি যখন দেখে যাই,এত ভিড় কেন।এখানে আমি অনেকবার এসেছি টমটম ঘোড়ায় ছড়েছি।ভাবলাম এখানে এত ভিড় কেনই হবে?শুধু মিউজিয়ামে কি পাবলিক আর যায় নাকি।অনেক ভাবনা চিন্তার মাঝে ভিতরে প্রবেশ করে দেখি পরিবার কেন্দ্রিক মানুষই বেশি।অবসর কাটাতেই আসা কেবল।ভাল লাগছে খুব ভালো লাগছে,সাথে আমার পরিবারকে খুব মিস করছি এসব দেখে।কিছুক্ষন থেকে চলে আসলাম।চলে গেলাম সল্টলেক সিটি সেন্টারে ইতি উতি ঘুরে ডুকে পড়লাম সিনেমা হলে।শাহরুখ খানের ডন২ চলছে।শুনেছি এ মুভিতে অনেক টেকনিক্যাল ব্যাপার সেপার সংযোজন হয়েছে।আমি মুভি পাগলা মানুষ তা কি আর মিস করি।দীর্ঘ মুভি দেখে বের হলাম।সবাই বেশ খুশি।টাকা উসল মনে হল।সবার আচরণে তাই মনে হল।সময় কাটাতে শাহরুখ খানের বিকপ্ল নেই বললে চলে।আর কোন কিছুই নেই তার মুভিতে,এটা আমার নিজস্ব মতামত।
এল পাতারি ঘুরে ফিরে এই দিনের শেষ প্রান্তে গেলাম পূজা মণ্ডপে।মহাঅষ্টমীর রাত,এখন পূজা মণ্ডপ মানুষে টইটুম্ভুর।অনেক ভালো লাগছে।
মধ্যরাতে ফিরলাম।খুব ক্লান্তি লাগছে তাই ঘুমিয়ে পড়লাম।
মহানবমির দিন বিকেলে পার্ক স্ট্রীটের আসে পাশে ঘুরতেছি অল্প স্বল্প কেনা কাটা করছি।সন্ধা মিলিয়ে যাওয়ার পর পার্ক স্ট্রীটের নামিদামি দোকানগুলু আলোর ঝলকে ভেসে যায়।অনেক কপোত কপোতীরা ভিড় করে ভিন্ন একটি আমেজে সেজে উটে পার্ক স্ট্রীট।ভালো লাগে ভীষণ ভালো লাগে।রাত ৮ টার দিকে পার্ক স্ট্রীটের নামিদামি oxford stationary শপে শপিং করতে ভিতরে প্রবেশ করি।নামিদামি অনেক বই,কলম অনেক কিছুই ঘাঁটছি।আচমকা সেল ফোনটি বেজে উঠল আমার।দেশ থেকে আমার স্ত্রী ফোন করেছে।
–হ্যালো কি কর
–এইতো একটু শপিং
–কোথায় ?
–পার্ক স্ট্রীটেই
–কেন কিছু জাননা নাকি?
–বুকটা কেঁপে উঠল।কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলাম কিছু হয়েছে নাকি?
কেন তুমি ইন্ডিয়াতে আছ,আবার বলছ কিছু হয়েছে নাকি। সত্যি জান না?
বললাম হেয়ালি করোনা বল কি হয়েছে।
কেন তুমি কি সত্যি জান না যে
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মারা গেছেন?
আমার হাতে একটি বই ছিলস
বইটি পড়ে গেল……
এভাবে ঠাস করে শেষ করে দিলেন?
এভাবে ঠাস করে শেষ করে দিলেন? ভ্রমন অভিজ্ঞতা পড়তে আমার বরাবরই ভালো লাগে। সুনীলের মৃত্যু দিয়ে শেষ করলেন, সুনীলের ভ্রমন অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা দুই খণ্ডের “পায়ের তলায় সর্ষে-১,২” আমার অত্যন্ত পছন্দের।
বানানের দিকে একটু নজর দিয়েন।
ধন্যবাদ আতিক ভাই।সুনীল আমার
ধন্যবাদ আতিক ভাই।সুনীল আমার খুব প্রিয় একজন।তাই উনার শেষ প্রয়াণে লিখাটা শোক হিসেবে ধারন করেছি।তাই লিখা বন্ধ করে পর্ব এক দিলাম।আরেক পর্বে শেষ করব। কিছু ফ্রন্ট এর কারণে বানানে ভুল চলে আসে।আগে লিখি তারপর শেয়ার করি।আপনি সাথে আছেন তাই ভরসা আছে।
আরে বানানের কথা বললাম, কারন
আরে বানানের কথা বললাম, কারন ভুল বানান একটা ভালো লেখার মান কমিয়ে দেয়। অনেক পোস্টেই তো বানান ভুল থাকে। সব পোস্টে কিন্তু বলি না। যেটা ভালো লাগে সেখানেই বলি, যেন সুন্দর একটা লেখার মান শুধুমাত্র বানান ভুলের কারনে কিছুটা মানহীন না হয়ে যায়। আপনার লেখার স্টাইল ভালো। চালিয়ে যান। :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
আতিক ভাই আমি জবাব
আতিক ভাই আমি জবাব দিয়েছি।তারপরও বলছি।আপনার প্রেরণা পাচ্ছি অবশ্যই আমি বানানের দিকে খেয়াল করব।ধন্যবাদ :খুশি:
লেখাটার ধরন খুব ভাল লাগল
লেখাটার ধরন খুব ভাল লাগল :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
ধন্যবাদ রাইয়ান ভাই।
ধন্যবাদ রাইয়ান ভাই। :খুশি:
চলুক , তবে মৃত্যু দিয়ে শেষ
চলুক , তবে মৃত্যু দিয়ে শেষ করলেন। ভেবেছিলাম ভ্রমন কাহিনী হবে পুরোটা
ধন্যবাদ লাবণ্য।পার্ট- ২ আসবে
ধন্যবাদ লাবণ্য।পার্ট- ২ আসবে শিগ্রই।