……………………………..এই গল্পের শুরুটা হয়েছিলো অনেক অনেক কাল আগে।তখনও সৃষ্টি বলতে কিছুই ছিলো না।ছিলো শুধু অসীম পরিব্যাপ্ত শূণ্যতা।একসময় ক্যাওস(chaos)নামক এই রহস্যময় শূন্যতা থেকেই জন্ম নেন গায়া(gaea),পৃথিবীর দৈবসত্তা বা Mother Earth।এরপর ক্যাওস থেকেই একে একে জন্ম নেন প্রেমের দেবতা ইরস(eros),অন্ধকারের দেবতা ইরিবাস(erebus),নরক বা Underworld এর দৈবসত্তা টারটারাস(Tartarus)এবং রাতের দেবী নিক্স(nix)।এদের মধ্যে Mother Earth গায়া ছিলেন জীবন ও শক্তির এক মিলিত রূপ এবং ইরস ছিলেন অসম্ভব সৌন্দর্যের অধিকারী।
……………………………..এই গল্পের শুরুটা হয়েছিলো অনেক অনেক কাল আগে।তখনও সৃষ্টি বলতে কিছুই ছিলো না।ছিলো শুধু অসীম পরিব্যাপ্ত শূণ্যতা।একসময় ক্যাওস(chaos)নামক এই রহস্যময় শূন্যতা থেকেই জন্ম নেন গায়া(gaea),পৃথিবীর দৈবসত্তা বা Mother Earth।এরপর ক্যাওস থেকেই একে একে জন্ম নেন প্রেমের দেবতা ইরস(eros),অন্ধকারের দেবতা ইরিবাস(erebus),নরক বা Underworld এর দৈবসত্তা টারটারাস(Tartarus)এবং রাতের দেবী নিক্স(nix)।এদের মধ্যে Mother Earth গায়া ছিলেন জীবন ও শক্তির এক মিলিত রূপ এবং ইরস ছিলেন অসম্ভব সৌন্দর্যের অধিকারী।
পরবর্তীতে গায়া জন্ম দেন ইউরেনাস(Uranus)কে,যিনি ছিলেন আকাশের দৈবরূপ। একসময় এই ইউরেনাসের সাথেই গায়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ইউরেনাসের হাতে চলে আসে সমগ্র বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের শাসনভার।
ইউরেনাসের ঔরসে গায়া জন্ম দেন কিছু রহস্যময় দানবীয় সন্তান যাদের মধ্যে তিনটি ছিলো এক চক্ষুওয়ালা দৈত্য সাইক্লপ(cyclop);একটি ছিলো হেকাটোখেইরিস(hekatokheires)নামক শতবাহুওয়ালা দৈত্য এবং সবশেষে ৬ জোড়া বৃহদাকার টাইটান(titan)।টাইটানরা ছিলো অসম্ভব শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী স্বভাবের।
এদিকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিপতি ইউরেনাস তার সন্তানদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা করেন এবং এই ভয়েই তিনি তার সন্তানদের টারটারাস বা অ্যাবিস(aebes) এ বন্দি করেন।সন্তানদের বন্দি করার এই ব্যাপারটা কোনভাবেই সহ্য করতে পারেন নি গায়া।তিনি ইউরেনাসকে ফাঁকি দিয়ে সর্বকনিষ্ঠ টাইটান সন্তান ক্রোনাস(cronus) কে মুক্ত করেন।
ক্রোনাস ছিলো টাইটান ভাই-বোনদের মধ্যে সবচেয়ে চতুর এবং ভয়ংকর।সে তার এই চাতুর্যতাকে কাজে লাগিয়ে Mother Earth গায়ার বিশ্বাস অর্জন করে এবং গায়ার সাহায্য নিয়ে ইউরেনাসকে যুদ্ধে আহবান করে।যুদ্ধে ইউরেনাস পরাজিত হন এবং মহাবিশ্বের নতুন অধিপতি হয় ক্রোনাস।
ক্ষমতা পাওয়ার পর ক্রোনাস তার টাইটান ভাই বোনদের মুক্ত করলেও সাইক্লোপদের বন্দি অবস্থাতেই রেখে দেয়।এতে সাইক্লোপরা ক্রোনাসের উপর ভীষণভাবে ক্ষুদ্ধ হয়।এদিকে ক্রোনাস তার অপর টাইটান বোন রেয়া(rhea)-কে বিয়ে করে।নিজ পিতাকে পরাজিত করে ক্ষমতা দখলের পর ক্রোনাস নিজেও নিজ সন্তানদেরকে ঝুঁকি মনে করা শুরু করে।নিজেকে সব দিক থেকে রক্ষা করতে ক্রোনাস স্বীয় সন্তানদের জন্মলগ্নেই গলধঃকরণ করে ফেলত।কিন্তু Mother Earth গায়ার আশীর্বাদের কারনে ক্রোনাসের সন্তানরা জন্মগ্রহণ করে দেবতারূপে ।আর তাই তারা ছিলো অমর।একে একে নিজের ৫ টি সন্তানকে গিলে ফেলতে দেখে রেয়া তার ৬ নম্বর সন্তানটিকে জন্মের পর লুকিয়ে তুলে দেন গানপ্রিয় *নিম্ফ(nymph)-দের কাছে এবং একটি পাথর কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে সন্তান হিসেবে তুলে দেন ক্রোনাসের হাতে।ক্রোনাস নিজ সন্তান ভেবে পাথর খেয়ে ফেলেই নিশ্চিন্ত থাকে।
