সমসাময়িক সময়ে উঁচু নিচু লেখা কার না কার এটা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত Point of View হতেই আজাদ স্যার কে বিচার করেছি। আমি বার বার আমার ব্লগ হতে ফেসবুকের লেখায় বলেছি আজাদ স্যার একজন অন্যতম লেখক, কিন্তু আহামেদ ছফা কিংবা আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস এর লেখা বিচার করলে আপনি কি বলবেন??? অপরদিকে লালন আর সাহিত্যকে নিয়ে তাঁর চিন্তাকে আপনি কি যুক্তিগত বিচারে উঁচু মনে করেন???
সমসাময়িক সময়ে উঁচু নিচু লেখা কার না কার এটা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত Point of View হতেই আজাদ স্যার কে বিচার করেছি। আমি বার বার আমার ব্লগ হতে ফেসবুকের লেখায় বলেছি আজাদ স্যার একজন অন্যতম লেখক, কিন্তু আহামেদ ছফা কিংবা আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস এর লেখা বিচার করলে আপনি কি বলবেন??? অপরদিকে লালন আর সাহিত্যকে নিয়ে তাঁর চিন্তাকে আপনি কি যুক্তিগত বিচারে উঁচু মনে করেন???
আজাদ স্যার সাহিত্যকে একটি নিদৃস্ট শ্রেণীর ব্যবহারের বস্তু মনে করেন, আজাদ স্যার তাঁর বিতর্কিত লেখাতেই বেশি পরিচিত, কিন্তু তাঁর সেরা লেখা লাল নীল দীপাবলীতে??? আমাকে বাংলা নিয়ে নিতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে লাল নীল দীপাবলী বইটি, এই বিচারে আজাদ স্যার আমার গুরু। অপর দিকে পাক সার জামিন? পাক সার জামিন একটা অধিক বিক্রিত বই ছাড়া আর কিছুই না।
আমি এটাও বলে রাখতে চাই চিন্তিত আজাদ আর গুটি কয়েক বইয়ের আজাদ এক নন, শিবিরের কাছে গুটি কয়েক বইয়ের আজাদ আক্রান্ত নাকি চিন্তিত আজাদ আক্রান্ত এটা আপনি বিচার করুন। আজাদ স্যার অনেক দিন আগেই ব্যক্তি সত্ত্বার বাহিরে একজন প্রতিষ্ঠান হয়েছেন।
আজাদ স্যার সমালোচনার উপরে নন আবার ভাবতে অবাক লাগে বাংলার সিংহভাগ মধ্যবিত্ত নাস্তিকদের কাছে তিনি কিভাবে পয়গম্বর হয়েছেন আমি বুঝতে পারি না, কারন একমাত্র পয়গম্বরের সমোলাচনা করা যায় না, ওই খানে তারা কিভাবে নাস্তিক আমি তা বুঝতে পারি না।
আহামেদ ছফার লেখ গুলোর সাথে আমি রাস্তার গন্ধ পাই, লেখা গুলো অনেক সজিব, বলার প্রসঙ্গে অপ্রান্সঙ্গিক একটা কথা বলি কিছু দিন আগে আজাদ স্যার এর একজন উম্মত এর কাছে আমি ছফা স্যার কে নিয়ে স্যাটায়ার লেখা আর পেজ চালাতে দেখেছি।
আজাদ স্যার এর সমসাময়িক সময়ে অনেক উঁচু দরের লেখক ছিলেন কিন্তু আজাদ স্যার নিজেকে ১০০% মনে করে তাঁদের লেখাকে গ্রাহ্য করেন নাই, তাই আমার Point of View তে আজাদ স্যার একজন স্ব ঘোষিত Free Thinker । যিনি সাহিত্যকে একটা নিদৃস্ট শ্রেণীর কাজ মনে করেন তিনি এটাকে কিভাবে বিকাশ করবেন আমি জানি না, আমার বোধগম্য না। স্তালিন তাঁর রাশিয়াকে টিকিয়ে রাখার জন্য যত রাশান হত্যা করেছে তত ইহুদি হত্যা করেনি হিটলার, আজাদ স্যার কোনটা একটু বুঝে নিন।
** জাতীয়তাবাদ আর উগ্র দেশপ্রেম এর জন্য আজাদ স্যার একজন ফ্যাসিস্ট
** “লালন” এর ৩০০ বছরের পুরাতন সমাজ চিন্তা আর মানুষ ভজন এর আমি ভক্ত, উনি তাঁর সময়ে যে চিন্তা করেছেন তা এই সময়ে কেউ করে কিনা জানি না। আজাদ স্যার বস্তুবাদী, তাই ভাববাদী লালনকে অস্বীকার করেছেন তাঁর আমার আমিত্ব দেখানোর জন্য।
** আজাদ স্যার এর সমোলাচনা করার ভাষা খুব সুন্দর, কিন্ত বস্তুবাদীদের কাছে কি ১০০% সঠিক বলে কিছু আছে?? যা উনি নিজেকে মনে করতেন!!!
নাহ আজাদ স্যার কে নিয়ে আর কথা বাড়াবো না, এই পোস্ট এ কমেন্ট পেলে তাও রিপ্লাই করবো না। বাংলার পাঠকের কাছে আর নাস্তিকদের [আমি বাদে] এজন পয়গম্বর হয়ে থাকুক।
আমি নাস্তিক আমি ছফাদের লেখা ভালোবাসি, আমি লালনের মানুষ ভজনের ভক্ত, লালনের সমাজ চিন্তার সাথে ফ্যান্টাসি করি।
আর আমি
হুম আমি উগ্র বাংলাদেশপন্থি হয়ে
আজাদ স্যার এর মতোই আচরন করি।
যীশু, বুদ্ধ, কৃষ্ণ, মুজিব, মার্ক্স কিংবা আজাদ স্যার কেউ সমালচনার উপরে নন, আমি নাস্তিক আমার স্বাধীনতা আছে সবার বিপরীতে কথা বলার, আজাদ স্যার এর লেখা আমার কাছে নিম্ন মানের হতেই পারে, তাই বলে সব লেখা নয়। কারন পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষের কাছে ঈশ্বর এর চিন্তা ৬০০ কোটি রকম, সেখানে আমার চিন্তা আপনার চিন্তা এক হবে না।
ব্যক্তি আজাদ অনেক আগেই প্রতিষ্ঠান হয়েছে, তাকে নিয়ে সমলাচনা করা দোষের কিছুই না।
নিঃসন্দেহে আজাদ স্যার একজন
নিঃসন্দেহে আজাদ স্যার একজন জ্ঞানী মানুষ…এবং তার মত মানুষকে সমালোচনার করার সাহস বা সামর্থ আদৌ আমার আছে কিনা সেক্ষেত্রে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়…কিন্তু যেহেতু তিনি মানুষ তাই তিনিও আলোচনা, সমালোচনা বা পর্যালচনার উর্দ্ধে নন.…আমি এমন অনেকেই চিনি যারা স্যারের প্রাপ্তি ও ভূল দুটোই স্বীকার করে নেন…চোখ বুজে থাকেন না…তবে একজন পথ-প্রদর্শক,মেধাবী,মানবীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন, শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের দিক থেকে তাঁকে সমালোচনা করা যায় না??আর রইল কথা তার সাহিত্যের অবশ্যই লেখার মানের দিক থেকে সবগুলো সম-পর্যায় ভুক্ত নয়…
আজাদ স্যারকে সমালোচনা করার
আজাদ স্যারকে সমালোচনা করার আগে তাঁর মতো বা তাঁর চেয়ে কম বা বেশি জ্ঞানী হন, তারপর সমালোচনা করিয়েন।
কয়েকজন লেখকের বই পড়েই একজন নিরপেক্ষ সমালোচক হওয়া যায় না।
জ্ঞানের ভাণ্ডার নিয়ে সমালোচক হতে হয়।
মন্তব্যের প্রতিউত্তর না দিতে চাইলে পোস্টই বা কেন করলেন!
মুহম্মদদের কিংবা যীশুর
মুহম্মদদের কিংবা যীশুর সমোলাচনা হয় কেন তবে এই সমাজে???
মুহাম্মদ যিশু আর হুমায়ুন আজাদ
মুহাম্মদ যিশু আর হুমায়ুন আজাদ যদি একই হয় তবে আর আলোচনা করে লাভ কি!
একপক্ষ কাজ করেছে লৌকিক অলৌকিক ক্ষমতা ঈশ্বর ইহজীবন পরজীবন আর কত অবিশ্বাস্য ঘটনা! যা যুগ যুগ ধরে মানুষ মেনে আসছে বা প্রশ্ন করছে।
হুমায়ুন আজাদ কি কোন অলৌকিক ক্ষমতার ব্যবহার করেছিলেন?????ভাষা বিজ্ঞান আর সাহিত্যই ছিল তাঁর বিচরণের জায়গা, সেই বিষয়ে সমালোচনা করতে হলে আগে পণ্ডিত হতে হয়। নয় কি?
এখন আমি যদি দর্শনের স্টুডেন্ট হয়ে যদি রসায়নবিদ্যার কোন লেখককে সমালোচনা করি তাহলে ব্যপারটা কেমন যেন হয়ে যাবে না।
হুমায়ুন আজাদ সমালোচনার উর্দ্ধে না। কিন্তু বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা হওয়া উচিত।
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত না।
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত না। তাহলে পৃথিবীতে রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করার যোগ্যতা নেই। প্লেটো, মুহম্মদ এর সমালোচনা করার কেউ নেই, শচীন এর সমালোচোনা করার কেউ নেই। সমালোচনা একজন পাঠক এর পয়েন্ট অফ ভিউ…পাঠকের সমালচনাই লেখকের প্রাণ…সো সমালোচনা চলবে চলুক।
সহমত
সহমত
কেউই সমালোচনার উর্ধ্বে নন।
কেউই সমালোচনার উর্ধ্বে নন। তবে সেটা হতে হবে গঠনমূলক।