রেয়ার লুকিয়ে ফেলা সন্তানটিই ছিল জিউস,যে পালিত হতে থাকে নিম্ফদের কাছে।ছোট্ট জিউসের কান্নার শব্দ ক্রোনাসের কাছ থেকে লুকাতে নিম্ফরা উচ্চস্বরে গান গাইতো এবং ড্রাম বাজাতো।জিউস যৌবনপ্রাপ্ত হলে জিউস ও গায়ার প্ররোচনায় রেয়া ক্রোনাসকে এক বিশেষ ধরনের তরল খাইয়ে দেয়।যার ফলে ক্রোনাস তার গলধঃকৃত সন্তানদের উগ্রে দিতে থাকে।এই পর্যায়ে ক্রোনাসের সামনে জিউসের আবির্ভাব ঘটে এবং দুজনে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পরে।যুদ্ধে জিউস তার সহোদরদের সাহায্য পান,অপর দিকে অন্যান্য টাইটানরা যোগ দেয় ক্রোনাসের সাথে।একপর্যায়ে জিউস ক্রোনাসের প্রতি পূর্ব থেকে ক্ষিপ্ত সাইক্লোপদের মুক্ত করেন এবং সার্বিক আক্রমণে ক্রোনাসকে যুধে পরাজিত করেন।যুদ্ধে জয়ী হয়ে জিউস ক্রোনাস ও অন্যান্য টাইটানদের টারটারাসে বন্দি করেন।
এবং তখন থেকেই স্বর্গ-মর্ত্যে দেবতাদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় যা আজ পর্যন্ত বিদ্যমান।
* ইউরেনাসের সাথে যুদ্ধলগ্নে
* ইউরেনাসের সাথে যুদ্ধলগ্নে ক্রোনাস তাকে(ইউরেনাসকে) আঘাত করলে ইউরেনাসের দেহ হতে কিছু রক্ত সমূদ্রে পতিত হয়।এই রক্ত থেকেই নিম্ফদের জন্ম।
এটা কি এডিথ হেমিলটনের
এটা কি এডিথ হেমিলটনের ‘মিথলজি’-র রেফারেন্স ছিল..…?
😀
না ভাইয়া,এটার প্রধান
না ভাইয়া,এটার প্রধান রেফারেন্স ছিলো Hesiod’s Theogony (around 700 BC) ।
আর টুকটাক google
এটা কি এডিথ হেমিলটনের
এটা কি এডিথ হেমিলটনের ‘মিথলজি’-র রেফারেন্স ছিল..…?
😀
এটা কি গ্রীক পুরাণ?
এটা কি গ্রীক পুরাণ? :কনফিউজড:
সন্দেহের কারন?
সন্দেহের কারন?
ভাই,কাহিনী লেখার শেষাংশ
ভাই,কাহিনী লেখার শেষাংশ টানলেন কেন? আজীবন চলে যেত! ভালই তো লাগতাছিল!
এটা শুধু মাত্র প্রারম্ভিকের
এটা শুধু মাত্র প্রারম্ভিকের সংক্ষেপিত কিছু অংশ।।টাইপ করা অনেক ঝামেলার একটা কাজ ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
গ্রিক পুরান পড়িতে আমার বড় মজা
গ্রিক পুরান পড়িতে আমার বড় মজা লাগে । 😀
(No subject)
:বুখেআয়বাবুল:
মিথলজিকে স্রেফ গল্প হিসেবে
মিথলজিকে স্রেফ গল্প হিসেবে পড়তে মজাই লাগে। চালিয়ে যাবেন আশা করি। ভালো লাগছে।
অন্য জগতে ছিলাম পড়ার সময়।
অন্য জগতে ছিলাম পড়ার সময়। শেষে মনে হল – যাহ্ শেষ হয়ে গেল !!!! :ভাঙামন:
লিখুন আরও ।পড়মু
আমার সবচেয়ে পছন্দের মিথ হল
আমার সবচেয়ে পছন্দের মিথ হল গ্রিক মিথলজি। এর শর্টকাট কাহিনীটুকু পড়ে ভাল লাগলো। তবে আমি জানতাম রিয়া কেও মাদার অফ গডস বলা হয়।
রিয়া/রেয়া-ই হলেন মাদার অফ
রিয়া/রেয়া-ই হলেন মাদার অফ গডস।ক্রোনাস এবং তার মিলনে দিমিত্রি,হেরা
,হেসিয়া,জিউস প্রমুখ গড এন্ড গডেস এর জন্ম হয়।অপর পক্ষে গায়া হলেন মাদার আর্থ।রহস্যময় প্রথম জন্মদাত্রী।
আপনারা উৎসাহ দিলে অবশ্যই
আপনারা উৎসাহ দিলে অবশ্যই লিখবো।।@মোশফেক আহমেদ এবং ডাঃ আতিক